অবৈধ - by Max87
আপডেট ১:
মুখ্য চরিত্র : নাগেশ্বর রায়চৌধুরী - ৪৮ বছর, উচ্চতা - ৬' ৪", ছাতি - ৫৪", শক্তিশালী দৈহিক গঠন
অনুপমা সেন : ২১ বছর, উচ্চতা - ৫'4", গঠন - ৩৪/৩০/৩৬, অসাধারণ কামুক গঠন
নাগেশ্বর সচরাচর অনুষ্ঠান বাড়ি এড়িয়েই চলেন। খুব পরিচিত না হলে যোগ দেননা। আজকের বিয়ে বাড়িতে আসার কারণ বাল্যবন্ধু পরিমলের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে। বহুদিনের পুরানো বন্ধুর আমন্ত্রণ উপেক্ষা করতে পারেননি। সাধারণত তিনি নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে আসলেও উপহার দিয়ে বিদায় নেন। ভীড় তেমন পছন্দ নয় নাগেশ্বরের। নিজেকে বরাবর আর পাঁচজনের থেকে আলাদা রাখতেই বেশি ভালোবাসেন। তাই তিনি নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে আসলেও, হয় একটু তাড়াতাড়ি আসেন নাহলে একটু রাত করে। একনিষ্ঠ নিয়মানুবর্তীতা রক্ষার জন্য বিয়ে বাড়ির খাবারও তিনি বিশেষ গ্রহণ করেন না। কিন্তু আজকের দিনটা ব্যতিক্রম। তাড়াতাড়ি আসলেও শুধু উপহার দিয়ে বিদায় নিতে পারেননি, বন্ধুর পীড়াপীড়িতে। পরিমল কথা আদায় করে নিয়েছে, কন্যাদানের পরে পরিমলের সাথে খেয়ে তবে তিনি বাড়ি যেতে পারবেন। কথা দিলে তিনি কথার খেলাপ করেন না। তাই বিয়ে বাড়ির এককোনে নিজের মনে বসে বিয়ে বাড়ির লোকজনের ওপর নজর রাখছিলেন।
নিজেকে একপাশে রাখলেও বিয়ে বাড়ির সবাই ওনাকে বেশ সমীহের চোখেই দেখছিলো। বিশেষ করে ওনার ঐ ব্যাক্তিত্বময় পৌরষত্বের দিকে অল্পবয়সী থেকে মাঝবয়সী সমস্ত মেয়েদেরই নজর চলে যাচ্ছিলো। নাগেশ্বরের এসব গা সওয়া হয়ে গেছে। দু - একজন আলাপ জমাতে এলেও উনি অল্প কথায় পাশ কাটিয়েছেন। ওনার গাম্ভীর্য্যের জন্য বাকি মেয়ে বউরা আর বেশি এগোয় নি। কিন্তু নজরও সরায়নি।
অবশ্য তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। এই বয়সেও দীর্ঘ ঋজু দেহ। সাথে ব্যায়ামের জন্য বেশ শক্তিশালী। সাফারী পরে থাকলেও তার চালচলন বা বসার ভঙ্গিমায় একটা কর্তৃত্ত ভাব আছে। যেটা তাকে মানায়ও।
নাগেশ্বর নিজের মনে নিজের ব্যবসার কথা চিন্তা করতে করতেই হালকা নজর সবার ওপর বোলাচ্ছিলেন। চোখ আটকালো আন্দাজ বছর ২০-২২ এর মেয়ের ওপর। মেয়েটাকে বেশ চোখে ধরলো নাগেশ্বরের। বেশ ভালো করে মেয়েটার ওপর পর্যবেক্ষণ করলেন। দেবুর জন্য বেশ মানাবে মেয়েটাকে। বেশ চটপটে কিন্তু দৃঢ়তা আছে মেয়েটার। এই বয়সী মেয়েদের মধ্যে যেটা দুর্লভ, তার ওপর এমন আগুন রূপ। সচরাচর দেখা যায় না। বেশ আঁটোসাঁটো ময়ূরকন্ঠী নীল রঙের ব্লাউসের ওপর দিয়ে তার দুই উঁচু টলমলে যৌবন, যেকোন পুরুষের মনে নেশা ধরাবে। সাদা ওড়না বাঁ কাঁধে। সাদা লেহেঙ্গা আর ব্লাউসের মাঝে মসৃন পেট উন্মুক্ত। সাথে গভীর নাভীটাও। মনে মনে মেয়েটার ব্যাপারে পরিমলের কাছে খোঁজখবর করবেন ঠিক করে নিলেন।
সন্ধ্যা রাতেই বিয়ের লগ্ন ছিল। তাই বিয়ের ঝামেলা মিটতে মিটতে সোয়া এগারোটা হয়ে গেলো। বিয়ে মিটতেই পরিমল নাগেশ্বরকে খাবারের জন্য আহ্বান করলো। পরিমল নিজের ভারাক্রান্ত মনকে অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য নাগেশ্বরের সাথেই এক টেবিলে খেতে বসলো। কথায় কথায় নাগেশ্বর সন্ধ্যেবেলায় দেখা মেয়েটার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলো।
- আজ সন্ধ্যায় নীল ব্লাউস আর সাদা ঘাগড়ায় একটা মেয়ে কে লক্ষ্য করলাম। মেয়েটা কে জানিস?
- কে? ও বুঝেছি, তুই অনুপমার কথা বলছিস। ও আমার মেয়ের বন্ধু। কেন বলতো ?
- কেন আবার, বুঝতেই পারছিস, বয়স হচ্ছে, ছেলেটার একটা হিল্লে করতে চাই, তাই। মেয়েটার বাবা কি করে? মেয়েটা কেমন কিছু জানিস?
- কি এমন বুড়ো হয়েছিস। বুড়ো তো আমি হয়েছি, তোকে এখনো পুরো জোয়ান লাগে। স্বাস্থ্য সত্যি তুই মেইনটেইন করেছিস বটে। তবে, তোর পছন্দের তারিফ করতে হয়। ভালো মেয়ে, তবে একটু একরোখা কিন্তু। আর ওর বাবা ব্যাংকে কাজ করে।
- তোর আপত্তি না থাকলে, ওর বাবার সাথে কথা বলাতে পারবি?
- কেন পারবো না। তবে একটু সময় দে। এদিকটা একটু সামলে নিতে দে। তোর বাড়িতে মেয়েটা বৌ হিসাবে গেলে আমারও ভালো লাগবে। বড় বাড়ির বৌ হবার যোগ্য মেয়ে।
- এরকম ভাবিস না। তোর মেয়েও খুব ভালো, আর তোর জামাই খুব ভালো। শুধু টাকাতে কি মানুষ সুখী হয়। তাহলে তো আমি সুখী হতাম।
- জানি, সরি, আমি ওভাবে বলতে চাইনি।
- আমি কিছু মনে করিনি। তুই একটু সামলে নিয়ে আমার ব্যাপারটা দেখ। সেটাই আমিও চায়।
সেদিন কথাবার্তা ওই পর্যন্তই করে রাখলো নাগেশ্বর।
আপডেট ১:
মুখ্য চরিত্র : নাগেশ্বর রায়চৌধুরী - ৪৮ বছর, উচ্চতা - ৬' ৪", ছাতি - ৫৪", শক্তিশালী দৈহিক গঠন
অনুপমা সেন : ২১ বছর, উচ্চতা - ৫'4", গঠন - ৩৪/৩০/৩৬, অসাধারণ কামুক গঠন
নাগেশ্বর সচরাচর অনুষ্ঠান বাড়ি এড়িয়েই চলেন। খুব পরিচিত না হলে যোগ দেননা। আজকের বিয়ে বাড়িতে আসার কারণ বাল্যবন্ধু পরিমলের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে। বহুদিনের পুরানো বন্ধুর আমন্ত্রণ উপেক্ষা করতে পারেননি। সাধারণত তিনি নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে আসলেও উপহার দিয়ে বিদায় নেন। ভীড় তেমন পছন্দ নয় নাগেশ্বরের। নিজেকে বরাবর আর পাঁচজনের থেকে আলাদা রাখতেই বেশি ভালোবাসেন। তাই তিনি নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে আসলেও, হয় একটু তাড়াতাড়ি আসেন নাহলে একটু রাত করে। একনিষ্ঠ নিয়মানুবর্তীতা রক্ষার জন্য বিয়ে বাড়ির খাবারও তিনি বিশেষ গ্রহণ করেন না। কিন্তু আজকের দিনটা ব্যতিক্রম। তাড়াতাড়ি আসলেও শুধু উপহার দিয়ে বিদায় নিতে পারেননি, বন্ধুর পীড়াপীড়িতে। পরিমল কথা আদায় করে নিয়েছে, কন্যাদানের পরে পরিমলের সাথে খেয়ে তবে তিনি বাড়ি যেতে পারবেন। কথা দিলে তিনি কথার খেলাপ করেন না। তাই বিয়ে বাড়ির এককোনে নিজের মনে বসে বিয়ে বাড়ির লোকজনের ওপর নজর রাখছিলেন।
নিজেকে একপাশে রাখলেও বিয়ে বাড়ির সবাই ওনাকে বেশ সমীহের চোখেই দেখছিলো। বিশেষ করে ওনার ঐ ব্যাক্তিত্বময় পৌরষত্বের দিকে অল্পবয়সী থেকে মাঝবয়সী সমস্ত মেয়েদেরই নজর চলে যাচ্ছিলো। নাগেশ্বরের এসব গা সওয়া হয়ে গেছে। দু - একজন আলাপ জমাতে এলেও উনি অল্প কথায় পাশ কাটিয়েছেন। ওনার গাম্ভীর্য্যের জন্য বাকি মেয়ে বউরা আর বেশি এগোয় নি। কিন্তু নজরও সরায়নি।
অবশ্য তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। এই বয়সেও দীর্ঘ ঋজু দেহ। সাথে ব্যায়ামের জন্য বেশ শক্তিশালী। সাফারী পরে থাকলেও তার চালচলন বা বসার ভঙ্গিমায় একটা কর্তৃত্ত ভাব আছে। যেটা তাকে মানায়ও।
নাগেশ্বর নিজের মনে নিজের ব্যবসার কথা চিন্তা করতে করতেই হালকা নজর সবার ওপর বোলাচ্ছিলেন। চোখ আটকালো আন্দাজ বছর ২০-২২ এর মেয়ের ওপর। মেয়েটাকে বেশ চোখে ধরলো নাগেশ্বরের। বেশ ভালো করে মেয়েটার ওপর পর্যবেক্ষণ করলেন। দেবুর জন্য বেশ মানাবে মেয়েটাকে। বেশ চটপটে কিন্তু দৃঢ়তা আছে মেয়েটার। এই বয়সী মেয়েদের মধ্যে যেটা দুর্লভ, তার ওপর এমন আগুন রূপ। সচরাচর দেখা যায় না। বেশ আঁটোসাঁটো ময়ূরকন্ঠী নীল রঙের ব্লাউসের ওপর দিয়ে তার দুই উঁচু টলমলে যৌবন, যেকোন পুরুষের মনে নেশা ধরাবে। সাদা ওড়না বাঁ কাঁধে। সাদা লেহেঙ্গা আর ব্লাউসের মাঝে মসৃন পেট উন্মুক্ত। সাথে গভীর নাভীটাও। মনে মনে মেয়েটার ব্যাপারে পরিমলের কাছে খোঁজখবর করবেন ঠিক করে নিলেন।
সন্ধ্যা রাতেই বিয়ের লগ্ন ছিল। তাই বিয়ের ঝামেলা মিটতে মিটতে সোয়া এগারোটা হয়ে গেলো। বিয়ে মিটতেই পরিমল নাগেশ্বরকে খাবারের জন্য আহ্বান করলো। পরিমল নিজের ভারাক্রান্ত মনকে অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য নাগেশ্বরের সাথেই এক টেবিলে খেতে বসলো। কথায় কথায় নাগেশ্বর সন্ধ্যেবেলায় দেখা মেয়েটার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলো।
- আজ সন্ধ্যায় নীল ব্লাউস আর সাদা ঘাগড়ায় একটা মেয়ে কে লক্ষ্য করলাম। মেয়েটা কে জানিস?
- কে? ও বুঝেছি, তুই অনুপমার কথা বলছিস। ও আমার মেয়ের বন্ধু। কেন বলতো ?
- কেন আবার, বুঝতেই পারছিস, বয়স হচ্ছে, ছেলেটার একটা হিল্লে করতে চাই, তাই। মেয়েটার বাবা কি করে? মেয়েটা কেমন কিছু জানিস?
- কি এমন বুড়ো হয়েছিস। বুড়ো তো আমি হয়েছি, তোকে এখনো পুরো জোয়ান লাগে। স্বাস্থ্য সত্যি তুই মেইনটেইন করেছিস বটে। তবে, তোর পছন্দের তারিফ করতে হয়। ভালো মেয়ে, তবে একটু একরোখা কিন্তু। আর ওর বাবা ব্যাংকে কাজ করে।
- তোর আপত্তি না থাকলে, ওর বাবার সাথে কথা বলাতে পারবি?
- কেন পারবো না। তবে একটু সময় দে। এদিকটা একটু সামলে নিতে দে। তোর বাড়িতে মেয়েটা বৌ হিসাবে গেলে আমারও ভালো লাগবে। বড় বাড়ির বৌ হবার যোগ্য মেয়ে।
- এরকম ভাবিস না। তোর মেয়েও খুব ভালো, আর তোর জামাই খুব ভালো। শুধু টাকাতে কি মানুষ সুখী হয়। তাহলে তো আমি সুখী হতাম।
- জানি, সরি, আমি ওভাবে বলতে চাইনি।
- আমি কিছু মনে করিনি। তুই একটু সামলে নিয়ে আমার ব্যাপারটা দেখ। সেটাই আমিও চায়।
সেদিন কথাবার্তা ওই পর্যন্তই করে রাখলো নাগেশ্বর।