কোনও কোনও দেশে সরকারের তরফে বিনামূল্যে কন্ডোম বিতরণ করা হয়। আবার এমনও দেশ আছে, যেখানে বেতনের অর্ধেক দিয়ে দিতে হয় শুধু এক প্যাকেট কন্ডোম কিনতে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় বর্তমানে কনডমের একটি প্যাকেটের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭১ হাজার টাকারও বেশি। শুধু কনডমই না, দেশটিতে জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধের দামও আকাশ ছোঁয়া।
ভারতের মতো দেশে, তিনটি প্যাকের কন্ডোম বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। ষাট হাজার টাকা খরচ করলে ভাল টেলিভিশিন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা ফ্রিজ অনায়াসে কিনে নেওয়া যেতে পারে। এমনকি ১৩ জুন কলকাতায় এক ভরি ২৪ ক্যারট সোনার দাম ৫৩, ২৪০ টাকা। যে দামে সোনা পাওয়া যাচ্ছে, সেই পরিমাণ টাকা খরচ করলেও ভেনেজুয়েলায় একটি কন্ডোমের প্যাকেট পাওয়া যাবে না। কন্ডোমের বিভিন্ন ধরন হয়। এর মধ্যে আবার কয়েক প্রকারের দাম একটু বেশি। তবে শোনা যাচ্ছে, ভেনেজুয়েলায় সাধারণ কন্ডোমের প্যাকেটই একাত্তর হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাতেই মাথায় হাত সে দেশের নাগরিকদের।
এই দেশে গর্ভপাতের নিয়ম খুবই কড়া। যদি কেউ গর্ভপাত করাতে গিয়ে ধরা পড়েন তবে তাঁদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। ভেনেজুয়েলার বাজারে স্থানীয় ব্র্যান্ডের গর্ভনিরোধক ট্যাবলেটও পাওয়া যায়, কিন্তু সেগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। তাই দাম যাই হোক না কেন মানুষ বিদেশী ব্র্যান্ডের গর্ভনিরোধক পিলই কিনতে পছন্দ করেন। ভেনেজুয়েলা এমন একটি দেশ যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কিশোরীদের মধ্যে গর্ভধারণের ঘটনা ঘটছে। আর এই দেশটিতে গর্ভপাত একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু অল্প বয়সে গর্ভ ধারণই নয়, এই দেশে এইচআইভির সংক্রমণ ও যৌনরোগের সংক্রমণও হু হু করে বাড়ছে।
স্থানীয় মানুষদের কথায়, জেলে না গিয়ে টাকা খরচ করে গর্ভনিরোধক কেনা ভালো। দেশীয় কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু মানুষ প্রতি মাসে তাঁদের বেতনের প্রায় অর্ধেকই কনডোম এবং গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট কিনতে ব্যয় করেন।