What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ভ্রমন বাংলাদেশ- জিন্দা পার্ক (1 Viewer)

ছোটভাই

Super Moderator
Staff member
Super Mod
Joined
Mar 4, 2018
Threads
775
Messages
51,102
Credits
371,053
Glasses sunglasses
Sunflower
T-Shirt
Sari
Sari
Thermometer
ভ্রমন পিয়াসী আড্ডা পাগল বন্ধুদের জন্য ভ্রমন বর্ণনামুলক একটি ধারাবাহিক ভ্রমন বাংলাদেশ নিয়ে আপনাদের সাথে গল্পে মেতে উঠব। চেষ্টার ত্রুটি থাকবে না আপনাদেরকেও মাতিয়ে রাখতে।
প্রকৃতি কার না ভাল লাগে! পাষাণ হৃদয়ের মানুষও নাকি প্রকৃতির কাছে গিয়ে নিরবে কাঁদে। উত্তাল সাগর যেখানে আছড়ে পড়ছে, সেখানে যেমন চলে যাই দলবল নিয়ে ছুটোছুটি করতে ঠিক তেমনি চলে যাই মেঘ মালার উপরে খেলাঘরের মত নিচের পাহাড় গুলিকে দেখতে ওই সাজেকে। আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই রবের অপার মহিমা দেখে, কিভাবে সাজিয়েছেন প্রকৃতিকে আমাদের চোখ জুড়ানোর জন্য।
এবার বাস্তবতায় ফিরে আসি, ফিরে আসি কল্পনা থেকে বাস্তবে। অনেকেই হয়ত ভাবছেন ব্যস্ততার ঢাকায় যেখানে শুক্রবারে নিউমার্কেটে যেতেই ভয় পাই সেখানে আবার বেড়াতে! হ্যাঁ, তার মাঝেই সময় বের করতে হবে। নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য, বন্ধুদের জন্য তো অবশ্যই। এটাই জীবন। আর এই জীবনকে উপভোগ করাই জীবন। ঢাকা শহরের ব্যস্ততায় ঠাঁসা বন্ধুদের জন্য ভ্রমন বাংলাদেশের প্রথম পর্ব- জিন্দা পার্ক
 
আপনার অবস্থান যেহেতু আমি জানি না, ধরে নিলাম আপনি এয়ারপোর্ট এলাকায় আছেন। তাই এয়ারপোর্ট থেকে জিন্দা পার্ক পর্যন্ত একটা ম্যাপ নিলাম গুগল ভাইয়ের কাছ থেকে।

Map-from-Airport.jpg

এয়ারপোর্ট থেকে মাত্র কুড়ি কিলোমিটার
 
হাতে যদি সারাদিনের সময় থাকে তাহলে বন্ধু/পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত জিন্দা পার্ক থেকে। ঢাকা শহরে অনেক পার্কই আছে সময় কাটানোর জন্য। তাহলে কেন যাবেন জিন্দা পার্কে? আচ্ছা ভাবুন তো আপনি আপনার পরিবার নিয়ে যেকোন একটি পার্কে যাচ্ছেন, যে পার্কটি অশ্লীলতায় পরিপূর্ণ। নোংরামিতে ভরা। সেখানে গেলে আনন্দে মন ভরে উঠতে গিয়েও থমকে দাঁড়াবে পরিবেশের কুলষতার জন্য। নিজেকে হয়তো ক্ষনিক সময়ের জন্য অপরাধীও মনে হতে পারে। এরকম অশ্লীলতায় ভরা জায়গায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সামনে নিজেকে তখন ছোট মনে হতে পারে। যেখানে সুযোগ পেলেই স্কুল পলাতক টিন এজার থেকে নিয়ে বুড়ো বামদেরও অশালীন কার্য্যকলাপে মেতে উঠতে কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না। সেক্ষেত্রে জিন্দা পার্কে এই ধরনের কোনো অশালীন কার্য্যকলাপে বাঁধা দেয়ার যথেষ্ঠ লোকবল নিয়োজিত আছে। যারা খুব ভদ্রভাবে এই ধরনের কাজে মগ্ন লোকদের নিবৃত করার প্রয়াস পাবে। আপনি খুব সাবলীল আর নির্ভার হয়ে ঘোরাফেরা করতে পারবেন পার্কের এখানে সেখানে। চাই সেটা জঙ্গলের অভ্যন্তরে কিংবা মাঠের প্রান্তর ধরেই হউক না কেনো...

তাহলে আর দেরি কেন? ঢাকার যানজট আর কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে সারাদিনের জন্য বেরিয়ে পড়ুন আপনার পরিবার নিয়ে। খুব সকালে বেরুতে না পারলে বিদায় বেলায় একটা আক্ষেপ থেকেই যাব। যেমন আমাদের সবার আক্ষেপ থেকে গিয়েছিলো নির্জনমেলার "মিলন মেলা" শেষে। সেদিন আমরা ক'জনায় আড্ডায় এতোটাই মশগুল হয়ে গিয়েছিলাম যে, শেষ পর্যন্ত পুরোটা পার্ক ঘুরে আর দেখা হলো না। আফসোস থেকে গিয়েছিলো মনে, যার কারনে পরের সপ্তাহে আবার আমার যেতে হয়েছিলো অনিন্দ্য সুন্দর এই পার্কটিতে ঘুরে ফিরে দেখার জন্য। অবশ্য মিলন মেলার দিন আমাদের সবার একত্রিত হতেও বেশ বিলম্ব হয়ে গিয়েছিলো। আর সেই বিলম্বের অন্যতম একটা কারন ছিলো ঢাকা থেকে যারা গিয়েছিলো তাদের জ্যামে পড়া।
 
Last edited by a moderator:
"অপস-অগ্রপথিক পল্লী সমিতি"
জি, আপনি ঠিকই ধরেছেন এই পার্কটি সরকারি উদ্যোগে তৈরী হয়নি। আবার বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও নির্মাণ করেনি। পার্কটি তৈরী হয়েছে এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে। জিন্দা এলাকার ৫০০০ সদস্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে "অগ্রপথিক পল্লী সমিতি" সেই ১৯৮০ সালে। সুদীর্ঘ ৩৮ টি বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম আর ত্যাগের ফসল এই পার্ক। আজ হয়তো আর দেখা যাবে না এ রকম মহৎ উদ্দেশ্য আর এত লোকের সক্রিয় অনশগ্রহন আর ত্যাগের উদাহরন।
পার্কটিতে কয়েকটি পরিচালনা পর্ষদ রয়েছেঃ অপস ক্যাবিনেট, অপস সংসদ, অপস কমিশন ইত্যাদি। ভালো কথা এই গ্রামের নামটি কন্তু জিন্দা, সেই নামকে সাথী করেই অগ্রপথিক পল্লী সমিতি পার্কটিকে জিন্দা পার্ক নামে পরিচিটি দিয়েছেন। আর এই জিন্দা গ্রামটিকে কিন্তু আদর্শ গ্রামও বলা হয়।

জিন্দা পার্কটি নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে অবস্থিত। প্রায় ১৫০ একর জায়গা জুড়ে এর বিস্তৃতি। ২৫০ এর বেশি প্রজাতির প্রায় ১০,০০০ গাছ পার্কটির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছে। পরিবেশকে করেছে শান্ত, সবুজ আর নাম না জানা হাজারো পাখির আবাসস্থল। কলকাকলীতে মুখর করে রেখেছে পার্কের পুরো পরিবেশ। শীতল আবেশ এনেছে ৫টি সুবিশাল জলাধার। তাই গরম যতই হোক পার্কের পরিবেশ আপনাকে দেবে শান্তির ছোঁয়া।
 
প্রবেশ মুল্য - মাত্র ১০০ টাকা

একটা টিকিট দেয়া হবে আপনাকে। অবশ্যই সজতনে রাখবেন, যেকোন সময় আপনার কাছ থেকে দেখার জন্য চাওয়া হতে পারে।

লাইব্রেরীতে প্রবেশের জন্যও আপনার কাছ থেকে ১০ টাকা টিকিট নেয়া হবে। তবে ভেতরের পরিবেশ আর স্থাপত্যশৈলীর মহা সমাবেশ দেখে নেমে আসার সময় কিছু বকশিশ দিতে ইচ্ছে হবে আপনার। আসুন দেখি লাইব্রেরীর কিছু ছবি। সাথে ছাদ থেকে তোলা কিছু ছবি।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top