আম পান্না
ইদানিং কালে গরম পড়তে শুরু করলে সেটা বারতে বাড়তে চরম সীমায় পৌঁছে যায়। আগে এমনটা ছিলো না। শীত কিংবা গরম একটা নির্দিস্ট পরিমানেই থাকতো। আবহাওয়াবিদদের মতে গ্রীন হাউজ ইফেক্টের কারনে এমনটি হচ্ছে। আর এটা এখন থেকে নিয়মিতই হবে। শুরু শুরুতে গরমটা সহ্যের ভিতর থাকলেও যখন সেটা চরমে উঠে যায় তখন সহ্য করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকাটা আবশ্যক, কারণ গরমের তীব্রতায় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তার স্বাভাবিক কার্য্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে খুব সহজেই শরীরে অবসাদ চলে আসে। কোনো কাজ কর্ম তখন ঠিকভাবে করতে মন চায় না। তাই এই অবস্থায় আপাতত আপনার প্রথম কাজ, নিজের ও পরিবারের সকলের খেয়াল রাখা। যদিও বাজারে অধিকাংশ জিনিসপত্রই অমিল, তথাপিও গরমের সময় কাঁচা আম বাজারে বেশ পাওয়া যায়। এটা যেহেতু একেবারেই স্থানীয় ফল, তাই তা খুব সহজেই আমরা পেতে পারি। আম দেখতে পেলে অবশ্যই কিনুন। আমের টক, আম ডাল তো বানানো যায়ই, মাছ দিয়েও কাঁচা আম রান্না করে খাওয়া যায়। আর আছে আমের শরবত, শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে।
কাঁচা আমের শরবত বানানোর দুটো সহজ রাস্তা আছে। উত্তর বঙ্গে আম সিদ্ধ করে কাত্থ বের করা হয়। অনেকে আম পুড়ে শাঁস বের করার পদ্ধতিও বেছে নেন, তাতে বাড়তি একটা স্মোকি ফ্লেভার যোগ হয়। বাড়িতে গ্যাসের চুলাতেও আম পোড়ানো সম্ভব – রুটি সেঁকার তারজালির উপর রেখে পুড়িয়ে নিতে পারেন। মাঝারি আকারের আম পুড়তে মিনিট পাঁচ-সাত লাগে। তারপর খোসা ছাড়িয়ে শাঁস বের করে নিন। পানি মিশিয়ে পাতলা করুন। মশলা হিসেবে দিন বিটলবন, চিনি, ভাজা মশলার গুঁড়ো আর পুদিনাপাতা বাটা।
উপকরণঃ
২টি কাঁচা আম
১ কাপ চিনি
২ কাপ পানি
সামান্য ্লবন
সামান্য এলাচগুঁড়ো
সামান্য জ়াফরান
পদ্ধতিঃ
আমের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে নিন।
চিনি আর সামান্য নুন দিয়ে প্রেশার কুকারে আম সেদ্ধ করে ব্লেন্ড করুন, তার পর ছেঁকে নিন।
এলাচ, জ়াফরান মেশান।
ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
খুব ঘন লাগলে একটু পানি মিশাতে মেশাতে পারেন।