আমাদের সমাজে বিয়েতে নানা ধরনের রীতি মানা হয়। কেউ বলেন কুসংস্কার আবার কেউ বলেন ঐতিহ্য। কনেকে বরণ করে নেওয়া ও বরকে বরণ করে নেওয়ার সময় নানা ধরনের সামাজিক নিয়ম নীতি মানা হয়। তবে, আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
এসব নিয়ম শুধু বাংলা কিংবা ভারতীয় উপমহাদেশেই নয়, ভৌগলিক সীমারেখা বদলালেই বদলে যায় বিয়ের নিয়ম। গতে বাঁধা কিছু নিয়ম অনেকেরই জানা। তবে এমন কিছু অদ্ভূত নিয়মও রয়েছে, যা জানলে চক্ষু জোড়া কপালের চড়কগাছে উঠতেই পারে।
১) আফ্রিকা মরিটানিয়াতে বিয়ের আগে কনেকে মোটা হতে হয়। বিশ্বাস করা হয়, এতে সংসারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। তাই কনেকে ওজন বাড়াতে ‘ফ্যাট ফার্মে’ যেতে হয়। সেখানে ওজন বাড়াতে গিয়ে আবার অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু বিয়ে করতে গেলে সকলে ‘ফ্যাট ফার্মে’ নাকি যেতেই হয়।
২) পাত্র কতটা উপযুক্ত তা পরখ করে দেওয়া হয় দক্ষিণ কোরিয়ায়। ফুলশয্যা কিংবা বাসর রাতের ঠিক আগেই বরের পায়ের তলায় মাছ বা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পেটানো হয়। এভাবেই তার পুরুষত্ব পরীক্ষা করা হয়।
৩) বিয়ে করতে স্কটল্যান্ডে খবরদার যাবেন না। সেখানে নাকি এমন নব দম্পতির মাথায় আবর্জনা ঢালার নিয়ম আছে। হ্যাঁ, বিয়েরদিনই যাবতীয় নোংরা ঢালা হয় বর ও বউকে পাশাপাশি বসিয়ে।
৪) চিনের তুজিয়া সম্প্রদায়ের কনেরা বিয়ের এক মাস আগে থেকেই কাঁদতে শুরু করেন। তার পরিবারের বাকি মহিলারাও এই বিলাপে যোগ দেন। মনে করা হয়, বিয়ের আগেই যাবতীয় দুঃখ এতে শেষ হয়ে যায়। তারপর বাকি থাকে শুধুই সুখ।
৫) ফিজির কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে চান? তাহলে একটি তিমি মাছের দাঁত আগে খুঁজে আনুন। হ্যাঁ, ফিজিতে পাত্রীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিতে গেলে তিমি মাছের দাঁত দিতে হয়। যদি দাঁত না পাওয়া যায় তাহলে? তাহলে কী হয় তা অজানা। তবে রীতি অনেকেই পালন করেন। বিয়ের ইচ্ছে যাদের থাকে তারা নিশ্চয়ই উপায় কিছু একটা বের করে নেন।
৬) সুইডিশ প্রথা অনুযায়ী, যদি বিয়ের বর আগে ম্যারেজ হল থেকে বেরিয়ে যান তাহলে হলের সমস্ত পুরুষরা নববধূকে চুম্বনে ভরিয়ে দেন। আর যদি বধূ আগে বেরিয়ে যান তাহলে আমন্ত্রিত সমস্ত মহিলার চুম্বন পান বর।
৭) ফ্রান্সের পলিনেশিয়ায় বিয়ের পর বর এবং কনে পক্ষের আত্মীয়রা মেঝেতে শুয়ে পড়েন। তাদের ওপর দিয়েই নবদম্পতিকে যেতে হয়।
* ডি- এমআই