What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

শৈশবের খেলা by dgrahul (1 Viewer)

Ochena_Manush

Mega Poster
Elite Leader
Joined
Aug 12, 2022
Threads
257
Messages
17,616
Credits
362,761
LittleRed Car
Automobile
Strawberry
Audio speakers
শৈশবের খেলা


এই বছরটি আমার ভীষণ অদ্ভূত ভাবে কাটল কিন্তু একই সঙ্গে বেশ রোমাঞ্চক ও ছিল। আজ পর্যন্ত আমার জীবনের শেষ কযেকটি বছর আমি কাটিয়েছি একটি হোস্টেলে যেখান থেকে আমি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, এবং গ্রেজুএশন পাস করে ৭ বছর পর বাড়ি ফিরলাম। আমার বয়স ২১ বছর। আমার বাবা মা দুইজনই পুরাতত্ত্বজ্ঞ বিজ্ঞানী এবং বছরের বেশির ভাগ সময় কোনো না কোনো দূর দেশে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজে ব্যাস্ত থাকায় আমার এবং আমার ছোট বোন শিখার ছোটবেলা কেটেছে চাকর বাকর দের তত্যাবদনে। আমাদের বিরাট বড় বাড়ি। আমার বোন আমার থেকে দুই বছরের ছোট এবং সে কখনো বাড়ির থেকে একা কথাও থাকেনি। শিখা সাধারণত একাকী, নিজের মধ্যে থাকে, এবং ভীষণ সংবেদনশীল। অচেনা লোকের সাথে মিশতে লাজুক।

আমরা দুই ভাই বোন বেশ সরল সহজ ভাবেই মেলামেশা করতাম এবং বাড়ি এসে মনে হলো যে ঠিক এই রকমই পরিস্থিতি তে বেশ কয়েক বছর আগেও পড়েছিলাম যখন আমার বয়েস ছিল এগারো এবং শিখার বয়স ছিল নয়। তখন আমরা আমাদের বাবা মার সাথে ঘুরতাম। বাবা মা আমাদের নিয়ে আফ্রিকার একটি ছোট শহরে একটি ছোট্ট বাড়িতে উঠলেন। আর সেখানে আমরা দুজনে দেখলাম যে অন্যান্য আমাদের বয়সী ছেলে মেয়েদের থেকে আমরা পুরোপুরি আলাদা এবং ওদের সাথে আমাদের কোনো মিল নেই। আমরা কাউকে চিনতাম না এবং সত্যি কথা বলতে কি আমরা কারো সাথে আলাপ করতেও চাইনি, তাই আমরা দুইজন একে অপরের খেলার সঙ্গী ছিলাম।

এই পরিস্থিতি আমাদের দুজনকে একে অপরের আরও কাছে করে দিল। আমরা সবরকম বাচ্চাদের খেলা খেলতাম, যেমন লুকো চুরি, কাতুকুতু দেওয়া, ব্যাবসা বানিজ্য, ছোয়া ছুয়ি, বাড়ি বাড়ি, লুডো, কেরাম ইত্যাদি। সেই দিনগুলো খুব মজার ছিল এবং স্মরণীয়। আমরা হয়ত কখনো কখনো আমাদের সীমানা অতিক্রম করে ছিলাম, কিন্তু আমাদের তখন যা বয়স ছিল, আমরা নিষ্পাপ মনে করেছি, এবং আমাদের বাবা মা এর অনুপস্থিতিতে (তখনো) আমাদের অবহেলিত জীবনে একে অপর কে আকড়ে ধরেছি, যেরকম হাত ধরা ধরি করে থাকা, গলা জড়াজড়ি করে রেডিও তে গান সোনা আর জড়াজড়ি করে ঘুমোনো ইত্যাদি, এই একে অপরের শারীরিক ভাবে কাছে থাকা আর কি।

আমার বোন রোগা, ফর্সা, চোখ দুটো বড় বড় এবং কালো, কারো দিকে তাকালে মনে হয় দৃষ্টি দিয়ে পুরো শরীর ভেদ করে দেখতে পায়, এক কোথায় দেখতে বেশ সুন্দর, একরকম ভিন্ন সৌন্দর্য্য। সাধারণত সে খুব চুপচাপ যদি তোমার সাথে আলাপ না থাকে, কিন্তু যদি আলাপ থাকে তো অনর্গল কথা বলে যাবে। শিখা এমনিতে খুব সাদাসিধা, সরল, কিন্তু তীব্র ব্যঙ্গপূর্ণ। ওর স্তন দুটো ছোট, কোমরটি সরু, লম্বা পা, পেছন থেকে দেখতে ওকে অপূর্ব। এই ছিল আমার বাড়ি ফেরার পটভূমিকা।

আমি বাড়িতে ফিরে আসতেই শিখা আমার মালপত্র গুছিয়ে রাখতে সাহায্য করলো। খুব উত্তেজিত ছিল সে আমি বাড়ি ফেরত আসাতে। সে হাজার রকম প্রশ্ন করলো আমাকে এবং জানতে চাইলো এবার আমি কত দিন থাকব বাড়িতে। কথা বাত্রা বলতে বলতে আমরা দুজনেই দশ বছর আগের সেই দিনগুলোর কথার সাথে এখনকার দিনগুলোর মিল খুঁজে পেলাম।

"ঠিক সেই রকম যখন আমরা আফ্রিকার সেই জঘন্য গ্রাম টিতে ছিলাম", শিখা বলে উঠলো। আমরা সেই পুরনো দিনগুলো নিয়ে গল্প করতে শুরু করলাম এবং এই পুরনো দিনের স্মৃতি গুলোই আমাদের ছোটবেলার খেলা গুলোর কথা মনে করিয়ে দিল, কিছু কিছুর সম্বন্ধে আমি ভুলেও গিয়েছিলাম।
প্রথম দুই তিন সপ্তাহে শিখা নিজে আমার পছন্দর খাবার রান্না করে খাওয়ালো। যখন বাবা মা থাকত আমরা চারজনে একসঙ্গে বসে খেতাম আর তা না হলে আমরা দুজনে পাশাপাশি বসে খেতাম। আমি মাস্টার্স ডিগ্রী পরবার জন্য কলেজে ভর্তি হলাম। শিখাও ওই কলেজেই পরত। আমরা এক সঙ্গে কলেজে যেতাম এবং বাড়িতে একসঙ্গে পরতাম। বিকেলে আমরা দুজনে টিভির সামনে পাশাপাশি বসে ঠিক সেই পুরনো দিনগুলোর মতন টিভি দেখতাম। এই রকমই একদিন বিকেলে যখন বাড়িতে সুধু আমরা দুইজন ছিলাম, টিভিতে একটি সিনেমা চালিয়ে, দুইজনে সোফার উপর পাশাপাশি বসে একে অপরের গায়ে হেলান দিয়ে, দেখছিলাম, যখন শিখা বলে উঠলো, "দাদা, আমি কি তোমাকে বলেছি এই কয় বছর কতটা কষ্টে আমি একা একা কাটিয়েছি?"

আমি হেঁসে বললাম "হে রে পাগলি, তুই আমাকে হাজার বার বলেছিস, আর বিশ্বাস কর আমিও এই কয়টি বছর খুব একা একা কাটিয়েছি, সব সময় তোর কথা মনে পরত।" আমি শিখার কাঁধে হাত রেখে ওর দিকে ঝুকে বসে আরও বললাম, "আর জানিস হোস্টেলে অনেক ছেলেদের সাথে আলাপ হয়েছে, এক সাথে থেকেছি, খেলেছি, কিন্তু সত্যিকারের কোনো বন্ধু পাই নি তাই খুব একা একা মনে হত আর তোর কথা ভাবতাম।"

আমি প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম শিখার গায়ের মিষ্টি গন্ধটি। আলতো ভাবে ওর চুলের মধ্যে আঙ্গুল নাড়াতে লাগলাম।
"আমিও," শিখা বলল, "আমার ও কোনো সত্যিকারের বন্ধু নেই, কলেজে কাউকে ভালো লাগেনা, আর আমিও খুব একা।"

দুজনে পাশাপাশি বসে টিভি তে সিনেমা দেখছিলাম, কিছুক্ষণ পর শিখা আবার বলল, "তোমার মনে পরে আমরা ছোটবেলায় টিভি দেখতে দেখতে পয়সা লুকোনোর খেলা খেলতাম, আমি একটা পয়সা নিজের শরীরের কথাও লুকিয়ে রাখতাম আর তুমি খুজতে?"

"না আমার ঠিক মনে পড়ছে না … দাড়া দাড়া মনে পরেছে, কিন্তু বেশির ভাগ সময় আমরা খুঁজে পেতাম না," আমি উত্তর দিলাম।

"তার কারণ পয়সাটি বেশির ভাগ সময় পিছলে পরে যেত," শিখা বলল, তার পর ওর জিন্সের পকেট থেকে একটি এক টাকার কয়েন বের করে বলল," এই যে আমার কাছে একটি পয়সা আছে।"
এই খেলাটি সম্বন্ধে আমার যেটুকু স্মৃতি তে ছিল তা খুবই নিষ্পাপ এবং নির্মল কিন্তু আজ দশ বছর পর অঙ্কটা কিরকম যেন পাল্টে গিয়েছিল। অনুভব করলাম আমার গলাটা যেন শুকিয়ে গিয়েছে, আমার হৃতপিন্ডটা যেন দ্রুত গতিতে চলছিল। "সিনেমাটা দেখতে দেখতে আমরা খেলতে পারি," শিখা বলল, "খুব মজা হবে, ঠিক আগের মতন।"

'হ্যা, ঠিক আগের মতন,' আমি মনে মনে ভাবলাম। শিখা উঠে অন্য ঘরে চলে গেল এবং দুই মিনিট পর ফেরত আসল। শিখা একটি জিন্স এবং একটি ঘিয়ে রঙের টপ পরে ছিল, সামনে বোতাম এবং ভি গলা। ওর পায়ে মোজা পরা ছিল। হয়ত ব্রা পরা ছিল। শিখা সোফার উপর শুয়ে পড়ল এবং ওর পা দুটো আমার কোলের উপর উঠিয়ে রাখল, এবং সিনেমা দেখতে দেখত বলল, "তোমার প্রথম পালা পয়সা খুঁজে বার করার।"
আমি যেন অন্যমনস্ক্য ভাবে ওর পায়ের পাতার উপর আমার হাত দিয়ে বোলাতে লাগলাম আর ওর মোজার উপর দিয়ে ভালো করে পয়সাটি খুজতে লাগলাম। তারপর আমি ওর দুই পায়ের উপরে হাত ঘষতে লাগলাম, অতি সন্তর্পনে, ধীরে ধীরে, প্রতিটি ইঞ্চি। আমার মনে পড়ল জিন্স এর উপর দিয়ে পয়সা খোজা যে কি কঠিন, তাও খুঁজে গেলাম কিন্তু কিছু খুঁজে পেলাম না। শিখা উপুর হয়ে শুয়ে ছিল, আমি এবার ওর পিঠে দুই হাত বুলিয়ে খুজতে লাগলাম – বুঝলাম যে শিখা ব্রা পরে ছিল। আমি শিখাকে বললাম, "উল্টে যাও, চিৎ হয়ে শুয়ে পর," আর শিখা চিৎ হয়ে শুলো।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top