কিছুদিন আগেই নীল মুকুট ছবিটির মুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কামার আহমাদ সাইমন। উদ্বেগের অবসান হলো, আসছে আগস্টে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে ডকুফিকশন ফিল্মটি।
‘নীল মুকুট’ গত বছরই মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। সে সময় সাইমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কোনো আন্তর্জাতিক উৎসবে নয়, এ চলচ্চিত্র সবার আগে দেখবেন বাংলাদেশের দর্শক। কিন্তু করোনার কারণে দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থগিত হয়ে যায় ছবির মুক্তি। তারপর থেকেই চলচ্চিত্রটি মুক্তির নতুন মাধ্যম নিয়ে ভাবছিলেন এই নির্মাতা।
কামার আহমাদ সাইমন, সংগৃহীত
কিছুদিন আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘কোভিডের যে অবস্থা, এর মধ্যে কীভাবে কোথায় ছবি মুক্তি দেব, জানি না। প্রতিবার ছবি মুক্তির আগে এই যন্ত্রণা শুরু হয়। এই ব্যথা কাউকে বলে বোঝানো যাবে না।’ অবশেষে সেই যন্ত্রণার লাঘব হলো। কামার আহমাদ সাইমনও তাঁর প্রতিশ্রুতিটি রাখলেন।
কোনো উৎসবে নয়, সবার আগে বাংলাদেশের দর্শকই দেখতে পারবে নীল মুকুট। এই ডকুফিকশন ফিল্মের ডিজিটাল প্রচারস্বত্ব নিয়েছে চরকি।
নীল মুকুট নিয়ে কামার আহমাদ সাইমন বলেন, ‘নীল যদি ব্যথার রং হয় আর মুকুট যদি হয় ক্ষমতার পরিচয়, নীল মুকুট সেই অর্থে অন্য রকম একটা ছবি। প্লেনে একবার এক দূরদেশ যাত্রায় একটা কান্না শুনে মন খুব খারাপ হয়েছিল, কান্নাটা খুব ভাবিয়েছিল। সেই ভাবনার মুহূর্তটাকে ফ্রেমে আনার চেষ্টাই নীল মুকুট। এখানে কোনো বিরাট ঘটনা নেই। শুনতে কি পাও!-এ যেমন দর্শকের জন্য একটা আখ্যান আছে, এখানে সেটাও নেই। তবু এ ছবি বানাতে প্রায় অর্ধেক পৃথিবী দূরের একটা দেশে যেতে হয়েছিল।’
নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন। ছবি: ফেসবুক থেকে
উদ্বোধনের আগেই একের পর এক নতুন কনটেন্টের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে চরকি। ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদুল আজহা সামনে রেখে তারা যাত্রা শুরু করবে। আর এমন মুহূর্তেই চরকি থেকে এল নীল মুকুট মুক্তির ঘোষণা। ছবিটি নিয়ে চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও নির্মাতা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘নীল মুকুট-এর মুক্তির জটিলতা নিরসনে চরকি এগিয়ে এসেছে। আগামী দিনে ডিজিটাল মাধ্যমে চলচ্চিত্র মুক্তির এই অগ্রযাত্রায় আমরা নির্মাতা আর দর্শকের সেতুবন্ধ হিসেবে চরকিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’
কামার আহমেদ সাইমন
ছবি মুক্তির মাধ্যম হিসেবে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন নির্মাতা। কামার বলেন, ‘ছবি মুক্তি দেওয়ার জন্য তো এখন বিশ্বব্যাপী অনেক প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু চরকির প্রতি আমার দুর্বলতা আছে দুটি কারণে। একটি হলো চরকি যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসছে, তা আমাদের খুব অনুপ্রাণিত করেছে, আশা জাগাচ্ছে। আর দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে চরকির সঙ্গে যে মানুষগুলো আছে, তাদের আমি যতটুকু চিনি, তা থেকে বলতে পারি, বাংলাদেশের সিনেজগতের চিত্র পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই প্ল্যাটফর্ম।’