MuradHasan
Member
২০২০ সালের ২০ শে ডিসেম্বর রাতে রওনা হলাম। সন্ধায় বাসা থেকে বের হয়ে বাস স্টান্ড এ যেতে যেতে রাত ৮ টা। সেখানে গিয়ে তো বড় ধরনের শক খেলাম। সেন্ট মার্টিন যাওয়ার জন্য টেকনাফের সব বাস সন্ধার আগে ছেড়ে চলে যায়। এখন আবার বাসায় ফেরত যেতেও মন চায় না। এই প্রথমবারের মতো দূরে কোথাও যাওয়ার অনুমতি পেলাম। তারপরে কাউন্টারের ম্যানেজারের কথা মতো কক্সবাজারের গাড়িতে উঠলাম। রাত ৪ টার দিকে কক্সবাজার লিংক রোডে নামিয়ে দিলো। সেখান থেকে বাসে করে টেকনাফ যেতে হবে। মনে মনে ভয় হচ্ছে যে আমরা পৌছানোর আগেই সেন্ট মার্টিন যাওয়ার জাহাজ না ছেড়ে যায়। মনে ভয় নিয়ে বাসে উঠে বসলাম। যাওয়ার সময় রাস্তায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প দেখলাম। রাস্তাতে আর্মি, বিজিবি আর পুলিশ চেক করলো। জাহাজ ছাড়ার আগেই আমরা পৌছে গেলাম। তারপরে জাহাজ ছাড়ার আগেই টিকিট কেটে জাহাজে উঠলাম। ৯.৩০ এর দিকে জাহাজ সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। তারপর দীর্ঘ ৪ ঘন্টার জার্নির পরে পৌছে গেলাম। জাহাজ ছাড়ার পর থেকে পুরো রাস্তা হাজার হাজার পাখির পাহারায় আর সমুদ্রের ঢেউ দেখতে দেখতে বুঝতেই পারলাম না কখন ৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলো। তারপরে রুম নিয়ে গেলাম সমুদ্রে। সেখানে মজা করার পরে তাজা সামুদ্রিক মাছ দিয়ে লাঞ্চ করলাম। বিকালে সমুদ্রের ঢেউ দেখে দেখে পার করে দিলাম। সন্ধার পরে সরাসরি যারা সমুদ্র থেকে মাছ ধরে শুটকি বানায় তাদের কাছে গিয়ে শুটকি কিনলাম। রাতে ডিনার করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে অন্ধকার থাকতে উঠে গেলাম সূর্যদয় দেখার জন্য। সূর্যদয় দেখার পর মোটরসাইকেলে করে ছেঁড়াদ্বীপ দেখার জন্য। দেখে ফিরে গোসল করে খাওয়া দাওয়া করলাম। এবার ফেরার পালা। জাহাজে করে টেকনাফে ফিরলাম তখন সূর্য অস্ত যায় যায়। সেখানে এসে রাতের খাওয়া দাওয়া করে বাসে চেপে বসলাম। সারারাত জার্নি করে সকালে ঢাকায় পৌছালাম।