চাঁদপুরের মিনি কক্সবাজার
বর্তমানে ভ্রমনপিপাসুদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও বিনোদনের জায়গা হয়ে উঠেছে ইলিশের রাজ্য চাঁদপুর জেলার পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে জেগে ওঠা বিশাল বালুচর যা পর্যটকদের কাছে মিনি কক্সবাজার হিসেবে পরিচিত।
নদী পথে ঢাকা থেকে মাত্র ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টার দূরত্বে আপনি পৌঁছে যাবেন এ মিনি কক্সবাজার।
আপনি যদি সেখানে যেতে চান তাহলে কিভাবে যাবেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত এখানে পাবেন। ঘুরে আসুন খুব সহজে মিনি কক্সবাজার চাঁদপুর থেকে।
সাজেক ভ্যালি
আসলে সাজেকের সৌন্দর্য সম্পর্কে যতই বলব ততই কম হয়ে যাবে। এই জায়গাটা নিজ চোখে না দেখলে আপনি বুঝবেন না যে সাজেক কত সুন্দর। আপনি যদি ভ্রমণ পছন্দ করেন এবং এখনো সাজেক ভ্রমণ করেন নাই তাহলে আমি বলব নেক্সট ভ্রমণটা সাজেক ভ্যালি করেন।
সাজেক মূলত রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যার উচ্চতা প্রায় ১৮০০ ফুট। সাজেক রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থান হলেও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে যাতায়াত অনেক সহজ ও সময় কম লাগে।
বলে রাখা ভালো যে সাজেক যেতে হলে অবশ্যই বাঘাইহাট পুলিশ ও আর্মি ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিয়ে যেতে হয়।
সাজেক ভ্যালির দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হাজাছড়া ঝর্না, বৌদ্ধ বিহার, আলুটিলা গুহা, আলুটিলা গুহা, কমলক ঝর্না, পশ্চিমের গ্রাম, শিব মন্দির।
আপনি যদি সাজেক ভ্রমণ করতে চান তাহলে এই পোস্টটি দেখতে পারেন। এখানে সাজেক ট্যুর প্লান বিস্তারিত দেয়া আছে। আশা করি এইটা আপনাদেরকে সাজেক যেতে সহায়তা করবে। সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ গাইড।
টাংগুয়ার হাওর
চোখ ধাঁধানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা টাংগুয়ার হাওর। সুনামগঞ্জ জেলার ১০০কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই টাংগুয়ার হাওর। ভারতের মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই হাওর। মূলত মেঘালয় পর্বত থেকে প্রায় ৩০টি ঝর্ণা এসে মিশেছে এই হাওরের পানিতে।
টাংগুয়ার হাওর এটি দেশের ২য় বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি হিসেবে পরিচিত। এর মোট আয়তন ৬৯১২ একর। বর্ষাকালে এর আয়তন আরও অনেক বেড়ে যায়।
টাংগুয়ার হাওরে বর্ষাকালে যাওয়াটাই সবচেয়ে উত্তম। কেননা অন্যান্য সময় এখানে পানি অনেক কম থাকে। বর্ষার রিমঝিম বৃষ্টিতে পানি পরিপূর্ন থাকে। বর্ষায় বিশাল হাওরে সাগরের মতো ঢেউ দেয়। টাংগর হাওর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন।
বাগেরহাটের দর্শনীয় স্থান
আপনারা বাগেরহাট এর কথা অনেক শুনেছেন এবং আমরা হয়তো আমাদের পাঠ্যপুস্তকেও প্রায় সবাই বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী জায়গার কথা পড়েছি।
তবে আপনি চাইলেই কিন্তু দর্শনীয় স্থান গুলো নিজ চোখে দেখে আসতে পারেন খুব সহজে।
বাগেরহাটের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ, খান জাহান আলি ( র: ) এর মাজার, চন্দ্রমহল পার্ক।
সায়েদাবাদ থেকে হানিফ, ঈগল, হামিম, দোলা, সুন্দরবন সহ বিভিন্ন বাসে করে খুব সহজেই সরাসরি খুলনা রুপসা আসতে পারেন। নন এসি বাসে ভাড়া মাত্র ২৫০টাকা নিবে। আর এসি বাসে ভাড়া ৪৫০টাকা। সেখান থেকে বাসে আসবেন বাগেরহাট। ভাড়া মাত্র ৬০টাকা নিবে।
আপনি যদি বাগেরহাট সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি দেখতে পারেন। বাগেরহাটের দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার সম্পূর্ণ ভ্রমণ গাইড।
কাপ্তাই-রাঙামাটি
সুন্দরের এক অপরূপ লীলাভূমি হলো রাঙামাটি। যেখানে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। আবার কালের পরিবর্তন হলে চোখ দিয়ে তাকালেই পাহাড়ের উপর শুভ্রতার ছোয়া।
অন্য রকম এক ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করে তখন। সেখানে পাহাড়ে উঠা, নদীতে নৌকা ভ্রমণ, সবুজের মাঝে রঙ মাতানো খেলা, মেঘের রাজ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলার মতো চোখ জুড়ানো সব স্থান। যা আপনাকে আকুল করে তুলবে। আপনি চাইলে খুব সহজে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: একটি পোষ্ট এর সাথে দুটির বেশি ছবি সাবমিট করার অনুমতি না থাকার কারণে বাকি জায়গার ছবিগুলো যোগ করতে পারেনি তার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। তবে আপনারা যদি চান তাহলে এই ওয়েবসাইট থেকে বাকি জায়গার ছবি দেখতে পারেন ধন্যবাদ। https://prokritirrazzo.com