করোনা যেহেতু সেকেন্ড টাইম হচ্ছে অনেকেরই, ভ্যাকসিন আসলে কতটুকু কাজ করবে, লজিকালি, আমি সন্দিহান
ভ্যাকসিন কিভাবে কাজ করে?
কোন রোগের জীবানু মৃদু মাত্রায় মানুষের দেহে প্রবেশ করিয়ে ঐ রোগের বিরুদ্ধে দেহে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে
ভ্যাকসিনের আইডিয়া কিভাবে এলো?
মানুষ যখন দেখলো যে কিছু রোগ আছে যেগুলো এক বার হলে আর হয় না, তখন মানুষ বুঝলো যে ঐ রোগের বিরুদ্ধে মানুষের দেহে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে।
এখন করোনা যেহেতু অনেক মানুষেরই দ্বিতীয় বার হচ্ছে, তখন ভ্যাকসিন আসলে কতটুকু এফেক্টিভ হবে, সন্দেহ থেকে যাওয়ার কারণ তো আছেই।
আবার ধরেন, ডেঙ্গি
ডেঙ্গি চার রকমের হয়। কারও এক রকমের ডেঙ্গি হলে ওটা দ্বিতীয়বার আর হয় না। তবে বাকি তিনটার যে কোনটাতে আবার আক্রান্ত হবার সুযোগ থাকে।
আর করোনা?
সে তো নিত্য নতুন। কাজেই এক ভ্যারাইটির উপরে গবেষণা করে বানানো ভ্যাকসিন অন্য ভ্যারিয়েশনে কতটুকু কাজ করবে, বলা মুশকিল।
তবু হতাশার মধ্যেও আশাই খুজি, আশায় বাচি। এটাই মানুষের জীবন।
মাম, এখানে আরও অনেক কিছু দেখার আছে, যেমন করোনার দিতিও প্রবাহ ইউরোপ ও আমেরিকায় দেখা যাচ্ছে কিন্তু আমাদের ভারতে
করনা এখন অনেক অনেক আয়ত্তের মধ্যে, দেশের জনসংখ্যা আমাদের অনেক বেশি তাই সংখ্যা অনেক বেশি আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে
পারে কিন্তু শতকরা হিসেবে আমাদের দেশে সঙ্ক্রমন এখন অনেক অনেক নিচে, সেরে ওঠার মামলায় আমরা সবার ওপরে। আমার মতে
এর কারন আমাদের খাওয়া ও দৈনন্দিন জীবন যাপন। আমাদের খাওয়া দাওয়ায় মসলা ও সাক সবজি অনেক অনেক বেশি, আমাদের দেশে
শ্রমজীবী মানুষ প্রচুর, যারা দইহিক পরিশ্রম করে সারা দিন, চাকরি জিবিরাও কম বেশি দইহিক শ্রমের মধ্যে থাকে এই যেমন পায়ে হেটে
যাতায়াত, আরও অন্যান্য, কিন্তু ইউরোপ আমেরিকায় দেখুন, তাদের জীবন ধারন পুরই আলাদা। আমাদের জীবন ধারনের ধরনের জন্য আমরা
প্রাকৃতিক ভাবে অনেক রোগ ব্যাধির ওপর আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। যেটা অনেকাংশে বাংলাদেসেও আমাদের সাথে মিল আছে।
ভ্যাকসিন এর আপনি যা ব্যাখ্যা দিলেন সরল ভাষায় এর থেকে সুন্দর ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়।
আপনার কথা ধরেই বলি, " রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা" গরে তোলা এই ধরনের রগের ওপর সবচে ভাল বাবস্থা। এই যেমন জ্বর, সর্দি এইগুল কিন্তু
এক ধরনের ভাইরাস ঘটিত রোগ, যা আমাদের হামেশাই হয়, আবার অল্পেই দেশে ওঠে কারন আমাদের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা এদের অল্প
সময়ে হারিয়ে দেয়। আর করনা ভাইরাস কিন্তু নতুন কোন ভাইরাস নয়, এই গোত্রীয় ভাইরাস অনেক দিন থেকেই আছে, ও এর আগেও অনেক
হামলা করেছে, কিন্তু এই নতু COVID-19 ধরন টি ইদানিং নতুন ও হটাথ আক্রমন করে একটু জেরবার করল এই যা। তবে আমার মতে ভয়ের
কিছু নেই।
আপনি হয়ত যেনে থাকবেন ভারত অর্থাৎ আমাদের দেশ পৃথিবীতে সবচে বেশি ভ্যাকসিন তৈরি করে, ও এই বিসয়ে গবেসনায় অনেক এগিয়ে।
1. Bharat Biotech - Covaxin, 2. Zydus - ZyCoV-D 3. The Serum Institute of India and Oxford University-Astra Zeneca partnership -
ChAdOx1, ছারাও রাশিয়া ও আমেরিয়াকার আরও কিছু ভ্যাক্সিনের গবেসনা ও ট্রায়াল আমাদের দেশে হচ্ছে, এবং যারা এই ভ্যাকসিন নিয়ে
গবেসনা করছে তাদের মতে করোনার নতুন ভ্যারাইটির উপরে এই ভ্যাকসিন কার্যকর বা অল্প কিছু পরিবরতনে পুরো ১০০ শতাংশ কার্যকরী
হবে এই সকল ভ্যাকসিন।
আমাদের দেশের কেন্দ্র সরকার ঘোষণা করেছেন প্রথবে ৩ ধাপে এই ভ্যাকসিন সকল ভারতীয়কে বিনা খরছে দেওয়া হবে। সবার প্রথমে যারা
করনা যুদ্ধে সবার প্রথমের সারিতে আছেন যেমন ডাক্তার, নার্স স্বাস্থ্য কর্মী এদের সবার প্রথম এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এর পর যারা করোনার
প্রতি দুর্বল যেমন বয়স্ক নাগরিক, বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কোন কারনে কম তাদের ও তারপর জনসাধারনের বাকি সকলকে ধাপে ধাপে।