আলহামদুলিল্লাহ ! আল্লাহর মেহেরবানীতে আমি ভালো আছি, মামা। সময় কিন্তু দ্রুত এগিয়ে আসছে... আগামী মাসে ঢাকাতে আপনার পদধূলি আশা করেছিলাম। প্রস্তুতি রেখেছেন তো, মামা ? ইতিমধ্যে আমাদের সবার প্রিয় ছোটম মামা ছেলের বাপ হয়েছেন। একটা চিন্তা দূর হলো... এখন আর আমাদের কাছের মানুষদের একত্রিত হবার ক্ষেত্রে আর কোনো বাঁধা বা পিছুটান রইলো না !!
আগামী মাসে ঢাকা যাব তবে দেখা করতে পারবো কিনা সে ব্যপারে নিশ্চিত নই। যতদুর সম্ভব ৮ তারিখে যাব এবং ১০ তারিখ ব্যাক করবো। ওখান থেকে এসে আবার ঠাকুরগাঁও যাওয়া লাগতে পারে।
অফলাইন আড্ডায় এইবার হয়তো যাওয়া হবে না
আজকে যে হারবে সে বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ না আগে ছিলো না আজ আছে। টুর্ণামেন্টের অন্যতম ফেভারিট আর শক্তিশালী দল ইংল্যান্ডের কাছে পরাজয়টা প্রায় নিশ্চিত ছিলো সেই শুরু থেকেই। তবে এই দু'দলের প্রথম সাক্ষাৎটা কেমন হয় সেটাই ছিলো দেখার বিষয়। মানে বাংলাদেশ কতোটা ভালো খেলতে পারবে সেটাই ছিলো দেখার বিষয়। আশা করেছিলাম, হয়তো আগের ম্যাচের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে একটা পজেটিভ খেলা আমাদের উপহার দিবে। যদিও ফলাফলের ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। শেষ পর্যন্ত বাংলার ছেলেরা সেই ভালো খেলাটুকু আমাদের দেখাতে পারেনি। তাদের কাছ থেকে অন্তত যেটুকু ব্যাটিং দৃঢ়তা প্রত্যাশা করেছিলাম তারা তার ধারে কাছে দিয়েও যেতে পারেনি। জানিনা গেইম প্ল্যান কি ছিলো। যেটুকু দেখেছি, তাতে গেইম প্ল্যানে মারাত্নক ত্রুটি ছিলো বলেই মনে হচ্ছে। এভাবে খেলতে থাকলে শুধু দেশের মান-সম্মানই নস্ট হবে না সেই সাথে খেলয়াড়দের মনোবল ভেঙ্গে যাবে। যার ফলে শুধু দেশের মাটি ছাড়া অন্যত্র খেলতে গিয়ে অসহায় আত্নসমর্পণ ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না ! প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ কয় উইকেটে হারে... দু'চারটা উইকেট তুলে নিতে পারলেও অন্তত বলতে পারবো, ও.ইন্ডিজের থেকে আমরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই...
আপনার ধারণা য় ঠিক হলো মামা। দুইটা উইকেট পেয়েছে।
আমার মনে হয় যে, মিরপুরের মাঠে খেলে আমাদের টীমের যে ওভার কনফিডেন্সটা তৈরি হয়েছে; তারা সেটা থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি।
শখ করে BMA 88 long course এর মাঠ করেছি। মেডিকেল টেস্টে ছাটাই-বাছাই শেষে ২৮ জন টিকে ছিলাম। উনি অর্ধেকের ভাইভা নিয়ে ১ ঘন্টার কথা বলে গেলোতো গেলো এমন ভাবে গেলো একেবারে ৪ ঘন্টা পর ফিরে আসলো।
পরে ভাইভা শেষে ওনারা এতটাই কনফিউজড ছিলো যে, ফলাফল প্রকাশ করতে ৩০ মিনিটের জায়গায় ১:৩০ মিনিট লাগিয়ে দিয়েছেন।
সব শেষে সন্ধা ৭ টার পর অপেক্ষার পালা শেষ করে ফোন হাতে নিতে পেরেছিলাম।
আগামী মাসে ঢাকা যাব তবে দেখা করতে পারবো কিনা সে ব্যপারে নিশ্চিত নই। যতদুর সম্ভব ৮ তারিখে যাব এবং ১০ তারিখ ব্যাক করবো। ওখান থেকে এসে আবার ঠাকুরগাঁও যাওয়া লাগতে পারে।
অফলাইন আড্ডায় এইবার হয়তো যাওয়া হবে না
আপনার ধারণা য় ঠিক হলো মামা। দুইটা উইকেট পেয়েছে।
আমার মনে হয় যে, মিরপুরের মাঠে খেলে আমাদের টীমের যে ওভার কনফিডেন্সটা তৈরি হয়েছে; তারা সেটা থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি।
আজকেও আমরা তিন ডিপার্টমেন্টেই ফেইল মেরেছি। খেলোয়াড়দের চেয়ে এর জন্য ম্যানেজমেন্টকেই আমি বেশী দোষ দিবো। প্রতেকটা ব্যাপার দেখভাল করার জন্য আমাদের টিমে আলাদা আলাদা লোক নিয়োগ দেয়া আছে। তারা যদি তাদের প্রত্যেকের কাজটা সঠিকভাবে করতে পারতো, তবে ফলাফল যা হয়েছে তা হলেও খেলার মান অনেক উন্নত হতো। এখানে বড় একটা দায় থেকে যায় কম্পিউটার এনালিস্টের। প্রতিটা প্রতিপক্ষের সবলতা দূর্বলতার খুঁটিনাটি তার জানা থাকার কথা। সেগুলো বিশ্লেষণ করে প্লেয়ারদের সাথে শলা-পরামর্শ করে সে মতো দিক নির্দেশনা আগেই দিয়ে রাখা উচিৎ ছিলো। সেটা কতোটা কিভাবে করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। না হলে এই মাঠে শর্ট অব ল্যান্থে বল না করে কেনো পেসাররা ফুলার ল্যান্থে বল করার চেস্টা করেছে সেটা আমার মাথায় আসে না। তাছাড়া প্রথম ইনিংসে যেখানে বল পরে স্লো হয়ে যাচ্ছিলো সেখানে কেনো আমাদের ব্যাটসম্যানরা জোর করে শট খেলতে গেলো সেটাও আমার মাথায় আসছে না। দিনে দিনে ম্যানেজমেন্ট আর কোচিং স্টাফদের সাথে প্লেয়ারদের দূরত্ব বেড়েই চলেছে বলে স্পস্ট কিছু নিদর্শন প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে।