What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Self-Made এই সব দিন রাত্রি – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ) (1 Viewer)

Joined
Aug 2, 2018
Threads
244
Messages
21,963
Credits
140,759
Guitar
Statue Of Liberty
Helicopter
Television
Laptop Computer
Lollipop
বইয়ের নাম : এই সব দিন রাত্রি
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ১৯৯০
প্রকাশক : অনন্যা
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৩১৪

O54DaLQ.jpg


সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট

 
কাহিনী সংক্ষেপ :
নীলুর প্রথম বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরে দ্বিতীয়টি একটি মেয়ে হয়েছে। মুখে মুখে বাচ্চাটির নাম হয়ে গেছে টুনি। টুনির বাবা সফিক চুপচাপ ধরনের মানুষ, কোন কিছুর সাথে পাঁচে থাকে না। সফিকের ছোট ভাই রফিক বড় ভাইয়ের ঠিক উল্টো, চটপটে মিশুক টাইপের। সফিক তার ছোট ভাই-বোন আর বাবা-মা নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থেকে। ছোটবোন শাহানা এবার এসএসসি পরীক্ষা দিবে। পরীক্ষায় পাশ করার পরেই তার বিয়ে ঠিক হয়ে যায় খুবই ধনী একটি ছেলের সাথে। কিন্তু সে মনে মনে ভালোবাসে আনিসকে। তবুও একসময় তার বিয়ে হয়ে যায় সেই ধনী পরিবারের ছেলেটির সাথে।
 
রফিকের ক্লাশমেট শারমিন, খুবই ধনী পরিবারের মেয়ে। বিশাল বাড়িতে শুধু বাবা আর মেয়ে থাকে। সেই ছোট বেলায় শারমিনের মা মারা গেছেন, তারপর শারমিনের বাবা আর বিয়ে করেন নি। রফিক মনে মনে শারমিনকে ভালোবাসে। কিন্তু এ্যামেরিকান প্রবাসী সাব্বীরের সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে শারমিনের। বিয়ে যখন সব ঠিকঠাক, বাড়িতে বিয়ের আয়োজন শুরু হয়ে গেছে তখনই হঠাৎ করে শারমিন বিয়ে করে ফেলে রফিককে। এক কাপড়ে উঠে আসে শারমিন বেকার রফিকের বাড়িতে। সময় কাটতে থাকে আর তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব বাড়তে থাকে। একসময় দুজনের মধ্যে কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়।
 
তখনই হঠাৎ করে রফিকের পুরনো এক বন্ধু তাকে ব্যবসার লাইন ধরিয়ে দেয়। কোন টাকা পয়সা ছাড়াই সে রফিককে অফিস ভাড়া করে দেয়ে, তার জন্য ম্যানেজার ঠিক করে দেয়। সেই ম্যনেজার নিজে খেটে ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করে ফেলে। এতো সহজে সব কিছু কিকরে হয়ে যাচ্ছে এটা রফিক বুঝতে পারে পরে, জানতে পারে পিছনে থেকে কলকাঠি নাড়ছে তার শ্বশুর। এরপরই শারমিন তার বাবার বাড়িতে বেরাতে চলে যায় এবং বিদেশে পড়া শুনা করতে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।
 
আনিস থাকে নীলুদের ভাড়া বাড়ি ছাদের চিলেকোঠায়। খুবই ভদ্র ছেলে, তবে পড়াশুনায় খারাপ, পরীক্ষায় ফেল করে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে। বাড়ির মালিকের সাথে আনিসের লতায় পাতায় দূর সম্পর্কের আত্মিয়তা আছে। সে খাওয়া দাওয়া করে তাদের বাড়িতেই। বাড়িওয়ালার একমাত্র মেয়ে বীণা আনিসকে খুব পছন্দ করে। তাই বীণার মা আনিসকে দুই চোখে দেখতে পারেন না।
 
আনিস বুঝতে পারে পড়াশুনা তাকে দিয়ে হবেনা তাই সে জাদু শিখতে শুরু করে। একসময় বেশ ভালই জাদু দেখাতে শিখে যায়। জাদু শেখার জন্য আনিস নানা যায়গায় ঘুরে বেরায়। এই সময় একদিন বাসে ঢাকায় ফেরার সময় এক জাপানী লোকের সাথে আলাপ হয়। লোকটি আনিসের হাত সাফাইয়ের খেলা দেখে মুগ্ধ হয়। কদিন পরেই জাপান থেকে আনিসের কাছে একটা চিঠি আসে, সেখানে জাপানে গিয়ে জাদু দেখাবার নিমন্ত্রণ দেয়া হয়, সমস্ত খরচ তারাই দিবে। এদিকে বীণার মার সাথে বীণার কথা কাটাকাটি হয়। বীণা রাগ করে আনিসকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বললে আনিস বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
 
নীলুদের বাসায় কবির মামা এসেছে বেরাতে। তিনি এসেছেন তার পুরনো ছাত্রদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে নীলগঞ্জকে সুখী নীলগঞ্জ বানাবেন বলে। সেখানে সবার জন্য চাকরি আর দুবেলা খাবার জোগারের ব্যবস্থা তিনি করতে চান। সারা গ্রামবাসী তাকে প্রচন্ড শ্রদ্ধা করে, তার কথা সবাই মানে। তিনিও জীবন দিয়ে সবার জন্য কাজ করেন। স্কুলের পুকুর পরিস্কার করিয়ে তিনি সেখানে মাছ চাষ করিয়েছেন। একদিন সকালে দেখা গেলো সেই সব মাছ বিষ দিয়ে কেউ মেরে ফেলেছে। তিনি সারাদিন পুকুরের পাশে বসে থেকে বিকেলের পরে অজ্ঞান হয়ে পরে গেলেন। শেষে সাতদিন পরে তার জ্ঞান ফিরলো ঢাকার পিজি হাসপাতালে। জ্ঞান ফিরলেও জ্বর তার ভালো হয় না। তিনি বুঝতে পারেন যে তার মৃত্যুর সময় হয়ে এসেছে। তিনি আর কিছুতেই ঢাকায় থাকতে চাননা। অসুস্থ শরীরে তিনি নীলুর বড় দুলাভাই সোবাহানকে নিয়ে নীলগঞ্জে চলে যান। নীলগঞ্জে প্রববেশের সময় কবীর মামা নিরবে মারা যান। সমস্ত গ্রামের মানুষ জড়ো হয় তখন।
 
এদিকে এতো বড় সংসার সফিকের একার রোজগাড়ে চলছিলো না। সেই সময় নীলুর দেখা হয় তার কলেজ লাইফের এক বান্ধুবীর সাথে। সেই বান্ধুবীর চেষ্টায় নীলু একটি চাকরি পেয়ে যায়। বছর ঘুরতেই তার বেতন বাড়ে, বোনাস পায় আর সুইডেনে ছয় মাসের জন্য একটি ট্রেনিং এর সুযোগ পেয়ে যায়। সব যখন ঠিকঠাক তখনই নীলু তার বড় সাহেবকে গিয়ে বলে সে ট্রেনিং এ যেতে পারবেন না, কারণ তার স্বামী বিষয়টি ঠিক পছন্দ করছেন না। এরমধ্যে নীলুর বড় বোন মারা গেলে তার একমাত্র ছেলে বাবলুকেও নীলুর কাছে নিয়ে আসতে হয়।
 
সেইসময়ই সফিকের অফিসের বড় সাহেব বদলি হয়। যে প্রমশন সফিকের হওয়ার কথা সেটা অন্য আরেক জনের হয়ে যায়। কদিন পরে বড় সাহেব সফিককে সাসপ্যান্ড করেন, কারণ এমন অনেকগুলি ফাইল তিনি পেয়েছেন যেখানে সফিকের সিগনেচারে বিল পাশ হয়েছে কিন্তু সেই টাকার কাজ করা হয়নি। বড়সাহেব বুঝতে পারেন যে সফিক কর্মঠ আর সৎ লোক। সফিককে ব্যবহার করে অন্যরা অন্যায় গুলি করেছে। তাই তিনি সফিককে নতুন আরেকটি প্রজেক্টের দায়িত্ব দিয়ে কাজে বহাল করেন। সাথে আরেকটি প্রমশনও দেন।
 
এদিকে নীলুরও প্রমশন হয় কাজের ব্যস্ততা বাড়ে। তার একমাত্র মেয়ে টুনির সাথে দূরুত্ব বাড়ে, সে এখন স্কুলে পড়ে। এদিকে টুনির মাঝে মাঝেই জ্বর হয়। টুনিকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেলে ডাক্তার কিছু রক্ত পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন টুনির একটি খারাপ রোগ হয়েছে লোহিত রক্তকনিকার। এই রোগের তেমন কোন চিকিৎসা নেই, তবে জার্মানিতে কিছুটা ভালো চিকিৎসা আছে। আনেক কষ্টে টুনিকে জার্মানি পাঠানো হলেও সেখানে টুনি মারা যায়।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top