Sabrina Roy
Member
শুরু
কিছু সুখ কিছু দুঃখ নিয়ে জীবন। আমার জীবনেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি।
আমি ভাগ্যের চাকায় বিশ্বাসী। জানি একদিন চাকার নিচে থাকলে নিশ্চিত ভাবে একদিন উত্থান ঘটবেই।খালি দরকার ধৈর্য আর পরিশ্রমের।
আমার জীবন শুরু হয়েছিল চাকার নিচে থেকে। খুব ছোটবেলার স্মৃতি এখন ঝাপসা হয়ে এসেছে। কিন্তু তবু মনে পড়ে কলকাতার একটা ফ্ল্যাটে ছোটবেলায় বাবা মার অশান্তি, দৈনন্দিন চিৎকার আর ঝামেলা। আমার দিকে সামান্যতম নজর দেওয়ার সময়ও কারোর ছিল না। পড়ে জেনেছিলাম বাবা মার প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল দুই বাড়ির অমতে। বিয়ের পর বাবা পুরো সংসারের দায়িত্ব নিয়ে উঠতে পারেননি। কোন ব্যাপারেই দুজনের মিল হয়নি। আমার যখন চার বছর বয়স মা আমাকে নিয়ে তারকেশ্বরে আমার মামার বাড়িতে চলে আসেন।
আমার মামার বাড়িতে দাদু ,দিদা আর আমার মামা মামিমা । বড় বাড়ি । প্রচুর গাছ, পাশে খেলার মাঠ, নতুন বন্ধু বান্ধব। মামা আমার মায়ের থেকে বয়সে বড় স্বভাবে জাঁদরেল কিন্তু আমাকে পুত্রবত স্নেহ করতেন। কিন্তু আমার কপালে সুখ ছিল না।ভাগ্যের বিড়ম্বনা তখন আরো অনেক বাকি। মামারবাড়িতে আসার বছর না ঘুরতেই আমার মা মারা যান।
মায়ের কোলের উষ্ণতার পরশ ভাল করে বোঝার আগেই তার থেকে বঞ্চিত হলাম। হয়তো মামিমার কাছে কিছুটা হলেও সেই শূন্যস্থান পূরণ হত। কিন্তু সে বছরই মায়ের মৃত্যুর কয়েক মাসের মধ্যে আমার মামাতো বোন ঊর্মি জন্মাল। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ির নতুন অথিতির আগমনে সবাই তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আমার মায়ের স্মৃতি, আমার দুঃখ সব কিছুর মধ্যে ঢাকা পড়ে গেলো। সবার মধ্যে থেকেও আমি যেন কোথাও খুব একা একা বড় হতে লাগলাম। খুব অগোছালো ভাবে। মামা হয়ত কিছুটা বুঝেছিল। আমাকে কলকাতার নামি একটা মিশন স্কুলএ ভরতি করে দেওয়া হল। বাক্স প্যাটরা নিয়ে একদিন হস্টেল চলে গেলাম। আবার আমার একটা নতুন জীবন শুরু হল।
প্রথম প্রথম হস্টেলে খুব কষ্ট হত। কিন্তু আপন বলতে তখন পৃথিবীতে কেও ছিল না। কার কাছে কাঁদব? কার কাছে দুঃখ করবো? গ্রীষ্মের ছুটি বা পুজোর ছুটিতে বাড়ি আসতাম। কিন্তু বাড়ি এসেও খুব আদর পাওয়া হত না। মামারবাড়িতে দাদু , মামা ছিল প্রচণ্ড রকম রক্ষণশীল আর কড়া। বই মুখে গুজে বসে থাকতাম। ভাল লাগা বলতে ছিল একটা নোটবুকে আঁকিবুঁকি কাটা। নিজের যন্ত্রণাগুলকে পেনসিল দিয়ে ঘষে কাগজে আঁকা। তা ছাড়া যে যা বলত তাই শুনতাম।
আস্তে আস্তে তখন বড় হচ্ছি। অনেক কিছু বুঝতে শিখেছি তখন। দেখেছি একদিন মামিমা শুধু ঘোমটা না দিয়ে দাদুকে চা দিতে গেছে বলে কি ভয়ানক রকম ঝার খেয়েছে। মামিমাকে তার বোনের কাছে দুঃখ করতে শুনেছি বিয়ের পর একদিনও সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার অনুমতি পায়নি। এসব দেখে শিক্ষা নিয়ে আমি তাই নিজে কখন কোন বায়না করিনি। যেটা বলেছে মুখ বুঝে শুনে নিয়েছি।
ক্লাস এইটে আমি আবিষ্কার করলাম আমার জীবনের উদ্যেশ্য। ছবি আঁকা। আমার স্কুলের ড্রয়িং স্যার নিজে উৎসাহ দিয়ে আমাকে বিভিন্ন কম্পিটিশানে পাঠালেন। প্রতি ক্ষেত্রে আমি স্কুলের মুখ উজ্বল করলাম। আমি তখন নিজে কিছুটা অদ্ভুত হয়ে গেছি। বন্ধুদের সাথে বেশি মিশতাম না। নিজের মধ্যে থাকতাম আর আঁকতাম। ড্রয়িং স্যার এর ঘরে গিয়ে প্রচুর ছবির বই নিয়ে আসতাম আর সেগুলো দেখে আঁকতাম নিজের খাতায়। আমার এখনও মনে আছে নভেম্বর মাসের একটা শীতের রাতে এরকম-ই একটা নিয়ে আসা বইয়ে আমি প্রথম একটা অদ্ভুত ন্যুড ছবি দেখি। এর আগেও আমি এসব ছবি এরকম বইয়ে দেখেছি। কিন্তু এই ছবিটার মধ্যে এমন কিছু একটা ছিল যা আমাকে পুরো অভিভূত করে দিয়েছিল। একজন মধ্য বয়স্কা বিদেশি মহিলার নগ্ন দেহ।
মহিলা বিছানায় এক পাশ হয়ে শুয়ে আছে। চুলে মুখের একদিকটা কিছুটা ঢেকে বিছানা থেকে মেঝেতে এসে ঠেকেছে। মুখে একটা কষ্ট দিয়ে মাখা ম্লান হাসি। ভরাট দুটি স্তন যেন একটু নুইয়ে আছে। একটি পা অন্য পায়ের হাঁটুতে ভাজ হয়ে আটকে রেখে যৌন অঞ্চলকে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করেছে। যৌনাঙ্গ ঘন চুলে আবৃত। মোটা শিকল দিয়ে হাতের কব্জি আর গোড়ালি বাঁধা আছে বিছানার সাথে। হলুদ একটা আলো যেন ঠিকরে বেরচ্ছে সারা শরীর থেকে। আমি যথারীতি ছবিটা দেখে আঁকতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণ পরেই সেই শীতের রাতে আমি দর দর করে ঘামতে আরম্ভ করলাম। জীবনে সেই আমার প্রথম এবং তীব্রতম যৌন অনুভূতি। ছবিটা আঁকা শেষ হতে আমার ভোর হয়ে গেল। আমার অবাক লাগল মুখটা দেখে। আমার মামিমার মুখটা কেটে যেন বসানো। খুব অদ্ভুত লাগল।
তারপর বেশ কিছুদিন আমি যৌনতা সম্বন্ধে আরো অনেক জ্ঞান আহরণ শুরু করলাম। দেখলাম আমার ক্লাসে আমিই সবচেয়ে মূর্খ হয়ে আছি। বন্ধুরা আমাকে মানুষ করার দায়িত্ব নিল। এবং খুব শিগগিরি সব জেনেও গেলাম। স্কুলের বাথরুম এ লুকিয়ে লুকিয়ে প্রচুর পানু বইয়ের ছবি দেখাও শুরু হয়ে গেল।
কিছু সুখ কিছু দুঃখ নিয়ে জীবন। আমার জীবনেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি।
আমি ভাগ্যের চাকায় বিশ্বাসী। জানি একদিন চাকার নিচে থাকলে নিশ্চিত ভাবে একদিন উত্থান ঘটবেই।খালি দরকার ধৈর্য আর পরিশ্রমের।
আমার জীবন শুরু হয়েছিল চাকার নিচে থেকে। খুব ছোটবেলার স্মৃতি এখন ঝাপসা হয়ে এসেছে। কিন্তু তবু মনে পড়ে কলকাতার একটা ফ্ল্যাটে ছোটবেলায় বাবা মার অশান্তি, দৈনন্দিন চিৎকার আর ঝামেলা। আমার দিকে সামান্যতম নজর দেওয়ার সময়ও কারোর ছিল না। পড়ে জেনেছিলাম বাবা মার প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল দুই বাড়ির অমতে। বিয়ের পর বাবা পুরো সংসারের দায়িত্ব নিয়ে উঠতে পারেননি। কোন ব্যাপারেই দুজনের মিল হয়নি। আমার যখন চার বছর বয়স মা আমাকে নিয়ে তারকেশ্বরে আমার মামার বাড়িতে চলে আসেন।
আমার মামার বাড়িতে দাদু ,দিদা আর আমার মামা মামিমা । বড় বাড়ি । প্রচুর গাছ, পাশে খেলার মাঠ, নতুন বন্ধু বান্ধব। মামা আমার মায়ের থেকে বয়সে বড় স্বভাবে জাঁদরেল কিন্তু আমাকে পুত্রবত স্নেহ করতেন। কিন্তু আমার কপালে সুখ ছিল না।ভাগ্যের বিড়ম্বনা তখন আরো অনেক বাকি। মামারবাড়িতে আসার বছর না ঘুরতেই আমার মা মারা যান।
মায়ের কোলের উষ্ণতার পরশ ভাল করে বোঝার আগেই তার থেকে বঞ্চিত হলাম। হয়তো মামিমার কাছে কিছুটা হলেও সেই শূন্যস্থান পূরণ হত। কিন্তু সে বছরই মায়ের মৃত্যুর কয়েক মাসের মধ্যে আমার মামাতো বোন ঊর্মি জন্মাল। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ির নতুন অথিতির আগমনে সবাই তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আমার মায়ের স্মৃতি, আমার দুঃখ সব কিছুর মধ্যে ঢাকা পড়ে গেলো। সবার মধ্যে থেকেও আমি যেন কোথাও খুব একা একা বড় হতে লাগলাম। খুব অগোছালো ভাবে। মামা হয়ত কিছুটা বুঝেছিল। আমাকে কলকাতার নামি একটা মিশন স্কুলএ ভরতি করে দেওয়া হল। বাক্স প্যাটরা নিয়ে একদিন হস্টেল চলে গেলাম। আবার আমার একটা নতুন জীবন শুরু হল।
প্রথম প্রথম হস্টেলে খুব কষ্ট হত। কিন্তু আপন বলতে তখন পৃথিবীতে কেও ছিল না। কার কাছে কাঁদব? কার কাছে দুঃখ করবো? গ্রীষ্মের ছুটি বা পুজোর ছুটিতে বাড়ি আসতাম। কিন্তু বাড়ি এসেও খুব আদর পাওয়া হত না। মামারবাড়িতে দাদু , মামা ছিল প্রচণ্ড রকম রক্ষণশীল আর কড়া। বই মুখে গুজে বসে থাকতাম। ভাল লাগা বলতে ছিল একটা নোটবুকে আঁকিবুঁকি কাটা। নিজের যন্ত্রণাগুলকে পেনসিল দিয়ে ঘষে কাগজে আঁকা। তা ছাড়া যে যা বলত তাই শুনতাম।
আস্তে আস্তে তখন বড় হচ্ছি। অনেক কিছু বুঝতে শিখেছি তখন। দেখেছি একদিন মামিমা শুধু ঘোমটা না দিয়ে দাদুকে চা দিতে গেছে বলে কি ভয়ানক রকম ঝার খেয়েছে। মামিমাকে তার বোনের কাছে দুঃখ করতে শুনেছি বিয়ের পর একদিনও সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার অনুমতি পায়নি। এসব দেখে শিক্ষা নিয়ে আমি তাই নিজে কখন কোন বায়না করিনি। যেটা বলেছে মুখ বুঝে শুনে নিয়েছি।
ক্লাস এইটে আমি আবিষ্কার করলাম আমার জীবনের উদ্যেশ্য। ছবি আঁকা। আমার স্কুলের ড্রয়িং স্যার নিজে উৎসাহ দিয়ে আমাকে বিভিন্ন কম্পিটিশানে পাঠালেন। প্রতি ক্ষেত্রে আমি স্কুলের মুখ উজ্বল করলাম। আমি তখন নিজে কিছুটা অদ্ভুত হয়ে গেছি। বন্ধুদের সাথে বেশি মিশতাম না। নিজের মধ্যে থাকতাম আর আঁকতাম। ড্রয়িং স্যার এর ঘরে গিয়ে প্রচুর ছবির বই নিয়ে আসতাম আর সেগুলো দেখে আঁকতাম নিজের খাতায়। আমার এখনও মনে আছে নভেম্বর মাসের একটা শীতের রাতে এরকম-ই একটা নিয়ে আসা বইয়ে আমি প্রথম একটা অদ্ভুত ন্যুড ছবি দেখি। এর আগেও আমি এসব ছবি এরকম বইয়ে দেখেছি। কিন্তু এই ছবিটার মধ্যে এমন কিছু একটা ছিল যা আমাকে পুরো অভিভূত করে দিয়েছিল। একজন মধ্য বয়স্কা বিদেশি মহিলার নগ্ন দেহ।
মহিলা বিছানায় এক পাশ হয়ে শুয়ে আছে। চুলে মুখের একদিকটা কিছুটা ঢেকে বিছানা থেকে মেঝেতে এসে ঠেকেছে। মুখে একটা কষ্ট দিয়ে মাখা ম্লান হাসি। ভরাট দুটি স্তন যেন একটু নুইয়ে আছে। একটি পা অন্য পায়ের হাঁটুতে ভাজ হয়ে আটকে রেখে যৌন অঞ্চলকে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করেছে। যৌনাঙ্গ ঘন চুলে আবৃত। মোটা শিকল দিয়ে হাতের কব্জি আর গোড়ালি বাঁধা আছে বিছানার সাথে। হলুদ একটা আলো যেন ঠিকরে বেরচ্ছে সারা শরীর থেকে। আমি যথারীতি ছবিটা দেখে আঁকতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণ পরেই সেই শীতের রাতে আমি দর দর করে ঘামতে আরম্ভ করলাম। জীবনে সেই আমার প্রথম এবং তীব্রতম যৌন অনুভূতি। ছবিটা আঁকা শেষ হতে আমার ভোর হয়ে গেল। আমার অবাক লাগল মুখটা দেখে। আমার মামিমার মুখটা কেটে যেন বসানো। খুব অদ্ভুত লাগল।
তারপর বেশ কিছুদিন আমি যৌনতা সম্বন্ধে আরো অনেক জ্ঞান আহরণ শুরু করলাম। দেখলাম আমার ক্লাসে আমিই সবচেয়ে মূর্খ হয়ে আছি। বন্ধুরা আমাকে মানুষ করার দায়িত্ব নিল। এবং খুব শিগগিরি সব জেনেও গেলাম। স্কুলের বাথরুম এ লুকিয়ে লুকিয়ে প্রচুর পানু বইয়ের ছবি দেখাও শুরু হয়ে গেল।