প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। তাই এ বিষয়ে শুরুতেই আদর্শ নিয়ম শিখে নিতে হবে মাকে...
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, এমন নারীরা প্রায়ই ঘাড়ে বা কোমরে ব্যথা অনুভব করেন। অথচ সঠিক নিয়মে ও সঠিক ভঙ্গিতে বুকের দুধ খাওয়ানো হলে এ ব্যথা এড়ানো সম্ভব। বুকের দুধ শিশুর পরিপূর্ণ পুষ্টি চাহিদার জোগান দেয়। তাই প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। তাই এ বিষয়ে শুরুতেই আদর্শ নিয়ম শিখে নিতে হবে মাকে। সঠিক নিয়ম না জানলে মা যেমন মেরুদণ্ডের ব্যথায় ভুগতে পারেন, তেমনি শিশু যথেষ্ট পরিমাণ দুধ থেকে বঞ্চিত হতে পারে।
যেকোনো আরামদায়ক অবস্থানে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো যায়। তবে বিজ্ঞানসম্মত চারটি অবস্থানে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে মা কোমর ও পিঠব্যথা থেকে মুক্ত থাকবেন। সেগুলো হলো:
ক্র্যাডল হোল্ড
এটি সবচেয়ে আরামদায়ক পজিশন। তবে যাঁদের সিজার হয়েছে, তাঁদের একটু অসুবিধা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তলপেটের দিকে বালিশ দেওয়া যেতে পারে।
প্রথমে হাতল আছে, এ রকম চেয়ার বা বিছানার চারপাশে বালিশ দিয়ে বসতে হবে। এবার বাচ্চাকে কোলে নিতে হবে এমনভাবে, যেখানে বাচ্চার মাথা মায়ের হাতের ওপর থাকবে। বাচ্চার নাক মায়ের স্তনবৃন্ত (নিপল) বরাবর এবং বাচ্চার কান, কাঁধ ও হিপজয়েন্ট সোজা লাইনে থাকবে। মা সোজা হয়ে বসবেন। পা যদি মেঝেতে না থাকে, তাহলে টুলের ওপরে রাখতে হবে।
ক্রস ক্র্যাডল হোল্ড
হাতল আছে, এমন চেয়ারে প্রথমে মা সোজা হয়ে বসবেন। শিশুটির পেট মায়ের পেটের সঙ্গে থাকবে। মা হাতের তালু দিয়ে শিশুর মাথা ধরে বিপরীত দিকের স্তনবৃন্ত মুখে দেবেন। অবস্থানটি অনেকটা ক্রস করে হবে।
কাত হয়ে দুধ খাওয়ানো
মা যেকোনো একদিকে কাত হয়ে শুয়ে শিশুকে তাঁর দিকে কাত করে দেবেন। শিশুর পেট আর মায়ের পেট লাগানো থাকবে। খেয়াল রাখতে হবে শিশুর কান, কাঁধ ও হিপজয়েন্ট যেন সরলরেখায় থাকে। তোয়ালে ভাঁজ করে বা কোলবালিশ শিশুর পেছনে দিতে হবে, মায়ের কোমরেও বালিশ দিয়ে সাপোর্ট দিতে হবে।
রাগবি হোল্ড
এটা বেশ আরামদায়ক অবস্থান। প্রথমে একটি চেয়ারে সোজা হয়ে বসতে হবে। এবার শিশুকে ঘাড়ের দিকে হাত দিয়ে ধরতে হবে। শিশুর হিপজয়েন্ট মায়ের হিপজয়েন্টের কাছে থাকবে। বাচ্চার নাক অবশ্যই স্তনবৃন্তের লেবেলে থাকতে হবে।
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হলে মাকে স্তনের প্রতি ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে। প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর আগে স্তন ম্যাসাজ করে নিতে হবে। আলতো করে স্তনের কালো অংশের পেছনে ম্যাসাজ করবেন। খাওয়ানোর পরও ম্যাসাজ করতে হবে।
যেসব মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তাঁদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ১২ থেকে ১৫ শতাংশ প্রোটিন, ২০ থেকে ৩০ শতাংশ চর্বি খেতে হবে।
* উম্মে শায়লা রুমকি | ফিজিওথেরাপি পরামর্শক, পিটিআরসি
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, এমন নারীরা প্রায়ই ঘাড়ে বা কোমরে ব্যথা অনুভব করেন। অথচ সঠিক নিয়মে ও সঠিক ভঙ্গিতে বুকের দুধ খাওয়ানো হলে এ ব্যথা এড়ানো সম্ভব। বুকের দুধ শিশুর পরিপূর্ণ পুষ্টি চাহিদার জোগান দেয়। তাই প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। তাই এ বিষয়ে শুরুতেই আদর্শ নিয়ম শিখে নিতে হবে মাকে। সঠিক নিয়ম না জানলে মা যেমন মেরুদণ্ডের ব্যথায় ভুগতে পারেন, তেমনি শিশু যথেষ্ট পরিমাণ দুধ থেকে বঞ্চিত হতে পারে।
যেকোনো আরামদায়ক অবস্থানে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো যায়। তবে বিজ্ঞানসম্মত চারটি অবস্থানে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে মা কোমর ও পিঠব্যথা থেকে মুক্ত থাকবেন। সেগুলো হলো:
ক্র্যাডল হোল্ড
এটি সবচেয়ে আরামদায়ক পজিশন। তবে যাঁদের সিজার হয়েছে, তাঁদের একটু অসুবিধা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তলপেটের দিকে বালিশ দেওয়া যেতে পারে।
প্রথমে হাতল আছে, এ রকম চেয়ার বা বিছানার চারপাশে বালিশ দিয়ে বসতে হবে। এবার বাচ্চাকে কোলে নিতে হবে এমনভাবে, যেখানে বাচ্চার মাথা মায়ের হাতের ওপর থাকবে। বাচ্চার নাক মায়ের স্তনবৃন্ত (নিপল) বরাবর এবং বাচ্চার কান, কাঁধ ও হিপজয়েন্ট সোজা লাইনে থাকবে। মা সোজা হয়ে বসবেন। পা যদি মেঝেতে না থাকে, তাহলে টুলের ওপরে রাখতে হবে।
ক্রস ক্র্যাডল হোল্ড
হাতল আছে, এমন চেয়ারে প্রথমে মা সোজা হয়ে বসবেন। শিশুটির পেট মায়ের পেটের সঙ্গে থাকবে। মা হাতের তালু দিয়ে শিশুর মাথা ধরে বিপরীত দিকের স্তনবৃন্ত মুখে দেবেন। অবস্থানটি অনেকটা ক্রস করে হবে।
কাত হয়ে দুধ খাওয়ানো
মা যেকোনো একদিকে কাত হয়ে শুয়ে শিশুকে তাঁর দিকে কাত করে দেবেন। শিশুর পেট আর মায়ের পেট লাগানো থাকবে। খেয়াল রাখতে হবে শিশুর কান, কাঁধ ও হিপজয়েন্ট যেন সরলরেখায় থাকে। তোয়ালে ভাঁজ করে বা কোলবালিশ শিশুর পেছনে দিতে হবে, মায়ের কোমরেও বালিশ দিয়ে সাপোর্ট দিতে হবে।
রাগবি হোল্ড
এটা বেশ আরামদায়ক অবস্থান। প্রথমে একটি চেয়ারে সোজা হয়ে বসতে হবে। এবার শিশুকে ঘাড়ের দিকে হাত দিয়ে ধরতে হবে। শিশুর হিপজয়েন্ট মায়ের হিপজয়েন্টের কাছে থাকবে। বাচ্চার নাক অবশ্যই স্তনবৃন্তের লেবেলে থাকতে হবে।
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হলে মাকে স্তনের প্রতি ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে। প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর আগে স্তন ম্যাসাজ করে নিতে হবে। আলতো করে স্তনের কালো অংশের পেছনে ম্যাসাজ করবেন। খাওয়ানোর পরও ম্যাসাজ করতে হবে।
যেসব মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তাঁদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ১২ থেকে ১৫ শতাংশ প্রোটিন, ২০ থেকে ৩০ শতাংশ চর্বি খেতে হবে।
* উম্মে শায়লা রুমকি | ফিজিওথেরাপি পরামর্শক, পিটিআরসি