যা শুয়ে পর, আমাকে একটু একা থাকতে দে।
আমি এখানে থাকবো। বড়মা বলেছেন।
বড়মা বললেই সব হয় না, এটা আমার বাড়ি নয়। তাছাড়া অমিতাভদা, মল্লিকদা আছেন।
ওরা সবাই নিচে বসে আছেন।
কেনো।
তুইতো কথা শেষ করিস নি।
আজ আর কথা বলতে ভালো লাগছে না। যা বলার আগামী শুক্রবার বোলবো।
আজ কেনো নয়।
যা বলছি শুনে যা, শুক্রবার মিটিং কল করবি। জানাবি সোমবার। আমি তোকে কিছু হোম টাস্ক দেবো, ভালো করে কাজ গুলো বোঝার চেষ্টা করবি। মাথায় রাখবি, তোর অফিস একটা ঘুঘুর বাসা। দাদা সহজ সরল, দাদার দ্বারা এ্যাডমিনিস্ট্রেসন চলবে না। তোকে তৈরি হতে হবে। যদি কাগজ বাঁচাতে চাস।
মিত্রা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, এই অনির সঙ্গে ওর পরিচয় নেই।
ব্যাঙ্কের সিগনেচার অথরিটি কে।
আগে ও ছিলো মাস কয়েক আমাকে দিয়েছে।
তোর কিংশুক, অরিন্দম ভালো ছেলে বলে মনে হয়।
এটাও তো ওর রিক্রুটমেন্ট।
সবই ও ও ও, তুই কি শিখন্ডি। শেয়ারটা কার তোর না ওর।
তুই বৃথা রাগ করছিস।
আমি কি কোরবো বল সব বুজে শুনে চুপ থাকতাম, তুই আসার পর একটু বল পেয়েছি।
আমাকে কেন জড়ালি এর মধ্যে মনে হয় তোর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ভেঙ্গে যাবে।
কি বলছিস বুবুন।
আমি ঠিক বলছি। কাল থেকে টের পাবি।
সব শেষ হয়ে যাক, তুই আমাকে ছারিস না।
আমার টাকাটা কে দিয়েছে।
আমার একটা প্রপার্টি ছিলো সেইটা ওদের দিয়ে দিয়েছি, তার বিনিময়ে ওরা ট্রান্সফার করেছে।
আমাকে জানিয়েছিলি।
সে সময় তুই দিস নি।
ঠিক আছে।
ঘরের লাইটটা জলে উঠলো, পেছন ফিরে তাকালাম, সবাই ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে, বুঝতে বাকি রইল না, ওরা সব শুনেছে।
দাদা কাছে এগিয়ে এলেন। আমার কাঁধে হাত দিয়ে মুখটা তুলে বললেন, আমাকে বল আমি তোকে সাহায্য করতে পারি।
তুমি পারবে না।
আচ্ছা তুই বলেই দেখ না।
আগামী শুক্রবারের পর সব দেখতে পাবে নিজের চোখে।
তোকে বলে রাখলাম আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কোনো চেকে সই করবি না।
আচ্ছা।
বড়মা বললেন বলনা তুই । কিছু একটা হয়েছে, যা তুই জানিস এরা কেউ জানে না।
তুমি ঠিক ধরেছো। আমি এখন কিছু বোলবো না, এরা মাইন্ড গেম খেলবে, আমি খেলবো পাওয়ার গেম। তোমরা যাও আমাকে একটু ভাবতে দাও।
তোমরা তিনজনেই এই কয়টা দিন দশটার মধ্যে অফিসে যেও, আর চোখ কান খাঁড়া রেখো। প্রয়োজনে আমি তোমাদের ফোন কোরবো। তোমরা কেউ ফোন করবে না।
আচ্ছা। কাল আমি খুব ভোর ভোর বেরিয়ে যাবো।
আমি উঠে পোরবো বল তুই কখন যাবি। বড়মা বললেন।
আমার জন্য ব্যস্ত হবে না।
বড়মার মুখটা শুকিয়ে গেলো। ওরা সবাই চলে গেলো।
আমি অনেকক্ষণ জানলার ধারে দাঁড়িয়েছিলাম, ঘুম এলো না। সকাল হতে বেরিয়ে এলাম, আমাকে একমাত্র দোতলার বারান্দা থেকে মিত্রা দেখল, বুঝতে পারছি মিত্রা খুব কষ্ট পাচ্ছে, তবু আমি পেছন ফিরে তাকালাম না, সোজা গেট পেরিয়ে চলে এলাম। বড়মাকে দেখতে পেলাম না।
এই কদিন অফিসের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযগ রইলো না। সাতদিনে সাতঘন্টা গিয়েছি কিনা সন্দেহ। রবিবার অনাদিরা এসেছিলো, ওদের সঙ্গে বসতে পারি নি, মিত্রার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি, মিত্রা ওদের সঙ্গ দিয়েছে। আমার সঙ্গে ফোনে একবার কথা হয়েছে। সনাতনবাবু খেপে খেপে সমস্ত কাগজপত্র দিয়েছেন, একবারে দিতে পারেন নি। হিমাংশুকে কাগজদিয়ে বলেছি এই বছরের পরিস্থিতি জানা, ও কাগজপত্র দেখে অবাক হয়ে গেছে, বলেচে অনি আমার পক্ষে একে রিকভার করা সম্ভব নয়, তবে চেষ্টা কোরবো, অমিতাভদার বাড়িতে যাই নি বললেই চলে, আমি এ কদিন ইসলামভাই-এর সঙ্গে থেকে সমস্ত ডকুমেন্টস জোগাড় করলাম, রাতে আমার ফ্ল্যাটে থেকেছি। ইসলামভাইকে একদিন অভিমান করে বলেছিলাম, তুমি সব জানা সত্বেও এই কাজ করলে কেনো, ইসলামভাই হাসতে হাসতে বলেছিলো, তোর মালিক হওয়ার আগেই কাজ গুলো সাল্টেছি। তুই মালিক হওয়ার পর একটাও অন্যায় কাজ করিনি। জানি তুই আমার কাছ, আসবি জিজ্ঞাসা করবি। আমি তোর চরিত্রটা জানি। তবে তোকে কথা দিচ্ছি, ওরা এগুলো কোনোদিন পাবে না। সব অরিজিন্যাল আমার কাছে, এখনো আমার টাকা বাকি, দিলে পাবে, তুই যা ভালবুঝবি এবার কর, আমি তোর মতে মত দেবো। আমি তাজ্জব বনে গেলাম সুনীত-চম্পকবাবুর কান্ডে। মাঝে একদিন দামিনী মাসির কাছে গেছিলাম। আমার পৌঁছোবার আগেই ইসলামভাই গিয়ে দামিনীমাসীকে সব বলে এসেছে। দামিনী মাসী বলেছে, ও যদি তোর কাজ না করে আমাকে বলবি, আমি ঝাঁটামেরে ওকে কলকাতা থেকে বিদায় কোরবো, ওর মতো কত ইসলামকে আমি দেখলাম। আমি মাসির কথায় হেসেছি। টিনা, অদিতি, দেবাশীষ নির্মাল্য, মিলি আমায় কামিং তিন মাসের জন্য ১২০ কোটির টাকার এ্যাডপ্যাকেজ জোগাড় করে দিলো, ওদের বললাম, তোরা আমাকে অন্যান্য এ্যাডহাউসের ব্যাপারে সাহায্য কর। ওরা কথা দিয়েছে। যত দিন এগিয়েছে, আমাকে দেখে মিত্রার মুখ শুকিয়ে গেছে, আমার কান্ডকারখানা দেখে শেষে ও ভয় পেয়ে গিয়ে, আমাকে জড়িয়ে ধরে, একদিন রাতে প্রচন্ড কাঁদলো। আমি চলে এলাম।
মিত্রা আমার কথা মোতো এই কদিন কাজ করেছে, এই কয়দিনে ও যেন পাঁচবছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেছে। মিত্রার কাছে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, সুনীতদা এবং চম্পকবাবু ইরেগুলার আমি ওকে চুপচাপ থাকতে বলেছি। শুক্রবার আমি মিটিং আরম্ভ হওয়ার এক ঘন্টা আগে অফিসে ঢুকলাম, বুঝতে পারলাম অফিসে একটা চাপা উত্তেজনা, চারিদিকে ফুস ফুস গুজ গুজ। নিউজরুমে গেলাম, মল্লিকদা কাছে এলো, কিরে সব ঠিক আছে তো। মল্লিকদার দিকে তাকালাম। ওরা মলদের (মলরা আমাদের হাউসের ৫ পার্সেন্ট শেয়ার হোল্ডার) হাত করেছে। হাসলাম।
তুই হাসছিস কেনো।
তুমি হাসির কথা বললে তাই।
ওরাও তো শেয়ার হোল্ডার।
তো।
আমার মাথায় কিছু আসছে না।
সব আসবে এতদিন বহাল তবিয়েতে ছিলে। তাই কিছু বোঝার দরকার পরে নি।
তুই ঠিক থাকলেই সব ঠিক।
আমি বেঠিক কোথায়।
কি সব করেছিস, তোর ওপর সবাই খেপচুয়াস।
একচুয়েলি মউচাকে ঢিল পরেছে। একটু আধটু হুল ফুটবেই, তাই বলে কি মধু খাবো না।
হেঁয়ালি রাখ। দাদার প্রেসার বেরে গেছে, কাল ভীষণ শরীর খারাপ হয়েছিল।
আমাকে খবর দাওনি কেনো।
দাদা বারন কোরলো।
তাহলে বোলছো কেনো।
তোর বড়মা, ছোটমা কাঁদছে আর ঠাকুর ঘরে বসে আছে।
আজকের পর আর বসতে হবে না।
ফোনটা বেজে উঠলো, দেখলাম মিত্রার ফোন।
কি হলো।
তুই কি অফিসে এসেছিস।
আমি এখানে থাকবো। বড়মা বলেছেন।
বড়মা বললেই সব হয় না, এটা আমার বাড়ি নয়। তাছাড়া অমিতাভদা, মল্লিকদা আছেন।
ওরা সবাই নিচে বসে আছেন।
কেনো।
তুইতো কথা শেষ করিস নি।
আজ আর কথা বলতে ভালো লাগছে না। যা বলার আগামী শুক্রবার বোলবো।
আজ কেনো নয়।
যা বলছি শুনে যা, শুক্রবার মিটিং কল করবি। জানাবি সোমবার। আমি তোকে কিছু হোম টাস্ক দেবো, ভালো করে কাজ গুলো বোঝার চেষ্টা করবি। মাথায় রাখবি, তোর অফিস একটা ঘুঘুর বাসা। দাদা সহজ সরল, দাদার দ্বারা এ্যাডমিনিস্ট্রেসন চলবে না। তোকে তৈরি হতে হবে। যদি কাগজ বাঁচাতে চাস।
মিত্রা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, এই অনির সঙ্গে ওর পরিচয় নেই।
ব্যাঙ্কের সিগনেচার অথরিটি কে।
আগে ও ছিলো মাস কয়েক আমাকে দিয়েছে।
তোর কিংশুক, অরিন্দম ভালো ছেলে বলে মনে হয়।
এটাও তো ওর রিক্রুটমেন্ট।
সবই ও ও ও, তুই কি শিখন্ডি। শেয়ারটা কার তোর না ওর।
তুই বৃথা রাগ করছিস।
আমি কি কোরবো বল সব বুজে শুনে চুপ থাকতাম, তুই আসার পর একটু বল পেয়েছি।
আমাকে কেন জড়ালি এর মধ্যে মনে হয় তোর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ভেঙ্গে যাবে।
কি বলছিস বুবুন।
আমি ঠিক বলছি। কাল থেকে টের পাবি।
সব শেষ হয়ে যাক, তুই আমাকে ছারিস না।
আমার টাকাটা কে দিয়েছে।
আমার একটা প্রপার্টি ছিলো সেইটা ওদের দিয়ে দিয়েছি, তার বিনিময়ে ওরা ট্রান্সফার করেছে।
আমাকে জানিয়েছিলি।
সে সময় তুই দিস নি।
ঠিক আছে।
ঘরের লাইটটা জলে উঠলো, পেছন ফিরে তাকালাম, সবাই ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে, বুঝতে বাকি রইল না, ওরা সব শুনেছে।
দাদা কাছে এগিয়ে এলেন। আমার কাঁধে হাত দিয়ে মুখটা তুলে বললেন, আমাকে বল আমি তোকে সাহায্য করতে পারি।
তুমি পারবে না।
আচ্ছা তুই বলেই দেখ না।
আগামী শুক্রবারের পর সব দেখতে পাবে নিজের চোখে।
তোকে বলে রাখলাম আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কোনো চেকে সই করবি না।
আচ্ছা।
বড়মা বললেন বলনা তুই । কিছু একটা হয়েছে, যা তুই জানিস এরা কেউ জানে না।
তুমি ঠিক ধরেছো। আমি এখন কিছু বোলবো না, এরা মাইন্ড গেম খেলবে, আমি খেলবো পাওয়ার গেম। তোমরা যাও আমাকে একটু ভাবতে দাও।
তোমরা তিনজনেই এই কয়টা দিন দশটার মধ্যে অফিসে যেও, আর চোখ কান খাঁড়া রেখো। প্রয়োজনে আমি তোমাদের ফোন কোরবো। তোমরা কেউ ফোন করবে না।
আচ্ছা। কাল আমি খুব ভোর ভোর বেরিয়ে যাবো।
আমি উঠে পোরবো বল তুই কখন যাবি। বড়মা বললেন।
আমার জন্য ব্যস্ত হবে না।
বড়মার মুখটা শুকিয়ে গেলো। ওরা সবাই চলে গেলো।
আমি অনেকক্ষণ জানলার ধারে দাঁড়িয়েছিলাম, ঘুম এলো না। সকাল হতে বেরিয়ে এলাম, আমাকে একমাত্র দোতলার বারান্দা থেকে মিত্রা দেখল, বুঝতে পারছি মিত্রা খুব কষ্ট পাচ্ছে, তবু আমি পেছন ফিরে তাকালাম না, সোজা গেট পেরিয়ে চলে এলাম। বড়মাকে দেখতে পেলাম না।
এই কদিন অফিসের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযগ রইলো না। সাতদিনে সাতঘন্টা গিয়েছি কিনা সন্দেহ। রবিবার অনাদিরা এসেছিলো, ওদের সঙ্গে বসতে পারি নি, মিত্রার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি, মিত্রা ওদের সঙ্গ দিয়েছে। আমার সঙ্গে ফোনে একবার কথা হয়েছে। সনাতনবাবু খেপে খেপে সমস্ত কাগজপত্র দিয়েছেন, একবারে দিতে পারেন নি। হিমাংশুকে কাগজদিয়ে বলেছি এই বছরের পরিস্থিতি জানা, ও কাগজপত্র দেখে অবাক হয়ে গেছে, বলেচে অনি আমার পক্ষে একে রিকভার করা সম্ভব নয়, তবে চেষ্টা কোরবো, অমিতাভদার বাড়িতে যাই নি বললেই চলে, আমি এ কদিন ইসলামভাই-এর সঙ্গে থেকে সমস্ত ডকুমেন্টস জোগাড় করলাম, রাতে আমার ফ্ল্যাটে থেকেছি। ইসলামভাইকে একদিন অভিমান করে বলেছিলাম, তুমি সব জানা সত্বেও এই কাজ করলে কেনো, ইসলামভাই হাসতে হাসতে বলেছিলো, তোর মালিক হওয়ার আগেই কাজ গুলো সাল্টেছি। তুই মালিক হওয়ার পর একটাও অন্যায় কাজ করিনি। জানি তুই আমার কাছ, আসবি জিজ্ঞাসা করবি। আমি তোর চরিত্রটা জানি। তবে তোকে কথা দিচ্ছি, ওরা এগুলো কোনোদিন পাবে না। সব অরিজিন্যাল আমার কাছে, এখনো আমার টাকা বাকি, দিলে পাবে, তুই যা ভালবুঝবি এবার কর, আমি তোর মতে মত দেবো। আমি তাজ্জব বনে গেলাম সুনীত-চম্পকবাবুর কান্ডে। মাঝে একদিন দামিনী মাসির কাছে গেছিলাম। আমার পৌঁছোবার আগেই ইসলামভাই গিয়ে দামিনীমাসীকে সব বলে এসেছে। দামিনী মাসী বলেছে, ও যদি তোর কাজ না করে আমাকে বলবি, আমি ঝাঁটামেরে ওকে কলকাতা থেকে বিদায় কোরবো, ওর মতো কত ইসলামকে আমি দেখলাম। আমি মাসির কথায় হেসেছি। টিনা, অদিতি, দেবাশীষ নির্মাল্য, মিলি আমায় কামিং তিন মাসের জন্য ১২০ কোটির টাকার এ্যাডপ্যাকেজ জোগাড় করে দিলো, ওদের বললাম, তোরা আমাকে অন্যান্য এ্যাডহাউসের ব্যাপারে সাহায্য কর। ওরা কথা দিয়েছে। যত দিন এগিয়েছে, আমাকে দেখে মিত্রার মুখ শুকিয়ে গেছে, আমার কান্ডকারখানা দেখে শেষে ও ভয় পেয়ে গিয়ে, আমাকে জড়িয়ে ধরে, একদিন রাতে প্রচন্ড কাঁদলো। আমি চলে এলাম।
মিত্রা আমার কথা মোতো এই কদিন কাজ করেছে, এই কয়দিনে ও যেন পাঁচবছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেছে। মিত্রার কাছে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, সুনীতদা এবং চম্পকবাবু ইরেগুলার আমি ওকে চুপচাপ থাকতে বলেছি। শুক্রবার আমি মিটিং আরম্ভ হওয়ার এক ঘন্টা আগে অফিসে ঢুকলাম, বুঝতে পারলাম অফিসে একটা চাপা উত্তেজনা, চারিদিকে ফুস ফুস গুজ গুজ। নিউজরুমে গেলাম, মল্লিকদা কাছে এলো, কিরে সব ঠিক আছে তো। মল্লিকদার দিকে তাকালাম। ওরা মলদের (মলরা আমাদের হাউসের ৫ পার্সেন্ট শেয়ার হোল্ডার) হাত করেছে। হাসলাম।
তুই হাসছিস কেনো।
তুমি হাসির কথা বললে তাই।
ওরাও তো শেয়ার হোল্ডার।
তো।
আমার মাথায় কিছু আসছে না।
সব আসবে এতদিন বহাল তবিয়েতে ছিলে। তাই কিছু বোঝার দরকার পরে নি।
তুই ঠিক থাকলেই সব ঠিক।
আমি বেঠিক কোথায়।
কি সব করেছিস, তোর ওপর সবাই খেপচুয়াস।
একচুয়েলি মউচাকে ঢিল পরেছে। একটু আধটু হুল ফুটবেই, তাই বলে কি মধু খাবো না।
হেঁয়ালি রাখ। দাদার প্রেসার বেরে গেছে, কাল ভীষণ শরীর খারাপ হয়েছিল।
আমাকে খবর দাওনি কেনো।
দাদা বারন কোরলো।
তাহলে বোলছো কেনো।
তোর বড়মা, ছোটমা কাঁদছে আর ঠাকুর ঘরে বসে আছে।
আজকের পর আর বসতে হবে না।
ফোনটা বেজে উঠলো, দেখলাম মিত্রার ফোন।
কি হলো।
তুই কি অফিসে এসেছিস।