দেখো পিঁয়াজি করো না। ছোটো ফোন করলো আর তুমি জানবে না। এটা হয়।
এই তো শুরু করে দিলি, তুই এখন মালিক, এসব কথা বললে লোকে কি ভাববে।
উঠে চলে এলাম।
নিজের টেবিলে বসে, মিত্রাকে ফোন করলাম।
বল।
ছোটোমাকে দে।
ওপরে।
তুই কোথায়, পাতালে।
এক থাপ্পর।
আর মারিসনা সেদিন বড্ড লেগেছিলো।
মিত্রা খিল খিল করে হেসে উঠলো। ছোটোমা বলে চিল্লালো, শুনতে পাচ্ছি।
তুই কি অফিসে।
হ্যাঁ।
কি করছিস।
এখনো কিছু করছি না, আসতেই মল্লিকদা বললো, ছোটোমা ফোন করতে বলেছে তাই ফোন করছি।
তোর আজগে হবে।
কেনো রে আবার কি করলাম।
কি করলি, দেখ না।
তুই একটু হিন্টস দে।
ধর।
হ্যাঁরে তুই কোথায় রে। ছোটমার গলা।
অফিসে।
এরি মধ্যে ঢুকে পরেছিস।
হ্যাঁ।
কখন ফিরবি।
বলতে পারবো না।
তার মানে।
আসি আমার ইচ্ছেয়, যাবো কাজের ইচ্ছেয়, কাজ শেষ হলেই যাবো।
মাছের ঝোল কে রান্না করেছিলো।
আমি।
আমাদের জন্য রেখেছিস।
পাঁচ-ছপিস পরে আছে। ভজুকে বলেছি, খেয়ে নিস।
তার মানে।
দেখো ও রান্না তোমাদের মুখে রুচবে না, আমরা পুরুষরা চালিয়ে নেবো। তোমরা পারবে না। আসল কথা বলোতো। এর জন্য তুমি ফোন করতে বলো নি।
তুই একবার আসবি।
অবশ্যই না।
কেনো।
কাজ আছে। দুটো থেকে একজায়গায় মিটিং। কখন শেষ হবে জানি না।
তাহলে তোকে বলা যাবে না।
রাতে কথা হবে। বড়মা ঠিক আছে।
ঠিক আছে কই রে মাথা খারাপ করে দিচ্ছে।
কেনো।
তার গতরে নাকি শুঁয়োপোকা পরে যাচ্ছে।
হো হো করে হেসে ফেললাম।
রাখছি।
অমিতাভদার ঘরে গেলাম, দেখলাম চম্পকদা আর সুনীতদা বসে আছে। আমাকে দেখেই বললেন, আসুন ছোটো সাহেব।
আমি একটা চেয়ার নিয়ে বসলাম।
দাদাকে বললাম আমার কোনো কাজ আছে।
ওরা দুজনে হেসে ফেললো।
সত্যি অনি তোকে দেখে বোঝা মুস্কিল তোর রোলটা এই হাউসে কি। চম্পকদা বললেন।
কেনো আমি যা আছি তাই, তোমরা একটা বাড়তি দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছো বইছি, যেদিন পারবো না, বলে দেবো এবার খান্ত দাও।
সে সময় আসবে।
কেনো আসবে না।
বাই দা বাই, শোন মন্ত্রী মহাশয় অর্ধেকটাকা পাঠিয়ে দিয়েছে।
আমার কমিশন।
তোর জিনিষ তুই পুরোটাই নে না, কে বারন করতে যাচ্ছে।
সবাই হো হো করে হেসে ফেললো।
তোমার টার্গেট কতদূর।
মনে হচ্ছে ফুলফিল করতে পারবো। তুই এরকম ভাবে হেল্প করলেই হবে।
আমি যতটা পারবো করবো, বাকিটা তুমি তোমার টিম।
হ্যাঁরে দাদার সঙ্গে কথা হচ্ছিল ওই জায়গাটা নিয়ে কিছু ভাবলি।
কাগজপত্র রেডি করতে দিয়েছি, হয়ে যাক তারপর ভাববো। এখন অফিসের ঋণ শোধ। এটা আমার থেকে তোমরা দুজন ভালো করে জানো।
সুনীতদা চম্পকদা মাথা নীচু করলো।
মাথায় রাখবে জিনিষটা আমার একার নয়, এই বটগাছটাকে বাঁচাতে পারলে, আমরা সবাই বাঁচবো।
তুই বিশ্বাস কর অনি তুই আমার ছেলের মতো, এখনো সেই দিনটার কথা মনে পরলে, রাতে ঘুম হয় না।
সুনীতদার ওই সব কিছু হয় না, সুনীতদার রাতে বেশ ভালো ঘুম হয়, সুনীতদার কিছু মনে থাকে না।
সুনীতদা আমার দিকে তাকালেন, তুই এই ভাবে বলছিস কেনো।
তুমি ভেবে দেখো।
সুনীতদা চুপ।
সুনীতদা এখনো সময় আছে, তোমায় নিয়ে আমার অনেক বড়ো কাজ করার স্বপ্ন আছে, তুমি এখনো শোধরাও নি।
না অনি বিশ্বাস কর ওরা আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলো।
আমার এখান থেকে অনেক বেশি মাইনের অফার আছে তোমার কাছে চলে যাও। তোমাকে কেউ ধরে রাখে নি।
আমি যাবো না বলে দিয়েছি।
না তুমি তা বলো নি। ঝুলিয়ে রেখেছো।
সবাই আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে, আবার কি হলো।
আবার বলি সুনীতদা তুমি যদি ভেবে থাকো অনি খুব দুর্বল তাহলে ভুল করবে। তোমাকে আমি ওয়াচে রাখছি।
কিরে সুনীত তোর লজ্জা করে না। চম্পকদা বললেন।
না তুই বিশ্বাস কর চম্পক।
তাহলে অনি যা বলছে তুই প্রতিবাদ করছিস না কেনো। ও তো তোর পেছনে বলছে না।
সুনীতদা চেয়ার ছেড়ে উঠে চলে গেলো।
বুঝলে চম্পকদা সুনীতদার স্বভাবটা মনে হয় চেঞ্জ করতে পারবো না।
দাঁড়া আমায় একটু সময় দে।
দাদার ফোন থেকে সনাতন বাবুকে ডেকে পাঠালাম। সনাতন বাবু এলেন। চেয়ারে বসলেন।
সুনীতবাবুর আবার কি হলো। সবার দিকে তাকালেন।
ও অন্যায় করেছে, অনি বললো।
আমরা শুধরে নিচ্ছি উনি পারছেন না।
দাদা একটু চা খাওয়াবে।
আমায় বলছিস কেনো, তুই হরিদাকে ডেকে বল।
তুমি বলো, তোমার বলা আর আমার বলার মধ্যে পার্থক্য আছে।
সবাই মুচকি হাসলো। দাদা বেলে হাত দিলেন। হরিদা উঁকি মারলো। বুঝে গেলো।
সনাতান বাবুকে বললাম আমার কাগজপত্র রেডি।
না ছোটোবাবু, ওরা এখনো দেয় নি।
কেনো।
আপনি একটু বলুন।
তাহলে আপনি কি করতে আছেন।
আছি তো কিন্তু কতবার বলি বলুন তো।
মেমো দিন, কি উত্তর দেয় দেখুন। আমি এর মধ্যে ঢুকলে এ্যাকসন অন্য হবে।
ফোনটা সনাতনবাবুর দিকে এগিয়ে দিলাম। ডাকুন এখানে।
কিছুক্ষণ পর অরিন্দম আর কিংশুকবাবু ঢুকলেন। আমাকে দেখেই চমকে গেলেন। আমিই বললাম বসুন।
আপনার কাগজ রেডি করেছি এখুনি দিয়ে দেবো। কিংশুকবাবু বললেন।
আমায় কেনো, ওটা সনাতন বাবুর টেবিলে পাঠানোর কথা।
এই সবে শেষ করলাম।
কেনো। কাজের চাপ বেরে গেছে।
না …..
পার্টি ফার্টি বন্ধ করুন, আগে কাজ তারপর ফুর্তি।
না মানে……
তোতলাবেন না। প্রফেসনাল হাউসে কাজ করছেন। আজকে কিছু বললাম না, এরপর দিন সনাতনবাবুকে মেমো ধরাতে বলেছি।
অনিবাবু!
আপনার কি খবর। অরিন্দমবাবুর দিকে তাকালাম।
ওরা কিছুতেই মানছেন না।
কলকাতায় আর লোক নেই, কালকে একটা টেন্ডার ফেলুন কাগজে। টেন্ডার জমা পরলে আমি ওপেন করবো।
না কয়েকদিন সময় দিলে…….
অরিন্দমবাবু আমি ঘাসে মুখ দিয়ে চলি না, বকলমে ব্যবসা করবেন না।
কেউ যেনো অরিন্দমবাবুর গালে ঠাস করে একটা চড় মারলো।
এই তো শুরু করে দিলি, তুই এখন মালিক, এসব কথা বললে লোকে কি ভাববে।
উঠে চলে এলাম।
নিজের টেবিলে বসে, মিত্রাকে ফোন করলাম।
বল।
ছোটোমাকে দে।
ওপরে।
তুই কোথায়, পাতালে।
এক থাপ্পর।
আর মারিসনা সেদিন বড্ড লেগেছিলো।
মিত্রা খিল খিল করে হেসে উঠলো। ছোটোমা বলে চিল্লালো, শুনতে পাচ্ছি।
তুই কি অফিসে।
হ্যাঁ।
কি করছিস।
এখনো কিছু করছি না, আসতেই মল্লিকদা বললো, ছোটোমা ফোন করতে বলেছে তাই ফোন করছি।
তোর আজগে হবে।
কেনো রে আবার কি করলাম।
কি করলি, দেখ না।
তুই একটু হিন্টস দে।
ধর।
হ্যাঁরে তুই কোথায় রে। ছোটমার গলা।
অফিসে।
এরি মধ্যে ঢুকে পরেছিস।
হ্যাঁ।
কখন ফিরবি।
বলতে পারবো না।
তার মানে।
আসি আমার ইচ্ছেয়, যাবো কাজের ইচ্ছেয়, কাজ শেষ হলেই যাবো।
মাছের ঝোল কে রান্না করেছিলো।
আমি।
আমাদের জন্য রেখেছিস।
পাঁচ-ছপিস পরে আছে। ভজুকে বলেছি, খেয়ে নিস।
তার মানে।
দেখো ও রান্না তোমাদের মুখে রুচবে না, আমরা পুরুষরা চালিয়ে নেবো। তোমরা পারবে না। আসল কথা বলোতো। এর জন্য তুমি ফোন করতে বলো নি।
তুই একবার আসবি।
অবশ্যই না।
কেনো।
কাজ আছে। দুটো থেকে একজায়গায় মিটিং। কখন শেষ হবে জানি না।
তাহলে তোকে বলা যাবে না।
রাতে কথা হবে। বড়মা ঠিক আছে।
ঠিক আছে কই রে মাথা খারাপ করে দিচ্ছে।
কেনো।
তার গতরে নাকি শুঁয়োপোকা পরে যাচ্ছে।
হো হো করে হেসে ফেললাম।
রাখছি।
অমিতাভদার ঘরে গেলাম, দেখলাম চম্পকদা আর সুনীতদা বসে আছে। আমাকে দেখেই বললেন, আসুন ছোটো সাহেব।
আমি একটা চেয়ার নিয়ে বসলাম।
দাদাকে বললাম আমার কোনো কাজ আছে।
ওরা দুজনে হেসে ফেললো।
সত্যি অনি তোকে দেখে বোঝা মুস্কিল তোর রোলটা এই হাউসে কি। চম্পকদা বললেন।
কেনো আমি যা আছি তাই, তোমরা একটা বাড়তি দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছো বইছি, যেদিন পারবো না, বলে দেবো এবার খান্ত দাও।
সে সময় আসবে।
কেনো আসবে না।
বাই দা বাই, শোন মন্ত্রী মহাশয় অর্ধেকটাকা পাঠিয়ে দিয়েছে।
আমার কমিশন।
তোর জিনিষ তুই পুরোটাই নে না, কে বারন করতে যাচ্ছে।
সবাই হো হো করে হেসে ফেললো।
তোমার টার্গেট কতদূর।
মনে হচ্ছে ফুলফিল করতে পারবো। তুই এরকম ভাবে হেল্প করলেই হবে।
আমি যতটা পারবো করবো, বাকিটা তুমি তোমার টিম।
হ্যাঁরে দাদার সঙ্গে কথা হচ্ছিল ওই জায়গাটা নিয়ে কিছু ভাবলি।
কাগজপত্র রেডি করতে দিয়েছি, হয়ে যাক তারপর ভাববো। এখন অফিসের ঋণ শোধ। এটা আমার থেকে তোমরা দুজন ভালো করে জানো।
সুনীতদা চম্পকদা মাথা নীচু করলো।
মাথায় রাখবে জিনিষটা আমার একার নয়, এই বটগাছটাকে বাঁচাতে পারলে, আমরা সবাই বাঁচবো।
তুই বিশ্বাস কর অনি তুই আমার ছেলের মতো, এখনো সেই দিনটার কথা মনে পরলে, রাতে ঘুম হয় না।
সুনীতদার ওই সব কিছু হয় না, সুনীতদার রাতে বেশ ভালো ঘুম হয়, সুনীতদার কিছু মনে থাকে না।
সুনীতদা আমার দিকে তাকালেন, তুই এই ভাবে বলছিস কেনো।
তুমি ভেবে দেখো।
সুনীতদা চুপ।
সুনীতদা এখনো সময় আছে, তোমায় নিয়ে আমার অনেক বড়ো কাজ করার স্বপ্ন আছে, তুমি এখনো শোধরাও নি।
না অনি বিশ্বাস কর ওরা আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলো।
আমার এখান থেকে অনেক বেশি মাইনের অফার আছে তোমার কাছে চলে যাও। তোমাকে কেউ ধরে রাখে নি।
আমি যাবো না বলে দিয়েছি।
না তুমি তা বলো নি। ঝুলিয়ে রেখেছো।
সবাই আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে, আবার কি হলো।
আবার বলি সুনীতদা তুমি যদি ভেবে থাকো অনি খুব দুর্বল তাহলে ভুল করবে। তোমাকে আমি ওয়াচে রাখছি।
কিরে সুনীত তোর লজ্জা করে না। চম্পকদা বললেন।
না তুই বিশ্বাস কর চম্পক।
তাহলে অনি যা বলছে তুই প্রতিবাদ করছিস না কেনো। ও তো তোর পেছনে বলছে না।
সুনীতদা চেয়ার ছেড়ে উঠে চলে গেলো।
বুঝলে চম্পকদা সুনীতদার স্বভাবটা মনে হয় চেঞ্জ করতে পারবো না।
দাঁড়া আমায় একটু সময় দে।
দাদার ফোন থেকে সনাতন বাবুকে ডেকে পাঠালাম। সনাতন বাবু এলেন। চেয়ারে বসলেন।
সুনীতবাবুর আবার কি হলো। সবার দিকে তাকালেন।
ও অন্যায় করেছে, অনি বললো।
আমরা শুধরে নিচ্ছি উনি পারছেন না।
দাদা একটু চা খাওয়াবে।
আমায় বলছিস কেনো, তুই হরিদাকে ডেকে বল।
তুমি বলো, তোমার বলা আর আমার বলার মধ্যে পার্থক্য আছে।
সবাই মুচকি হাসলো। দাদা বেলে হাত দিলেন। হরিদা উঁকি মারলো। বুঝে গেলো।
সনাতান বাবুকে বললাম আমার কাগজপত্র রেডি।
না ছোটোবাবু, ওরা এখনো দেয় নি।
কেনো।
আপনি একটু বলুন।
তাহলে আপনি কি করতে আছেন।
আছি তো কিন্তু কতবার বলি বলুন তো।
মেমো দিন, কি উত্তর দেয় দেখুন। আমি এর মধ্যে ঢুকলে এ্যাকসন অন্য হবে।
ফোনটা সনাতনবাবুর দিকে এগিয়ে দিলাম। ডাকুন এখানে।
কিছুক্ষণ পর অরিন্দম আর কিংশুকবাবু ঢুকলেন। আমাকে দেখেই চমকে গেলেন। আমিই বললাম বসুন।
আপনার কাগজ রেডি করেছি এখুনি দিয়ে দেবো। কিংশুকবাবু বললেন।
আমায় কেনো, ওটা সনাতন বাবুর টেবিলে পাঠানোর কথা।
এই সবে শেষ করলাম।
কেনো। কাজের চাপ বেরে গেছে।
না …..
পার্টি ফার্টি বন্ধ করুন, আগে কাজ তারপর ফুর্তি।
না মানে……
তোতলাবেন না। প্রফেসনাল হাউসে কাজ করছেন। আজকে কিছু বললাম না, এরপর দিন সনাতনবাবুকে মেমো ধরাতে বলেছি।
অনিবাবু!
আপনার কি খবর। অরিন্দমবাবুর দিকে তাকালাম।
ওরা কিছুতেই মানছেন না।
কলকাতায় আর লোক নেই, কালকে একটা টেন্ডার ফেলুন কাগজে। টেন্ডার জমা পরলে আমি ওপেন করবো।
না কয়েকদিন সময় দিলে…….
অরিন্দমবাবু আমি ঘাসে মুখ দিয়ে চলি না, বকলমে ব্যবসা করবেন না।
কেউ যেনো অরিন্দমবাবুর গালে ঠাস করে একটা চড় মারলো।