What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

একদম ফালতু কিছু জোকস (2 Viewers)

জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে একবার রবীন্দ্রনাথের বিসর্জন নাটকের মহড়া চলছিল। নাটকে রঘুপতি সেজেছিলেন দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, আর জয়সিংহের ভূমিকায় স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। একটা দৃশ্য ছিল এমন, জয়সিংহের মৃতদেহের ওপর আছড়ে পড়ে শোকবিহ্বল রঘুপতি। দৃশ্যটার মহড়া চলছিল বারবার। দীনেন্দ্রনাথ বাবু ছিলেন কিছুটা স্থূলকায়। বারবার তাঁর ভার বহন করা কবিগুরুর জন্য কঠিন হয়ে পড়ছিল। একবার দীনেন্দ্রনাথ একটু বেকায়দায় রবিঠাকুরের ওপর আছড়ে পড়লেন। রবীন্দ্রনাথ কঁকিয়ে উঠে বললেন, ‘ওহে দিনু, মনে করিস নে আমি সত্যি সত্যিই মারা গেছি!’​
 
স্টিভ জবস ও বিল গেটসের মধ্যে কথা হচ্ছিল।


বিল গেটস: গতকাল একটু ব্যাংকে গিয়েছিলাম।


স্টিভ জবস: কেন?


বিল গেটস: একটা লোনের ব্যাপারে কথা বলতে।


স্টিভ জবস: তাই নাকি? তা কত টাকা লোন দরকার তোমার।


বিল গেটস: আমার না। ব্যাংকের দরকার!​
 
১ম বন্ধু: মার্ক জাকারবার্গ কোটিপতি হতে পেরেছেন কেন জানিস?


২য় বন্ধু: কেন?


১ম বন্ধু: কারণ, তাঁর মা কখনো তাঁকে বলেননি, ‘সারা দিন খালি ফেসবুক, ফেসবুক আর ফেসবুক! তুই কিন্তু ফেসবুকের পেছনে অনেক সময় নষ্ট করছিস!’​
 
মার্ক টোয়েন একবার শেভ করতে সেলুনে গেছেন। শেভ করানোর ফাঁকে ফাঁকে নাপিতের সঙ্গে আলাপ করছিলেন তিনি।


‘আপনাদের শহরে এবারই প্রথম বেড়াতে এলাম।’


‘ভালো সময়ে এসেছেন। আজ রাতে আমাদের এখানে মার্ক টোয়েন বক্তৃতা করবেন। আপনি সেখানে যাচ্ছেন তো?’


‘হুম… আশা করছি যাব।’


‘টিকিট কিনেছেন?’


‘না তো!’


‘মনে হয় আর টিকিট পাবেন না। পেলেও আপনাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।’


‘আমার ভাগ্যটাই আসলে খারাপ। ভদ্রলোক যখনই বক্তৃতা করেন, তখনই আমাকে সব সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়!’ বললেন মার্ক টোয়েন।​
 
পাবলো পিকাসো তখন দারুণ জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী। একদিন চার্লি চ্যাপলিন গেলেন পিকাসোর সঙ্গে দেখা করতে। বললেন, ‘আপনি কি করে ছবি আঁকেন, দেখতে এলাম।’


পিকাসো সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়ে চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে গেলেন তাঁর স্টুডিওর মধ্যে। সেখানে তিনি একটা ছবি আঁকতে ব্যস্ত ছিলেন। চ্যাপলিন দাঁড়িয়ে আছেন আর পিকাসো নিমগ্ন হয়ে ছবি আঁকছেন। হঠাৎ তুলি থেকে খানিকটা রং ছিটকে গিয়ে পড়ল চার্লি চ্যাপলিনের সাদা জামায়। পিকাসো আঁতকে উঠে বললেন, ‘ওহ্, আমি খুবই দুঃখিত চার্লি! দাঁড়াও, আমি এক্ষুনি স্পিরিট নিয়ে এসে রংটা মুছে দিচ্ছি।’


চ্যাপলিন একবার তাঁর জামাটার দিকে তাকান, তারপর হাসতে হাসতে বলেন, ‘কোনো দরকার নেই, তার চেয়ে আপনি বরং আমার প্যান্টের ওপর একটা সই দিয়ে দিন।’​
 
মন্টু: দ্যাখ দেখি কাণ্ড! কাল আমার বিয়ে। এদিকে মেয়েবাড়ি থেকে বলেছে বরযাত্রায় খুব বেশি লোক না নিতে। খুবই টেনশনে আছি।


শফিক: কেন? টেনশনের কী আছে?


মন্টু: বাবা আমাকে নিয়ে যাবেন কি না কে জানে!​
 
ভোম্বলকে দাওয়াত করল তার এক বন্ধু। বন্ধুর বাসা আটতলায়। বহু কষ্ট করে সিঁড়ি দিয়ে আটতলায় উঠে সে দেখল, বন্ধুর বাসার দরজায় একটা কাগজ ঝোলানো। তাতে লেখা আছে, ‘ভোম্বল, তুমি বোকা হয়েছ! আমরা কেউ বাসায় নেই। ফিরে যাও।’


ভোম্বল নিচে লিখল, ‘বুদ্ধু, বোকা তো তুমি হয়েছ। আমি তোমার বাসায় আসিইনি!’​
 
এক বিকেলে পার্কে হাঁটছি। দেখি এক পরিচিত উল্টো হয়ে দৌড়াচ্ছেন। তাঁকে থামিয়ে জানতে চাইলাম ‘আঙ্কেল, ঘটনা কী?’


তিনি উত্তর দিলেন, ‘ডাক্তার ওজন কমানোর জন্য দৌড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। তো দৌড়াতে দৌড়াতে একদিন মাপতে গিয়ে দেখি ওজন বেশি কমে গেছে। তাই এখন আবার বাড়ানোর জন্য উল্টো হয়ে দৌড়াচ্ছি।’​
 
একবার এক বোকা লোক একটা ছাগল নিয়ে যাচ্ছিল। আরেক বোকা বলল, ‘কিরে, ছাগলটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস?’


‘স্কুলে ভর্তি করাতে নিয়ে যাই।’


‘আমাকে কি বোকা পেয়েছিস? ছাগলকে স্কুলে ভর্তি করাবি কীভাবে? আজ তো শুক্রবার!’​
 
ঝন্টু আর মন্টু, দুই বন্ধু বসে টিভিতে সিনেমা দেখছে। সিনেমার একপর্যায়ে দেখা গেল, নায়িকাকে হারিয়ে নায়ক আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নায়ক একটা বাড়ির ছাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে—এই লাফ দিল বলে! এমন সময় বিজ্ঞাপন বিরতি শুরু হয়ে গেল। ঝন্টু: আমার মনে হয়, নায়ক শেষ পর্যন্ত লাফ দেবে না।


মন্টু: আমার মনে হয় দেবে।


ঝন্টু: বাজি হয়ে যাক! লাফ দিলে আমি তোকে ১০০ টাকা দেব, আর লাফ না দিলে তুই আমাকে ১০০ টাকা দিবি। রাজি?


মন্টু: রাজি।


বিরতির পর দেখা গেল, নায়ক লাফিয়ে পড়ল এবং মারা গেল। মন্টু জিতে নিল ১০০ টাকা।


মন্টু: হাঃ হাঃ, আমি আসলে তোকে বোকা বানিয়েছি। এই ছবি আমি আগেও একবার দেখেছি।


ঝন্টু: তুই তো মোটে একবার, আমি এই ছবি আগে চারবার দেখেছি। কিন্তু ভাবিইনি বোকাটা একই ভুল এতবার করবে!​
 

Users who are viewing this thread

Back
Top