তুমি হেসো না। এরা এই রকম, কলকাতায় আমার বস একজন ছেলে। আমি তোমার ফাইলটা আজই পাঠিয়েছি, ২৪ কোটির বাজেট দিয়ে, কামিং তিন মাসে। তোমার খরচ পরবে, লাখ তিরিশেক।
এটা আমাকে ফেস করতে হবে না তোমাকে।
তোমাকে ফেস করতে হবে। সেই জন্যই তোমায় বোম্বে যেতে বলছিলাম।
বিপদে ফেললে, এ কাজ কোনো দিন করিনি।
ঠিক আছে আমি দেখছি কি করা যায়।
না তোমায় টেনসন নিতে হবে না, আমার একটা নতুন জগত দেখা হবে।
না না আমি ব্যবস্থা করবো।
তুমি আমার জন্য আর কতো করবে।
আমার বসকে বোলবো। দেখি না কি করে।
তোমার বন্ধুরা জানে।
না জানার কি আছে। দেবাশীষ ধোয়া তুলসী পাতা নাকি।
অদিতি, মিলি, নির্মাল্য।
সব এক গোয়ালের গরু, আপার লেবেলে শরীরটা কিছু নয়, সেখানে টাকাটাই সব।
তার মানে আমাকেও সেই হতে হবে নাকি।
তোমার মধ্যে সেই প্রটেনসিয়ালিটি আছে, কিন্তু তুমি তা নও।
কি করে জানলে।
তোমার মুখের মধ্যে তার একটা ছাপ থাকতো।
তুমি এতো বোঝো।
বুঝতে হয়েছে।
তুমি এগিয়ে যাও, আমি ঠিক সামলে দেবো।
পারবে।
দেখি না সামলাতে পারি কিনা। তুমি কবে খবর দেবে।
কামিং উইকে।
আমার নেট শেখার ব্যাপারটা।
তুমি এলেই হয়ে যাবে।
তোমায় ফোন করবো। রবিবার ফাঁকা আছো।
আছি।
দেখি বিকেলের পর আসবো। অসুবিধে নেই।
না। একটা ফোন করে নিও।
ঠিক আছে।
টিনার কাছ থেকে উঠে চলে এলাম, টিনা নীচ পযর্ন্ত এগিয়ে দিয়ে গেলো। লাকিলি নিচে একটা ট্যাক্সি পেয়েগেলাম, উঠে পরলাম। অমিতাভদার বাড়িতে যখন এলাম রাত দশটা বেজে গেছে। পা দিতেই দেখলাম, তিনজনে বসে গল্প করছে, আর হাসাহাসি করছে। আমি ঢুকতেই ছোটমা বললেন, আসুন স্যার, আপনার কথাই হচ্ছে।
আমি বড়মাকে, ছোটমাকে প্রণাম করে বড়মার পাশে বসলাম। মিত্রা একটা সোফা দখল করে আছে, ছোটমাও একটা সোফা দখল করে আছে।
দাদারা আসে নি।
বললোতো অফিস থেকে বেরিয়েছে। বড়মা বললেন।
হ্যাঁরে তুই কি রে।
আমি মানুষ। খুব সাধারন মানুষ।
দাওনা দাও ওর কানটি মূলে। ছোটমা বললেন।
মিত্রা চোখবন্ধ করে হাসছে।
তোর কীর্তি কলাপ শুনছিলাম মিত্রার মুখ থেকে।
মিত্রার দিকে তাকালাম, আমার! সে আর নতুন কি আছে।
একাট মেয়েকে নিয়ে গেছিস, থাকার জায়গা পযর্ন্ত ঠিক করিস নি।
আমি নিয়ে যাবার আগে কন্ডিশন করে নিয়েছিলাম, জিজ্ঞেস করো।
মিথ্যুক একেবারে বাজে কথা বলবি না। তুই আমায় বলেছিলি, ওখানে বাথরুম নেই।
সেটা আবার বলতে হয় নাকি, গ্রামে আলাদা বাথরুম থাকে নাকি, পুরো গ্রামটাই বাথরুম।
সবাই হো হো করে হেসে ফললো।
বাঁচা গেলো, তোমরা আর বিরক্ত করবে না। যাবার জন্য।
বিরক্ত করবো না মানে, এক মাসের মধ্যে বাথরুম ঠিক করবি অতো সুন্দর জায়গা খালি একটা বাথরুমের জন্য যেতে পারবো না। ছোটোমা বললেন।
একটু চা খাওয়াবে।
মিত্রা ফ্লাক্সটা নিয়ে আয়তো।
মিত্রা উঠে চলে গেলো। রান্নাঘরের দিকে। বুঝলাম, মেয়ে করিতকর্মা হয়ে উঠেছে এই কদিনে।
অনি পীর সাহেবের গল্পটা একবার বোলবি। বড়মা বললেন।
কেনো শোনো নি।
মিত্রা ঠিক মতো বলতে পারে নি।
যখন যাবে তখন দেখিয়ে দেবো।
মিত্রা ফ্ল্যাক্স আর কাপ নিয়ে এলো।
টেবিলের ওপর তিনটে কাপ রেখে চা ঢাললো। বাইরে গাড়ির হর্ন বাজলো।
এই রে এলেন সব। ছোটমা বললেন।
মিত্রা আরো দুটো কাপ নিয়ে এলো। আমি উঠে খাওয়ার টেবিলের ওখান থেকে দুটো চেয়ার নিয়ে এলাম।
মল্লিকদা ঢুকলেন।
আসুন আপনার জন্য জায়গা খালি আছে এবং কাপে চাও রেডি। ছোটমা বললেন।
মল্লিকদার সে কি হাসি, এতো সৌভাগ্য আমার।
বলতে বলতেই অমিতাভদা ঢুকলেন, সুপার্ব নিউজ, তুই কোথা থেকে খবর পাস বলতো।
সবাই আমার দিকে চাইলো। এমনকি মল্লিকদা পযর্ন্ত।
তোর নিউজটা ফলো আপ কোরলো সন্দীপ, তারপর ওরা সত্যি সত্যি প্রেস রিলিজ করলো।
তুমি ওটা ছেপেছো!
কেনো।
ওটা উইথড্র করো। ওই নিউজ কেউ ছাপে নাকি।
তুই কি করে বুঝলি।
আমি বলছি, পরে সব কথা বোলবো, তুমি আগে তোলো ওই নিউজটা।
কাগজ ছেপে বেরিয়ে গেলো।
দাঁড়াও আসছি, বলে বাইরে এলাম।
ওরা একে অপরের মুখ চাওয়া চাওই করছে । ইসলামভাইকে ফোন করলাম, সব কথা বললাম, ও বললো ঠিক আছে, তুই বেটা সবেতেই ঘাবরে যাস, আমি নিজের ঘারে দোষ না নিয়ে অন্যের ঘারে চাপিয়ে দিয়েছি। বেশ করেছে ছাপুক। আমার বরং ভালো হবে।
এটা আমাকে ফেস করতে হবে না তোমাকে।
তোমাকে ফেস করতে হবে। সেই জন্যই তোমায় বোম্বে যেতে বলছিলাম।
বিপদে ফেললে, এ কাজ কোনো দিন করিনি।
ঠিক আছে আমি দেখছি কি করা যায়।
না তোমায় টেনসন নিতে হবে না, আমার একটা নতুন জগত দেখা হবে।
না না আমি ব্যবস্থা করবো।
তুমি আমার জন্য আর কতো করবে।
আমার বসকে বোলবো। দেখি না কি করে।
তোমার বন্ধুরা জানে।
না জানার কি আছে। দেবাশীষ ধোয়া তুলসী পাতা নাকি।
অদিতি, মিলি, নির্মাল্য।
সব এক গোয়ালের গরু, আপার লেবেলে শরীরটা কিছু নয়, সেখানে টাকাটাই সব।
তার মানে আমাকেও সেই হতে হবে নাকি।
তোমার মধ্যে সেই প্রটেনসিয়ালিটি আছে, কিন্তু তুমি তা নও।
কি করে জানলে।
তোমার মুখের মধ্যে তার একটা ছাপ থাকতো।
তুমি এতো বোঝো।
বুঝতে হয়েছে।
তুমি এগিয়ে যাও, আমি ঠিক সামলে দেবো।
পারবে।
দেখি না সামলাতে পারি কিনা। তুমি কবে খবর দেবে।
কামিং উইকে।
আমার নেট শেখার ব্যাপারটা।
তুমি এলেই হয়ে যাবে।
তোমায় ফোন করবো। রবিবার ফাঁকা আছো।
আছি।
দেখি বিকেলের পর আসবো। অসুবিধে নেই।
না। একটা ফোন করে নিও।
ঠিক আছে।
টিনার কাছ থেকে উঠে চলে এলাম, টিনা নীচ পযর্ন্ত এগিয়ে দিয়ে গেলো। লাকিলি নিচে একটা ট্যাক্সি পেয়েগেলাম, উঠে পরলাম। অমিতাভদার বাড়িতে যখন এলাম রাত দশটা বেজে গেছে। পা দিতেই দেখলাম, তিনজনে বসে গল্প করছে, আর হাসাহাসি করছে। আমি ঢুকতেই ছোটমা বললেন, আসুন স্যার, আপনার কথাই হচ্ছে।
আমি বড়মাকে, ছোটমাকে প্রণাম করে বড়মার পাশে বসলাম। মিত্রা একটা সোফা দখল করে আছে, ছোটমাও একটা সোফা দখল করে আছে।
দাদারা আসে নি।
বললোতো অফিস থেকে বেরিয়েছে। বড়মা বললেন।
হ্যাঁরে তুই কি রে।
আমি মানুষ। খুব সাধারন মানুষ।
দাওনা দাও ওর কানটি মূলে। ছোটমা বললেন।
মিত্রা চোখবন্ধ করে হাসছে।
তোর কীর্তি কলাপ শুনছিলাম মিত্রার মুখ থেকে।
মিত্রার দিকে তাকালাম, আমার! সে আর নতুন কি আছে।
একাট মেয়েকে নিয়ে গেছিস, থাকার জায়গা পযর্ন্ত ঠিক করিস নি।
আমি নিয়ে যাবার আগে কন্ডিশন করে নিয়েছিলাম, জিজ্ঞেস করো।
মিথ্যুক একেবারে বাজে কথা বলবি না। তুই আমায় বলেছিলি, ওখানে বাথরুম নেই।
সেটা আবার বলতে হয় নাকি, গ্রামে আলাদা বাথরুম থাকে নাকি, পুরো গ্রামটাই বাথরুম।
সবাই হো হো করে হেসে ফললো।
বাঁচা গেলো, তোমরা আর বিরক্ত করবে না। যাবার জন্য।
বিরক্ত করবো না মানে, এক মাসের মধ্যে বাথরুম ঠিক করবি অতো সুন্দর জায়গা খালি একটা বাথরুমের জন্য যেতে পারবো না। ছোটোমা বললেন।
একটু চা খাওয়াবে।
মিত্রা ফ্লাক্সটা নিয়ে আয়তো।
মিত্রা উঠে চলে গেলো। রান্নাঘরের দিকে। বুঝলাম, মেয়ে করিতকর্মা হয়ে উঠেছে এই কদিনে।
অনি পীর সাহেবের গল্পটা একবার বোলবি। বড়মা বললেন।
কেনো শোনো নি।
মিত্রা ঠিক মতো বলতে পারে নি।
যখন যাবে তখন দেখিয়ে দেবো।
মিত্রা ফ্ল্যাক্স আর কাপ নিয়ে এলো।
টেবিলের ওপর তিনটে কাপ রেখে চা ঢাললো। বাইরে গাড়ির হর্ন বাজলো।
এই রে এলেন সব। ছোটমা বললেন।
মিত্রা আরো দুটো কাপ নিয়ে এলো। আমি উঠে খাওয়ার টেবিলের ওখান থেকে দুটো চেয়ার নিয়ে এলাম।
মল্লিকদা ঢুকলেন।
আসুন আপনার জন্য জায়গা খালি আছে এবং কাপে চাও রেডি। ছোটমা বললেন।
মল্লিকদার সে কি হাসি, এতো সৌভাগ্য আমার।
বলতে বলতেই অমিতাভদা ঢুকলেন, সুপার্ব নিউজ, তুই কোথা থেকে খবর পাস বলতো।
সবাই আমার দিকে চাইলো। এমনকি মল্লিকদা পযর্ন্ত।
তোর নিউজটা ফলো আপ কোরলো সন্দীপ, তারপর ওরা সত্যি সত্যি প্রেস রিলিজ করলো।
তুমি ওটা ছেপেছো!
কেনো।
ওটা উইথড্র করো। ওই নিউজ কেউ ছাপে নাকি।
তুই কি করে বুঝলি।
আমি বলছি, পরে সব কথা বোলবো, তুমি আগে তোলো ওই নিউজটা।
কাগজ ছেপে বেরিয়ে গেলো।
দাঁড়াও আসছি, বলে বাইরে এলাম।
ওরা একে অপরের মুখ চাওয়া চাওই করছে । ইসলামভাইকে ফোন করলাম, সব কথা বললাম, ও বললো ঠিক আছে, তুই বেটা সবেতেই ঘাবরে যাস, আমি নিজের ঘারে দোষ না নিয়ে অন্যের ঘারে চাপিয়ে দিয়েছি। বেশ করেছে ছাপুক। আমার বরং ভালো হবে।