কলেজ লাইফের একটা বিষয়ের দৃশ্য ছোখের সামনে চলে এলো, যদিও অপ্রাসঙ্গিক কিন্তু না বলে পারছি না।
ওই সময়টাই নিজেদের ভেতর নতুন কিছু সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহারের একটা প্রবনতা সবারই থাকে, তেমনই আমারো বা আমদেরও ছিল। তো কথা হচ্ছে বুদ্ধি নিয়ে। এই বুদ্ধিকে আমরা কিছুজন ব্যবহার করতাম একটু ভিন্ন ভাবে। আমরা বুদ্ধি আর বুদ্দি শব্দ দুটি কাছাকাছি শুনে থাকি, আর বুদ্দি শুনলেও সেটা বুদ্ধি বলেই ধরে নেই। নিজেরা মনে করি হয় আমার শুনতে ভুল হয়েছে নয়তো যে বলছে তার যুক্তাক্ষর উচ্চারনে সমস্যা আছে। ঠিক কিনা?
বুদ্দি মানে নারীদের বক্ষকে বুঝাতাম, আর ঢালাওভাবে ব্যবহার করতাম, এমনকি শিক্ষক বা মুরুব্বীদের সামনেও। উদাহরন দিলে আরেকটু কিলিয়ার হবে আশাকরি। মনে করুন ক্যাম্পাসে যাচ্ছি পথিমধ্যে কোন উর্বোশি পাশ দিয়ে স্কুলে বা কলেজে যাচ্ছে আর আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি, "মেয়ে বড় হয়েছে কিন্তু বুদ্দি বাড়ে নাই, বুদ্দির ক্লাস নেয়া লাগবে" উর্বোশির সাথে তার মা থাকলেও সে কিন্তু শুনেও কিছু মনে করবে না বরং সে বাসায় গিয়ে ভাববে তার মেয়ের বুদ্ধি কোন দিক দিয়ে কম, কিভাবে তার মেয়ের বুদ্ধি বাড়ানো যায়। তারপর মেয়েকে নানারকম জ্ঞান দান করবে "রাস্তার ছেলেরাও বোঝে তোর বুদ্ধি কম"।
আর ক্লাস নেয়া মানে হল যে ক্লাস নিলে বুদ্দি বড় হয় মানে হাতের কাজ যেটাকে স্কুল কলেজে বাড়ির কাজ (Homework) বলে।
এবার কথায় আসি;
আপনাদের দুজনেরই আসলে বুদ্দি বাড়ে নাই।
কিন্তু বুদ্ধির (প্যাঁচ বুদ্ধির) প্যাঁচে আপনাদের দুজনারই জুড়ি নাই।
আপনার বুদ্দির হিসাবে আমাদের দুজনারই আসলে তেমন একটা বুদ্দি না থাকারই কথা।
আপনি যথার্থই বলেছেন, মামা।