শ্রীলঙ্কাঃ
শ্রীলঙ্কার জাতীয় পতাকাটি আঁকা নিশ্চয়ই অনেক কঠিন, কারন এখানে তরবারি হাতে একটা সিংহ দাড়িয়ে আছে!!
শ্রীলঙ্কার পতাকার সবুজ অংশ দিয়ে মুসলমান, কমলা অংশ দিয়ে হিন্দুদের, সোনালি অংশ দিয়ে বৌদ্ধদের এবং মেরুন বাদামী রং দিয়ে আসল শ্রীলঙ্কান তথা সিনহালেস আদিবাসীদের বোঝানো হয়।
পতাকার চার কোনায় চারটি অশ্বত্থের পাতা দেখা যায়, যা নির্দেশ করে বৌদ্ধ ধর্মের চারটি মূল নীতিকে, যথা-
- মেত্থা- জীবে দয়া
- কারুনা - করুণা
- উপেকশা - শান্ত থাকা, ধ্যান করা
- মুদিথা - শান্তি, সুখে থাকা
শ্রীলঙ্কায় ৪৮৬ খ্রি.পূর্ব থেকে সোনালী সিংহকে তাদের প্রতীক মানা হয়। শ্রীলঙ্কার প্রথম রাজা বিজায়া এই প্রতীক চালু করেন। এই সিংহ আবার বৌদ্ধ ধর্মেরও কিছু প্রতীক বহন করে, এর গায়ের প্রত্যেকটি অংশের মানে আছে, যেমন: এর নাক দিয়ে বোঝায় বুদ্ধিমত্তা! আসলে এই প্রতীক গুলোর পৌরাণিক ব্যাখ্যা থাকায় এদের আলোচনা অন্য সময় করা হবে।
সিংহের হাতে থাকা তরবারিটি সাধারণ কোন তরবারি নয়, এর নাম কাস্তানে তরবারি , যা দিয়ে শ্রীলঙ্কার সার্বভৌমত্ব এবং সাহসকে বোঝানো হয়।
এখানে একটা মজার ফ্যাক্ট হলো--এই পতাকায় সোনালী বর্ডার বোঝায়, বৌদ্ধ ধর্ম, অন্য সকল ধর্ম, গোত্রের মানুষকে রক্ষা করছে
জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১:২।
ভুটানঃ
ভুটানের জাতীয় পতাকাটি বানানো হয়েছে, ভুটানে প্রচলিত মানুষের বিশ্বাস ও মিথোলজী থেকে।ভুটানকে বলা হয়, বজ্র ড্রাগনের দেশ
ভুটানের পতাকা খাতায় আঁকাও অনেক কষ্ট, যেহেতু এই পতাকায় একটা আস্ত ড্রাগন আছে!
১৯৬৫ সালে গৃহীত এই পতাকায় দেখা যায়,
অভিজাত সাদা রংএর বজ্র ড্রাগনকে, যা ভুটানের প্রতীক পতাকার হলুদ রং বোঝায় রাজার ক্ষমতা আর কমলা রং বোঝায় ঐতিহাসিক ড্রুকপা বৌদ্ধ ধর্মকে।
2:3 হলো এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থের অনুপাত।