What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

  • Do not start any thread requesting personal invitations for chat, friendship etc. Nirjonmela is not a pimping board. Do not post any personal information like email ID, phone number etc in the board. If you do so, it might result in a lot of spam flooding your inbox, for which Nirjonmela will not be responsible. While using Nirjonmela, you are required to abide board's rules and guidelines. Please read the forum rules, Users who violate forum rules will be banned.

বাস্তবে ইন্সেস্ট বা অজাচার (1 Viewer)

jeet roi

Member
Joined
Sep 29, 2018
Threads
4
Messages
247
Credits
1,896
নির্জন মেলার কয়কটি থ্রেডে ইন্সেস্ট নিয়ে বেশ সরব আলোচনা দেখার পর থেকেই এব্যাপারে কিছু লেখার ইচ্ছে হচ্ছিল আমার। বিভিন্ন জন বিভিন্ন মন্তব্য, অভিমত প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইন্সেস্ট সংশ্লিষ্ট বিষয়কে অপছন্দ করেন বা এড়িয়ে চলেন, আবার অনেকের কাছে ইন্সেস্ট একটা ইন্টারেস্টিং বিষয়। ইন্সেস্ট যাদেরকে প্রলুব্ধ করে তাদের উদ্দেশ্যেই আমার এই লেখা।

ইন্সেস্ট তথা অজাচারে লিপ্ত ব্যাক্তিদ্বয়ের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এটা কয়েক ধরনের হতে পারে। যেমন শ্বাশুড়ি-জামাই অজাচার, শ্বশুর-পুত্রবধু অজাচার, মাসি-বোনপো, কাকা-ভাইঝি, ভাই-বোন, বাবা-মেয়ে, মা-ছেলে অজাচার ইত্যাদি। মা-ছেলে ছাড়া অন্যান্য সব ধরনের অজাচার বাস্তবে ঘটে থাকে- এই ব্যাপারে প্রায় সবাই একমত। বাস্তবে মা-ছেলে অজাচার ঘটে কিনা এই ব্যাপারে অনেকের প্রশ্ন, সন্দেহ আছে এমনকি অনেকের কাছে এটা অসম্ভব, অবাস্তব ব্যাপার। এর কারণ হল, আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশের সব সমাজেই অধিকাংশ মানুষ হচ্ছেন ধার্মিক, রক্ষণশীল। ফলে এই পরিমন্ডলের মানুষদের কাছে মা-ছেলে অজাচার একটা অবাস্তব, অসম্ভব, অকল্পনীয় বিষয় এবং এটাই স্বাভাবিক। তবে পৃথিবীতে অনেক ধরনের মানুষ আছে যাদের আচার-আচরন, রুচি, মূল্যবোধ ভিন্ন ভিন্ন। আমাদের কাছে যেটা অকল্পনীয় ওদের কাছে সেটা স্বাভাবিক। পৃথিবীতে এই সম্পর্ক অর্থাৎ মা-ছেলে অজাচার যে অবাস্তব নয় তার কিছু তথ্য-প্রমাণ আমি ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করছি।

১। প্রাচীন আরব সমাজে বাবার মৃত্যুর পর ছেলে নিজের বিধবা মাকে বিয়ে করত এবং অন্যান্য স্ত্রি-দাসিদের সাথেও যৌনমিলন করত। এমনকি তিন-চারশ বছর আগে ইউরোপীয় সমাজেও এই প্রথা প্রচলিত ছিল।

২। কিছু প্রাচীন ভারতবর্ষের ঐতিহাসিকগণের গ্রন্থে প্রমাণ পাওয়া যায় যে এই অঞ্চলেও মা-ছেলে অজাচারের প্রচলন ছিল।

৩। National Geographic চ্যানেলে Taboo নামে একটা ডকুমেন্টারি সিরিজ দেখায়। সেখান ত্থেকে জানা যায় যে এখনো কিছু কিছু গোত্র, উপজাতি আছে যাদের সাথে সভ্য সমাজের যোগাযোগ নেই। তাদের মধ্যেও মা-ছেলে অজাচারের প্রচলন আছে।

৪। এবার আসি বর্তমান সভ্য সমাজের কথায়। আগেই বলেছি, এই উপমহাদেশের মানুষগন হয়ত অজাচারে জড়ায় না অথবা কোনভাবে জড়িয়ে গেলেও সমাজ, লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলে না। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে ঠিকই মা-ছেলে অজাচার ঘটে চলেছে এবং কেউ কেউ এটা প্রকাশও করে। প্রথম সারির ন্যাশনাল মিডিয়াগুলো সাধারণত এইধরনের খবর প্রকাশ না করলেও কিছু অনলাইন মিডিয়া, নিউজ পোর্টাল এই খবর ঠিকই প্রকাশ করে। বাস্তবে মা-ছেলে ইন্সেস্ট ঘটনার কয়েকটা দৃষ্টান্ত আমি নিচে দিচ্ছি।




চলবে...
 
Monica Mares(37) and Caleb Peterson(20)


ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ-

নিউ মেক্সিকোর বাসিন্দা মনিকা মেয়ারস ১৬ বছর বয়সে তার প্রথম ছেলে ক্যালেব পিটারসনকে জন্ম দেন। জন্মের পর ছেলেকে টেক্সাসে এক পরিবারের কাছে দত্তক দিয়ে আসেন। পরবর্তিতে ফেসবুকের মাধ্যমে মা-ছেলের যোগাযোগ হয় এবং ১৮ বছর পর পরস্পর সাক্ষাত করেন। মনিকা মেয়ারস বলেন "যখন প্রথমবার আমি একান্তে আমার ছেলের সাথে দেখা করি তখন আমি অত্যান্ত খুশি এবং এক্সাইটেড ছিলাম, আমার পেটের মধ্যে যেন প্রজাপতি উড়ছিল। আমি ওকে অনেকক্ষন যাবত আলিঙ্গন করলাম। সেও আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল এবং কাঁদছিল। এরপর সে আমার সাথে থাকার জন্য আমার বাড়িতে চলে এল এবং আমরা উভয়ে মা-ছেলে হিসেবে সুখে ছিলাম।"

মেয়ারস আরও বলেন যে প্রথমে তাদের মধ্যে কিছুই হয়নি কিন্তু পরে তার মধ্যে নিজের ছেলের প্রতি crazy feelings আরম্ভ হতে থাকে। এটা ছিল অন্যরকম অনুভূতি। তিনি বলেন "মনে হচ্ছিল যেন আমার জীবনে নতুন্ কারো সাথে সাক্ষাত হয়েছে এবং আমি তার প্রেমে পড়েছি।" মেয়ারস বলে চলেন "প্রথমে আমি ছেলেকে বলি, আমি দুঃখিত। জানিনা তোমার এতে কেমন প্রতিক্রিয়া হবে। আমি তোমার মা এবং তুমি আমার ছেলে, কিন্তু আমি তোমার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি। তখন সে বলল, তুমি জানো আমারও একই অবস্থা! তবে আমি তোমাকে জানাতে ভয় পাচ্ছিলাম। অর্থাৎ সে তার মা'র প্রেমে পড়েছে আর আমিও আমার ছেলের প্রেমে পড়েছি।"

"আমরা এটা নিয়ে কথা বলতাম। আমি ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি তোমার মা'র সাথে ডেটিং'এ যাবে? সে জানতে চাইল, তুমি কি তোমার ছেলের সাথে ডেটিং'এ যাবে? আমি বললাম, সত্যি বলছি আমি যেতে চাই।" মেয়ারস বলেন যে বিগত ১৯ বছরে পিটারসন হচ্ছে তার জীবনের সেরা জিনিস এবং বাকি জীবন তার সাথেই কাটাতে চায়।

মনিকা মেয়ারস(৩৭) এবং পিটারসন(২০) নিজেদের এই সম্পর্ককে অন্য সকলের কাছ থেকে গোপন রেখে বসবাস করছিল, সাথে মেয়ারসের অন্য দুই সন্তানও ছিল এবং ছোট সন্তানটা পিটারসনকে 'বাবা' বলে ডাকত। অবশেষে প্রতিবেশিরা ব্যাপারটা টের পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তে মা, ছেলে উভয়কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পরে মেয়ারস বলেন "তারা যদি আমাকে ভালবাসার জন্য আটকে রাখে, রাখতে পারে। তবে কেউ আমাদের আলাদা করতে পারে এমন কোনও উপায় নেই এবং আমি সত্যই তাকে ভালবাসি।”


বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে গিয়ে দেখতে পারেন-





চলবে...
 
Melissa Kitchens(44) and Shaun Pfeiffer(25)


ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ-

দক্ষিন ক্যারোলিনার বাসিন্দা ৪৪ বছর বয়সী এক মহিলাকে নিজের ২৫ বছর বয়সী ছেলের সাথে যৌন সম্পর্কের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। মহিলার নাম মেলিসা কিচেন এবং তার ছেলের নাম শন পাইফার। ছেলেটি বিবাহিত এবং তার স্ত্রীর নাম শ্যানন রোমান। Buncombe County 'এর একজন মুখাপত্র বলেন, মা ও ছেলেকে felony charges of incest 'এর ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। মেলিসাকে ৭ সেপ্টেম্বার ২০১৬ তারিখে এবং তার ছেলেকে একদিন পর অয়েভারভিল থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের নথিপত্র অনুযায়ী অগাস্টে(২০১৬) মা-ছেলের দৈহিক মিলন ঘটে। সেই সময় লন্ডন ভিত্তিক Daily Star Online একটা প্রতিবেদন করে "A mother and son who wore their incest label with pride"।

শন ফেসবুকে নিজের ও তার মা'র কয়েকটি ছবি পোষ্ট করে। শনের একটা ছবির কমেন্টে তার মা মেলিসা লেখেন "আমি বলে বোঝাতে পারব না, তুমি কতটা হ্যান্ডসাম!"

শন এবং মেলিসাকে গ্রেফতারের পর ১০ অগাস্ট ২০১৬ তারিখে শনের স্ত্রী ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেন "যখন আপনি প্রকৃতভাবেই কারো প্রতি যত্নবান হবেন, তখন তাদের ভুলগুলি কখনই আপনার অনুভূতিগুলিকে পরিবর্তন করবে না। কারণ মনটি ক্রুদ্ধ হলেও হৃদয়টা তখনো তাদের প্রতি যত্নবান থাকে।"



বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে গিয়ে দেখতে পারেন-


Mum, 44, and son, 25, arrested for 'having sex with each other' (Canada Square, Canary Wharf, London E14 5AP)



চলবে...
 
সুন্দর ছিল এগিয়ে জান এভাবেই র আরো এমন পোস্ট করেন যা থেকে অজাচার বিষয়ে জানতে পারি এবং বোঝতে পারি ভাই
 
Sandra Clarke(37) and Dale Creasey(21)


ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ-

সান্ড্রা ক্লার্ক(৩৭) ও ডেইল ক্রিসে(২১) নামে এক মা-ছেলে জুটি একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পরিণয়ে আবদ্ধ হন এবং পরে incest'র অভিযোগে সান্ড্রাকে কারাগারে যেতে হয়। সান্ড্রা যখন নিঃসঙ্গ কারাগারে নিজের ছেলের বিরহে কাতর, সেই সময় ডেইল নতুন প্রেমিকাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। সে যখন আত্মগোপন করেছিল তখন সান্ড্রা ছেলের উপর ভীষণ ক্ষুব্ধ হন।

কারাবাসের পর কৃষ্ণকেশের অধিকারী আকর্ষণীয় এই মহিলা যে ইংল্যান্ডের লিংকনের অধিবাসি, বলেন "ও (ডেইল) একটা ইদুর। আমি ছেলেটার জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করেছি কারণ আমি তাকে ভালবেসেছিলাম। এখন আর আমার মধ্যে তার জন্য কিছুই অবশিষ্ট নেই।"

ডেইল এবং সান্ড্রা ১৯৮৭ সালে বিশ্বময় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল যখন incest'র কারণে গ্রেফতার হবে জেনেও তারা পরস্পর থেকে আলাদা হতে অস্বিকৃতি জানিয়েছিল। ১৯৮৭ সালের ১০ মার্চ যখন তারা বিয়ের শপথ নিল যে তারা চিরকাল একে অপরকে ভালবাসবে তখন এটা ছিল একটা বিশেষ নিউজ ইস্যু।

ডেইল তার আংকল-আন্টির কাছে দত্তক হিসেবে ছিল। যখন সে নিজের প্রকৃত মা'র খোঁজে যায় এবং সান্ড্রার সাক্ষাত পায়, তৎক্ষণাৎ সে তার মা'র প্রেমে পড়ে যায়। ডেইল যার মা তাকে টিনেজার বয়সে ছেড়ে গিয়েছিল বলে "আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। সে(সান্ড্রা) এত ইয়ং আর এত আকর্ষণীয়! আমি নিজেকেই বলছিলাম যে এটা হতে পারে না।" সে আরও বলে "আমি তার প্রতি খুব আকর্ষন বোধ করছিলাম। পরে আমি নিজেকেই বলছিলাম- তোমার এমন চিন্তা করা উচিত না, এটা অন্যায়, সে তোমার মা।"

তবে শেষ পর্যন্ত ডেইল নিজের মা'র প্রেমে হাবুডুবু খেতে লাগল। প্রতিবেশিরা তাদের অজাচারের বিষয়ে সন্দেহ করত এবং শেষ পর্যন্ত তাদের সেই সন্দেহ সঠিক হয় যখন মা-ছেলে জুটি নিজেদের ঘরোয়া বিয়েতে কিছু বন্ধু বান্ধব কে নিমন্ত্রণ করে। স্থানীয় এক ধর্মযাজক খুব অনিচ্ছার সাথে এই বিয়েটি মঞ্জুর করেছিলেন।

যখন এই ঘটনা পুলিশের কানে যায় এবং কর্মকর্তাগন তদন্ত করে এর সত্যতা পায় তখন সান্ড্রাকে গ্রেফতার করা হয়। এই অজাচারি মা যতদিন কারাগারে ছিল কেবল নিজের ছেলেকেই আকাঙ্ক্ষা করত। কিন্তু সে যখন কারাগার থেকে মুক্তি পেল ততদিনে ডেইলের সেই মোহ নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল এবং নির্মম যুবকটি নিজের বধুকে ছুড়ে ফেলেছে। ছেলের উপর চরম ক্ষুব্ধ সান্ড্রা বলেন যে সে সেই প্রিচারের সাথে যোগাযোগ করবে যে তাদের বিয়েটা মঞ্জুর করেছিল এবং তার কাছে ডিভোর্স অনুমোদনের আবেদন করবে।


বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে গিয়ে দেখতে পারেন-




চলবে...
 
দেশীয় কিছু কাহানী নেই এমন?

আগেই বলেছি এই উপমহাদেশের মানুষগন হয়ত অজাচারে জড়ায় না অথবা কোনভাবে জড়িয়ে গেলেও সমাজ, লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলে না। তাছাড়া, দেশীয় নিউজ পোর্টাল এই খবর কখনো প্রকাশ করবে না। কারণ সেক্ষেত্রে আমাদের সমাজে সেটা তেমন বিশ্বাসযোগ্য হবে না।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top