What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি-২০২১ (6 Viewers)

Status
Not open for further replies.
আপনার "প্রতিবেদন "টা চমৎকার হয়েছে, মামা।
আপনার ক্যামেরার চোখ দিয়ে অনেক কিছুই দেখছি, ভবিষ্যতেও দেখবো সেই প্রত্যাশা রাখি...


ধন্যবাদ মামা, আসলে কি মাঝে মাঝে মন টা উরু উরু করে, কিন্তু কখনো সখনো সুযোগ হয়।
আর যখন সুযোগ হয় তখন চেষ্টা করি সেই সুযোগে যতটা পারি ততটা প্রান খুলে উপভোগ করতে।
আর অবশ্যই আপনাদের জন্য এরকম ছোট খাটো প্রতিবেদন দেবার চেষ্টা করব।
 
আলহামদুলিল্লাহ !
এখন অনেকটা ভালো বোধ করছি।
প্রত্যুষে ডাবল ডোজ মারলাম। চল্লিশ মিনিটের বদলে ঘণ্টা দেড়েক একটানা হেটেছি। প্রথমে খুব আস্তে আস্তে শুরু করলেও শেষের দিকে কুইক মার্চ করে এখন শরীরটা বেশ ঝরঝরা লাগছে। যদিও অতিরিক্ত শ্রমের কারনে সাময়ীক অবসাদ ভর করেছিলো, কিন্তু গোসল সেরে নেয়ার পর বেশ ভালো লাগছে...


শিতের এই এক কষ্ট, স্নান করা, কিন্তু একবার করে নিতে পারলে সত্যি সরির অনেক হালকা ও ঝরঝরা লাগে।
 
করোনা যেহেতু সেকেন্ড টাইম হচ্ছে অনেকেরই, ভ্যাকসিন আসলে কতটুকু কাজ করবে, লজিকালি, আমি সন্দিহান

ভ্যাকসিন কিভাবে কাজ করে?
কোন রোগের জীবানু মৃদু মাত্রায় মানুষের দেহে প্রবেশ করিয়ে ঐ রোগের বিরুদ্ধে দেহে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে
ভ্যাকসিনের আইডিয়া কিভাবে এলো?
মানুষ যখন দেখলো যে কিছু রোগ আছে যেগুলো এক বার হলে আর হয় না, তখন মানুষ বুঝলো যে ঐ রোগের বিরুদ্ধে মানুষের দেহে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে।
এখন করোনা যেহেতু অনেক মানুষেরই দ্বিতীয় বার হচ্ছে, তখন ভ্যাকসিন আসলে কতটুকু এফেক্টিভ হবে, সন্দেহ থেকে যাওয়ার কারণ তো আছেই।

আবার ধরেন, ডেঙ্গি
ডেঙ্গি চার রকমের হয়। কারও এক রকমের ডেঙ্গি হলে ওটা দ্বিতীয়বার আর হয় না। তবে বাকি তিনটার যে কোনটাতে আবার আক্রান্ত হবার সুযোগ থাকে।

আর করোনা?
সে তো নিত্য নতুন। কাজেই এক ভ্যারাইটির উপরে গবেষণা করে বানানো ভ্যাকসিন অন্য ভ্যারিয়েশনে কতটুকু কাজ করবে, বলা মুশকিল।

তবু হতাশার মধ্যেও আশাই খুজি, আশায় বাচি। এটাই মানুষের জীবন।

মাম, এখানে আরও অনেক কিছু দেখার আছে, যেমন করোনার দিতিও প্রবাহ ইউরোপ ও আমেরিকায় দেখা যাচ্ছে কিন্তু আমাদের ভারতে
করনা এখন অনেক অনেক আয়ত্তের মধ্যে, দেশের জনসংখ্যা আমাদের অনেক বেশি তাই সংখ্যা অনেক বেশি আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে
পারে কিন্তু শতকরা হিসেবে আমাদের দেশে সঙ্ক্রমন এখন অনেক অনেক নিচে, সেরে ওঠার মামলায় আমরা সবার ওপরে। আমার মতে
এর কারন আমাদের খাওয়া ও দৈনন্দিন জীবন যাপন। আমাদের খাওয়া দাওয়ায় মসলা ও সাক সবজি অনেক অনেক বেশি, আমাদের দেশে
শ্রমজীবী মানুষ প্রচুর, যারা দইহিক পরিশ্রম করে সারা দিন, চাকরি জিবিরাও কম বেশি দইহিক শ্রমের মধ্যে থাকে এই যেমন পায়ে হেটে
যাতায়াত, আরও অন্যান্য, কিন্তু ইউরোপ আমেরিকায় দেখুন, তাদের জীবন ধারন পুরই আলাদা। আমাদের জীবন ধারনের ধরনের জন্য আমরা
প্রাকৃতিক ভাবে অনেক রোগ ব্যাধির ওপর আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। যেটা অনেকাংশে বাংলাদেসেও আমাদের সাথে মিল আছে।
ভ্যাকসিন এর আপনি যা ব্যাখ্যা দিলেন সরল ভাষায় এর থেকে সুন্দর ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়।
আপনার কথা ধরেই বলি, " রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা" গরে তোলা এই ধরনের রগের ওপর সবচে ভাল বাবস্থা। এই যেমন জ্বর, সর্দি এইগুল কিন্তু
এক ধরনের ভাইরাস ঘটিত রোগ, যা আমাদের হামেশাই হয়, আবার অল্পেই দেশে ওঠে কারন আমাদের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা এদের অল্প
সময়ে হারিয়ে দেয়। আর করনা ভাইরাস কিন্তু নতুন কোন ভাইরাস নয়, এই গোত্রীয় ভাইরাস অনেক দিন থেকেই আছে, ও এর আগেও অনেক
হামলা করেছে, কিন্তু এই নতু COVID-19 ধরন টি ইদানিং নতুন ও হটাথ আক্রমন করে একটু জেরবার করল এই যা। তবে আমার মতে ভয়ের
কিছু নেই।
আপনি হয়ত যেনে থাকবেন ভারত অর্থাৎ আমাদের দেশ পৃথিবীতে সবচে বেশি ভ্যাকসিন তৈরি করে, ও এই বিসয়ে গবেসনায় অনেক এগিয়ে।
1. Bharat Biotech - Covaxin, 2. Zydus - ZyCoV-D 3. The Serum Institute of India and Oxford University-Astra Zeneca partnership -
ChAdOx1, ছারাও রাশিয়া ও আমেরিয়াকার আরও কিছু ভ্যাক্সিনের গবেসনা ও ট্রায়াল আমাদের দেশে হচ্ছে, এবং যারা এই ভ্যাকসিন নিয়ে
গবেসনা করছে তাদের মতে করোনার নতুন ভ্যারাইটির উপরে এই ভ্যাকসিন কার্যকর বা অল্প কিছু পরিবরতনে পুরো ১০০ শতাংশ কার্যকরী
হবে এই সকল ভ্যাকসিন।
আমাদের দেশের কেন্দ্র সরকার ঘোষণা করেছেন প্রথবে ৩ ধাপে এই ভ্যাকসিন সকল ভারতীয়কে বিনা খরছে দেওয়া হবে। সবার প্রথমে যারা
করনা যুদ্ধে সবার প্রথমের সারিতে আছেন যেমন ডাক্তার, নার্স স্বাস্থ্য কর্মী এদের সবার প্রথম এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এর পর যারা করোনার
প্রতি দুর্বল যেমন বয়স্ক নাগরিক, বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কোন কারনে কম তাদের ও তারপর জনসাধারনের বাকি সকলকে ধাপে ধাপে।
 
ঘুরে দাড়ানোর মূল রিস্ক হচ্ছে - এক্সপোজার
যখন পশ্চিমা বিশ্ব দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউনের ব্যাবস্থা নিচ্ছে, আমাদের মতো দূর্বল অর্থনীতির দেশে মানুষের জীবনের উপরে জীবিকাকে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে।
অমোঘ, কিন্তু হৃদয় বিদারক


মামা, আসলে কিন্তু উল্টো, আমাদের মত দুর্বল অর্থনীতির দেশ কিন্তু মানব সম্পদে ভারা দেশের সুযোগ সবার আগে।
লক ডাউনে জীবন থেমে থাকে না মামা, প্রথমে একটা জোরদার ধাক্কা লাগে অবশ্যই, কিন্তু দেখেন এই করোনার
পরবর্তী পরিস্থিতিতে আমাদের দেশের যা পরিবর্তন ঘটেছে তার মধ্যে কিছু হল এইরকম -
করোনা পূর্বে আমাদের দেশে PPE and Mask ১০০% আমদানি হত, কিন্তু এখন আমাদের দেশ PPE and Mask এর রপ্তানি করে।
করোনা পূর্বে আমাদের দেশে Xiaomi, Realme থেকে দেশিও Micromax এরা চায়না তৈরি মোবাইল এনে আমাদের দেশে বিক্রি করত
কিন্তু এখন Xiaomi, Realme তাদের ফোন সব ভারতে Assamble করছে, Micromax ভারতে ৩ খানা ফোন Manufacturing unit স্থাপন
করেছে যেখানে তারা ফোনের PCB থেকে ব্যাটারি তৈরি ও আসেম্বেল করছে, Samsung এশিয়া এর সবচে বড় ইউনিট ভারতে করেছে
ও ভারতে Display Manufacturing Unit তৈরি করছে, Apple তাদের iPhone ভারতে বানিয়ে বিদেসে রপ্তানি করছে। আরও কত।

আপনাদের দেসেও এইরকম হওয়া সম্ভব, পুরো পৃথিবীতে সস্তা কিন্তু কর্ম পটু কারিগর সবচে বেশি ভারত ও বাংলাদেশে। সুধু এই
ক্ষমতা কিভাবে কাজে লাগানো সম্ভব সেটা সবচে বড় চ্যালেঞ্জ। এইটা জয় করতে পারলে সব জয় হবে।
 
২০২০ এর এর আড্ডাঘরে শেষের দিকে এসে জয়েন করেছিলাম। এর আগে নির্জনমেলার অস্তিত্বই জানা ছিল না। কিন্তু আপনারা সবাই মিলে এখনো যে এরকম প্রানবন্ত বাংলা ফোরামটি চালু রেখেছেন, তা দেখে আমি হাজার ব্যস্ততার মাঝেও দীর্ঘ ৭ বছর পর আবারো লিখার জন্য কিবোর্ড হাতে তুলে নিয়েছি, যদিও গত কয়মাস অতিরিক্ত ব্যস্ততার কারনে শুরু করা লেখাগুলো চালু রাখতে পারছি না নিয়মিত, তাও অন্তত ফাকে ফাকে এসে ঢু মেরে যাই বলতে গেলে এই আড্ডা দেওয়ার লোভেই।

আশা করি ২০২০ এর মত ২০২১ এর আড্ডা ঘরও আরো বেশি প্রানবন্ত থাকবে। ব্যস্ততায় ভরা আমাদের জীবনে বয়ে আনবে হাল্কা একটু স্বস্তির বাতাস। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
 
আড্ডায় আসার অবস্থা একটা ইটারনার লুপের মতো

মন খারাপ থাকলে এসে ভালো হয়ে যায় - এটা যেমন ঠিক
মনে অস্থিরতা থাকলে আসতে ইচ্ছা করে না - এটাও একটা জ্বালা

তবু, নিজের জন্য না হলেও আপনাদের জন্য আড্ডায় নিয়মিত হবার চেষ্টা করছি

আপনিও করেন, নাইলে কিন্তুক খবর আছে


মামা, আমি আছি আড্ডা ঘরে কম বেশি কিন্তু নিয়মিত।
 
২০২০ এর এর আড্ডাঘরে শেষের দিকে এসে জয়েন করেছিলাম। এর আগে নির্জনমেলার অস্তিত্বই জানা ছিল না। কিন্তু আপনারা সবাই মিলে এখনো যে এরকম প্রানবন্ত বাংলা ফোরামটি চালু রেখেছেন, তা দেখে আমি হাজার ব্যস্ততার মাঝেও দীর্ঘ ৭ বছর পর আবারো লিখার জন্য কিবোর্ড হাতে তুলে নিয়েছি, যদিও গত কয়মাস অতিরিক্ত ব্যস্ততার কারনে শুরু করা লেখাগুলো চালু রাখতে পারছি না নিয়মিত, তাও অন্তত ফাকে ফাকে এসে ঢু মেরে যাই বলতে গেলে এই আড্ডা দেওয়ার লোভেই।

আশা করি ২০২০ এর মত ২০২১ এর আড্ডা ঘরও আরো বেশি প্রানবন্ত থাকবে। ব্যস্ততায় ভরা আমাদের জীবনে বয়ে আনবে হাল্কা একটু স্বস্তির বাতাস। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।


মামা, আড্ডা ঘর প্রনবন্ত রাখার কিছু দায়িত্ত কিন্তু আপনারও। আমরা নিয়মিত আসি, আপনিও আসবেন আড্ডা দেবেন, আর কি চাই।
আড্ডা ঘর এমনি প্রানবন্ত থাকবে, আর বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই একটু জর্জরিত, কিন্তু এই প্রতিকুলতা কাতালে কিন্তু
এই আড্ডা ঘর অনেকের কাছে নেসার মত। আপনিও নিয়মিত আসুন, আপনার ও নেশা পেয়ে বসবে।
আপনাকেও মামা ২০২১ এর অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
 
অস্থিরতা দূর করার করার জন্যই তো আড্ডাঘরের এই আয়োজন।
এখানে এলে অস্থিরতা আর থাকার কথা নয়।
এই ঘরে এলে আমার অন্তত অস্থিরতা দূর হয়ে যায়...

জ্বী মামা, শুভেচ্ছা...
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top