ছেলে বাবাকে হাতিয়ার নিয়ে মারতে (মৃত) গেলে, মানসম্মান নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
ক তিন ছেলের মধ্যে বড়। একা গিয়ে সামলাতে পারে নাই। অন্য দুভাই বাপের পিছনে। ক দৌড়ে বাড়ি ফিরে অন্য আরেকটা হাতিয়ার নিয়ে নিজের ১৫-১৬ বছরের ছেলেকে মারতে যায়। ছেলের অপরাধ, ছেলে কেন ওর সাথে হাতিয়ার নিয়ে মারামারি করতে যায় নাই।
ক হার্টের রোগী। পাথর জমেছে। দুইবার অসুস্থ হয়ে মুখ দিয়ে সাদা ফেনা বেড়িয়েছিলো। ভালো মানুষী দেখিয়ে প্রচুর পরিমাণ ঋণ করেছে। শোধের কথা শুনি নি। প্রায়ই পাওনাদার এসে কথা শুনিয়ে যায়। ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেয়। একদিন পাওনাদার এসে যাওয়ার পর 'ক' এর বাবা (সম্পর্কে আমার দূরসম্পর্কের ফুফা হন) ব্রেন স্টোক করেন। এখন ফুফার একটা হাত প্যারালাইজড। সব কথা স্পষ্ট করে বলতে পারেন না৷
ফুফু মারা গেছেন এক বছর হবে। ফুফা ছেলের চিন্তায় কাঁদতে কাঁদতে স্টোক করলেন। এখনও কাঁদেন। সেই ছেলেই কি-না রামদা নিয়ে মারতে আসে। মারা গেলে লাস আটকানোর হুমকি দেয়। তেল ঢেলে বাড়িতে আগুন লাগাতে যায়। আরো কতো কি।
আমরা কে কতদিন বাঁচব কেউ জানি না। আল্লাহ তাঁদের সহ আমাদের সবাইকে নেক হায়াত দান করুন। ফুফা মারা গেলে ফুফার লাস আটকাবে। কিন্তু কথা হচ্ছে ওই যদি ফুফার আগে মারা যায়; ওয় নিজেও তো অসুস্থ। আল্লাহ মাফ করুন।
এই সব কিছুর পিছনে যে জিনিষটা কাজ করেছে সেটি হলো স্বার্থ !
পৃথিবীতে এমন একটা সম্পর্কও খুঁজে পাওয়া যাবে না যেটার সাথে স্বর্থের অদৃশ্য একটা সূতো জড়িত নয়। সেই স্বার্থটা একেক জনের কাছে একেক ধরনের। তবে সব ধরনের সাথেই সম্পদের একটা সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যাবেই। সেটা যতো সুক্ষনই হউকনা কেনো...
তারপরেও আমি মনে করি, যে সন্তান তার পিতা-মাতাকে সম্মান করতে জানে না সে একজন কুলাঙ্গার সন্তান বৈ আর কিছুই না !