What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

অবশেষে... (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,620
Messages
122,690
Credits
314,291
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
অবশেষে...

রফিক মিয়া আর মুক্তার দীর্ঘ কুড়ি বৎসরের সংসার। এতোদিন ভালোই চলছিলো তাদের "খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে "চলা এই সংসার জীবন। সেদিন হঠাত করেই রফিক মিয়া কোনো এক ব্যাপারে ক্ষিপ্ত হয়ে চড়াও হলেন স্ত্রী মুক্তার উপর। রফিক মিয়ার এতোদিনের অভ্যাসের বিপরীত এই হঠাত পুরুষ হয়ে যাওয়াটা মুক্তা আর সহ্য করতে পারলো না। মনে মনে ভাবলো, কি! এতো বড় সাহস! আমার উপর চড়াও হওয়া! কেঁচো হয়ে ছিলো এত্তোটি বছর, এখন সাপের ভুমিকায় এলে তো আর তা মানা যায় না!
তাইতো সে আদালতে নালিশ ঠুকে দিলো রফিক মিয়ার বিরুদ্ধে! যে সে মামলা না! একেবারে নারী নির্যাতন আইনের মামলা! আদালতের সমন পেয়ে নির্দ্ধারিত দিনে রফিক মিয়া আদালতের কাঠগড়ায় নিজেকে উপস্থিত করলো। মনে মনে প্রতিজ্ঞা- যদি এইবার এসপার না হয়ে ওসপার হয়ে যায়, তবে সে কোনো আপত্তিই করবে না। আপত্তি কেনো, বরং সেটাই রফিক মিয়ার জন্য ভালো হবে বলে মনে মনে চিন্তা করলো। আদালতের কার্য্যাদী সমাপান্তে হাকিম রায় ঘোষনা করলেন-
"রফিক মিয়া, তুমি তোমার স্ত্রীর প্রতি যে ব্যবহার করেছো, তাতে তোমাদের দু'জনের আর এক সাথে থাকা নিরাপদ নয়। তাই আজ থেকে বাকি জীবন তোমরা দু'জন আলাদা ভাবে বসবাস করবে।"
রায় শুনে রফিক মিয়া মনে মনে খুবই খুশী। যাক, শেষ পর্যন্ত রায়টা ওসপারই হলো! কিন্তু তখনো হাকিমের রায় পড়া শেষ হয়নি। একটুখানি থেমে হাকিম আবার যোগ করলেন-
"যেহেতু তুমি অন্যায় করেছো, আর এই কারনেই তোমাদের এই বিচ্ছেদ-তাই তোমাকে এর জরিমানা দিতে হবে। আর এই জরিমানাটা হলো- বাকী জীবন তুমি তোমার বেতনের অর্দ্ধেক টাকা তোমার স্ত্রী মুক্তার হাতে তুলে দিতে হবে। এটাই এই মামলার চুড়ান্ত রায়।"
রায় শুনেই কাঠগড়ায় রফিক মিয়া অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। হাকিম সহ উপস্থিত সবাই তো ব্যাপারটায় একেবারে তাজ্জব বনে গেলো! ঘটনা কি? বিরহের রায় শুনে কি রফিক মিয়া পাগল হয়ে গেলো নাকি!! কিঞ্চিৎ হতবাক হাকিম রফিক মিয়াকে ধমকের স্বরে জিজ্ঞেস করলেন-
"এই, তোমার কি হয়েছে? এভাবে পাগলের মতো হাসছো কেনো?"
রফিক মিয়া তার অট্টহাসির সাময়ীক বিরতি দিয়ে বললো-

"হুজুর গতো কুড়ি বৎসর মাস গেলে বেতন শুধু উঠাতামই। একটি পয়সাও নিজের কাছে রাখার ক্ষমতা ছিলো না। এইবার এই যুগান্তকারী রায়ের বদৌলতে পুরো না হউক, অর্দ্ধেক বেতন হলেও নিজের করে পাবো। অবশেষে আমার বেতনের অংশ যে আমি দেখতে পাবো, সে খুশীতে হাসছি, হুজুর! হাঃ হাঃ হাঃ..."
 
ওষুধ খাচ্ছেন না কেনো?

ডাক্তারঃ আপনি ওষুধটা খাচ্ছেন না কেনো?
রোগীঃ ওষুধ তেতো।
ডাক্তারঃ আপনি ওষুধ খাবার সময় মনে করবেন যে ভোদকা খাচ্ছেন। তাহলে দেখবেন সহজে খেতে পারছেন।

রোগীঃ তার চেয়ে ভালো , আমি ভোদকা খাবো আর ভাববো যে ওষুধ খাচ্ছি।
 
আমি তো পশু চিকিৎসক নই

রোগীঃ ডাক্তার সাহেব, আমি ঘোড়ার মতো কাজ করি, আমি শুয়োরের মতো খাই, কুকুরের মতো ক্লান্ত হয়ে পড়ি। আমার কী হবে, ডাক্তার?
ডাক্তারঃ আমি কী করে বলবো? আমি তো পশু চিকিৎসক নই!
 
আমি তো পশু চিকিৎসক নই

রোগীঃ ডাক্তার সাহেব, আমি ঘোড়ার মতো কাজ করি, আমি শুয়োরের মতো খাই, কুকুরের মতো ক্লান্ত হয়ে পড়ি। আমার কী হবে, ডাক্তার?
ডাক্তারঃ আমি কী করে বলবো? আমি তো পশু চিকিৎসক নই!
বেচারা পশুর মত মারাও যাবে কোনোদিন...........
 
অবশেষে...

রফিক মিয়া আর মুক্তার দীর্ঘ কুড়ি বৎসরের সংসার। এতোদিন ভালোই চলছিলো তাদের "খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে "চলা এই সংসার জীবন। সেদিন হঠাত করেই রফিক মিয়া কোনো এক ব্যাপারে ক্ষিপ্ত হয়ে চড়াও হলেন স্ত্রী মুক্তার উপর। রফিক মিয়ার এতোদিনের অভ্যাসের বিপরীত এই হঠাত পুরুষ হয়ে যাওয়াটা মুক্তা আর সহ্য করতে পারলো না। মনে মনে ভাবলো, কি! এতো বড় সাহস! আমার উপর চড়াও হওয়া! কেঁচো হয়ে ছিলো এত্তোটি বছর, এখন সাপের ভুমিকায় এলে তো আর তা মানা যায় না!
তাইতো সে আদালতে নালিশ ঠুকে দিলো রফিক মিয়ার বিরুদ্ধে! যে সে মামলা না! একেবারে নারী নির্যাতন আইনের মামলা! আদালতের সমন পেয়ে নির্দ্ধারিত দিনে রফিক মিয়া আদালতের কাঠগড়ায় নিজেকে উপস্থিত করলো। মনে মনে প্রতিজ্ঞা- যদি এইবার এসপার না হয়ে ওসপার হয়ে যায়, তবে সে কোনো আপত্তিই করবে না। আপত্তি কেনো, বরং সেটাই রফিক মিয়ার জন্য ভালো হবে বলে মনে মনে চিন্তা করলো। আদালতের কার্য্যাদী সমাপান্তে হাকিম রায় ঘোষনা করলেন-
"রফিক মিয়া, তুমি তোমার স্ত্রীর প্রতি যে ব্যবহার করেছো, তাতে তোমাদের দু'জনের আর এক সাথে থাকা নিরাপদ নয়। তাই আজ থেকে বাকি জীবন তোমরা দু'জন আলাদা ভাবে বসবাস করবে।"
রায় শুনে রফিক মিয়া মনে মনে খুবই খুশী। যাক, শেষ পর্যন্ত রায়টা ওসপারই হলো! কিন্তু তখনো হাকিমের রায় পড়া শেষ হয়নি। একটুখানি থেমে হাকিম আবার যোগ করলেন-
"যেহেতু তুমি অন্যায় করেছো, আর এই কারনেই তোমাদের এই বিচ্ছেদ-তাই তোমাকে এর জরিমানা দিতে হবে। আর এই জরিমানাটা হলো- বাকী জীবন তুমি তোমার বেতনের অর্দ্ধেক টাকা তোমার স্ত্রী মুক্তার হাতে তুলে দিতে হবে। এটাই এই মামলার চুড়ান্ত রায়।"
রায় শুনেই কাঠগড়ায় রফিক মিয়া অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। হাকিম সহ উপস্থিত সবাই তো ব্যাপারটায় একেবারে তাজ্জব বনে গেলো! ঘটনা কি? বিরহের রায় শুনে কি রফিক মিয়া পাগল হয়ে গেলো নাকি!! কিঞ্চিৎ হতবাক হাকিম রফিক মিয়াকে ধমকের স্বরে জিজ্ঞেস করলেন-
"এই, তোমার কি হয়েছে? এভাবে পাগলের মতো হাসছো কেনো?"
রফিক মিয়া তার অট্টহাসির সাময়ীক বিরতি দিয়ে বললো-

"হুজুর গতো কুড়ি বৎসর মাস গেলে বেতন শুধু উঠাতামই। একটি পয়সাও নিজের কাছে রাখার ক্ষমতা ছিলো না। এইবার এই যুগান্তকারী রায়ের বদৌলতে পুরো না হউক, অর্দ্ধেক বেতন হলেও নিজের করে পাবো। অবশেষে আমার বেতনের অংশ যে আমি দেখতে পাবো, সে খুশীতে হাসছি, হুজুর! হাঃ হাঃ হাঃ..."
justice is one of the basic need for people
 
হুজুর গতো কুড়ি বৎসর মাস গেলে বেতন শুধু উঠাতামই। একটি পয়সাও নিজের কাছে রাখার ক্ষমতা ছিলো না। এইবার এই যুগান্তকারী রায়ের বদৌলতে পুরো না হউক, অর্দ্ধেক বেতন হলেও নিজের করে পাবো। অবশেষে আমার বেতনের অংশ যে আমি দেখতে পাবো, সে খুশীতে হাসছি, হুজুর! হাঃ হাঃ হাঃ..."
 

Users who are viewing this thread

Back
Top