What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি-২০২২ (3 Viewers)

Status
Not open for further replies.
বেশ ক'বছর (দুই বা তিন বছর হতে পারে) আমরা বাড়িতে কোরবানীই দিতে পারিনি। অথবা বলা যায় বাড়ীতেই যেতে পারিনি ঈদে, যেটা এবছর সম্ভব হয়েছিল। পরিবারে আমরা চার ভাই আর এক বোন। বোন একটা হওয়ার কারনে অনেক আদরের ছিল। আমরা ভাইগুলো দূরে থাকার কারনে বোনটিও আমাদের কাছ থেকে দূরে চলে গেছে কখন খেয়ালই করিনি। এখন বোন বা দুলাভাই মাসে আমাদের বাড়িতে একবার আসে কিনা সন্দেহ। এবার তাদের সবাইকে আমাদের সাথে রাখার পরিকল্পনা নিয়ে গেছিলাম।

কোরবানী ছিল বাড়িতে ৪ টি। আর আমার আব্বার আকিকা ছিল ২ টি মোট ৬ টি। আমরা দুইভাগে ভাগ করে নিয়েছিলাম। ঈদের দিন ৪ টি আর ঈদের পরেরদিন আকিকা।

ঈদের দিন আমরা চার ভাই মিলেই চারটি কোরবানীর খাসি জবেহ থেকে শুরু করে বন্টন পর্জন্ত সম্পন্ন করেছি। বন্টন বলতে সমান তিনটি ভাগ করে একটি ভাগ সমাজে জমা দিয়ে এসেছি যা গরিব/মিসকিন পাবে। আমরা আমাদের বাড়ী থেকে কখনওই মিসকিনদের কোন গসত/মাংস বিতরন করি না, এটা আমাদের সমাজ প্রধানের কাজ। সমাজের প্রত্যেকটি দরিদ্র পরিবারে কোরবানীর গোশত পৌছে দেয়া তারপর বাইরের মিসকিন্দের সমান ভাবে বন্টন করে দেয়া। এরপর আমরা আমাদের আত্নিয়দের বাড়িতে আর প্রতিবেশীদের বাড়িতে সিন্নি বিতরন করে কোরবানীর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করি। আর এগুলির সবার আগে ঈদের নামাজ আদায় করেছি সকাল ৭ঃ০০ ঘটিকায়।


ঈদের পরদিন ব্যস্ততা আরেকটু বেশি ছিল, পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী খুব সকালে আমরা আকিকার খাসি দুইটি জবেহ করি এদিন আমাদের গোশত কাটার জন্য আমাদের ফুফাত ভাই সাহায্য করেন আর আমরা চার ভাই তো আছিই। মোটামুটি সকাল ৯ টার মধ্যেই গোশত কাটাকাটির কাজ সম্পন্ন করি। এবার এরও সমান তিনটি ভাগ করে একভাগ গোশত আর চামড়া এতিমখানায় জমা দিয়ে আসি। তারপর এই গোশত সহযোগে বিরিয়ানি রান্না শুরু হয়। মুলত আমাদের ভাই বোনের শ্বশুর বাড়ীর দুএকজন কেই এখানে আমন্ত্রন জানানো হয়। বাড়ীর সকলে মিলে মোট ৬০ জনের মত দুপুরে আমরা একটা পুনর্মিলনীর আয়োজন করি। আলহামদুলিল্লাহ্‌ যাদের ডেকেছিলাম হাতে গোনা দুয়েকজন বাদে সবাই স্বতস্ফুর্তভাবে আমাদের সাথে শরিক হয়েছিল। অনেকদিন পর আমাদের বাড়িতে এতো মানুষের পদচারনা। বেশ আনন্দমুখর ছিল, অনেক ভাল লেগেছে।
খুব ভালো লাগলো মামা।
মেয়েদের বিয়ের পর বাপের বাড়িতে এসে ঈদ করা সচরাচর দেখা যায় না। সবাই এটা ভালো চোখে দেখে না৷ এবার আমার এক বোন বাড়িতে ঈদ করতে পেরেছে।

আমারও ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে বউ বাপের বাড়িতে ঈদ করতে চাইলে; পাঠাই দিবো। প্রতিবছর হয়তো পাঠানো হবে না। তবে সুযোগ হলেই যাবে। আর সম্ভব হলে আমিও যাবো।
 
খুব ভালো লাগলো মামা।
মেয়েদের বিয়ের পর বাপের বাড়িতে এসে ঈদ করা সচরাচর দেখা যায় না। সবাই এটা ভালো চোখে দেখে না৷ এবার আমার এক বোন বাড়িতে ঈদ করতে পেরেছে।

আমারও ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে বউ বাপের বাড়িতে ঈদ করতে চাইলে; পাঠাই দিবো। প্রতিবছর হয়তো পাঠানো হবে না। তবে সুযোগ হলেই যাবে। আর সম্ভব হলে আমিও যাবো।
মামা, দুঃখিত আপনি মনেহয় আমার লেখা ভালোভাবে বোঝেননি। আমার বোন আমাদের এখানে ঈদ করেনি, ঈদের পরেরদিন এসেছে। আর আমি এটা কখনই এটাকে সমর্থন করি না যে বাড়ীর বউ তার বাবার বাড়িতে ঈদ উৎযাপন করুক। এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মত। তবে তার স্বপক্ষে আমার যুক্তিঃ
১। আমার ঈদ আমার বাবা মা, ভাই বোন, স্ত্রী সন্তান নিয়ে। আমার ঈদ মুলত সকালে গোসল করে ঈদের জামাত ধরার আগে পরিবারের সবার সাথে কাটানো সময় টুকু। সবগুলি ভাই আর তাদের ছেলেদের নিয়ে একসাথে ঈদের নামাজে যাওয়া। যাওয়ার আগে মিষ্টিমুখ করা, নামাজ শেষে এসে সকলে মিলে খিচুড়ি খাওয়া আর কোরবানীর ঈদে কোরবানী করা। ঈদ কিন্তু আমাদের শেষ। এর ভেতর স্ত্রীর একটা গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা থাকে, যেটা সে তার বাবার বাড়ী থাকলে সম্ভব না।
২। আমি আমার ঈদের নামাজ আমার বাবা ভাইদের সাথে না পড়ে আমার শ্বশুর শ্যালকদের সাথে পড়ার পক্ষপাতি নই, স্বাচ্ছন্দও বোধ করব না।
৩। ঠিক তেমনি আমি আমার স্ত্রী, পুত্র-কন্যা ছাড়া ঈদ উৎযাপন করতেও স্বাচ্ছন্দ বোধ করব না।
৪। বরং আমি ঈদের দিন ঈদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে পুত্র-কন্যা এমনকি স্ত্রীকে নিয়েও শ্বশুর বাড়ি ঘুরে আসার পক্ষপাতি যদি সেই বাড়ী খুব বেশি দূরে না হয়। আমি যেমন করে থাকি।
৫। ঈদের পরদিন স্ত্রী তার পরিবার নিয়ে তার বাবার বাড়ী যেতে পারে, এমনকি দু'এক দিন থাকতেও পারে। আমি এতে সমস্যা দেখি না।
৬। আমার বোনও ঈদ আমাদেরদ বাড়ীতে করুক তা চাই না। এমনটি হয়ও নি বরং ঈদের দিন অন্তত আমার দুলাভাই একবার আমাদের বাড়িতে আসুক ভাগিনীদের নিয়ে এটাই চেয়েছি সব সময়, এবং হয়েছেও ঠিক তাই।

৭। একটা মেয়ে তার যে সংসারের জন্য বছরের সকল সময় ব্যয় করল ঈদের দিন তার সেই সংসার ছেড়ে বাবার বাড়ীতে ঈদ করতে ভাল লাগবে না, গ্যারেন্ডিড। ব্যতিক্রম থাকতেই পারে।
 
DC?
আমারও একটা আছে(7")। সোলার সিস্টেমে চলে। আমাদের এদিকে কারেন্ট আসার আগে কিনেছিলাম। এখন ব্যাকআপ হিসেবে ভালোই চলছে। দিনের বেলা না হলেও রাতে মাথার কাছে রাখলে কোনরকমে হয়ে কাজ চলে যায়।

সামনে যে দিন আসতেছে, তাতে সোলারই হয়ে উঠতে পারে আমাদের একমাত্র ভরসা...
খুব ভালো কাজ করেছেন। আগাম ব্যবস্থা নেয়া আছে আপনার..
 
খুব ভালো লাগলো মামা।
মেয়েদের বিয়ের পর বাপের বাড়িতে এসে ঈদ করা সচরাচর দেখা যায় না। সবাই এটা ভালো চোখে দেখে না৷ এবার আমার এক বোন বাড়িতে ঈদ করতে পেরেছে।

আমারও ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে বউ বাপের বাড়িতে ঈদ করতে চাইলে; পাঠাই দিবো। প্রতিবছর হয়তো পাঠানো হবে না। তবে সুযোগ হলেই যাবে। আর সম্ভব হলে আমিও যাবো।

আপনার অভিপ্রায় জেনে খুব ভালো লাগলো, মামা।
এটা খুবই ভালো একটা চিন্তা-ভাবনা।
সবাই যদি এমনি করে ভাবতো...
তবে এটা রেগুলার কোনো পদ্ধতি হওয়া উচিৎ না।
কারন, মেয়েদের আসল সংসার তার স্বামীর বাড়ী। সে হিসাবে স্বামীর বাড়িতে ঈদ করা মানেই হলো, নিজের বাড়িতে ঈদ করা। বাপের বাড়ি ঈদের পরে বেড়াতে যাবে এটাই ঠিক আছে।
কিন্তু যদি নিজের বউ বাপের বাড়ি যায় তবে এটা আগে নিশ্চিত করতে হবে যাতে নিজের বোনও তার বাপের বাড়িতে করতে আসে...
 
আসসালামু আলাইকুম
গতকালের টানা আধা বলার বৃষ্টির পর আজকের আবহাওয়াটা বেশ সহনীয় পর্যায়ের ছিলো এবং এখনো আছে। বিকেলের দিকে বৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা দেখছি।

আপনাদের কার এলাকার কি অবস্থা?
 
আসসালামু আলাইকুম
গতকালের টানা আধা বলার বৃষ্টির পর আজকের আবহাওয়াটা বেশ সহনীয় পর্যায়ের ছিলো এবং এখনো আছে। বিকেলের দিকে বৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা দেখছি।

আপনাদের কার এলাকার কি অবস্থা?

ওয়ালাইকুমুস সালাম।
আলহামদুলিল্লাহ !
গতোকালকের মতো আজকেও আমাদের দিকে আবহাওয়া বেশ ভালো। মাথার উপর মেঘের ঘনঘটা লক্ষ্য করছি বেশ কিছুক্ষণ থেকেই। যদিও শীতল বাতাস এখনো শুরু হয়নি কিংবা ঘনাগমও অনুভূত হচ্ছে না। বৃস্টির সম্ভাবনা প্রবল মনে হলেও শেষ পর্যন্ত কি হয় এখনো বুঝা যাচ্ছে না। বাতাস পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গোমট ভাবটা ফিরে এলেই বৃস্টির জন্য অনুকুল পরিবেশ তৈরী হবে...
 
চলো দৌড়াই হাতে হাত ধরে
কেউ রবেনা আগে বা পিছে,
নেই কোন জয়, পরাজয়ের ভয়
বন্ধু মোরা, রবো প্রাণে প্রাণ মিলে 😍
বুকটা ভইরা গেলো যে মামু
আপনারে আমি চিনা বাদাম খাওয়ামু।
 
কেমনে

কেমনে কি 🙄
আমি নাহয় দুই চাকায় উদোম দৌড়াই, আপনে না চার/ছয় চাকার ভিতরে
বাসা থেকে বের হয়ে আদাবর থানার সামনে যাইতে হয় অফিসের বাসে উঠার জন্য। রিক্সাওয়ালার কাছে পলিথিন ছিলোনা। রিক্সায় উঠার পরেই শুরু হয় মুশলধারে বৃষ্টি। আর সেই সাথে আমিও ভিজে কাবু। এসি বাসে করে অফিসে আসতে আসতে টের পাইনি। রাতে বাসায় ফেরার পরে জন্মের মাথা ব্যাথা শুরু। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাথা কমলেও মাথা ঝিম মেরে রয়েছে।
 
ভাগ্যবান লোকের এমনই হয়...
বৃস্টির পরশ বলে কথা...
দিনটা আপনার খুব ভালো দিয়ে শুরু হলো !
বৃষ্টি আর পরশ দুইজনে মিলে ধরলেতো দিনটা ভালোই যাওয়ার কথা।
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top