কিশোর বয়সে ব্রণ হওয়া খুবই পরিচিত সমস্যা। এক হিসাবে দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী এ বয়সে ব্রণের মতো সমস্যায় পড়ে। বয়স, হরমোন বা ত্বকের ধরন ইত্যাদির মতো খাবারের ওপর নির্ভর করেও কিশোরদের ব্রণের সমস্যা বাড়ে বা কমে।
ভিটামিন সি
কিশোরদের ব্রণের সমস্যা কমাতে ভিটামিন সি খুবই উপকারী। ভিটামিন সি ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার করে ব্রণ ও এর দাগ কমাতে সাহায্য করে।
আঁশযুক্ত খাবার
আঁশযুক্ত যেকোনো খাবার ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। এ ধরনের খাবার রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ব্রণ কমাতে উপকারী। ওটমিল, গাজর, আপেল, বিনস ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে আঁশ পাওয়া যাবে।
ফ্যাটি অ্যাসিড
ওমেগা থ্রিসমৃদ্ধ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এমন খাবার ব্রণ হওয়ার পরিমাণ কমায়। এ ধরনের খাবার আইজিএফ ওয়ান নামের একধরনের প্রোটিন উৎপাদানের পরিমাণ কমায়। এই প্রোটিনের সঙ্গে ব্রণ হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। স্যামন মাছ বা সামদ্রিক মাছ ওমেগা থ্রিতে পরিপূর্ণ।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাবার
কিশোর বয়সে ব্রণ কমাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে এমন খাবার বেশি বেশি খাওয়া জরুরি। যেকোনো ধরনের বাদামে উপস্থিত থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই পুষ্টিকর উপাদান কোষে ক্ষয়রোধ ও সংক্রমণ কমায়। এই খাবারে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব নেই। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত বাদাম না খেয়ে দিনে সর্বোচ্চ ২৪টি পর্যন্ত খাওয়া যাবে।
বেশি বেশি জিংক
কিশোর বয়সে এই উপাদানটি অত্যন্ত জরুরি। এ ধরনের খাবার শরীরের হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক করে স্বাস্থ্যকর। মিষ্টি কুমড়াতে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে জিংক। গবেষণা বলে প্রাপ্তবয়স্করা দিনে ৪০ মিলিগ্রামের বেশি জিংক খেতে পারবে না। কিন্তু কিশোরদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ বাড়ানো যাবে।
টক দই
প্রোবায়োটিক
ব্রণ কমাতে যেকোনো খাবারের সঙ্গে প্রোবায়োটিক খাওয়া উপকারী। টক দই হলো এক ধরনের প্রোবায়োটিক, যা সব ধরনের খাবারের সঙ্গেই খাওয়া যায়। টক দইতে থাকে ভালো কিছু ব্যাকটেরিয়া, যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। সাধারণ দুগ্ধজাতীয় খাবারের বিভিন্ন উপাদান ব্রণ বাড়ায় কিন্তু টক দই ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন এ
ভিটামিন এ ব্রণ কমাতে উপকারী খাদ্য উপাদান। মিষ্টি আলুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা সহজেই ব্রণ কমাতে খাওয়া যায়।
ভিটামিন কে
পাকা পেঁপে ভিটামিন কে, এ ও সি-তে পরিপূর্ণ। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পাকা পেঁপে দারুণ। ব্রণ হওয়ার পরিমাণ কমানো, পোরস পরিষ্কার রাখা ও ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে পাকা পেঁপে বেশি বেশি খাওয়াই যায়।
* রিফাত পারভীন