What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বাবা বলে ডাকবি না (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,615
Messages
121,990
Credits
324,673
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
বাবা বলে ডাকবি না

লকডাউনের পর হঠাত করেই স্কুল খুলে পরীক্ষার ঘোষনা দেয়াতে বিপাকে পড়ে গিয়েছিলো দীপু। সে কথা তো আপনাদের কাছে আগেই বলেছিলাম। বলেছিলাম দীপুর পরীক্ষার ফলাফলের কথাও। বলতে মনে ছিলো না পরীক্ষার আগে দীপুর বাবার সাথে দীপুর কি কথা হয়েছিলো...
হঠাত করেই পরীক্ষার ঘোষনা দেয়াতে দীপুর মাথায় যখন বিনা মেঘে বজ্রপাত হলো তখন দীপু তার বাবার সামনেই ছিলো। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়েই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন লকডাউনের পুরোটা সময়ই ছেলে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে খেলা আর আড্ডায় মেতে থাকার কারনে পড়া-লেখা কিছুই করেনি। যার কারনে পরীক্ষার কথা উঠতেই ছেলের মুখের এই দশা হয়েছে। চোয়াল ঝুলে একেবারে বাংলা পাঁচয়ের মতো হয়ে যাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে দীপুর বাবা সাফ ঘোষনা করে দিলেন, "যদি এবার পরীক্ষায় পাশ করতে না পারিস তবে আমাকে আর বাবা বলে ডাকবি না !"
মাত্র তিন বিষয়ে পরীক্ষা দেয়ার পর যেদিন হেড স্যার পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা করলেন সেদিনই রাতে দীপুর বাবা দীপুকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন-
বাবাঃ কিরে,পরীক্ষার ফল নাকি আজ প্রকাশ হয়েছে ? তোর ফল কেমন হলো ?
দীপুঃ আমি খুবই দুঃখিত, রফিক সাহেব...
 
হয়েছে বেশ তবে কি এখানেই শেষ না আরও আসবে
 
এরপর চরম ক্যালানি আসবে।

বেড়ে বলেছেন, মামা।
এরপর ক্যালানীই আসার কথা...
রিপ্লাইয়ের জন্য অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 

পার্থক্য আর ফাইরতক্ক

দীপুদের ক্লাসে নতুন ইংরেজীর শিক্ষক জয়েন করেছেন। নাম নুরুল হাসান। ছাত্ররা ইতিমধ্যেই স্যারকে হাসান স্যার হিসাবে ডাকতে শুরু করেছে। স্যারের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। এতো শিক্ষিত হবার পরও স্যার আঞ্চলিকতা ভুলতে পারেননি। ওনি বেশীরভাগ সময়ই ওনার নিজের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন। এমনকি ছাত্রদের পড়ানোর সময়ও ওনি সেই নোয়াখালীর ভাষাতেই কথা বলেন। স্যারের এই আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা নিয়ে দীপুর বন্ধুদের মধ্যে বেশ হাসাহাসি হয়। মনি, যুবরাজ ছোটমরা প্রায়ই স্যারের ভাষায় কথা বলতে গিয়ে দীপুর সাথে বেশ ঠাট্টা মশকরা করে। তারা জানে, দীপু হাসান স্যারকে বিশেষ এক কারনে বেশ সমীহ করে চলে। আর সেজন্যই দীপুর সামনে স্যারকে নকল করে তারা কথা বলে দীপুকে খেপিয়ে তোলার চেস্টা করে। সেদিন স্যার ক্লাসে পড়তে গিয়ে বললেন-
স্যারঃ বাচ্চারা, Difference শব্দের মানে হইতাছে গিয়া "ফাইরতক্ক " বুইচ্চন নি ?
স্যারের এই আঞ্চলিকতায় আর দীপুর বন্ধুদের ঠাট্টা মশকরায় দীপু এমনিতেই বেশ খ্যাপা ছিলো, এইবার সে দাঁড়িয়ে স্যারকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলো-
দীপুঃ স্যার, এটা ফাইরতক্ক নাকি পার্থক্য হবে, স্যার ?
স্যারঃ আরে বাবারা এইডা বুঝ না ক্যান ? ফাইরতক্ক আর পার্থক্যের মাঝে কোনো ফাইরতক্ক নাই...
 
ফাঁসি দেয়া যাবে না
দীপুদের ক্লাসে মাঝে মধ্যেই বদলী শিক্ষক হিসাবে অসিত স্যার ভুগোলের পাঠ দান করতে আসেন। ওনি বেশ হাস্য-রস সহযোগে ছাত্রদের ভুগোলের বিভিন্ন বিষয় বুঝিয়ে থাকেন। আর সে অভ্যাসের কারনেই মাঝে মধ্যে ওনি কিছু গুগলী মার্কা প্রশ্ন করেন ছাত্রদের। প্রশ্ন শুনে বেশীরভাগ ছাত্রই ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়। পরে কেউ জবাব দিতে না পারলে স্যার যখন তার জবাবটা দিয়ে দ্যান তখন ছাত্ররা বেশ অবাক হয়ে যায় উত্তরটা শুনে। এতো সহজ জবাব না দিতে পেরে তখন অনেকে বেশ আফসোসও করে। তবে আমাদের দীপু কিন্তু প্রায়ই স্যারের প্রশ্নের জবাব দিতে সচেষ্ঠ থাকে। না হলেও দীপুর জবাবগুলো কাছাকাছি দিয়ে যায়। যার কারনে অসিত স্যার স্বীকারও করেন একমাত্র দীপুই আছে যে তার প্রশ্নগুলো নিয়ে সঠিকভাবে ভাবনা-চিন্তা করে।
সেদিন স্যার এরকমই একটা গুগলী মার্কা প্রশ্ন করলেন। তবে এবার সবাইকে উদ্দেশ্য করে নয়, বরং সরাসরি দীপুকে-
স্যারঃ বলতো দীপু, মহা শূন্যে কি করা যায় না ?
এই প্রশ্নের জন্য যেনো দীপু তৈরীই ছিলো। সটান দাঁড়িয়ে দীপুর সোজা জবাব-
দীপুঃ স্যার, মহাশূন্যে কাউকে ফাঁসি দেয়া যায় না। কারন ফাঁসির দড়ি ঝুলানোর জন্য ওখানে কিছু নেই...
 

Users who are viewing this thread

Back
Top