Tyrion Lannister
Member
একটার পর একটা চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে যখন ব্যর্থ হচ্ছিলাম তখন মনে হচ্ছিলো চারপাশ থেকে বোধহয় সব দরজা আমার জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।ডিপ্রেশনের সাথে লড়াই করে পেরে উঠছিলাম না।পড়াশোনা শেষ করেও চাকরি হচ্ছে না এটা মেনে নিতে ভীষন কষ্ট হচ্ছিলো।বন্ধুরা সবাই প্রতিষ্ঠিত আর আমার কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।ভেবেছিলাম এবার তবে সুইসাইড নামক পথটাকেই বেছে নেবো।
শেষ বার যেদিন ইন্টারভিউ দিয়ে বাসায় ফিরছিলাম তখন আমার সাথে রাস্তায় এক ভদ্রলোকের দেখা হয়।লোকটা রিকশা খুঁজছিলেন।আমি আগে রিকশা ডাক দেওয়ায় রিকশাওয়ালা আমার দিকেই এগিয়ে এলেন।ভদ্রলোক খুব বিনয়ের সাথে বললেন,রিকশাটা যদি একটু ছেড়ে দিতেন তাহলে অনেক উপকার হতো।খুব জরুরি একটা কাজ আছে সময়মতো যেতে না পারলে ক্ষতি হয়ে যাবে।
আমি ভদ্রলোকের কথা শুনে বললাম,ঠিক আছে আপনি ওনাকে নিয়ে যান।আমার তারা নেই।
ভদ্রলোক বললেন,আপনি কি এদিকে যাবেন? তাহলে চাইলে আমার সাথে রিকশায় উঠে যেতেন পারেন যদি কোনো আপত্তি না থাকে।
আমি কিছু না ভেবেই উঠে পরলাম রিকশায়।
ভদ্রলোক আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,কোথায় গিয়েছিলেন?
আমি মলিন কন্ঠে বললাম,চাকরির ইন্টারভিউ ছিলো।
উনি আমার মুখ দেখেই বলে দিলেন,এবারে হয় নি তাই না!
আমি একটু হাসি দিয়ে বললাম,এই নিয়ে বহুবার।
ভদ্রলোক হেসে বললেন,আপনার তো দেখছি আমার মতোই অবস্থা।আমিও এক সময় বহুবার চাকরির জন্য চেষ্টা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম।কিন্তু তারপরেও আমি থেমে থাকিনি।চাকরিই যে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই।চেষ্টা আর ইচ্ছে থাকলে যেকোনো কিছুই সম্ভব।পড়াশোনা শেষ করে সার্টিফিকেট অর্জন করলেই যে শুধু চাকরি পেতে হবে এমন চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন।সংসারে টানাটানি,বাবার প্রতিদিনের কথা শোনানো এগুলো তো চলতোই।তার মধ্যে নিজের বন্ধুদের চাকরি হয়ে যাচ্ছে আমার হচ্ছে না তা নিয়ে ভীষন ডিপ্রেশনে ভুগেছিলাম কিন্তু আবার সেটা ওভারকাম করেছি।মাত্র একশো টাকা নিয়ে বিজনেস করতে নেমেছিলাম।আজ আমি একজন সফল ব্যবসায়ী।এখন মনে হচ্ছে পরের চাকরি না করে ভালোই হয়েছে।চাকরি চলে যাওয়ার ভয় নেই,কারো হুকুম মানার ভয় নেই আর নিজেকে যখন খুশি তখনই ছুটি দিয়ে দিতে পারি।অথচ এই আমি এক সময় ভাবতাম আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।আর দেখুন আজ আমি কত বড় একটা বিজনেস দাড় করিয়েছি।
ভদ্রলোক রিকশা থেকে নেমে বললেন,ভাড়াটা আমি দিয়ে দিচ্ছি।
আমি মানা করায় তিনি বললেন,ভাড়াটা আমি এমনি এমনি দিচ্ছি না আপনি আমার একটা উপকার করেছেন তার বিনিময়েই ভাড়াটা দিচ্ছি।ভালো থাকবেন।
আমি উল্টো তার ভাড়া দিয়ে বললাম,আপনি নিজেও জানেন না আপনি আমার কত বড় উপকার করেছেন।
ভদ্রলোক কপাল কুঁচকে বললেন,আমি কখন উপকার করলাম!
আমি একটা হাসি দিয়ে বললাম,সেটা না হয় আবার কখনও দেখা হলে চা খেতে খেতে বলা যাবে।
ভদ্রলোক আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারাতারি করে চলে গেলেন।
বাকি পথটুকু যেতে যেতে ভেবে যাচ্ছি,কয়েকবার ব্যর্থ হয়েই কত বড় ভুল পথ বেছে নিচ্ছিলাম।লোকটা হয়তো ফেরেশতা রূপেই আমার সামনে এসেছেন আমাকে ভুল পথ থেকে সরিয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য।
শেষ বার যেদিন ইন্টারভিউ দিয়ে বাসায় ফিরছিলাম তখন আমার সাথে রাস্তায় এক ভদ্রলোকের দেখা হয়।লোকটা রিকশা খুঁজছিলেন।আমি আগে রিকশা ডাক দেওয়ায় রিকশাওয়ালা আমার দিকেই এগিয়ে এলেন।ভদ্রলোক খুব বিনয়ের সাথে বললেন,রিকশাটা যদি একটু ছেড়ে দিতেন তাহলে অনেক উপকার হতো।খুব জরুরি একটা কাজ আছে সময়মতো যেতে না পারলে ক্ষতি হয়ে যাবে।
আমি ভদ্রলোকের কথা শুনে বললাম,ঠিক আছে আপনি ওনাকে নিয়ে যান।আমার তারা নেই।
ভদ্রলোক বললেন,আপনি কি এদিকে যাবেন? তাহলে চাইলে আমার সাথে রিকশায় উঠে যেতেন পারেন যদি কোনো আপত্তি না থাকে।
আমি কিছু না ভেবেই উঠে পরলাম রিকশায়।
ভদ্রলোক আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,কোথায় গিয়েছিলেন?
আমি মলিন কন্ঠে বললাম,চাকরির ইন্টারভিউ ছিলো।
উনি আমার মুখ দেখেই বলে দিলেন,এবারে হয় নি তাই না!
আমি একটু হাসি দিয়ে বললাম,এই নিয়ে বহুবার।
ভদ্রলোক হেসে বললেন,আপনার তো দেখছি আমার মতোই অবস্থা।আমিও এক সময় বহুবার চাকরির জন্য চেষ্টা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম।কিন্তু তারপরেও আমি থেমে থাকিনি।চাকরিই যে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই।চেষ্টা আর ইচ্ছে থাকলে যেকোনো কিছুই সম্ভব।পড়াশোনা শেষ করে সার্টিফিকেট অর্জন করলেই যে শুধু চাকরি পেতে হবে এমন চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন।সংসারে টানাটানি,বাবার প্রতিদিনের কথা শোনানো এগুলো তো চলতোই।তার মধ্যে নিজের বন্ধুদের চাকরি হয়ে যাচ্ছে আমার হচ্ছে না তা নিয়ে ভীষন ডিপ্রেশনে ভুগেছিলাম কিন্তু আবার সেটা ওভারকাম করেছি।মাত্র একশো টাকা নিয়ে বিজনেস করতে নেমেছিলাম।আজ আমি একজন সফল ব্যবসায়ী।এখন মনে হচ্ছে পরের চাকরি না করে ভালোই হয়েছে।চাকরি চলে যাওয়ার ভয় নেই,কারো হুকুম মানার ভয় নেই আর নিজেকে যখন খুশি তখনই ছুটি দিয়ে দিতে পারি।অথচ এই আমি এক সময় ভাবতাম আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।আর দেখুন আজ আমি কত বড় একটা বিজনেস দাড় করিয়েছি।
ভদ্রলোক রিকশা থেকে নেমে বললেন,ভাড়াটা আমি দিয়ে দিচ্ছি।
আমি মানা করায় তিনি বললেন,ভাড়াটা আমি এমনি এমনি দিচ্ছি না আপনি আমার একটা উপকার করেছেন তার বিনিময়েই ভাড়াটা দিচ্ছি।ভালো থাকবেন।
আমি উল্টো তার ভাড়া দিয়ে বললাম,আপনি নিজেও জানেন না আপনি আমার কত বড় উপকার করেছেন।
ভদ্রলোক কপাল কুঁচকে বললেন,আমি কখন উপকার করলাম!
আমি একটা হাসি দিয়ে বললাম,সেটা না হয় আবার কখনও দেখা হলে চা খেতে খেতে বলা যাবে।
ভদ্রলোক আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারাতারি করে চলে গেলেন।
বাকি পথটুকু যেতে যেতে ভেবে যাচ্ছি,কয়েকবার ব্যর্থ হয়েই কত বড় ভুল পথ বেছে নিচ্ছিলাম।লোকটা হয়তো ফেরেশতা রূপেই আমার সামনে এসেছেন আমাকে ভুল পথ থেকে সরিয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য।