What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Self-Made অভিযান-পরোটা (2 Viewers)

dukhopakhi

Global Moderator
Staff member
Global Mod
Joined
Mar 3, 2018
Threads
102
Messages
11,887
Credits
110,622
Calculator
Mosque
Calculator
LittleRed Car
LittleRed Car
LittleRed Car
অভিযান-পরোটা
(পরোটাময় একটি সুখী সকালের গল্প)





ছুটির দিনগুলোতে কেন যেন খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে যায়, আজকেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। আর ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর অনেক চেষ্টা করেও আর ঘুমাতে পারলামনা। অগত্যা বিছানা ত্যাগ করে পাশের ঘরে যেয়ে দেখি ছেলে আলহামদুলিল্লাহ নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। আমিও যেয়ে ছেলের পাশে শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ ফোনের পর্দা ঘষাঘষি করে পরে যখন আর ভালো লাগছেনা তখন ছেলের ঘুমের বারোটা বাজিয়ে তাকে ডেকে তুলতে লেগে পড়লাম। অমনি ছেলের মা এসে আমাকে ঝাড়তে শুরু করলো ছেলের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য। ইতোমধ্যে ছেলে ভীষণ বিরক্তি ভরা দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে উঠে বসে বললো "বাবা, পরোটা খাবো"। চিন্তা করছি ছেলে মনেহয় ঘুমের মধ্যে পরোটা খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, কিন্তু আমি তার পরোটা খাওয়া শুরু করার আগেই ঘুম থেকে ডেকে উঠিয়েছি। এটা তো মহা অন্যায় করে ফেলেছি। এখন কি করা যায়! ছেলের মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি তাঁর মুখ বাংলা সাড়ে পাঁচের মতো হয়ে আছে ছেলের পরোটা খাওয়ার আবদারের কথা শুনে। আমারও মনে হলো বেচারি গতকাল অনেক খাটাখাটুনি করেছে, তাই তাকে এখন আর কষ্ট দেওয়া ঠিক হবেনা। কালবিলম্ব না করে ছেলেকে বললাম, বাবা চলো আমরা পরোটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করি এবং সেই সাথে সকালে একটু ঘোরাঘুরিও হয়ে যাবে। ছেলে সাথে সাথে প্রস্তুত হয়ে নিলো আর আমরা বাপ-বেটা বেরিয়ে পড়লাম পরোটা খোজার উদ্দেশ্যে। অনেক সময় ধরে প্রায় পুরো ঢাকা শহর (আসলে দক্ষিণ বাড্ডার কিছু অংশ) চষে বেড়ানোর পরেও কোন রেস্তোরাঁ খুলা না পেয়ে পরে মনে হলো কমিশনারের অফিসের ঐদিকে একটু যেয়ে দেখি। যেই কথা সেই কাজ, গুটি গুটি পায়ে ক্লান্ত শরীরে এগিয়ে যেয়ে আমরা বাপ-পুতে মহানন্দে চিৎকার করে উঠলাম। হ্যাঁ, আমরা পেয়ে গেছি। যেখানে এতটা ঘুরে একটা চায়ের দোকানও খুলা পেলামনা, সেখানে ছোট্ট একটা রেস্তোরাঁর ঝাপি উঠানো এবং ঝাপির বাইরে পরোটা ভাজার তাওয়াটা তার অর্ধেক দেহ রেস্তোরাঁর বাইরে বের করে আমাদের দিকে উঁকি দিচ্ছে। কাছে যেয়ে দেখি, কি আশ্চর্য! তাওয়ার উপর কয়েকটি পরোটা কারিগরের জাদুর কাঠির ইশারায় তাওয়ার ভিতরে ছোটাছুটি করছে। কালবিলম্ব না করে দ্রুত কিছু পরোটার ফরমায়েশ দিয়ে দিলাম। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পরোটা প্রস্তুত হয়ে গেলো, আর আমরা কারীগর (আসলে উনি নিজেই রেস্তোরাঁর স্বত্বাধিকারী) কে অনেকবার ধন্যবাদ জানিয়ে গৃহমুখি হলাম। রেস্তোরাঁর কারিগর কাম মালিকও অত্যন্ত বিনয়ের সাথে আমাদের ধন্যবাদ গ্রহণ করে উনার হোটেলে পূনস্বাগতম জানিয়ে আমাদের বিদায় জানালেন। বাসায় ফেরার পথে ছেলে বলছে "বাবা পরোটা খাওয়ার সময় উস্তাদ হোটেল সিনেমাটা দেখলে কেমন হয়?"। আমি সোৎসাহে বললাম, অবশ্যই ভালো হয়। দ্রুতপদে বাসায় এসে একটি থালায় পরোটা এবং আরেক থালায় গরুর গোসত বেড়ে নিলাম আর এর মধ্যে ছেলে ল্যাপটপ চালু করে উস্তাদ হোটেল সিনেমা চালিয়ে দিলো। আমরা বাপ-ছেলে বিছানায় বসে উস্তাদ হোটেল সিনেমা দেখতে দেখতে গরুর গোসত দিয়ে পরোটা ভক্ষণ শুরু করলাম, সাথে নিলাম কোমল পানিয় আর সি কোলা। আহহহহ... কি শান্তি। আমরা এই মুহুর্তে আসলেই ভীষণ সুখী মানুষ। কারো যদি সুখী মানুষের জামা প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন 😍
 

Users who are viewing this thread

Back
Top