What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বিভিন্ন সমস্যায় আদা খাওয়ার পদ্ধতি (1 Viewer)

eN1ua3N.jpg


কোনো একটি খাবার বা মশলা খেলে অসুখ দূর হয়, সাধারণত একথা শুনেই আমরা তা খেয়ে থাকি। কিন্তু সেই উপাদানটির বা অপকারিতা সম্পর্কে খুব বেশি জানি না। তবে কোনোকিছুর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তবেই খাওয়া ভালো। অসুখ দূরে রাখতে আদা কার্যকরী একথা আমরা সবাই কম-বেশি জানি। কিন্তু কোন সমস্যায় আদা কীভাবে কাজে লাগে তা জানেন কি? চলুন জেনে নেয়া যাক-

রোগ প্রতিরোধ: আদা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় অনেকাংশে। আদাতে রয়েছে রাইনো ভাইরাস দমনের শক্তিশালী রাসায়নিক উপাদান। এই রাইনো ভাইরাস হলো বেশিরভাগ ঠান্ডা লাগা বা সর্দিজনিত রোগের জন্য দায়ী। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর দ্বারা প্রতিরোধ করা যায় বারবার জ্বর আসার প্রবণতাকেও। তাই নিয়মিত এক কুচি করে আদা চিবিয়ে খাওয়া ভালো।

কাশি এবং হাঁপানি: কাশি এবং হাঁপানির উপশমের জন্যও আদার রসের তুলনা মেলা ভার। আদার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে এই সমস্যার উপশম হয়। বুকে সর্দি কফ জমে নিঃশ্বাস টানতে সমস্যা হলেও আদা খেলে উপকার হবে। এ ক্ষেত্রে দুই কাপ জলে আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটতে ফুটতে জল অর্ধেক হয়ে এলে ছেঁকে নিতে হবে। তাতে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে।

হার্টের জন্য: আদার রস শরীর শীতল করে। পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এক্ষেত্রে নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করা ভালো।

অরুচি দূর: অরুচি, একেবারেই খেতে ইচ্ছে না হওয়া, খাবার দেখলেই বিরক্ত লাগা, তেঁতো লাগছে সব কিছু অথবা বিস্বাদ – আদার কাছে এগুলো কোনো সমস্যাই নয়। খাওয়ার আগে এক চা চামচ আদা কুচি খেয়ে নিলেই মুখের রুচি ফিরে আসবে।

বমিভাব: বমিভাব বা বমি হচ্ছে – এই রকম সমস্যায় আদা কুচি করে চিবিয়ে খেলে অথবা আদার রসের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে খেলে তাত্ক্ষণিক সমাধান পাওয়া যায়।

গলাব্যথা: এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে। গলাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। ঠান্ডায় টনসিলাইটিস ফোলা তার থেকে ব্যথা, মাথাব্যথা, টাইফয়েড জ্বর, নাক দিয়ে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদিতে মোক্ষম দাওয়াই আদা। আদা চা পান করে এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে। তবে এক দিন একবার খেলেই হবে না। নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তাতে এই দফায় সেরে গেলেও ভবিষ্যতে এই সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।

পুষ্টিশোষণ: খাবারের পুষ্টি দেহে সঠিক ভাবে শোষণ করার ক্ষমতা বাড়ায় আদা। তাই প্রতিদিন খুব সামান্য পরিমাণে হলেও আদা খাওয়া অভ্যাস করা উচিত।
 
অত্যন্ত পুষ্টিকর মশলা আদা। সর্দি কাশিতে আক্রান্তরাই জানে এর কদর।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top