এবারের ঈদে আসা কামিজে নতুন ধারা দেখা যাচ্ছে। হালকা, জমকালো—দুই ধরনের কাজই দেখা যাচ্ছে কামিজে। কাপড়, হাতের কাজ, রং, কাট, নকশা—সবকিছু মিলিয়েই গরমের কথা ভেবে কামিজে প্রাধান্য পেয়েছে আরামের বিষয়টি
উৎসবের পোশাকে নতুনত্ব থাকবেই। প্রতিবছরই নকশায় আসে পরিবর্তন, কিছুটা যোগ-বিয়োগ। পুরোনো-নতুন মিলিয়েই তৈরি হয় নতুন ধাঁচ। এ বছর কামিজের বেশ কিছু নতুন ধারা দেখা যাচ্ছে। হালকা, জমকালো—দুই ধরনের কাজই দেখা যাচ্ছে কামিজে। কাপড়, হাতের কাজ, রং, কাট, নকশা—সবকিছু মিলিয়েই গরমের কথা ভেবে কামিজে প্রাধান্য পেয়েছে আরাম বিষয়টি।
সুতি কাপড়ের ওপর কালার ব্লকিংয়ে উজ্জ্বল নকশা। পোশাক: শাহরুখ আমিন
বিশ্বের সব দেশেই পোশাকে ঢিলেঢালা ভাব চলে এসেছে। কারণ, করোনা আর গরম। ঈদের সালোয়ার-কামিজগুলোতে এবার দেখা যাচ্ছে এই ধারা। বেশ কিছু ফ্যাশন হাউস সোজা কাটের কামিজগুলোতে অতিরিক্ত ঢিলা বা ওভার সাইজ কাট নিয়ে এসেছে। ডিজাইনার শাহরুখ আমিন জানালেন, দেশীয় কাজের সঙ্গে আধুনিক কাট কামিজে এনেছে ফিউশন ভাব। সালোয়ার-কামিজে কালার ব্লকিংয়ের ধারাও দেখা যাচ্ছে এবার। বেশ কয়েকটি উজ্জ্বল রং যখন পোশাকে আলাদা করে ফুটে ওঠে, নকশায় ভিন্নতা আসবেই। কালার ব্লকিংয়ের কারণে সালোয়ার-কামিজগুলো এমনিতেই উজ্জ্বল হয়ে থাকে। এ কারণে কাপড় সুতি হলে পোশাক পরে আরাম পাওয়া যাবে। কামিজের হালকা রংগুলোও চোখে আরাম দিচ্ছে।
লম্বা বা খাটো জ্যাকেটের মাধ্যমে কামিজে লেয়ারিং করার ধারা এ বছরও থাকবে। পোশাক: আইরিসেস
ফ্রক কাটের কামিজে কুঁচির বহর বেশ মজা করেই করা হয়েছে। কখনো দুই পাশে, কখনো–বা পুরো কামিজ ঘুরেই এসেছে। এ কাটের কামিজেও প্লিট বসানো হয়েছে। ডিজাইনার রিফাত রহমান বলেন, এবার কামিজে বোহেমিয়ান ধাঁচ দেখা যাবে। আরাম ও স্টাইল দুটিই চলে আসবে এতে। প্লিট কখনো কামিজের সামনে, কখনো পেছনে থাকছে। এ ছাড়া স্মোকিংয়ের ব্যবহার লক্ষণীয়। আনারকলি আগেও জনপ্রিয় ছিল, এবারও রয়েছে। তবে ঘের কিছুটা কম দেওয়া হয়েছে এবার। লম্বা কামিজ প্রাধান্য পাচ্ছে। নিচের হেমলাইনে উঁচু–নিচু ছন্দ জুড়ে দেওয়া। পেছনে লম্বা, সামনে ছোট, সেটাও আছে। ভলিউম, গোল কাট, রুমাল ছাঁট ইত্যাদি দেখা যাবে।
আনারকলি কাটের কামিজে আভিজাত্য। পোশাক: আইরিসেস
সালোয়ার এ বছর ফিরে এসেছে। পাশাপাশি পালাজ্জো, সারারা, চাপা কাটের প্যান্ট, লেগিংস পায়ে পায়ে তাল মেলাবে। পালাজ্জোর ঘের কমবেশি থাকবে। তবে পালাজ্জোর এক পাশ দিয়ে লম্বা একটি নকশা ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত নেমে যাবে। কামিজের সঙ্গে অনেকে স্কার্টও পরছেন এখন। সে ক্ষেত্রে কামিজের ফাঁড়া বেশি থাকলে ভালো দেখাবে।এবারের ঈদের সালোয়ার-কামিজে রং, কাটে যথেষ্ট বৈচিত্র্য রয়েছে। তবে সবকিছুর ওপরে স্থান পেয়েছে আরাম।
ফ্যাশন ডিজাইনার হুমায়রা খান জানান, এ বছর কামিজে আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী দুটি ধারাই থাকবে। শিফন, সুতি, মসলিন, চান্দেরি প্রভৃতি কাপড়ের ব্যবহারে আরাম পাওয়া যাবে। সুতার কাজ, ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্টে ফুলের নকশা যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে, সেটা প্রশংসনীয়।
হালকা রঙের কামিজে স্নিগ্ধতা। পোশাক: রূপো শামস