যে সম্পর্ক এত দিন মুগ্ধতা ছড়িয়েছে, হঠাৎ সেটির ভাঙন যেন সব তছনছ করে দেয়। জীবনের সব আনন্দের মুহূর্ত কেড়ে নেয় একটি বিচ্ছেদ। প্রেম যেমন সুন্দরতম অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্যে একটি, তেমনি প্রেমে বিচ্ছেদ তিক্ততম অভিজ্ঞতার স্বাদ দিতেও ভুল করে না। ছোট এই জীবনে সব সম্পর্কই যে পূর্ণতা পাবে, এমনটা নয়। বিরহকে আগলে রেখে জীবন থামিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর জীবনও তো থেমে থাকতে জানে না। তাই জীবনের সেই অপূর্ণ অধ্যায়ের ইতি টেনে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো সমাধান।
মেনে নিন
‘যা হওয়ার তা হয়েছে’, প্রচলিত এই কথা মাথায় রাখুন। বিচ্ছেদ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এই সত্যিটা মেনে নিতে পারলে অনেকটাই হালকা লাগবে। তবে আপনি যদি বিচ্ছেদ মেনে নিতে না পারেন, তাহলে সমস্যা বাড়বে। তাই খারাপ লাগার অনুভূতি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে চাইলে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া খুবই জরুরি।
কেউ অপরাধী নয়
নিজেকে কিংবা সাবেক—কাউকেই অপরাধী ভাবা যাবে না। বরং দুজনকেই ক্ষমা করে দিন। কথাটি বেশ অদ্ভুত শোনালেও এটিই হবে কার্যকর সমাধান। যেহেতু সম্পর্কের ইতি ঘটেছে, তাই কে দোষী কিংবা কার অপরাধ বেশি ছিল—এগুলোর উত্তর খুঁজে বের করা একেবারেই অনর্থক। আর মনে মনে ক্ষোভ কিংবা রাগ পুষে রাখলে আপনার জন্যই স্বাভাবিক জীবনে ফেরা কঠিন হবে।
নিজেকে সময় দিন
এত দিন যেই কাজটা করা হয়নি, সেই কাজে হাত দিন। যেই বইটা পড়বেন বলে ঠিক করে রেখেছিলেন, সেটি পড়ার এখনই সময়। বিচ্ছেদ–পরবর্তী সময়ে নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন, যেন মন ভালো থাকে। নিজেকে আলাদা করে সময় দিন। সৃজনশীল কোনো কাজের মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখা যেতে পারে। আপনার এ সময়ের অনুভূতিগুলো ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারেন। অথবা কোন ব্যাপারগুলো এখন আপনার বারবার মনে পড়ছে, সেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন। দুঃসময় কেটে গেলে দেখবেন, আপনার কাছে নিজের ব্যাপারেই দারুণ এক সংগ্রহ তৈরি হয়েছে।
পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান
প্রেমে আঘাত পেলে অনেকেই একাকিত্বে ভোগেন। এতে করে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। একাকিত্ব দূর করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো আশপাশের মানুষের সাহায্য নেওয়া। ব্যক্তিগত বলয়ের মধ্যে আটকে না থেকে পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটান। দীর্ঘদিন যোগাযোগ হয় না এমন বা পুরোনো কোনো বন্ধুকে খুঁজে বের করে তাঁর সঙ্গে আড্ডা দিন। এতে আপনার মন চাঙা হয়ে উঠবে। একাকিত্ব কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি খুঁজে পাবেন।
সূত্র: ফেমিনা