What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

চার বন্ধু (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,615
Messages
121,990
Credits
324,673
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
চার বন্ধু

অপু, দীপু, ছোটম আর পাখি। এই মুহুর্তে এই চার বন্ধুর সম্পর্ক সব থেকে গভীর। যতো যাই হউক, দিনে একবার এই চারজন মিলতে না পারলে যেনো তাদের চলেই না। করোনার কল্যাণে অনির্দিস্ট সময়ের জন্য স্কুল বন্ধ থাকায় তাদের অভিবাবকরাও পড়া-লেখার ব্যাপারে তাদের কোনো চাপ না দেয়াতে তাদের বেয়াড়া পনা দিন দিন বেড়েই চলছিলো। এখন সারাদিনে একবার না, বরং একবারে সারাদিন আড্ডা মেরে তারা কাটিয়ে দিচ্ছে। আড্ডা বাজির ফাঁকেই দীপু প্রস্তাব দিলো, চার বন্ধুতে মিলে একসাথে কিছু একটা করলে কেমন হয় ? বসে বসে আড্ডা দেয়াও হলো আবার পাশাপাশি কিছু রোজগারের ব্যবস্থাও করা গেলো। প্রস্তাবটা সাথে সাথেই অন্য তিনজন লুফে নিলো। কিন্তু কি করা যায়...
ভেবেচিন্তে পাখি প্রস্তাব দিলো,
পাখিঃ দোস্ত, এক কাজ করি চল। আমাদের পুরান কাঠের বাড়িতে একটা পেট্রোল পাম্পের ব্যবসা দেই।
পাখির কথা কথা শেষ হতে না হতেই অপু পাখির কথায় সমর্থন দিয়ে দিলো..
অপুঃ মন্দ হয় না। পাম্পের ব্যবসা বেশ ভালোই জমাতে পারবো আমরা। সেই সাথে আমাদের আড্ডাবাজিও চলবে জোরেশোরে...
এই প্রস্তাবে আর কারো দ্বিমত না থাকাতে পরদিন থেকেই তারা পেট্রল পাম্পের ব্যবসা শুরু করে দিলো। ইতিমধ্যে মাস পেরিয়ে গেলো...
কিন্তু হায় ! ব্যবসা দেয়া পর্যন্তই সার। একটা খদ্দেরের দেখাও তারা পেলো না। এমন তো হবার কথা ছিলো না। কি কারনে কোনো খদ্দের পাচ্ছে না সেটা নিয়ে মাস খানেক পর তারা আলোচনায় বসলো। আলোচনায় বেরিয়ে আসলো তাদের এই পেট্রোল পাম্পটা দোতলায় দেয়াতে কোনো খদ্দের পাচ্ছে না। কারন কাঠের দোতলায় গাড়ি উঠার তো প্রশ্নই আসে না।
এবার তারা সেই পেট্রোল পাম্পে একটা রেস্টুরেন্ট দিল।
কিন্তু মাস পেরিয়ে গেলো কোনো কাস্টমারের দেখা তারা পেলো না।
এবারের কারন কি ?
অনুসন্ধান করে দেখা গেলো, পেট্রোল পাম্পের আগের সেই সাইনবোর্ডটাই তারা খুলেনি। আর যাই হউক, পেট্রোল পাম্পে তো আর কেউ খেতে আসবে না।
এবার অনেক ভেবে তারা একটা ট্যাক্সি কিনলো। ভাড়ায় খাটাবে। বেশ রোজগার হবে...
কিন্তূ একি ! সারা মাসে তারা একটা প্যাসেঞ্জারও পেলো না।
কারন কি ?
কারন সেই একটাই আড্ডাবাজি। চার বন্ধুর দুজন ট্যাক্সির সামনের সীটে আর বাকি দুজন ট্যাক্সির পিছনের সীটে বসে ট্যাক্সি চালালে কি প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাবে ?
তারা চারজনেই তো পুরো ট্যাক্সী দখল করে রেখেছে...
এভাবে কিছুদিন যেতেই তাদের সেই ট্যাক্সী একদিন রাস্তায় বিকল হয়ে গেলো। সবাই নেমে সিদ্ধান্ত নিলো ধাক্কা ছাড়া এই ট্যাক্সী আর চালানো যাবে না। চারজনে ধাক্কা দেয়া শুরু করলো। ধাক্কা দিতে দিতে একেকজন ঘেমে গোসল করে উঠলো, কিন্তু ট্যাক্সি এক ইঞ্চিও নড়াতে পারলো না।
কারন কি ?
কারন দীপু আর অপু ধাক্কাচ্ছিলো ট্যাক্সির পিছন দিক থেকে আর পাখি আর ছোটম ধাক্কাচ্ছিলো ট্যাক্সির সামনের দিক থেকে। ট্যাক্সি বেচারা তাদের দুই দিকের ধাক্কায় কোনোদিকেই আর এগোতে পারছিলো না।
এবার সব শেষ ছোটমের বুদ্ধিতে একটা ছোট বাচ্চাকে তারা কিডন্যাপ করলো। কিডন্যাপের পর বাচ্চাটাকে ছেড়ে দিয়ে বললো, বাড়ি যা। বাড়ি গিয়ে তোর বড় ভাইকে বল আমাদের এক লাখ টাকা দিতে। না হলে তোকে মেরে ফেলা হবে। বাচ্চাটা বাড়িতে গিয়ে এই ঘটনা বলার পর বাচ্চার বড় ভাই তাদেরকে এক লাখ টাকা দিয়ে দিলো... !!
কিন্তু কেনো ? বাচ্চাটাকে ছেড়ে দেয়ার পরেও কেনো কিডন্যাপারদের এক লাখ টাকা দিলো ?
কারন, বাচ্চাটার বড় ভাই যে কিডন্যাপার চারজনের একজন ছিলো...

এই চারজনের কারো সাথে যদি আপনাদের কারোর দেখা হয়ে যায়, তবে যেনো ভুলেও বলেন না যে তারা বোকা ছিলো। বললে কিন্তু অন্য কেউ কিছু না করলেও দীপু ঠুয়া দিতে পারে...
 
পরীক্ষার ফি মাফ

দীপুর বন্ধুদের মাঝে যুবরাজ একটু ভিন্ন রকম। সবাই কম-বেশী ইংরেজীতে কাঁচা হলেও যুবরাজ ইংরেজীতে একেবারে বেজায় পাক্কা। ইংরেজী ম্যাডাম যুবরাজকে কখনো কোনো প্রশ্ন করে ঠেকাতে পারেনি। সে সবসময়ই গড়গড় করে ইংরেজীর যেকোনো প্রশ্নের জবাব সাবার আগে দিয়ে দিয়েছে। ইংরেজীতে সবল হলেও যুবরাজ কিন্তু বাংলাতে বেশ কাঁচা। বিশেষ করে বাংলা ব্যকরণে বরাবরই সে ফেইল মারা ছাত্র। এমনকি যদি তাকে একটা সাধারন আবেদন পত্রও লিখতে বলা হয় তাতেও সে নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করেই লিখে যায়। যদিও ইদানিং এই বিষয়ে সে বেশ কিছুটা উন্নতি করলেও লেখার ধাঁচটা রয়ে গেছে সে আগের মতোই।
এইতো সেদিন বাড়ি থেকে নিয়ে আসা পরীক্ষার ফিস স্কুলের অফিসে জমা না দিয়ে সে নানাভাবে খরচ করে ফেলার পর স্যার কিছুতেই তাকে পরীক্ষা দিতে দিচ্ছিলেন না। স্যারকে অনেক অনুনয় বিনয় করার পর শেষমেশ স্যার তাকে পরীক্ষা ফি মাপের জন্য একটা আবেদন পত্র লিখে জমা দিতে বললেন। আর জানিয়ে দিলেন, আবেদন পত্র গ্রাহ্য হলেই কেবল সে পরীক্ষা দিতে পারবে অন্যথায় নয়। উপায়ান্তর না পেয়ে যুবরাজ একটা আবেদন পত্র লিখে স্যারের কাছে জমা দিলো।
স্যার সে আবেদন পত্র পেয়েই তাকে সাথে সাথে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দিয়ে দিলেন।
যে ভালো করে আবেদন পত্র লিখতেই পারে না তার দেয়া আবেদন পত্র হাতে পেয়েই স্যার কেনো তাকে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দিয়ে দিলেন ? কি লেখা ছিলো সেই আবেদন পত্রে ?
নিচে যুবরাজের লেখা আবেদন পত্রটি তুলে ধরা হলো...

জনাব,
কথা হইতাছে গিয়া বাপে আমারে ৫০০ টাকা দিছিলো পরীক্ষার ফিস দেওনের লাইগা।
১০০ ট্যাকা দিয়া সিনামা দেখছি,
১৫০ ট্যাকা দিয়া ক্যান্টিনে বন্ধুদের লইয়া পার্টি দিছি,
৫০ ট্যাকা ফারিয়ার মোবাইলে ফ্ল্যাক্সি দিছি,
আর ২০০ ট্যাকা বাজিতে হাইরা গেছি...
ইংরেজী ম্যডামের লগে বিজ্ঞান স্যারের ইটিশ পিটিশ চলতাছে এই লইয়া বাজি ধরছিলাম। কিন্তু ম্যাডামের লগে ইটিশ-পিটিশ তো চলতাছে আপনের।
এখন আপনের কাছে দুইডা রাস্তা খোলা আছেঃ হয় পরীক্ষার ফিস মাপ, নাইলে পর্দা ফাঁস...

আপনার একান্ত বাধ্যগত ছাত্র
যুবরাজ।
 
দ্বিতীয় জোক বেশি মনোগ্রাহী হয়েছে।
 
ষাঁড়ের কাজ

দীপুর বন্ধুদের মাঝে পাখিদের বাড়ি শহরের একেবারে শেষ প্রান্তে। শেষ প্রান্তে বাড়ি হবার সুবাদে তারা এখনো গরু পোষে। মাঝে মধ্যেই এই গরুর ঝামেলায় পড়ে পাখির সঠিক সময়ে স্কুলে আসা সম্ভব হয় না। এদিক দিয়ে পাখির বাবা খুবই কড়া লোক। গরুর দেখভাল করার পরই কেবল অন্য কিছু। আর একারনেই প্রয়োজনে স্কুল কামাই দিতে হলেও গরুর দেখভালটা পাখির করতেই হয়।
সেদিনও গরুর দেখভাল করতে যেয়ে পাখি ক্লাস শুরু হয়ে যাবার বেশ কিছুটা পরে স্কুলে প্রবেশ করলো। দরজায় দাঁড়িয়ে স্যারের অনুমতি প্রার্থনা করতেই স্যার বেশ কড়া চোখে পাখির দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন,
স্যারঃ কিরে ? এতো দেরী হলো কেনো ? স্কুল ক'টায় শুরু হয় ?
পাখিঃ স্যার, আমি তো আগেই বাইর হইছিলাম। বাবা কইলো গরুটারে চেয়ারম্যান বাড়ির ষাঁড়টার কাছে দিয়া আসতে, তাই দেরী হইয়া গেলো, স্যার !
স্যারঃ তা এই কাজটা তোর বাবা করতে পারলো না ?
পাখিঃ না, স্যার। বাবা পারলে কি আর চেয়ারম্যান বাড়ি পাঠাইতো ? এইটা ষাঁড়েরই করা লাগে...
 
Hai hai sir kon kamer katha koilo aar pakhi ki bujhlo......

পাখি বলে কথা !
তাকে দেখেন নাই তো, সেজন্য এরকম বলতে পারলেন !
দেখলে ঠিকই বিশ্বাস করতেন, পাখি এরকমই বুঝে... হে হে হে...
সুন্দর রিপ্লাইয়ের জন্য অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top