What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

মন্দের ভালো by nextpage (1 Viewer)

Ochena_Manush

Mega Poster
Elite Leader
Joined
Aug 12, 2022
Threads
257
Messages
17,616
Credits
362,761
LittleRed Car
Automobile
Strawberry
Audio speakers
স্মৃতিচারণ




পড়ার টেবিলে বসা ছেলেটির ছোট কিপ্যাড মোবাইলের স্ক্রিনে উন্মত্ত যৌন লীলার ভিডিও চলছে। বয়সে অনেক বড় লোকটার প্রকান্ড লিঙ্গটা বাচ্চা মেয়েটার যোনীছিদ্রে বারবার ঢুকছে আর বেরোচ্ছে। লোকটার লিঙ্গটা মেয়েটার প্রথম সঙ্গমের রক্তে লাল হয়ে আছে। হাত দিয়ে মুচড়ে দিচ্ছে মেয়েটার টেনিস বলের মত স্তন গুলো। মেয়েদের স্তন খোলাখুলি আজই প্রথম দেখতে পাচ্ছে ছেলেটি। যতটুকু মনে পড়ে শৈশবে নিজের মায়ের স্তন ছাড়া আর কারোরটা এত পরিষ্কার কখনো দেখা হয়নি। হাতের মুচড়ে ধবধবে সাদা স্তন দুটো রক্তিম হয়ে উঠেছে। লোকটা একবার তার লিঙ্গটা পুরো বের করে আবারও আগের থেকেও জোরে ভিতরে ঢুকিয়ে দিলো। মেয়েটার গগনবিদারী চিৎকারে কানে গুজা হেডফোনে মাথাটা ঝা ঝা করে উঠছে।

অপলক দৃষ্টিতে স্ক্রিনে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো প্রত্যক্ষ করে যাচ্ছে। আচ্ছা কারও লিঙ্গ কি আসলেই এত বড় হতে পারে। মোবাইল হাতে বসা ছেলেটির নিজের মনে প্রশ্ন করে উঠে। কৌতূহল বশত নিজের হাত চলে যায় প্যান্টের ভিতর। নিজের উদ্ধত লিঙ্গে হাত বোলাতে থাকে। কিন্তু না ভিডিও র লোকটির মত ওত বড় নয় তার। সে ভাবে লোকটি হয়তো বয়সে বড় তাই তার লিঙ্গও বড়। সে যখন বড় হবে তখন তারটাও এমন বড় হবে হয়তো। হাত বোলানোর ফলে নিজের শরীরের সব রক্ত বিন্দু যেন সব তার লিঙ্গের দিকে ছোটো যাচ্ছে। এ এক অসহ্য সুখ।ছেলেটি একমনে মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে আছে। তার পেছনের ছায়ামূর্তি টা সম্পর্কে তার কোন জ্ঞান নেই। ছায়ামূর্তি টা দাড়িয়ে দাড়িয়ে ছেলেটির কর্মকান্ডে নজর রাখছে।

-জানোয়ার ছেলে কোথাকার এই দিন দেখার জন্য তোকে বড় করছি, তর এত অধপতন হয়েছে। তোকে আজ মেরেই ফেলবো।
বলেই হাতের সামনে থাকা বিছানা ঝারার শলার ঝাড়ুটা ধপাধপ মারতে থাকে ছেলেটির পিঠে। অতর্কিত পিটুনির চোটে হাত থেকে মোবাইলটা ছিটকে চলে যায় টেবিলের নিচে। দুহাত দিয়ে নিজেকে বাঁচাবার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু অপরদিকে রেগে চন্ডীমূর্তি ধারণ করা নারীর কাছ থেকে সহসাই মুক্তি পাওয়া অসম্ভব। ঝাড়ুর শলা গুলো ফুটতে শুরু করেছে সারা শরীরে। যন্ত্রণায় কুঁকড়ে ওঠছে ছেলেটির মুখ।

-মা, মাআআআ, ও মাআআ আর মেরো না। আর এমন ভুউউভুল আররর হবে না। মাগো খুব লাগছে আমা....মার। প্লিজ মাআআ তোমার পা ধরছি।

ছেলের আকুতির দিকে কোন খেয়াল নেই। রক্ত আজ মাথায় উঠেছে। ছেলে যে এভাবে নষ্ট পথে চলে যাচ্ছে সেটা কল্পনাতেও ভাবতে পারে নি। চোখ মুখ লাল হয়ে আছে, যেন গরম ভাপ বের হচ্ছে নাক মুখ দিয়ে। প্রায় মিনিট পাঁচেক পর থেমে হাত থেকে ঝাড়ুটা ছুড়ে মারে। হাঁপাতে থাকে এই মিনিট কয়েকের চোটপাটে।

-এই মোবাইল কোথায় পেয়েছিস তুই৷ এসব ছাইপাঁশ কবে থেকে শুরু করলি তুই। এমন দিন দেখার আগে আমার মৃত্যু হলো না কেন। ছি ছি এসবের জন্য লেখাপড়া শেখাচ্ছি তোকে। আজ আসুক তোর বাবা, সে এটার হ্যাস্ত ন্যস্ত করবে।(যন্ত্রনায় কাঁদতে কাঁদতে) মা, আর এমন হবে না। প্লিজ তুমি বাবাকে কিছু বলো না। বাবা আমাকে মেরেই ফেলবে। তোমার পায়ে ধরি আর এমন হবে না। এই মোবাইল এখনি আমি ফেলে দিয়ে আসছি।

হন্তদন্ত হয়ে মোবাইল টা খুঁজতে থাকে বাবু। টেবিলের নিচ থেকে ব্যাকপার্ট খুলে যাওয়া মোবাইলটা কোন ক্রমে একত্রে করে হাতে নিয়ে দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। দৌড়াতে দৌড়াতে বাড়ি থেকে বেশ দূরে কড়ই তলায় এসে হাঁপাতে থাকে সে। দু হাতের কয়েক জায়গায় ঝাড়ুর দাগ ফুটে উঠেছে। শলার ফুটে যাওয়া জায়গা গুলো দিয়ে রক্তের ছোট বিন্দু দেখা যাচ্ছে। জামার নিচে এমন আরও কত গুলো আছে কে জানে। অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে সারা শরীরে, দাগের জায়গা গুলোতে রক্ত জমে গেছে।

সব হয়েছে ঐ জয়ের জন্য ভাবতে থাকে বাবু। ওর পাল্লায় না পড়লে আজ এমনটি ঘটতো না। বারবার না করেছিল মোবাইলটা দিতে তারপরও জোর করে মোবাইলটা ব্যাগে ভরে দিয়ে বললো ভিডিও গুলো দেখতে অন্যরকম ফিলিংস হবে। আর ঐ জয়কে দোষ দিয়েই লাভ কি, বাবুর নিজেরও তো কেমন একটা আকর্ষণ হয়ে গিয়েছিল। নইলে মোবাইল টা ব্যাগ থেকে বের করে এসব ভিডিও দেখতে যাবে কেন। সত্যি বলতে অবৈধ জিনিসের প্রতি টান টা বরাবরই বেশিই থাকে। না বাবা যার মোবাইল তাকেই ফিরিয়ে দেই। আজ কপালে কি আছে কে জানে। বাবা বাসায় আসলে মা যদি সব বলে দেয় তবে আর রক্ষে নেই। আজ ওর মরা মাত্র বাকি, কেন যে এই কাজ টা করতে গেলো। এখন আফসোস করে চলেছে। জয়ের বাসার দিকে দৌড়াতে শুরু করে। হেঁটে গেলেই পাঁচ মিনিটের পথ, দৌড়ে মিনিটের মাঝেই পৌঁছে যায় বাবু। জয়ের ঘরে ঢুকে মোবাইলটা ছোড়ে মারে ওর বিছানায়।

-শালা তোর জন্য আজ আমাকে এত মার খেতে হলো।

-(শোয়া থেকে উঠে বসে) আমি আবার কি করলাম রে। আমার উপর চেচাচ্ছিস কেন?

-তোর পাল্লায় পড়ে ওসব ভিডিও দেখতে গিয়ে আজ মায়ের কাছে ধরা খেয়েছি। কি মার টাই না খেলাম। দেখ হাতে পিঠে দাগ পড়ে গেছে।(জামাটা উঠিয়ে পিঠ দেখায়)আমার দোষ কি? তুই দরজা বন্ধ করে নিলি না কেন। শালা মনে রাখবা চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড় ধরা।

-আর জ্ঞান বাক্য ঝারতে হবে না তোর। তুই রাখ তোর মোবাইল৷ আমার কপালে কি আছে কে জানে। বাবাকে বলে দিলে আমি তো শেষ। এখন যাই রে। বাসায় গিয়ে বই নিয়ে বসে পরি। এতে যদি একটু কাজ হয়।

ভীত মনে চোরের মত বাসায় ঢুকে নিজের রুমে চলে যায় বাবু। পরিস্থিতি বুঝার জন্য দরজা একটু ফাঁক করে চারদিকে চোখ বুলায়। রান্না ঘরের দিক থেকে কান্নার একটা আওয়াজ কানে আসে। চুপি চুপি পা টিপে রান্না ঘরে দিকে এগিয়ে যায়। এবার নিশ্চিত মা কান্না করছে। মাথা নিচু করে পাশে গিয়ে দাড়ায়।

-মা, ও মা। এমন ভুল আমি আর কখনো করবো না। তুমি কেঁদো না মা। দরকার হলে তুমি আমাকে মারও তবু আর কেঁদো না। প্লিজ মা এবারের মত ক্ষমা করে দাও।(কন্ঠ ভার হয়ে আসে)

-(লম্বা দম টেনে ছেলের দিকে তাকিয়ে) এক্ষুনি যা এখান থেকে নইলে আমার হাতে কোন অনর্থ হয়ে যাবে বলে দিলাম। ইচ্ছে হচ্ছে গরম খুন্তি তর পিঠে বসিয়ে দেই।

মায়ের এমন চন্ডী রূপে ভয় পেয়ে যায় বাবু। ছোট পা ফেলে বেরিয়ে যায় রান্না ঘর থেকে। নিজের রুমে গিয়ে টেবিলে বই খুলে বসে পড়ে। সন্ধ্যায় বাবা অফিস থেকে বাসায় ফিরে আসে। নিজের রুমে যাবার আগে একবার ছেলের রুমে উকি দিয়ে তো হতবাক, একি দেখছে সে।

-কিগো অঞ্জলি আজ কি আমি নেশা করে এসেছি নাকি ঠিক দেখছি। ছেলে আমার এই সময়েই পড়তে বসে গেছে। ঘটনা কি?

-(মায়ের চড়া গলা শুনতে পায় বাবু) কিছু তো ঘটেছেই। আগে জামা কাপড় পাল্টে বসার ঘরে এসো, সব বলছি।
মিনিট বিশেক পর বাবার ডাক শুনতে পায় বাবু।

-বাবু একবার এদিকে আয় তো।

বাবু তো মনে মনে আধমরা হয়েই আছে, আজ ওর কপালে কি আছে সে যেন সব দেখতে পারছে। হাত পা এরইমধ্যে কাঁপতে শুরু করছে। কাচুমাচু হয়ে কোন মতে বাবার কাছে গিয়ে দাড়ায়।
 
Last edited:

Users who are viewing this thread

Back
Top