আল্লাহর শরণ বিষয়ে পবিত্র কোরআনের সুরা ফালাক (১১৩)-এর ১-৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘বলো, আমি শরণ নিচ্ছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অমঙ্গল হতে; অমঙ্গল হতে রাত্রির, যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়, অমঙ্গল হতে সেসব নারীর, যারা গিঁটে ফুঁ দিয়ে জাদু করে এবং অমঙ্গল হতে হিংসুকের যখন সে হিংসা করে।’
সুরা নাস-এর ১-৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘বলো, আমি শরণ নিচ্ছি মানুষের প্রতিপালকের, মানুষের অধীশ্বরের, মানুষের উপাস্যের, তার কুমন্ত্রণার অমঙ্গল হতে, যে সুযোগমতো আসে ও সুযোগমতো সরে পড়ে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিন বা মানুষের মধ্য থেকে।’
সুরা আ’রাফ-এর–২০০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, আর যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে তুমি আল্লাহর শরণ নেবে; নিশ্চয় তিনি সব শোনেন, সব জানেন। একইভাবে সুরা হা–মিম সিজদার ৩৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে উসকানি দেয়, তবে তুমি আল্লাহর শরণ নেবে; তিনি সব শোনেন, সব জানেন।’
সুরা মুমিনুন-এর ৯৭ ও ৯৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে আমার প্রতিপালক! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। বলো, হে আমার প্রতিপালক! আমি ওদের উপস্থিতি থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি।’
সূত্র: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ‘যার যা ধর্ম’, পৃষ্ঠা ৬৫, প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা।
* মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান: প্রয়াত সাবেক প্রধান বিচারপতি, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা