What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি-২০২০ (9 Viewers)

Status
Not open for further replies.
আড্ডার আসরে আবার হাজির হইলাম।

মামারা সবাই কেমন আছেন?

আশাকরি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।
এখানে আপনাকে দেখে আমার মিলাদ দিতে ইচ্ছে করছে।
আলহামদুলিল্লাহ্‌ মামা, এখনও করোনা খাই নাই।
 
রম্যরচনাঃ চুল নিয়ে চুলচেরা
সম্প্রতি সাদাকালো (মানে কাঁচাপাকা) ও রঙিন (মানে ডাই করা) চুল নিয়ে চারদিকে বেশ কথাবার্তা হচ্ছে। একটি পত্রিকার শিরোনাম দেখলাম, ‘রাজনীতিতে চুলাচুলি।’ ফেবুতে একটা কমেন্ট দেখলাম, ‘যাদের মাথায় চুল নেই, তারা কী করবে?’ খুব গুরুতর প্রশ্ন।
আমার নিজের মাথায় যে ক’টা চুল আছে, তা’ গুনে শেষ করতে পনের বিশ মিনিটের বেশি লাগার কথা নয়। এ অবস্থায় আমিই বা কী করবো? আমার কাজ হলো লেখালেখি করা। কিন্তু এমন বিরল কেশ মানুষের পক্ষে চুল নিয়ে লেখালেখি করা অনেকটা অনধিকার চর্চার মতো। তারপরেও এক ব্লগার বন্ধুর অনুরোধে আজ ঢেঁকি গিলতে বসে গেলাম।
চুল-দু’ অক্ষরের একটা ছোট্ট শব্দ। অথচ এর ব্যঞ্জনা (Figurative mode of expression) অনেক। সাধারনতঃ মেয়েদের ক্ষেত্রে এই Figurative mode of expression বেশি লক্ষ্যনীয়। তবে আজকাল শ্যাম্পু, জেল, ডাই, কন্ডিশনার ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ের মধ্যে পার্থক্য অনেক কমে এসেছে। আমাদের যুগে (মানে আমরা যখন ছেলে মেয়ে ছিলাম) এসব তো দূরের কথা, টয়লেট সাবান না থাকলে কাপড় কাচার হুইল সাবান দিয়ে মাথার চুল পরিস্কার করেও আমরা ক্লাসে গেছি। এখনকার ছেলেমেয়েরা এ কথা শুনলে নির্ঘাত আঁতকে উঠবে।
তবে ব্যাতিক্রম যে সে যুগে ছিল না, তা’ নয়। যেমন, আমার বন্ধু আফতাব। স্বাধীনতার আগে থেকেই আমরা তাকে চুল নিয়ে নানা কসরত করতে দেখে আসছি। নাইন টেনে পড়ার সময় সে চুলে জবজবে করে শর্ষের তেল মেখে পরিপাটি করে আঁচড়ে ক্লাসে আসতো। তার দুই চিপ গড়িয়ে শর্ষের তেল চুঁয়ে গালের ওপর এসে পড়তো। অংক টিচার জামীল স্যারের একটা বদভ্যাস ছিল। ক্লাসের কোন ছাত্র অংক না পারলে শাস্তি স্বরূপ তার চিপ ধরে তিনি টেনে তুলতেন। আফতাবের বেলায় তাঁর হাতের আঙ্গুল বার বার পিছলে যেতো।
দেশ স্বাধীন হবার পর আফতাবের চুল বদলে গেল। সে চুলে শর্ষের তেল মাখা বন্ধ করলো এবং মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও যুদ্ধফেরত মুক্তিযোদ্ধাদের মতো বাবরি চুল রাখা শুরু করে দিল। এই ফ্যাশনটা কয়েক বছর কন্টিনিউ করার পর তার বাবরি চুলে অরুচি হলো। তখনকার জনপ্রিয় সুইডিশ ব্যান্ড ‘বনি এম’-এর এক সদস্যের অনুকরণে সে সেলুনে গিয়ে চুলের ছাঁট বদলে ফেললো। মাথার মাঝখানে ঘাড় থেকে কপাল পর্যন্ত লম্বা ও দুই ইঞ্চি চওড়া সজারুর কাঁটার মতো এক গোছা চুল রেখে দু’পাশে চেঁছে ফেললো। আমরা অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকলে সে বললো, ‘এটা পাঙ্ক।’ ইউরোপে এই পাঙ্ক নাকি লেটেস্ট ফ্যাশন।
অবশ্য পাঙ্কও বেশিদিন টিকলো না। সম্ভবতঃ ১৯৭৮ সালের দিকে আফতাবসহ আমরা কয়েক বন্ধু গর্দানি পাসপোর্টে ভারতে গেলাম হিন্দি সিনেমা দেখতে। জানেনই তো, সেই সময় বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমা দেখার কোন সুযোগ ছিল না। তো এই গর্দানি পাসপোর্টটা কী? এই পাসপোর্টের শানে নজুল হলো, এটা আসলে কোন পাসপোর্টই নয়। সীমান্তের এপারে বিডিআরকে কুড়ি টাকা আর ওপারে বিএসএফকে দশ রুপী নজরানা দিলে তারা আমাদের ঘাড়ে (মানে গর্দানে) ধাক্কা দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকিয়ে দিত। আবার ভারত থেকে ফেরত আসার সময় আমরা একই পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকে পড়তাম। ভারতে যাতায়াতের এই চমৎকার সিস্টেমকে আমরা গর্দানি পাসপোর্টে যাতায়াত বলে অভিহিত করতাম। এই পাসপোর্টে আমরা সেই সময় অনেকবার ভারতে যাতায়াত করেছি।
তো সেবার ভারতে গিয়ে হিন্দি ছবি ‘শোলে’ দেখার পর আমাদের আফতাব হয়ে গেল অমিতাভ। মাথা ভর্তি চুলের মাঝ বরাবর সিঁথি কেটে সে অমিতাভ বচ্চনের হাঁটা চলা রপ্ত করে ফেললো। বন্ধুদের মধ্যে সে তুলনামুলক লম্বা ছিল বলে আমরা তাকে খেতাব দিলাম ‘বাংলার অমিতাভ’। কেউ কেউ বলতো, ‘গরীবের অমিতাভ’।
কিন্তু এই খেতাবও সে বেশি দিন ধরে রাখতে পারলো না। আশির দশকে ‘ডিসকো ড্যান্সার’ ছবি দেখার পর সে নায়ক মিঠুন চক্রবর্তীর অনুকরণে কানের ওপর থেকে দুই চিপ চেঁছে উধাও করে দিল এবং শীত গ্রীষ্ম সব মৌসুমে গলায় মাফলার জড়িয়ে চলাফেরা করতে লাগলো।
বিয়ে করার পর বউয়ের গুঁতো খেয়ে সে মাফলার খুলে ফেললো বটে, কিন্তু তার চুলের মিঠুন কাট থেকে গেল। ১৯৮৫ সালের দিকে সে তার বন বিভাগের চাকরিতে বদলী হয়ে চলে গেল বান্দরবান। ঈদ পালা পার্বণে বাড়ি এলে দেখতাম, তার চুলে আর মিঠুন কাট নেই। পরিবর্তে নতুন ফ্যাশন ডাই। চুলের এখানে কালো, ওখানে লাল, এমনকি হলদেটে সাদাও। তবে বয়সের কারণে তার মাথা ভর্তি চুল অনেকটাই পাতলা হয়ে এসেছে।
এরপর গত বছর ঈদের সময় দেখা হলো আফতাবের সাথে। জীবনে এই প্রথম দেখলাম, ওর চুলে কোন ফ্যাশন নেই। মাথায় চুলই নেই তো ফ্যাশন হবে কোত্থেকে? ওর বউয়ের কাছে শুনলাম, কিছুদিন সে নাকি উইগ (পরচুলা) পরে চলাফেরা করেছে। পরে ছেলেমেয়েদের ধমক খেয়ে উইগ খুলে ফেলেছে।
আফতাবের চা, পান, বিড়ি-সিগারেট কোন কিছুরই নেশা ছিল না। পোশাক আশাকেও সে যে খুব ধোপ দুরস্ত ছিল, এমন নয়। তার একটাই শখ ছিল চুলের ফ্যাশন করা। শেষ বয়সে এসে চুলের অভাবে তার সেই শখটাও গেল। এই কারণেই কী না জানিনা, চুলকে বলা হয় মীর জাফর। বুড়ো বয়সে, যখন মাথায় রোদ বৃষ্টি সহ্য হয়না, তখনই নাকি সে ফাঁকি দিয়ে পালায়। সারা জীবন তার যত্ন আত্যির কথা একটুও মনে রাখে না।
 
কাউকে কয়েক দিন না দেখলে ভয় লাগে

প্রিনানাদ মামার খবর কি?
৪ তারিখের পরে আর অন লাইন হন নি


আমিও খেয়াল করলাম, মামার কোন পোস্ট নাই অনেক দিন থেকে।
 
সত্যি কথা বলতে টরেন্ট ছাড়া আপনি ভালো কোয়ালিটির ছবি কোনো সাইটে পাবেন কিনা আমার সন্দেহ আছে। পেলেও সেটা মন্দের ভালো হতে পারে। ভালো হবার সম্ভাবনা খুবই কম। টরেন্টে ভালো কোয়ালিটির ঘণ্টা দুয়েকের একটা মুভির ওজন যেখানে ৭-১০ জিবি, সেখানে আপনি অন্য সাইটে সব থেকে ভালো কোয়ালিটিতে ছবিটি পাবেন সর্বোচ্চ ১-২ জিবির মাঝেই... দুইটার রেজুলেশনের পার্থক্যটা এথেকেই অনুমান করে নিতে পারেন। আমি টরেন্ট থেকে ২২ জিবি ওজনের ছবিও ডাউন লোড করেছি। পিউর ফোর-কে... এটা আপনি কয়টা সাইটে খুঁজে পাবেন !!
সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, আপনি টরেন্ট ছাড়তে চাচ্ছেন কেনো, আমি তো সেটাই বুঝতে পারছি না !!
torrentz2 সাইটেও শুধুমাত্র Magnet dl চলে সময় সময়. বেশিরভাগই তালাবদ্ধ থাকে, যদিও আমি সেটাই চালাই..........
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top