What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Black Knight

Not Writer or Creator, Only Collector
Staff member
Supporter
Joined
Mar 6, 2018
Threads
265
Messages
25,763
Credits
560,184
Birthday Cake
Billed Cap
Rocket
Pizza
Mosque
Pizza
ভবিতব্য
(লেখক-ALFANSO F)

এখানে আসার পর থেকেই কিছুই ভালো লাগছে না।ধুর,আমাদের ওই ছোটো ফ্ল্যাট টাই ভাল ছিলো। বাবা কেন যে হটাথ দিলিপ কাকুদের বাড়ি তে থাকতে এল কে জানে।
যাই হোক, আমার নাম রাতুল, মা রুপা আর বাবা কমল।
আগে আমরা থাকতাম কলকাতার মুকুন্দপুর এর দিকটায়।
সেখানকার ফ্ল্যাট টা বেচে দিয়ে এখন বাবার বন্ধু কাম বস দিলিপ কাকুদের বাড়ির নিচের তলার ফ্লাট টাই উঠেছি।
আমি সদ্য ক্লাস ৫ এ উঠলাম। সংসারের কোনো ব্যাপার মাথায় না ঢুকলেও কোনো টানাপরেন হলে তা বেশ বুঝতে পারি।
আর কয়েকদিন জাবথ বেশ বুঝতে পারছি যে আমাদের এখানে শিফট করা টা কারো পক্ষেই খুব আনন্দের হয় নি। অনেক টা বাধ্য হয়ে তবেই আসতে হয়েছে।


দিলিপ কাকুদের বাড়িটা অদ্ভুত রকম একি সাথে বাড়ি কাম ফ্ল্যট।
৫ তলা বাড়িতে উপরের দুই তলায় ৩-৪ টা ঘর ডাইনিং ইত্যাদি নিয়ে ওনাদের সংসার। দিলিপ কাকুর বউ তিন্নি কাকিমার বয়স ওই ২৫-২৬ মত হবে। কাকিমা দুর্বল প্রকৃতির রোগাটে হলেও খুবি অমায়িক। আসার পর থেকেই লক্ষ করেছি উনি আমায় ভিসন ভাল বাসেন।


আমাদের ফ্ল্যাট টা নিচের তলায় হলেই ৩ টে রুম, ডাইনিং ইত্যাদি রয়েছে। বাবা মার আলচনা থেকে সুনেছি ভারাও খুবি কম নিচ্ছেন কাকু। আমার নতুন স্কুলও এখান থেকে কাছে। তাহলে সমস্যা টা যে কি আমি ঠিক বুঝে উঠ তে পারছি না। আর কিছুদিন গেলে বুঝতে পারব মনেহয়।


২।
আজ শনিবার রাত। আর দু দিন বাদেই আমার জন্মদিন। মনে মনে আমার খুশি উপচে পরছে। আজ সকালে দিলিপ কাকু বলেছিল ভাল রেসাল্ট করলে জন্মদিনে দারুন গিফট দেবে, আর ক্লাস টেস্ট এ আমি সেকেন্ড হয়েছি। একটা গিফট তো বাধা। কিন্তু মা সেই প্রতিদিনের মত আজকেও হোম ওয়ার্ক নিয়ে পরেছে।
মা পরতে বসালে আমার নজর মায়ের শাড়ির ফাকা পেটির উপরেই আটকে থাকে। কত নরম আর ফরশা। রাতে বেলা ঘুমানোর সময় তাই মার পেটে জড়িয়ে ধরে না ঘুমালে আমার ঘুমি আসে না।
অনেক বকুনি আর চোখ রাংগানি খেয়ে আজকের মত পড়াশুনার পাঠ চুকলো।
বাবাও আসার সময় হয়ে এল।
আমি বসে বসে কার্টুন দেখছি আর ভাবছি,আগে ভাল ছিলাম না এখানে ভালো আছি।
আগে পাসের বাড়ির ছেলে মেয়ে গুলর সাথে মা খেলতে দিত না। আর এখানে আমাদেত পাসের ফ্লাটের সমির কাকুর ছেকে তুকাই ছারা আমার আর কনো খেলার সাথিই নেই। তুকাই আমার চেয়ে বেশ খানিকটা বড়, তবে আমার মত ওর ও খেলার কোন সাথি না থাকায় বিকেলে আমরা একসাথেই খেলাধুলা করি।
ওই যে বাবা চলে এল। প্রচুর মিষ্টি নিয়ে এসেছে। বাবা নাকি এবার TCS কোম্পানি তে চাকরি পেয়েছে। দিলিপ কাকুর রেকমেন্ডেশনে। বাবা মা দুজনেই দিলিপ কাকু, সমির কাকু সবার কাছে গিয়ে মিষ্টি দিয়ে এল। এবার জম্পেশ খাওয়া দাওয়া করে মা কে জড়ি য়ে ধরে ঘুম।


৩।
এবার জন্মদিনের কথা বলি। সাড়া দিন প্রচুর আদর পেলাম ঠাকুমা ঠাকুরদা নেই,দাদু - দিদার আদরের নাতি আমি। সকলে অনেক উপহার দিল, বাবার নতুন অফিসের কলিগেরাও এসেছিল।সকলে মায়ের রান্নার খুব তারিফ করল। উপরের দিলিপ কাকু তো মায়ের রান্না মাংস ঘুগনি খেয়ে বিগলিত।
উনি মায়ের ফ্যন হয়ে গেলেন। তবে যেটা লক্ষ করার বিষয়, দিলিপ কাকু বাবার অফিসের বস না হয়েও সকলের কাছে বসের চেয়েও বেসি সন্মানিয়। তাই আমাদের বারিতেও তার বাড়তি কদর। মাও দেখলাম তাই বোধোয় ওনার সাথে একটু বেসিই মেলা মেশা করছে। জা আমার মধ্যে এক অদ্ভুত বুকের ব্যাথার জন্ম দিলো। জানি না হটাথ মায়ের উপর আমার অধিকার যেন ভাগ হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হলো।


সকলে বাড়ি থেকে যেতে যেতে প্রায় রাত ১০.৩০ বেজে গেল। মা বাবাও ঘুমানোরর জন্য বলতে লাগল। কিন্তু আমি নতুন গিফট গুল দেখতে ব্যস্ত ছিলাম। শেষে বাধ্য হয়ে বাবা মা ঘুমতে গেল।
বেশ খানিকক্ষণ পর মায়ের মুখে অস্পষ্ট ভাবে যেন বেশ কয়েকবার দিলিপ কাকুর নাম শুনতে পেলাম। একটু শোনার চেস্টা করতেই শোনা যেতে লাগল। বাবা বলছে - আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে সুনেছি বউগুলকে একবারে নিংড় নেয়। তুমি পারবে তো।
মা দেখলাম ঝাঝিয়ে উঠল। থামো তো। আধবুড়ি হয়ে এলাম এখনো কিছু শুখ দিতে পেরেছ? কোন দিকটা আমার পুরন করেছ? ফালতু কথা বোলো না।
আমি কান খাড়া করে সুনে যাচ্ছি। মা বলে চলেছে। তোমার সব কথায় বিশ্বাস করে এক কাপড়ে ঘর ছেড়েছিলাম। তারপর থেকে কিভাবে কাটাচ্ছি জানা নেই তোমার? আমাকে অন্তত কিছুদিন আমার মত করে বাচতে দাও।
বাবা দেখলাম কিছু বল্ল না। আর সেরকম কোনো আওয়াজ আসলো না। আমিও খানিকক্ষণ পর আমার আমার নতুন বিছানায় ঘুমতে গেলাম। আমার জন্মদিনের সময় বাবা বলেছিলএবার বাবাই বড় হয়ে গেছে। এবার বাবাই আলাদা একা শুতে যাবে।


ঘুম থেকে উঠতে বেশ দেরি হয়ে গেল। মা খুব বকাবকি করে স্কুলে পাঠালো। বল্ল আসার সময় মা আনতে যাবে, আমিও মনে মনে ভেবে নিলাম আজ তো যেমন করেই হোক মা কে রাজি করিয়ে shopping mall যাবইই। ২ টো বাজতেই স্কুলের গেটে মা কে দেখতে পেলাম, আর বায়না সুরু করলাম। অবশেষে মা রাজি হল। south city mall এ গেলাম। প্রচুর window shopping করলাম। হঠাথ দেখি দিলিপ কাকু অন্য এক মহিলার সাথে বসে গল্প করছে। আমাকে দেখেই ডাকলেন, কি ছোটো বাবু কি খবর, মায়ের সাথে খুব ঘোরা হচ্ছে বুঝি। আমি হাসলাম।তারপর বললেন আর কি কি কেনা কাটি হল? আমি একটু ম্লান মুখে বললাম কিছুই কিনে দিলো না মা। মা আমাকে ধমক দিয়ে বল্ল বাবুর জুতো পছন্দ হয়েছে যার দাম ১৫০০! বলুন তো এত দামি জুতো ও কি করবে। কাকু বললেন চলুন দেখি। পাশের মহিলার দিকে তাকিয়ে বললেন - নমিতা তুমি একটু বসো আমি আসছি। দোকানে ঢুকতেই কর্মচারী রা আসুন স্যর বলে আমার দিকে তাকালেন।

কাকু বলতেই আমার জুতো হাজির। মার হাজার আপত্তি সত্তেও কাকু আমাকে জুতো কিনে দিলেন। অবশেষে আমি দেখলাম মা আর কাকু একটু ভালো ভাবে ফ্রিলি কথা বলছে। কাকুর ফোন এল। সেই মহিলা বেরিয়ে যাচ্ছে, কাকু কে তাই জানিয়ে দিচ্ছেন। মা হঠাথ বলে উঠল আপনার বন্ধবী তো চলে যাচ্ছেন। কাকু বললেন আপনাকে দেখে বোধহয় জেলাস হয়ে গেল।আপনি তো আছেন।
মা বল্ল তা আপনি বারিতে বউ ফেলে এখানে কি করছেন। এবার কাকু আমাদের ফুড কোর্ট এর দিকে নিয়ে জেতে যেতে বললেন জানই তো আমার বউএর অবস্তা। কতটা দুর্বল ও। আমারো তো কিছু চাহিদা আছে নাকি? মা বেশ কিছুখন চুপ। কাকু বললেন সরি।
মা বল্ল তিন্নি জানে। কাকু বললেন আমি তিন্নির কাছে কনো কিছুই লুকোই না। মা একটা ম্লান হাসি দিল। এসব কথা বারতার মদ্ধেই খাওয়া শেষ করে আমরা উঠলাম। কাকু আমাদের গাড়িতে উঠতে বলেলেন, কিন্তু মা কে অনার দর্জি র কাছেও জাওয়ার ছিল। তাই আমরা অন্য ট্যাক্সি নিলাম। বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেল। সেই আবার এক রুটিন। পড়তে বস। ১০ টার দিকে বাবা আসতেই পড়া থেকে ছুটি। এবার আমার নতুন জুতো গুলো পরলাম। বেশ নরম।মা এবার বাবার কাছে নালিশ করতে লাগল। আমি কিভাবে জুতো কিনেছি তাই নিয়ে। যদিও বাবা আমাকে বকলো না। উপরন্তু মুচকি মুচকি হাস্তে লাগল।বাবা বল্ল দিলিপ দা আমাকে আগেই কল করেছে। আমি যেন এ যাত্রায় বেচে গেলাম।
রাতের খাওয়া শেষ। এবার নতুন জুতো জোড়া পরে ঘরম য় ঘুরে বেরাতে লাগলাম।
যথারিতি বাবা মা নিজের ঘরে কথা বলছে। বিষয় দিলিপ কাকু। মা বলছে ওনার মদ্ধে একটা অদ্ভুত চারম আছে। মেয়ে মাত্রেই তা ফিল করতে পারে। বাবা হা হা করে হেশে বল্ল মেয়ে কি গো ছেলেরাও অনার চারম ফিল করতে পারে। মা রেগে বল্ল বাবু ঘুমচ্ছে আস্তে। বাবা বলছে ও এতক্ষণ ঘুমিয়ে কাদা। আচ্ছা দিলিপের সাথে এত যে মহিলারা ঘুরে বেরায় তোমার দেখে মনে হয় না লোকটা বাজে। মা দেখলাম নিরদিধায় বলে দিলো না তো। মেয়েরা এতো প্রভাবশালী একটা লোকের পেছনে নিশ্চই এমনি ঘুরে মরে না।
আমার এবার ঘুম পাচ্ছিল। ধিরে ধিরে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
আবার পরদিন স্কুল। আজ বাড়ি ফিরে দেখলাম দিলিপ কাকুর গাড়িটা গ্যারেজ এ। ভালো করে লখ্য করলাম। তারপর স্কুলের বন্ধুর দেওয়া ছবি মিলিয়ে দেখলাম এটা তো পোরশে প্যানামেরা।
বিশাল তার দাম। দিলিপ কাকুর তবে প্রচুর টাকা আছে নিশ্চই।


এর বেশ কিছুদিন বাদের কথা বাবার মান্থলি স্যালারি আর কম ঘরভাড়া সব মিলিয়ে আমাদের ফ্যামিলি এখন অনেকটা স্টেবল।আমাদের সাথে দিলিপ কাকুদের সম্পর্ক টাও এখন অনেক টা ফ্রী। আমাদের ফ্ল্যাটে তিন্নি কাকিমা কে হামেশায় দেখা যায়। বাবাও মাঝেমাঝে দিলিপ কাকুর কাছে মদ খেতে জায়।আমিতো কাকিমার সাথেই বেশি ঘুরে বেরাই। যদিওবা দিলিপ কাকু আমাদের এখানে হটাথই কনো দিন আসেন।
মা এখন একটা জিম ক্লাসে ঢুকেছে। এমনি তেই আমার মা দেখতে খুবি সুন্দরি,তার উপর সকালে জিমে গিয়ে গিয়ে আরও যেন বয়স টা কমে গিয়েছে।
মাঝে মাঝে মা বাবা দিলিপ কাকুদের সাথে বাইরে পার্টি ফার্টি তেও যাচ্ছে। মোটামুটি বাড়িতে একটা অনুদিগ্ন ভাব আছে।
এমনি একদিন বিনা মেঘে ব্জ্রপাত, হটাথ বাবার কোম্পানি কিছু লোক ছাটাই করে তাতে বাবাও বাদ পড়ে। ত্রাতা আবার সেই দিলিপ কাকু। উনি এবার কনো রিক্স না নিয়ে বাবাকে নিজের কোম্পানিতে নিয়ে নেয়। এই মাস দুয়েকের ডামাডোলের পর আবার সব একি মত চলছে।


বাবার চাকরি পরিবর্তনের সাথে সাথে বাড়ি র পরিবেশও একটু একটু করে পরিবর্তনন হচ্ছে। মার নতুন জিম ক্লাস, রাত্রে মাঝেমাঝে পার্টি তে যাতায়াত, মার পোষাকের ক্রমশ ছোট হওয়া এগুলো থেকে তা সহজেই আমি বুঝতে পারছি। আমার পড়াশুনার প্রতিও মায়ের মনযোগ এখন অনেক কম। আর আমি ছাড়া গরুর মত অন্য কিছুর দিকে মন দিচ্ছি। বাড়িতে কম্পিউটার আর নেট কানেকশন থাকলে যা হয়!
আজ টিফিনে স্কুল ছুটি হয়ে গেল। তারাতারি বাড়ি ফিরে এলাম। বাড়িতে ঢোকার আগেই দেখি কেউ জেন ভেতরে আছে। মার সাথে কথা বলছে। আর মা খুব হাসছে। ভেতরে আস্তেই বুঝলাম দিলিপ কাকু। মাকে বলছে বউদি চল না কোথাও ঘুরে আসি। তুমি দিন প্রতি দিন irresistible হয়ে জাচ্ছ। তোমার পাশে থাকলেই আর কন্ট্রোল করা জাচ্ছে না। কি করা যায় বলতো। মা আবার জোরে হেসে উঠল। আমি এসেছি দেখে মা রান্না ঘরের দিকে জেতে জেতে বলল বাবু আজ টিফিন কি খাবে একটু পাস্তা করি! আপনি ও একটু খান। বাবুর স্কুল আজ তাড়াতারি ছুটি হবে বলে ফোন এসেছিল, তাই একটু পাস্তা এনে রেখেছি। আমি মনে মনে ভাবছি - কি বিপদ। গাড়ির কাকু কে বলে যদি আগেই কোনো বন্ধুর সাথে বেড়ি য়ে যেতাম আজ তাহলে কপালে দু:খ ছিল।
কাকুর সাথে নাস্তা করতে করতে ভিডিও গেম খেলতে লাগলাম। সাথে সাথে কাকুর সাথে কথা হচ্ছিল। প্লে স্টেশন টাও কাকুর ই দেওয়া। কাকু বলছে বাবু যদি ধর আমি আর তোমার মা দুদিন বাইরে বেরিয়ে আসি তুমি একা বারিতে থাকতে পারবে? আমি গেমের নেশায় বলে উঠলাম - হ্যায়।। কেন না। এখন তো আমি বড় হয়ে গেছি। মা আমার পিঠে আলতো চাপড় মেরে বল্ল এই বোকা ছেলে। খাবার কে দেবে। আমি বললাম কেন কাজের মাসি।
আর তোর স্কুলের হোমওয়ার্ক? ও আমি ঠিক করে নেব। মা বলে উঠল আহা রে আমার পাকা ছেলে। হয়েছে আর পাকামো করতে হবে না। আর দাদা আপনি কি না... ওর বাবা কি ভাববে? দিলিপ কাকু বলছে ও তুমি চিন্তা কর না। ওকে আমি কোনো আস্যাইনমেন্টে বিদেশে কিছুদিনের জন্য পাঠিয়ে দেব। মা বল্ল আর আপনার স্ত্রী? দিলিপ কাকু হেসে বলল আরে ওরি তো আইডিয়া! মা এবার মুচকি হেসে বলে উঠল হে ভগবান কাদের পাল্লায় পড়েছি। দিলিপ কাকু এবার বল্ল আচ্ছা বাবা বাইরে যেতে হবে না। তোমার চোখের তারা সবসময় তোমার কাছেই থাকবে। তাই বলে আমি একটু মিষ্টি খেতে পাব না। তাই কি করে হয়। মা বলে উঠল ধ্যাত। আপনি না! আমি কিছু না বুঝেই বললাম কাকু বাড়িতে নলেনগুড়ের রসগোল্লা আছে। কাকু এবার সজোরে হেসে উঠল। বল্ল আমি জানি তো বাবু। তাই তো খেতে চাইছি।


বাড়ির বাইরে সাধারনত সামনের পার্ক টা তেই আমি আর পাসের ফ্ল্যাটের তুকাই খেলাধুলা করি। একদিন খেলতে খেলতে তুকাই বল্ল ভাই সকালে তোর মা আর উপরের তিন্নি কাকিমা কথায় যায়? আমি বললাম কেন জিমে যায়।
তুকাই বলে সত্যি ভাই দিন প্রতিদিন তোর মা কিন্তু শ্রাবন্তিকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। উফফ দেখলে মনে হয় দেখতেই থাকি। জানিস সকালে জিমে জাবার আগে কাকিমারা যখন পার্কে হাটতে আসে পার্কে ছেলেপুলেদের ভিড় বেড়ে যায়। আমি যেন গর্বের সাথে বলে উঠলাম মা টা কার তা তো দেখতে হবে!
এমনি একদিন সন্ধ্যায় হোমওয়ার্ক করতে বসেছি। মা আর তিন্নি কাকিমা একসাথে বসে টিভি দেখছে আর টুক টাক কথা বলছে। বাথরুম যাব বলে বাইরে বেরতে ওনাদের কথা পরিস্কার শুনতে পাচ্ছি।
তিন্নি কাকিমা বলে চলেছে এই রুপা বল না তোর কি ডিসিশন। তুই তো জানিস আমার অবস্থা, আমি পারি না ওর ধকল নিতে। এভাবে এতগুল বছর কাটিয়ে দিলাম। অবশেষে তোকে দেখে ওর মনে ধরেছে। তুই তো জানিস ও আমার থেকে কিছুই লোকায় না। ওর বান্ধবী দের কথা,রাত ভর পার্টি, উদ্দাম জীবন সবি আমাকে খুলে বলে। আমিও তো ওর এই রুপেই মজেছিলাম। কিন্ত কি করব আমি ওকে কোনোভাবেই তৃ প্ত করতে পারি না। কত যায়গায় আমাকে ও নিয়ে গিয়েছে। এমনকি বিদেশেও দাক্তার দেখানো হয়েছে। কিছুই ফল হল না। বাধ্য হয়ে ও এদিকওদিক থেক একটু শুখ চায়,কিন্ত তাতে আমার কনো দুক্ষ নেই। আর ও সেটা জানে। আর তোর কাছে কি লোকাবো সবিই তো জানিস। আমাকে এই উপহার টা একমাত্র তুই দিতে পারিস। আমি জানি তুই হয়ত ভাবছিস এডাপ্ট করতে কি অসুবিধা! তুই দিলিপের বাবাকে চিনিস না। উনি ভিশশশন অর্থোডক্স টাইপ। যদি এমন কিছু শোনে আমাদের উনি কোনোদিন ক্ষমা করবে না।
এ তো আমি শুধু আমার কথা বললাম। তুই তোর কথাটাও ভাব। আমি জানি কমল তোর টাইপের নয়। এই ক মাসে তোকে যতটুকু চিনেছি তাতে এ তো পরিস্কার দিলিপের সাথে তোর কেমিস্ট্রি ব্যাপ,, আর দুজনেই জীবন টা উপভোগ করতে জানিস। দিলিপের সুজোগ আছে তাই ও উপভোগ করতে পারছে,আর তোর নেই।
মা অনেকক্ষন চুপ করে থেকে বল্ল আমি ভেসে গেলে আমার ফ্যামিলি টার কি হবে। তুমি সেটা ভেবেছ। তিন্নি কাকিমা বললেন- আমি তো আছি রে বাবা। তোর ছেলেকে আমি তোর থেকেও বেশি ভালোবাসি। ওর এতটুকু অজত্ন আমি হতে দেব না।


আমি আর দিলিপ কাকু আজকে গ্রামের পথে চলেছি ওনার নতুন কেনা গাড়ি করে। এটা blueরং এর অডি। আসলে আজ স্কুল ছুটি ছিল। আর সারাদিন বাড়িতে ভিডিওগেম খেলেছি। বিকেলে মা পড় তে বসতে বললেও পাত্তা দিই নি। তার পর যা হওয়ার তাই,মা এসে দুম দাম। এই সময়তেই দিলিপ কাকুর প্রবেশ। আর মায়ের সাথে ঝাপ্টা ঝাপ্টি করে আমাকে বাচিয়ে নিয়ে ঘুরতে চলেছেন।গাড়িটা ব্যাপক! খানা খন্দ গুল একদমি বোঝা জাচ্ছে না।
খানিকক্ষণ পর কান্না থামলে কাকু বললেন কি রাতুল বাবু কান্না কমেছে! তাহলে একটা কুল্ফি খাওয়া যাক। আমি বললাম হু।
তার আগে হিশু করব। কাকু বললেন - নিশ্চই। আমিও করব তো। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে দুজনে পেচ্ছাপ করতে লাগলাম। কাকু দেখি আমার মত বেল্ট - চেন- হুক সব খুলে জাঙিয়া নামিয়ে আমার মত করে হিসু করছে। আমি দেখলাম ওনার নুনু অনেকটা বড়। হাথ দিয়ে মাপলে আমার কুনুই ছাড়িয়ে যাবে।আর অনেকটা আমাদের বাড়ির টিভির রিমোট টার মত ছেদ্রানো মাথা। কাকুর নুনুর দিকে তাকিয়ে আছি দেখে কাকু হেসে বললেন বুঝলে ছোটো বাবু এটার অনেক পরিশ্রম হয় তো তাই এর মাসল গুলো বড় হয়ে গেছে। তুমি বড় হও,, তোমাকেও এর এক্সারসাইজ শিখিয়ে দেব। মাকে গিয়ে বলবে না যেন আমার টা তুমি দেখেছ।
আচ্ছা কাকু,বলে আমরা খুল্ফি খেয়ে আলতু ফালতু বকতে বকতে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।


দু দিন পরের কথা মায়ের সাথে খুনশুটি করতে করতে আমার হটাথ দিলিপ কাকুর কথা মনে পড়ল। মাকে বললাম মা- যান তো দিলিপ কাকু না বলেছে বড় হলে নুনুর এক্সারসাইজ শিখিয়ে দেবে। মা যেন কথার থঈ হারিয়ে ফেল্ল। বল্ল এই বোকা ছেলে কি বলছিস। হ্যা মা, যান তো দিলিপ কাকুর নুনু এত্ত বড়। আমি সেদিন দেখেছি। তখন কাকু বলেছে। মা বলছে- এই পাগোল বড় দের সাথে এগুল নিয়ে কথা বলতে নেই।
আমি কিছু বুঝলাম না। তবে আর কথা বারালাম না। সেদিনের মারের কথা এখনও মনে আছে। চুপ চাপ পরতে বসলাম।


বেশ কিছুদিন পরের কথা। বন্ধু বান্ধব দের কাছে টুক টাক মেয়েদের ব্যাপারে শুন্তে শুনতে মনে হচ্ছে যেন মেয়েরা জগতের শ্রেষ্ঠতম জীব।
আর আমার মা যেন তাদের সকলের মধ্যে শেরা।
একদিন বিকেল নাগাদ ঘুমিয়ে আছি আর দিলিপ কাকুর গলার শব্দে ঘুম ভাঙল। মা আর দিলিপ কাকু ধিরে ধিরে কথা বলছে। দিলিপ কাকু বলছে একবার তো আমাকে চান্স দাও সোনা।আর কত দিন তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখব বল। একটি বার।
মা বল্ল যদি তারপর আর আটকাতে না পারি। দিলিপ কাকু বলছে তুমি নিজেই সবচেয়ে ভাল নিজেকে চেন। কেন আমার সাথে এমন লুকোচুরি খেলছ। যান তো তোমার কথা ভেবে ভেবে কোন নতুন মেয়ে সহ্য পরজন্ত করতে পারছি না।
মা বলছে -হ্যা আর আমার ছেলেকে কি কি সব সেখাচ্ছেন। বাচ্ছা ছেলেটা কি সব ভুল ভাল বকছে বাড়ি এসে।
দিলিপ কাকু জিভ কেটে বলছে প্লীজ সোনা কিছু মনে কর না। আসলে ওর সামনে তখন আর কি বলব মাথায় আসছিল না।
আচ্ছা আপনি তিন্নি দি কে তিন্নি আর আমাকে সোনা বলে পটানোর ব্রীথা চেস্টা কেন করে চলেছেন।
কাকু বলছে সবর কা ফল মিঠা হোতা হ্যায়। আর আমি সেই মিষ্টি ফলের জুস খেতে যত দিন চাও তত দিন ওয়েট করতে পারি।
এমন সময় আমি চোখ কচলাতে কচলাতে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বললাম কি ফল কাকু। আমিও জুস খাব। কাকু হা হা করে হেসে বলে উঠল। নিসচই। আগে বড় হয়ে নাও তারপর। মা বলে উঠল --- এইইই। কাকু মুচকি হেসে মা কে বল্ল সরি সোনা। আর বলব না।
আমি বললাম আচ্ছা কাকু আমার মা কে তুমি সোনা বলে ডাক কেন? কাকু বলে যে তোমার মা সোনার মত দেখতে, দুর্দান্ত, আর দামি তাই। তাহলে কাকু বাবার সামনে সোনা বল না কেন? কাকু আমতা আমতা করতে লাগল। মা হেসে বলে উঠল,আসলে বাবার খারাপ লাগতে পারে তো, তাই এখনই বাবার সামনে ডাকছে না। জবে থেকে আমি বাবা কে বলব যে দিলিপ কাকু আমাকে বাবার সামনেও সোনা বলবে, তার পরথেকেই কাকু বাবার সামনেও আমাকে সোনা বলে ডাকবে। বুঝেছ পাকু ছেলে। এবার হাথ মুখ ধুয়ে পরতে বস।



৪।
মা আর তিন্নি কাকিমা বিকেলে একটু হাটতে বেরিয়েছে। আমি কার্টুন দেখছি। আর দিলিপ কাকু - বাবা বসে মদ খাচ্ছে। আমি পরিস্কার তাদের কথা সুনতে পাচ্ছি।
দিলিপ কাকু বলছে ভাই দিন প্রতি দিন তোর বউ টা যা হচ্ছে না! কোন দিন তোর অনুপস্থিতি তে কিছু ঘটনা না ঘিটিয়ে ফেলি।
বাবা হেসে হেসে বিষম খেল। আর কি বলিস। তোর দৌলতেই তো সব। না হয় কিছু ঘটালিই বা। বউ তো আমারি থাকছে নাকি।
এমনি সব কথা বার্তা।
তার কিচ্ছুক্ষণ পর আবার শুনতে পেলাম কাকু বলছে,কিছুদিনের জন্য একটু বিদেশ ঘুরে আয় না। তোর ও কাজ হয়ে যাবে,আমিও আমার কাজটা একটু এগিয়ে রাখব।
বাবা বল্ল ভাট বকিস না তোর জায়গায় আমি গেলে কোন কাজ হবে না। কেউ পাত্তা দেবে না।
কাকু আবার বাবা কে বুঝিয়ে বলছে কোনো ব্যাপার না। কাজ হতেই হবে দরকার নেই। তোর অভিজ্ঞতা তো হবে। আমি একটু বিশ্রাম চাই। তুই যা পারবি করবি। তাছাড়া আমার অন্য কাজ গুলও তো দেখতে হবে নাকি?এত দিকে একা নজর দেওয়া সম্ভব?
বাবা এবার নিমরাজি হল, বল্ল ঠিক আছে, দেখি আমি কি উদ্ধার করতে পারি।
আবার কিছুক্ষণ আজে বাজে কথার পর। আবার কাকু বলে উঠল ভাই তিন্নি কে তো জানিস দুর্বল, কোথাও পার্টি ফার্টি তে গেলে দু দিন অসুস্থ থাকে। তাই বলছিলাম আমি কিন্তু রুপা কে নিয়ে মাঝে মধ্যে বেরোবো।
আরে এ আবার কি। তা রুপা কে নিয়ে বেরবি রুপা রাজি থাকলেই হল। আমকে ফাঁসানোর কি মানে ভাই।
- না না, আরে তোর বউএর সাথে যাব, তোকে জানাব না!
- হয়েছে থাক, আর ন্যাকামি করতে হবে না। রুপা রাজি তো ক্যা করেগা কাজি।
- ওকে। ঠিক হ্যায় তাহলে।


কয়েকদিন পরের কথা, কাকু বাবাকে নিয়ে দিন রাত পরে আছে। কোন কনফারেন্স এর কি স্ট্রাটেজি,কোথায় কাকে হাত করলে ডিল পাওয়া যাবে এসব বাবাকে বারবার করে বলে যাচ্ছিল।
তারপর এল যাবার দিন।
আমি তো সকাল থেকেই লাফিয়ে বেরাচ্ছি। বাবা বলেছে ইতালি থেকে আমার জন্য খেলনা আর চকলেট নিয়ে আসবে।
মাও খুশি। বাবা তার কোম্পানিকে বিদেশে রিপ্রেজেন্ট করতে যাচ্ছে, তাও আবার দিলিপ কাকু কে ছাড়াই। যদি সবটা ঠিক ঠাক হই তাহলে বাবা বেশ বড় সর জায়গায় পউছে যাবে।
যদিও পরে বুঝেছি মার খুশি হাওয়ার আরো বেশ কারন ছিল।
বাবাকে ফ্লাইটে তুলতে যাওয়ার সময় পুরো রাস্তা টা কাকু বাবাকে আবার একি জিনিস বোঝাতে বোঝাতে নিয়ে গেল। রাত ৮.৪০ মিনিটে বাবার ফ্লাইট টেক অফ করলে আমরা বাড়ি ফেরা শুরু করলাম।
সারা দিন এত লাফা লাফি করেছি যে এখন খুব ঘুম পাচ্ছে। মা আমাকে পেছনের সিটে শুইয়ে, সামনে কাকুর পাশে বসেছে। আমি আধো ঘুমে হাল্কা কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছি।
কাকু মাকে বলছে - কি শোনা, এবার তো শবুরের মেওয়া খেতে দেবে নাকি!
মা- ধ্যাত, আপনি যা তা। কাল কি করছিলেন। রাতুলের বাবা দেখে ফেললে কি হত!
- কি হত? বলতাম ভাই, তোর বউয়ের দোষ। এমন একটা ডবকা শরির নিয়ে সামনে থাকলে একটু আধটু হাত চলে জেতেই পারে।
- আ হা। চলে জেতেই পারে!
- এই রুপা আজ কিন্ত আমি ছারছি না।
- আমি কিছু জানি না। আজ অনেকদিন পর আমি আমার ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে ঘুমবো। অন্য কোন কিচ্ছু নয়।
--------------
এসব শুনতে শুনতে কখন ঘুমিয়ে গেছি বুঝতেই পারিনি।
ঘুম ভাংল একটা তীক্ষ্ণ আওয়াজে। ঘুমের ঘোরে ঠিক বুঝলাম না কিসের আওয়াজ।
দেখি সকাল ৪.৩০, মা কি এত সকালে মর্নিং ওয়াকে যাবে। কে জানে। আমার প্রচন্ড হিশু পেয়েছে। রাতে হিশু করে ঘুমনো হয় নি। উঠ তেই হবে।
বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখলাম মার ঘরের দরজার তলা দিয়ে আলো দেখা যাচ্ছে। আর মাঝে মাঝে তীব্র আশ্লেষে কিছু আওয়াজ আসছে আঃ আঃ আঃ..... উফফফ। আম্মম ইসশশ.... হা আ আ উফফ এমন। আমি ঠিক বুঝলাম না। তারপর শুনি দিলিপ কাকুর গলা মা কে বলছে এই একটু ফাকা কর না সোনা।
অ,, দিলিপ কাকু আছে।
থাক গে। আমার ঘুম পাচ্ছে। আর একটু ঘুমিয়ে নি। মা কেন অমন আওয়াজ করছে তা সকালে ব্রেকফাস্ট খাওয়ার সময় মাকে জেনে নিলেই হবে।
আবার আহঃ আহঃ আহঃ.... আম্মম্ম।


রাতে ভাল ঘুম হোলো না। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবলাম মা কে কালকের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবো। কিন্ত আজব ব্যাপার, আজ প্রায় সকাল ৮ টা বাজতে চল্ল মা এখনো ঘুম থেকে ওঠেনি।
দেখি দিলিপ কাকু সকাল সকাল খালি গায়ে টাওয়েল পেঁচিয়ে টিভি দেখছে।
আমি কাকু কে গুড মর্নিং উইশ করে ফ্রেশ হয়ে কাকুর কাছে বসলাম।
একটু গল্প গুজব করতে করতে কাকু কে বললাম কাকু মা উঠছে না কেনো। খিদে পাচ্ছে তো। আমার স্কুল ও যেতে হবে। প্রতিদিন মা কত সকালে উঠে যায়। মার কি শরির খারাপ?
কাকু বলছে না বাবু মা একটু বেশিই ক্লান্ত। কাল রাতে মার ঘরে আমি ছিলাম কিনা, রাতে আমরা একটু বেশি জিম করে নিয়েছি।
কিন্ত কাকু মা তো সকালে যেত জিমে।।
আসলে কাল তো তোমার বাবার ফ্লাইট ছিল তাই আর জিমে জাওয়া হয় নি।
-ও, আচ্ছা।
এবার কাকুর গায়ে ভালো করে লক্ষ্য করে দেখি কাকুর বুকে আর ঘাড়ে কামড়ের দাগ।
- এ মা....কাকু তোমায় কে কামড়ে দিয়েছে?
- আর বোলো না, এক দুষ্টু রমণী।
- রমণী কি?
- দারাও তোমার মা কে তুলে আনি। ওই বলবে।
 
Last edited:

Users who are viewing this thread

Back
Top