(আমার লেখা) বাস্তব ঘটনা থেকে বানানো গল্প>
হেলাল ঘুমের মধ্যেই অনুভব করলো কে যেন তাকে বিছানায় জড়িয়ে ধরে ঠোটে লম্বা কিস করছে
চোখ খুলে দেখে পাখি
আরে পাখি তুমি! কেউ দেখে ফেলবে তো
পাখি: না দেখবেনা দরজা লাগিয়ে এসেছি
হেলাল দরজার দিকে তাকাতেই বাইরে থেকে শনতে পেল টুকটুক আওয়াজ,
হেলালের ছোটবোন ডাকছে..ভাইয়া তাড়াতাড়ি ওঠো ৯ টা পার হয়ে গেল..
আচমকা লাফ দিয়ে বিছানায় বসে দেখে চারিদিকে কেউ নাই, দরজা আটকানো বাইরে থেকে, বোন সুমি ডাকছে
এখন বুঝলো হেলাল স্বপ্ন দেখছিল এতক্ষন
আবার বাইরে থেকে ডাক ভাইয়া..
হেলাল রেগে বলে আরে চিৎকার করছিস ক্যান? দিলিতো সাধের ঘুমটা মাটি করে
বোন: আরে বাহ ডাকলেও দোষ না ডাকলেও দোষ, ঠিকাছে আর কোনদিন ডাকব না
একথা শুনে হেলালের মনে পড়লো কালকের কথ
অনেকদিন হলো হেলাল পাখির পিছে ঘুরে বেড়ায়, পাগলের মত ভালবাসে তাকে, কিন্তু অনেকবার একথা জানানের পরেও কোন গ্রীন সিগন্যাল মেলেনি পাখির কাছ থেকে :-(
এভাবে সবসময় পাখির পিছে লেগে থাকায় বেশকিছুদিন পরে পাখি বুঝতে পারে ছেলেটি আসলেই তাকে মনেপ্রানে ভালোবাসে
বুঝতে পারে ওকে ছাড়া বাঁচবেনা পাগলাটা, আর তখনি সিদ্ধান্ত নেয় ওর ভালবাসার ডাকে সারা দিবে পাখি
এদিকে গ্রাম থেকে শহরে চলে যাবে পাখিরা তার বাবার ট্রান্সফার এর কারনে
তাই পাখি সিদ্ধান্ত নিল কালকেই তার মনের কথা জানিয়ে দিবে হেলালকে
পরদিন কলেজ থেকে ফেরার পথে দেখে হেলাল তার দিকে না তাকিয়েই হাটছে,
পিছন থেকে ডাক দেয় পাখি এই...
হেলাল পিছু ফিরে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে তার দিকে,
পাখি এগিয়ে এসে বলে কিছু কথা আছে তবে রাস্তায় তো এভাবে বলা ঠিক না তুমি কাল ভোরে শালবাগানে এসো, কালতো ছুটি তাছাড়া শালবাগান নিরব জায়গা মনখুলে মনের কথা বলব (হাসিমুখে)
আর শোন ঠিক ৯ টার মধ্যে আসবে ৯:৩০ পর্যন্ত কথা বলব ঠিকাছে? দেরি করলে কিন্তু আমার দেখা নাও পেতে পারো...সত্যি দেরি হলে দেখা হবেনা সম্ভবত, গুডবাই কাল দেখা হবে আসি,
আহাম্মকের মত দাড়িয়ে শুধু শুনছিলই হেলাল একটা জবাব ও দেয়নি, যখন পাখি আড়ালে গেছে হুশ ফিরল হেলালের,
খুশিতে নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরেছে
প্রিয়জনের মুখের কথা শুনবে সেই আনন্দে আত্মহারা
রাতে ঘুমানোর আগে ছোটবোন সুমিকে ডেকে বলে সকাল ৯ টার আগে ঘুম থেকে জাগাবি আমায়, ভোরে চেতন পাইনা আমি, বোন প্লিজ ডেকে দিস নইলে আমার বিরাট লস হয়ে যাবে :-(
সুমি: ওকে ভাইয়া
লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নামে হেলাল..ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে ৯:১০, সর্বনাশ
তারাতারি ফ্রেস হয়ে দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হয় হেলাল,
মা ডেকে বলে বাবা নাস্তা করে যা...
না মা এসে করব...
১০ মিনিটের রাস্তা শালবাগান কিন্তু হেলাল ৫ মিনিটেই যাবে এমনভাবে দৌড়াচ্ছে...
ঔদিকে পাখি অপেক্ষা করছে, আসতে বলেছে ৯ টায় কিন্তু ৯ টা ৯:৩০ পার হয়ে ৯:৪০ নাহ আর দেরি করা যাবেনা, বাবা বলেছে ১০:৩০ এর ট্রেন ধরবে শহরে যাবার জন্য,
বাড়ি থেকে স্টেশন ২০ মিনিট লাগে তাই আর এখানে দেরি চলে না,
আশেপাশে তাকিয়ে ভাবে নাহ আসবে না মনে হয় হেলাল :-(
এমন সময় বাবার ফোন...কি হলো মা কোথায় তুই এখন গাড়িতে উঠবো তাড়াতাড়ি আয়
পাখি: আসছি বাবা ৫ মিনিট...
এরকম করবে হেলাল বিশ্বাস হচ্ছেনা, যেই ছেলেটা আমার জন্য এত পাগল সেই কিনা আমার ডাকে আসবে না এটা কেমন কথা,
হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি আসে পাখির..কাধে ব্যাগ ছিলো একটা কাগজ বের করে সংক্ষেপে একটা চিঠি লেখে পাখি..
এরকম চিঠিটা
... লাভ ইউ হেলাল
জানিনা কতটুকু ভালবেসেছো আমায় কিন্তু বিশ্বাস করো মনের অজান্তে খুব বেশি ভালবেসে ফেলেছি তোমায়
যদি এখানে আসো এই নাম্বারে ফোন দিও 01735222528
দেরি করতে পারলামনা শহরে চলে যাচ্ছি, তোমার ফোনের অপেক্ষায় থাকবো...
ইতি...তোমার পাখি
চিঠিটা শালবাগানের একটা গাছের কোটরে ( বাগানে গেলেই যেখানে চোখ যায়) রেখে চলে যায় পাখি
৭ বছর পর...
হেলাল হাসপাতালের বেডে শুয়ে
সবাই ওকে ঘিরে আছে, ডাক্তার বলেছে আধঘন্টার মধ্যে ওর সৃতিশক্তি ফিরবে,
হঠাৎ লাফিয়ে ওঠে হেলাল, চারিদিকে সবাইকে দেখে বলে মা আমি এখানে ক্যান?
আমার পাখি কই?
সবাই অবাক হয়ে শুনছে, কেউ চেনেনা পাখিকে
হেলাল বেড থেকে উঠে দৌড় দেয়... বাধা দেয় সবাই কিন্তু হেলাল বলে ছাড়ো আমাকে ৫ মিনিটের মধ্যে শালবাগানে যেতে হবে আমাকে,
সবাইকে ছাড়িয়ে দৌড় দেয় হেলাল, পিছন পিছন দৌড়াচ্ছে সবাই
মা ডাকছে শোন বাবা আস্তে দৌড়া এরকম দৌড়েই ৭ বছর আগে এ্যাকসেডেন্ট হয়েছিলি...
শালবাগানে এসেছে হেলাল চারিদিক তাকিয়ে খুঁজছে প্রান পাখিকে,
ওর পিছে ছুটে আসা সবাই তামাশা দেখছে ওর
হঠাৎ চোখ যায় হেলালের গাছের কোটরে...একটা কাগজ!
আল্লাহর কি ইচ্ছা ৭ বছর আগের সেই চিঠিটা আজও আছে
চিঠিটা পড়ে চিৎকার করে বলে আমার ফোন কই? তাড়তাড়ি দাও..
সবাই ওর কাছে আসে, ছোটবোন হেলালের ফোনটা এগিয়ে দেয় তার কাছে,
এই নাও ভাইয়া তোমার ফোন..
ফোন করে হেলাল... ওপাশ থেকে.. হ্যালো কে?
হেলাল: পাখি আমি হেলাল...
পাখি: কাকে চান?
হেলাল: তুমি পাখি না? আমি পাখিকে চাই
পাখি: সরি রং নাম্বারে ফোন দিছেন
হেলাল: প্লিজ রাগ করোনা পাখি একটু দেরি হয়ে গেছে তোমার চিঠিতে নাম্বার পেয়েই ফোন দিছি, প্লিজ রাগ করোনা
পাখি: কোন হেলাল? কি আবোল তাবোল বলছেন?
হেলাল: আরে আমি রয়নাপাড়ার হেলাল যাকে তুমি শালবাগানে আসতে বলেছো
ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হইছে তাই একটু দেরিতে এসে দেখি তুমি চলে গেছো
এবার পাখি চাপা কষ্ট নিয়ে বলে..
আর কতো অভিনয় করবে? বলতেই পারতে এমনি ভালবাসার অভিনয় করতে চেয়েছিলে, খুব বিশ্বাস করে তোমার ভালবাসার ডাকে সারা দিয়ে পাগল হয়ে ভালবাসতে চেয়েছিলাম তোমায়, আর সেই তুমি ৭ বছর পর বলছো আসতে একটু দেরি হইছে..বাহ তুমি পারোও হেলাল :-(
প্লিজ হেলাল আমার স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে খুব সুখে আছি, আমাকে এভাবে আর ফোন করে বিরক্ত করবে না, আমার সাজানো সংসারে আগুন লেগে যাবে আমার স্বামী জানতে পারলে এসব কথা,
প্লিজ আর কোনদিন ফোন দিওনা এই বলেই ফোনের লাইন কেটে দেয় পাখি :-(
হেলালের শ্বাসটা যেন বন্ধ হয়ে আসছে, দু চোখে পানি, বুকের ভিতরটা ফেটে যাচ্ছে :-( সেদিনের কথা মনে পড়ছে হেলালের...১০ মিনিটের রাস্তা ৫ মিনিটে পার হতেই গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগে হেলালের আর কিছু মনে করতে পারেনা হেলাল :-(
পিছন থেকে ছোটবোন সুমি এসে হাত ধরে হেলালের, বোনকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে ডুকরে কাঁদে আর বলে বোনরে.. আমার পাখি আমার নাই, সে নাকি অন্য কাউকে নিয়ে সুখে আছে, আমাকে ছাড়াই ভাল আছে :-(
ভাল থাকুক ভালবাসা ভাল থাকুক পাখি..
হেলাল ঘুমের মধ্যেই অনুভব করলো কে যেন তাকে বিছানায় জড়িয়ে ধরে ঠোটে লম্বা কিস করছে
চোখ খুলে দেখে পাখি
আরে পাখি তুমি! কেউ দেখে ফেলবে তো
পাখি: না দেখবেনা দরজা লাগিয়ে এসেছি
হেলাল দরজার দিকে তাকাতেই বাইরে থেকে শনতে পেল টুকটুক আওয়াজ,
হেলালের ছোটবোন ডাকছে..ভাইয়া তাড়াতাড়ি ওঠো ৯ টা পার হয়ে গেল..
আচমকা লাফ দিয়ে বিছানায় বসে দেখে চারিদিকে কেউ নাই, দরজা আটকানো বাইরে থেকে, বোন সুমি ডাকছে
এখন বুঝলো হেলাল স্বপ্ন দেখছিল এতক্ষন
আবার বাইরে থেকে ডাক ভাইয়া..
হেলাল রেগে বলে আরে চিৎকার করছিস ক্যান? দিলিতো সাধের ঘুমটা মাটি করে
বোন: আরে বাহ ডাকলেও দোষ না ডাকলেও দোষ, ঠিকাছে আর কোনদিন ডাকব না
একথা শুনে হেলালের মনে পড়লো কালকের কথ
অনেকদিন হলো হেলাল পাখির পিছে ঘুরে বেড়ায়, পাগলের মত ভালবাসে তাকে, কিন্তু অনেকবার একথা জানানের পরেও কোন গ্রীন সিগন্যাল মেলেনি পাখির কাছ থেকে :-(
এভাবে সবসময় পাখির পিছে লেগে থাকায় বেশকিছুদিন পরে পাখি বুঝতে পারে ছেলেটি আসলেই তাকে মনেপ্রানে ভালোবাসে
বুঝতে পারে ওকে ছাড়া বাঁচবেনা পাগলাটা, আর তখনি সিদ্ধান্ত নেয় ওর ভালবাসার ডাকে সারা দিবে পাখি
এদিকে গ্রাম থেকে শহরে চলে যাবে পাখিরা তার বাবার ট্রান্সফার এর কারনে
তাই পাখি সিদ্ধান্ত নিল কালকেই তার মনের কথা জানিয়ে দিবে হেলালকে
পরদিন কলেজ থেকে ফেরার পথে দেখে হেলাল তার দিকে না তাকিয়েই হাটছে,
পিছন থেকে ডাক দেয় পাখি এই...
হেলাল পিছু ফিরে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে তার দিকে,
পাখি এগিয়ে এসে বলে কিছু কথা আছে তবে রাস্তায় তো এভাবে বলা ঠিক না তুমি কাল ভোরে শালবাগানে এসো, কালতো ছুটি তাছাড়া শালবাগান নিরব জায়গা মনখুলে মনের কথা বলব (হাসিমুখে)
আর শোন ঠিক ৯ টার মধ্যে আসবে ৯:৩০ পর্যন্ত কথা বলব ঠিকাছে? দেরি করলে কিন্তু আমার দেখা নাও পেতে পারো...সত্যি দেরি হলে দেখা হবেনা সম্ভবত, গুডবাই কাল দেখা হবে আসি,
আহাম্মকের মত দাড়িয়ে শুধু শুনছিলই হেলাল একটা জবাব ও দেয়নি, যখন পাখি আড়ালে গেছে হুশ ফিরল হেলালের,
খুশিতে নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরেছে
প্রিয়জনের মুখের কথা শুনবে সেই আনন্দে আত্মহারা
রাতে ঘুমানোর আগে ছোটবোন সুমিকে ডেকে বলে সকাল ৯ টার আগে ঘুম থেকে জাগাবি আমায়, ভোরে চেতন পাইনা আমি, বোন প্লিজ ডেকে দিস নইলে আমার বিরাট লস হয়ে যাবে :-(
সুমি: ওকে ভাইয়া
লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নামে হেলাল..ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে ৯:১০, সর্বনাশ
তারাতারি ফ্রেস হয়ে দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হয় হেলাল,
মা ডেকে বলে বাবা নাস্তা করে যা...
না মা এসে করব...
১০ মিনিটের রাস্তা শালবাগান কিন্তু হেলাল ৫ মিনিটেই যাবে এমনভাবে দৌড়াচ্ছে...
ঔদিকে পাখি অপেক্ষা করছে, আসতে বলেছে ৯ টায় কিন্তু ৯ টা ৯:৩০ পার হয়ে ৯:৪০ নাহ আর দেরি করা যাবেনা, বাবা বলেছে ১০:৩০ এর ট্রেন ধরবে শহরে যাবার জন্য,
বাড়ি থেকে স্টেশন ২০ মিনিট লাগে তাই আর এখানে দেরি চলে না,
আশেপাশে তাকিয়ে ভাবে নাহ আসবে না মনে হয় হেলাল :-(
এমন সময় বাবার ফোন...কি হলো মা কোথায় তুই এখন গাড়িতে উঠবো তাড়াতাড়ি আয়
পাখি: আসছি বাবা ৫ মিনিট...
এরকম করবে হেলাল বিশ্বাস হচ্ছেনা, যেই ছেলেটা আমার জন্য এত পাগল সেই কিনা আমার ডাকে আসবে না এটা কেমন কথা,
হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি আসে পাখির..কাধে ব্যাগ ছিলো একটা কাগজ বের করে সংক্ষেপে একটা চিঠি লেখে পাখি..
এরকম চিঠিটা
... লাভ ইউ হেলাল
জানিনা কতটুকু ভালবেসেছো আমায় কিন্তু বিশ্বাস করো মনের অজান্তে খুব বেশি ভালবেসে ফেলেছি তোমায়
যদি এখানে আসো এই নাম্বারে ফোন দিও 01735222528
দেরি করতে পারলামনা শহরে চলে যাচ্ছি, তোমার ফোনের অপেক্ষায় থাকবো...
ইতি...তোমার পাখি
চিঠিটা শালবাগানের একটা গাছের কোটরে ( বাগানে গেলেই যেখানে চোখ যায়) রেখে চলে যায় পাখি
৭ বছর পর...
হেলাল হাসপাতালের বেডে শুয়ে
সবাই ওকে ঘিরে আছে, ডাক্তার বলেছে আধঘন্টার মধ্যে ওর সৃতিশক্তি ফিরবে,
হঠাৎ লাফিয়ে ওঠে হেলাল, চারিদিকে সবাইকে দেখে বলে মা আমি এখানে ক্যান?
আমার পাখি কই?
সবাই অবাক হয়ে শুনছে, কেউ চেনেনা পাখিকে
হেলাল বেড থেকে উঠে দৌড় দেয়... বাধা দেয় সবাই কিন্তু হেলাল বলে ছাড়ো আমাকে ৫ মিনিটের মধ্যে শালবাগানে যেতে হবে আমাকে,
সবাইকে ছাড়িয়ে দৌড় দেয় হেলাল, পিছন পিছন দৌড়াচ্ছে সবাই
মা ডাকছে শোন বাবা আস্তে দৌড়া এরকম দৌড়েই ৭ বছর আগে এ্যাকসেডেন্ট হয়েছিলি...
শালবাগানে এসেছে হেলাল চারিদিক তাকিয়ে খুঁজছে প্রান পাখিকে,
ওর পিছে ছুটে আসা সবাই তামাশা দেখছে ওর
হঠাৎ চোখ যায় হেলালের গাছের কোটরে...একটা কাগজ!
আল্লাহর কি ইচ্ছা ৭ বছর আগের সেই চিঠিটা আজও আছে
চিঠিটা পড়ে চিৎকার করে বলে আমার ফোন কই? তাড়তাড়ি দাও..
সবাই ওর কাছে আসে, ছোটবোন হেলালের ফোনটা এগিয়ে দেয় তার কাছে,
এই নাও ভাইয়া তোমার ফোন..
ফোন করে হেলাল... ওপাশ থেকে.. হ্যালো কে?
হেলাল: পাখি আমি হেলাল...
পাখি: কাকে চান?
হেলাল: তুমি পাখি না? আমি পাখিকে চাই
পাখি: সরি রং নাম্বারে ফোন দিছেন
হেলাল: প্লিজ রাগ করোনা পাখি একটু দেরি হয়ে গেছে তোমার চিঠিতে নাম্বার পেয়েই ফোন দিছি, প্লিজ রাগ করোনা
পাখি: কোন হেলাল? কি আবোল তাবোল বলছেন?
হেলাল: আরে আমি রয়নাপাড়ার হেলাল যাকে তুমি শালবাগানে আসতে বলেছো
ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হইছে তাই একটু দেরিতে এসে দেখি তুমি চলে গেছো
এবার পাখি চাপা কষ্ট নিয়ে বলে..
আর কতো অভিনয় করবে? বলতেই পারতে এমনি ভালবাসার অভিনয় করতে চেয়েছিলে, খুব বিশ্বাস করে তোমার ভালবাসার ডাকে সারা দিয়ে পাগল হয়ে ভালবাসতে চেয়েছিলাম তোমায়, আর সেই তুমি ৭ বছর পর বলছো আসতে একটু দেরি হইছে..বাহ তুমি পারোও হেলাল :-(
প্লিজ হেলাল আমার স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে খুব সুখে আছি, আমাকে এভাবে আর ফোন করে বিরক্ত করবে না, আমার সাজানো সংসারে আগুন লেগে যাবে আমার স্বামী জানতে পারলে এসব কথা,
প্লিজ আর কোনদিন ফোন দিওনা এই বলেই ফোনের লাইন কেটে দেয় পাখি :-(
হেলালের শ্বাসটা যেন বন্ধ হয়ে আসছে, দু চোখে পানি, বুকের ভিতরটা ফেটে যাচ্ছে :-( সেদিনের কথা মনে পড়ছে হেলালের...১০ মিনিটের রাস্তা ৫ মিনিটে পার হতেই গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগে হেলালের আর কিছু মনে করতে পারেনা হেলাল :-(
পিছন থেকে ছোটবোন সুমি এসে হাত ধরে হেলালের, বোনকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে ডুকরে কাঁদে আর বলে বোনরে.. আমার পাখি আমার নাই, সে নাকি অন্য কাউকে নিয়ে সুখে আছে, আমাকে ছাড়াই ভাল আছে :-(
ভাল থাকুক ভালবাসা ভাল থাকুক পাখি..