বিভিন্ন ঘটনা , প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের প্রেক্ষাপট , কিছু ক্ষমতা ধর রাষ্ট্রের কল কাটি নাড়ানো সহ আরও বেশ কিছু কারণে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ এড়ানো যায় নি, এই সম্পর্কে আপনি প্রথম আলোর এই কলামটি পড়ে দেখতে পারেন,
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ১০০ বছর পূর্তি আজ। ১৯১৪ সালের এই দিন থেকে শুরু হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। ওই সময় ইউরোপ মেতে উঠেছিল ধ্বংসাত্মক লড়াইয়ে।
১৯১৪-১৮ সাল পর্যন্ত চলা বিশ্বযুদ্ধ ছিল অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান, জার্মান, অটোম্যান ও রুশ সাম্রাজ্যের ক্ষমতার লড়াই। কিন্তু যুদ্ধে মূল চাবিকাঠি নেড়েছিল ইউরোপের একটি বড় শক্তি। তা হলো জার্মানি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মূলে ছিল আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লড়াই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে হিরোশিমা ও নাগাসাকির ওপর হামলা, সাম্প্রতিক ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধসহ মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা—এসব কিছুর মূলে আসলে একধরনের ক্ষমতার লড়াই।
আধিপত্য বা সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের চেষ্টা। কখনো সম্পদ দখল, কখনো উপনিবেশ স্থাপনের লক্ষ্যে যুদ্ধকে একধরনের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। জঙ্গি দমন বা শান্তি স্থাপনের নামে চলেছে বা চলছে হামলা, হত্যাকাণ্ড। আর এই ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলতেই থাকবে। অনেকে এমনও আশঙ্কা করছেন—ক্ষমতার এই দ্বন্দ্ব থেকে বেধে যেতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯১৪ সালে অর্থনৈতিক আধিপত্য ও উপনিবেশ বাড়াতে জার্মানি হয়ে পড়েছিল খুবই আক্রমণাত্মক। সে সময় জার্মানি এতটা কৌশলী ও আক্রমণাত্মক নাহলে হয়তো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এত অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ত না। জার্মানির ডাসেলডর্ফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ গার্ড ক্রুমেইচ ও আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের ইতিহাসবিদ জন হর্ন এএফপিতে প্রকাশিত বিশ্লেষণে এ বিষয়টিই তুলে ধরেছেন।
আধিপত্য বিস্তারের জন্য বার্লিন ব্রিটেনের সঙ্গে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় জড়িয়েছে, আফ্রিকায় রাজ্য দখল নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে। রাশিয়ার সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে উঠেছে।
জার্মানির ডাসেলডর্ফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ গার্ড ক্রুমেইচ বলেন, ‘এটা আমার কাছে পরিষ্কার যে বিশ্বযুদ্ধ ডেকে এনেছিল জার্মানরাই। সারাজেভোতে আর্চডিউক ফ্রানজ ফার্দিনান্দকে গুপ্তহত্যা করার পরে সৃষ্ট সংকট থেকেই এ অবস্থা সৃষ্টি হয়।’
বিশ্বযুদ্ধের ছবি তোলার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল এই কবুতরটিকে। সে এনে দিয়েছিল চমকপ্রদ সব ছবি। ছবি: ইন্টারনেট
অস্ট্রিয়া সরকার ওই গুপ্তহত্যার সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে সার্বিয়াকে দমন করতে চেয়েছিল। কারণ, সার্বিয়া অস্ট্রো-হঙ্গেরিয়ার সাম্রাজ্যের জন্য হুমকি ছিল। জার্মানি এ সময় রাশিয়াকে সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। কারণ যদি রাশিয়া, অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে গিয়ে সার্বিয়ার পাশে দাঁড়ায় তাহলে অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। আর জার্মানির কাছে সেই যুদ্ধ ছিল প্রত্যাশিত। এ সময় ফ্রান্সের সমর্থনে আশ্বস্ত হয়ে রাশিয়া সার্বিয়ার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এরই সুযোগ নেয় জার্মানি।
ইতিহাসবিদ জন হর্নের মতে, যাঁরা ইউরোপকে অস্ত্রবাজ দুটি শক্তিতে বিভক্ত করার ব্যাপারটি স্বীকার করেছিলেন এবং এ জন্য যুদ্ধকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন, তাঁদের সবারই বিশ্বযুদ্ধের জন্য দায় রয়েছে। তবে বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রিয়ান ও জার্মানদের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। কারণ, ফার্দিনান্দের গুপ্তহত্যাকে কেন্দ্র করে প্রথম তারাই বিশ্বযুদ্ধে জড়ায়।
বিশ্বযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংক্ষিপ্তাকারে একনজর দেখলে ঘটনাগুলোর পারম্পর্য বোঝা যায়।
তথ্য সুত্র; প্রথম আলো
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ১০০ বছর পূর্তি আজ। ১৯১৪ সালের এই দিন থেকে শুরু হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। ওই সময় ইউরোপ মেতে উঠেছিল ধ্বংসাত্মক লড়াইয়ে।
১৯১৪-১৮ সাল পর্যন্ত চলা বিশ্বযুদ্ধ ছিল অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান, জার্মান, অটোম্যান ও রুশ সাম্রাজ্যের ক্ষমতার লড়াই। কিন্তু যুদ্ধে মূল চাবিকাঠি নেড়েছিল ইউরোপের একটি বড় শক্তি। তা হলো জার্মানি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মূলে ছিল আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লড়াই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে হিরোশিমা ও নাগাসাকির ওপর হামলা, সাম্প্রতিক ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধসহ মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা—এসব কিছুর মূলে আসলে একধরনের ক্ষমতার লড়াই।
আধিপত্য বা সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের চেষ্টা। কখনো সম্পদ দখল, কখনো উপনিবেশ স্থাপনের লক্ষ্যে যুদ্ধকে একধরনের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। জঙ্গি দমন বা শান্তি স্থাপনের নামে চলেছে বা চলছে হামলা, হত্যাকাণ্ড। আর এই ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলতেই থাকবে। অনেকে এমনও আশঙ্কা করছেন—ক্ষমতার এই দ্বন্দ্ব থেকে বেধে যেতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯১৪ সালে অর্থনৈতিক আধিপত্য ও উপনিবেশ বাড়াতে জার্মানি হয়ে পড়েছিল খুবই আক্রমণাত্মক। সে সময় জার্মানি এতটা কৌশলী ও আক্রমণাত্মক নাহলে হয়তো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এত অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ত না। জার্মানির ডাসেলডর্ফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ গার্ড ক্রুমেইচ ও আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের ইতিহাসবিদ জন হর্ন এএফপিতে প্রকাশিত বিশ্লেষণে এ বিষয়টিই তুলে ধরেছেন।
আধিপত্য বিস্তারের জন্য বার্লিন ব্রিটেনের সঙ্গে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় জড়িয়েছে, আফ্রিকায় রাজ্য দখল নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে। রাশিয়ার সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে উঠেছে।
জার্মানির ডাসেলডর্ফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ গার্ড ক্রুমেইচ বলেন, ‘এটা আমার কাছে পরিষ্কার যে বিশ্বযুদ্ধ ডেকে এনেছিল জার্মানরাই। সারাজেভোতে আর্চডিউক ফ্রানজ ফার্দিনান্দকে গুপ্তহত্যা করার পরে সৃষ্ট সংকট থেকেই এ অবস্থা সৃষ্টি হয়।’
বিশ্বযুদ্ধের ছবি তোলার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল এই কবুতরটিকে। সে এনে দিয়েছিল চমকপ্রদ সব ছবি। ছবি: ইন্টারনেট
অস্ট্রিয়া সরকার ওই গুপ্তহত্যার সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে সার্বিয়াকে দমন করতে চেয়েছিল। কারণ, সার্বিয়া অস্ট্রো-হঙ্গেরিয়ার সাম্রাজ্যের জন্য হুমকি ছিল। জার্মানি এ সময় রাশিয়াকে সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। কারণ যদি রাশিয়া, অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে গিয়ে সার্বিয়ার পাশে দাঁড়ায় তাহলে অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। আর জার্মানির কাছে সেই যুদ্ধ ছিল প্রত্যাশিত। এ সময় ফ্রান্সের সমর্থনে আশ্বস্ত হয়ে রাশিয়া সার্বিয়ার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এরই সুযোগ নেয় জার্মানি।
ইতিহাসবিদ জন হর্নের মতে, যাঁরা ইউরোপকে অস্ত্রবাজ দুটি শক্তিতে বিভক্ত করার ব্যাপারটি স্বীকার করেছিলেন এবং এ জন্য যুদ্ধকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন, তাঁদের সবারই বিশ্বযুদ্ধের জন্য দায় রয়েছে। তবে বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রিয়ান ও জার্মানদের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। কারণ, ফার্দিনান্দের গুপ্তহত্যাকে কেন্দ্র করে প্রথম তারাই বিশ্বযুদ্ধে জড়ায়।
বিশ্বযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংক্ষিপ্তাকারে একনজর দেখলে ঘটনাগুলোর পারম্পর্য বোঝা যায়।
তথ্য সুত্র; প্রথম আলো