ভরদুপুরে কিংবা মাঝসকালে, ঘুম না এলে গভীর রাতে বা অবসরে বই হতে পারে আদর্শ সঙ্গী। নিশ্চুপে সঙ্গ দিয়ে যাবে, নিয়ে যাবে এক দেশ থাকে আরেক দেশে। জানিয়ে দেবে না জানা নানা গল্প। পাতা ওলটানোর শব্দে জড়িয়ে থাকে মায়া। যাঁরা বই ভালোবাসেন, তাঁরা নতুন বা পুরোনো পৃষ্ঠার গন্ধে মোহিত থাকেন। ডিজিটাল যুগেও বই আছে এবং থাকবে। পর্দার ভেতরে ফুটে ওঠা লেখাপড়ায় আরাম না হাতে নিয়ে বই পড়ার অনুভূতিটাই অন্য রকম—এ নিয়ে তর্ক আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। শক্ত মলাট বা পেপারব্যাকের বইগুলো পড়া ও সংরক্ষণ করার সময় প্রয়োজন সতর্কতা।
বই পড়ার সময় হাতে ধরতে হবে এমন উচ্চতায়, তা যেন থাকে চোখ বরাবর। ঝুঁকে পড়তে গেলে চোখ ও কাঁধ দুই জায়গা থেকেই একটু পর নালিশ আসা শুরু করবে। জানালেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির বিভাগীয় প্রধান গ্রন্থাগার বিভাগের রেজিনা আক্তার। বই পড়ার আগে হাত ধুয়ে নেওয়া ভালো। এতে আপনার হাতের ময়লা পৃষ্ঠায় লেগে যাবে না। একইভাবে গ্রন্থাগারে বই সংরক্ষণের জন্য প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। বই পড়ার পর হাত ধোয়াটাও এ কারণে জরুরি। পাতা ওলটানোর সময় থুতু ব্যবহার না করার পরামর্শ দিলেন রেজিনা আক্তার। স্পঞ্জ ভিজিয়ে সেখানে আঙুল ভিজিয়ে নিন। বইয়ের ভেতর শক্ত বুকমার্ক ব্যবহার করলেও সেটা অল্প সময়ের জন্য। পাতলা ফিতা নির্দেশক হিসেবে বছরের পর বছর ব্যবহার করা যাবে।
মোটা বই ধরার নিয়ম
১. মোটা বইটি আগে টেবিলে রাখুন
২. এবার মাঝবরাবর বইটি খুলুন।
৩. এবার সামনের থেকে কিছুটা অংশ নিয়ে এভাবে ভাগ করুন।
৪. পেছন থেকেও কিছুটা অংশ এভাবে আলাদা করুন।
৫. এবার কাঙ্ক্ষিত পৃষ্ঠায় চলে যান। মোটা বই এভাবে খুললে মলাটে ভাঁজ পড়বে না।
আরাম করে পড়ার সময়
আরাম করে পড়ার সময় কোলের ওপর বালিশ নিয়ে নিন। এতে বাড়তি চাপ পড়বে না। বইয়ের পেছনে আঙুল রাখুন।
পেপারব্যাকে...
পেপারব্যাক বই পড়ার সময়ও পেছনে আঙুল দিয়ে রাখুন।
ম্যাগাজিনের ক্ষেত্রে
ম্যাগাজিন পড়ার সময় এভাবে গোল করে মুড়ে পড়ুন।
[FA]pen[/FA] লেখক: রয়া মুনতাসীর, ঢাকা