নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সরকার সব ধরণের ব্যবস্থাই নেবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার নেপাল থেকে দেশে আসা আহত তিন যাত্রীকে শাহজালাল বিমানবন্দরে দেখতে গিয়ে মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আহতদের দ্রুত সুস্থ্য করতে যা করা দরকার আমরা সবই করবো। নেপালের এই বিমান দুর্ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। দুর্ঘটনার পরপরই বিমানমন্ত্রী নেপালে ছুটে গেছেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। সরকার যে কোন বিপদে আপদে জনগণের পাশেই আছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেপালে চিকিৎসকের ঘাটতি ছিল, এ কারণে ডিএনএ টেস্টের প্রক্রিয়া ধীরগতিতে হয়েছে। আমাদের এখান থেকে চিকিৎসক পাঠানো হয়েছে, এখন দ্রুত ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে। যখনই ডিএনএ টেস্ট শেষ হবে আমরা দেরি করবো না। দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ শুরু করবো।’
বিমান দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্তের আগে কিছু বলা ঠিক হবে না। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ নিহতদের পরিবারের কাছে লাশ ফিরিয়ে দেওয়া। ইউএস-বাংলা সব কিছুর ব্যবস্থা করবে। যদি তারা ব্যর্থ হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার করবে। এ দুর্ঘটনার পর যা যা করণীয় শেষ পর্যন্ত সরকার করবে। আমরা পাশে আছি, পাশে থাকবো।’
দূর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জীবনের ক্ষতিপূরণ হয় না। যা গেছে চলেই গেছে। তারপরও কোনো পরিবার সমস্যায় পড়লে আমাদের নেত্রী বলেছেন সহায়তা করবেন। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ৫০ হাজার ডলার করে দেওয়ার নিয়ম আছে।’
শুক্রবার বিকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৭২ ফ্লাইটে নেপালের কাঠমান্ডুতে প্লেন দুর্ঘটনায় আহত মেহেদী হাসান, আলমুন নাহার অ্যানি ও সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণাকে দেশে নিয়ে আসা হয়। ফ্লাইটটি বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে অবতরণ করে। এই তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিমানমন্ত্রী একে এম শাহজাহান কামাল, মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত সচিব জিয়াউল হক, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান নাইম হাসান, সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালনা) মোস্তাফিজুর রহমান, শাহজালালের পরিচালক কাজি ইকবাল করিম ও বিমান সিবিএ সভাপতি মশিকুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘আহতরা চাইলে ঢাকা কিংবা তাদের পছন্দমত স্থানে যেতে পারবেন। এ ব্যাপারে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। মৃতদের মধ্যে যাদের মরদেহ সনাক্ত করা সম্ভব তাদের মরদেহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে আনার ব্যবস্থা করা হবে।