What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Other বাংলাদেশের সেরা ১০ চলচ্চিত্র (1 Viewer)

odbut himu

Member
Joined
Dec 31, 2022
Threads
12
Messages
120
Credits
1,764
বাংলা সিনেমার রয়েছে প্রাচীন ও গৌরবময় ইতিহাস। ১৯২৭ সালে ঢাকার নবাব পরিবারের তরুণদের মাধ্যমে নির্বাক ছবির যাত্রা হলেও ১৯৫৭ সালে আবদুল জব্বার খানের পরিচালনায় 'মুখ ও মুখোশ' নামে প্রথম সবাক সিনেমা নতুন ইতিহাস রচনা করে। তারপর আর এ অগ্রযাত্রা থেমে থাকেনি। সময়ের আবর্তনে বাংলা সিনেমার মুকুটে যুক্ত হয়েছে অসংখ্য সোনালি পালক। আর সেসব সোনালি পালক থেকে সেরা ১০ খুঁজে বের করে আনা খড়ের গাদায় সুই খোঁজার মতোই, তবু চেষ্টা করতে ক্ষতি কী!
 
১. জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০), পরিচালক : জহির রায়হান



জহির রায়হান তৎকালীন সময়ে বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনকে অসাধারণ রূপকতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটি জহির রায়হান সরাসরি একুশের প্রভাতফেরি থেকে ধারণ করেন। 'আমার সোনার বাংলা' গানটি প্রথমবারের মতো কোনো ছবিতে দেখানো হয়, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
 
২. সীমানা পেরিয়ে (১৯৭৭), পরিচালক : আলমগীর কবির



ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এক তরুণ আর ধনীর দুলালী তরুণী ভাসতে ভাসতে এসে পৌঁছায় জনমানবহীন এক দ্বীপে। সেখানে শুরু হয় তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। একপর্যায়ে দুজন-দুজনের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়, তারপর কাহিনি নেয় নতুন মোড়।
 
৩. ছুটির ঘণ্টা (১৯৮০), পরিচালক : আজিজুর রহমান




এই ছবিটি একটি সত্য ঘটনার ওপর নির্মিত। ঈদের ছুটি ঘোষণার দিন সবার অলক্ষ্যে স্কুলের বাথরুমে আটকা পড়ে ১২ বছরের এক ছাত্র। আটক থেকে মুক্তি পাওয়ার আকুতি, অমানবিক কষ্টের স্বরূপ পরিচালক তার দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন।
 
৪. তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩), পরিচালক : ঋত্বিক ঘটক




ছবিটি অদ্বৈত মল্লবর্মনের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। তিতাস নদী ও নদী পাড়ের মানুষের জীবনচিত্র ওঠে এসেছে এ ছবিতে। ছবিটি ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জরিপে দর্শক ও সমালোচক দুই শ্রেণিতেই প্রথম স্থান অধিকার করে।
 
৫. চিত্রা নদীর পাড়ে (১৯৯৯), পরিচালক : তানভীর মোকাম্মেল



১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময়কে কেন্দ্র করে এ ছবি নির্মাণ করেছেন তানভীর মোকাম্মেল। ধর্মের পরিচয়ে বিভক্ত বিপুল মানুষের দেশবদল, আবেগ, আশা ও অনিশ্চয়তাকে পরিচালক অসাধারণ শৈল্পিকতায় বন্দি করেছেন।
 
৬. নবাব সিরাজউদ্দৌলা (১৯৬৭), পরিচালক : খান আতাউর রহমান




বাংলার দুইশ বছরের পরাধীনতার শুরুর চিত্র এটি। পলাশীর প্রান্তরে মীরজাফরের কূটচালে বাংলা-বিহার-ওড়িশার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হন। সেই সঙ্গে বাঙালির সৌভাগ্যের সূর্যও অস্তমিত হয়। সেই ঘটনাই আনোয়ার হোসেন দক্ষ অভিনয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন; যার প্রতিটি সংলাপ আজও মানুষের মুখে মুখে।
 
৭. বেদের মেয়ে জোসনা (১৯৮৯), পরিচালক : তোজাম্মেল হক বকুল




বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম সফল ছবি এটি। ধনী-গরিবের ভালোবাসাই ছবিটির উপজীব্য। ছবিটির প্রতিটি গান আজও মানুষকে আলোড়িত করে। চলচ্চিত্রটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও পুনর্নির্মাণ করে মুক্তি দেওয়া হয়।
 
৮. সাত ভাই চম্পা (১৯৬৮), পরিচালক : দীলিপ সোম




সাত ভাই চম্পা মূলত বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি রূপকথার গল্প। গল্পটি প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হয়েছিল ১৯০৭ সালে ঠাকুরমার ঝুলি নামক রূপকথার বইতে; যা দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার রচনা করেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বইয়ের ভূমিকা লিখেছিলেন। সাত ভাই চম্পার গল্পকে উপজীব্য করে বেশ কয়েকটি বাংলা সিনেমা নির্মিত হয়েছিল। সাত ভাই চম্পা চলচ্চিত্রটি ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে সর্বকালের সেরা দশটি বাংলা চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি হিসেবে স্থান পেয়েছে।
 
৯. রুপালি সৈকতে (১৯৭৯), পরিচালক : আলমগীর কবির


ছবিটির মূল উপজীব্য হচ্ছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ পরিচালক অসীম সাহসিকতায় ফিতায়বন্দি করেছেন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top