What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

A detailed Info abou Internet, Deep Net and Dark Net and How to and Why (1 Viewer)

choto79

Forum God
Elite Leader
Joined
Mar 8, 2019
Threads
2,943
Messages
228,911
Credits
1,182,370
Euro Banknote
Strawberry
Doughnut
Billed Cap
Hamburger
Tokyo Tower
Ok, এই ২০২১ এ এসে ইন্টারনেট সম্বন্ধে যানে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া অসম্ভব। কিন্তু আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার
করি, আমরা এই ইন্টারনেট সম্বন্ধে কতটা জানি? সত্যি বলতে আমরা পুরো ইন্টারনেট এর 0.01 % জানি কি না সন্দেহ।
আমরা ইন্টারনেট বলতে প্রথম বুঝি Facebook, Whats app, YouTube, Wikipedia ও ইন্টারনেট এর গ্যান ভাণ্ডার গুগল।
আর যারা মুভি দেখতে পছন্দ করে তারা Torrent সম্বন্ধে ওয়াকিবাহল, তাছাড়াও যোগাযোগ মাধ্যম এর জন্য ইমেইল, ও
আরও অনেক সাইট যা আমরা নিত্য প্রতিদিন ব্যবহার করি। কিন্তু ইন্টারনেট এ আছে কিন্তু আমরা জানি না এরকম কয়েক
লক্ষ কোটি ওয়েবসাইট আছে যা ইন্টারনেট ই অঙ্গ।

কিন্তু যারা ইন্টারনেট এর সম্বন্ধে আরেকটু বেশি জানেন বা যানতে চান তারা প্রথমের যেই নামের সাথে পরিচিত হন তার নাম
হল " ডিপ নেট" ও " ডার্ক নেট" কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোক এই সম্বন্ধে কোন ধারনা নাই বা যা আছে সেটি ভ্রান্ত।
( বিস্তারিত বলছি )

ইন্টারনেট কে অনেকে হিম শৈল বা Iceberg এর সাথে তুলনা করেন,


1-G98OFi8NTO1BULLraLppyQ.png



আইসবার্গ যেমন জলের ওপর যতটুকু দেখা যায় কিন্তু তারচে অনেক বেশি থাকে জলের গভীরে, যা আমরা খালি চোখে
বা জলের ওপর থেকে দেখতে পাই না। তেমনি ইন্টারনেট আমরা যতটুকু দেখতে পাই তারচে অনেক বেশি ব্যাপ্ত ইন্টারনেট,
যা সাধারন ভাবে আমরা ব্যবহার করতে পারি না।

আসলে ইন্টারনেট কে প্রধাওত ভাগ করা হয় ৩ ভাগে,

১. সাধারন নেট বা সারফেস নেট ( Surface Net ) এই যেমন গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি

২. ডিপ নেট ( Deep Net )

৩. ডার্ক নেট ( dark Net )

এখানে দেখুন আমি ডিপ নেট এর কোন উদাহরন দেই নি, কারন এই ডিপ নেট নিয়ে সবার মদ্ধেই ভ্রান্ত ধারনা আছে,
যেমন আমরা প্রতিনিয়ত ডিপ নেট ব্যবহার করি কিন্তু সেটি জানি না। এই যেমন আমরা যে এমেইল ব্যবহার করি,
সেটি একধরনের ডিপ নেট, কারন আমার আপনার আমাদের ইমেইল কিন্তু বেক্তিগত, সেটি অন্য কেউ পাব্লিক্লি দেখতে
বা খুলতে পারেন না, কিন্তু ID and Password ব্যবহার করে আমরা সেটি খুলতে পারি। তেমনি নেট ব্যাংকিং, এক ধরনের
ডিপ নেট, কারন প্রত্যেকের বেক্তিগত সঞ্চয় ও তার সকল ইনফর্মেশন গোপনীয়, তিনি ছাড়া অন্য কেউ সেটি খুলতে বা
দেখতে পারেন না। এরপর আসে দেশের সামরিক যোগাযোগ বাবস্থা, যা ইন্টারনেট এর মাদ্ধমেই হয় কিন্তু সেই
যোগাযোগ সব ধরনের সুরক্ষা জালে ঘেরা থাকে। এরকম আরও অনেক।

এরপর আসে ডিপ নেট, জেটি সত্যি আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে, ও এই নেট ব্যবহার করতে আমাদের বিশেষ ব্রাউসার,
টুল ও তথ্য প্রয়োজন। এবং যাদের কাছে সেই সকল তথ্য থাকে তাদের ছাড়া অন্য কেউ সেই নেট ব্যবহার করতে পারেন না।
এখানে বহু পরিচিত একটি নাম হত Tor Browser, কিন্তু কেউ এটি ইন্সটল করলেই ডার্ক বা ডিপ নেট ব্যবহার করতে পারবেন
এমন নয়। তার জন্য প্রয়োজন আরও অনেক তথ্য। আবার অনেকের ধারনা আছে যে সুধু Tor ব্যবহার করেই ডার্ক নেট
খোলা যায়, এটিও আরেকটি ভুল ধারনা। Tor ছারাও আরও অনেক টুল আছে যার মাধ্যমে ডিপ / ডার্ক নেট এ প্রবেস করা
যায় যেমন Freenet ও I2P. এবার আপনারা বলবেন এই দুটি নাম আমরা কখনো সুনি নাই, এরা কি ও কেন।


এবার আসি ডিপ নেট ও ডার্ক নেট কেন?

এটি হল আসল প্রশ্ন কেন। আমাদের যা প্রয়োজন সকলি প্রায় ইন্টারনেট এ পাওয়া যায়, তবে কেন?
কেন এটি অনেকেই জানেন ও অনেকেই ভুক্তভোগী। এই যেমন আপনারা প্রায় শোনেন যে কারো ফেসবুক আইডি হ্যাক
হয়েছে, বা অনলাইন বাঙ্কিং হ্যাক হয়ে টাকা চলে গেছে। আরেকটি কারন যেমন আপনি ইন্টারনেট এ ফেসবুকে এমন
কিছু পোস্ট করছেন যা হয়ত সরকার বিরধি, বা কোন বিশেষ স্রেনি বা বেক্তি বিরধি, এবার এখানে তিনি বা তারা সহজেই
খুজে বারকরবে আপনাকে, কারন সাধারন নেটে আপনার পরিচিতি গোপন রাখা প্রায় অসম্ভব। আবার যেমন ইন্টারনেট
এ Porn বন্ধ করছে বিভিন্ন দেশের সরকার, তেমনি আও এমন অনেক কিছু আছে যা সাধারন নেটে আলোচনা করা, প্রকাশ
করা সম্ভব নয়, কিন্তু সেগুলি প্রকাশ করার বা নিজের পরিচিতি গোপন রেখে তথ্য আদান প্রদানে জন্য তৈরি এই ডিপ নেট / ডার্ক নেট।


সারফেস নেট বা ওপেন নেট সম্বন্ধে বলার বিশেষ কিছু নেই, সকলেই ব্যবহার করছেন, সকলেই জানেন। যে কোন ও এস
এর সাথে একটি ব্রাউসার দেওয়া থাকে জেটি ব্যবহার করে সকলে এই নেট ব্যবহার করে থাকে, এই যেমন আমাদের
সকলের পরিচিত Firefox, Google Chrome, Internet Explorer, আরও অন্যান্য।


এবার আসি সকলে জেটি জানেন না সেই অংশে।
Tor Browser বা Onion সম্বন্ধে অনেকে জানেন, কিন্ত টর কি ও কেন সেটি অনেকেই জানেন না।
টর হল ইন্টারনেট এর ভেতরে আরেকটি ইন্টারনেট। টর TOR ছারাও আরও দুটি টুল আছে ডিপ নেট বাবহারের জন্য যার
নাম আগেই বলেছি। ১. Tor Browser, ২. Freenet ও ৩. I2P এই তিনটি প্রধান টুল ব্যবহার করে ইন্টারনেট এর ভেতরের
ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।

আপনি যখন আপনার পিসি বা মোবাইলে ইন্টারনেট যুক্ত হন তখন আপনার সেই ডিভাইস এ একটি আই পি অ্যাড্রেস
এসাইন হয়, জেটি একটি ইউনিক নম্বর। এই নম্বর ব্যবহার করে আপনাকে সহলেই খুজে বের করা সম্ভব। এরপর যখন
আপনি কোন সাইট খোলেন তখন সেই রিকুয়েস্ট টি আপনার ডিভাইস থেকে প্রথমে যায় আপনার সার্ভিস প্রভাইডার
এর কাছে সেখান থেকে অন্য সারভার ঘুরে সেই সাইটের সারভারে আপনি যে সাইট খুলতে চান, এই যেমন আপনি
ফেসবুক খুলবেন, আপনার সেই রিকুয়েস্ট যাবে ফেসবুক এর কাছে ও তার জবাবে আপনি ফেসবুক খুলতে পারবেন।
ফেসবুক আপনার আই পি অ্যাড্রেস, আপনার লকেসন আপনার ডিভাইস ইত্যাদি ফেসবুক সমেত আপনার সার্ভিস
প্রভাইডার এই সকল তথ্য গুলি যানতে পারবে। যদি কোন হ্যাকার মাঝখানে ঢুকে যেতে পারে, সেও যেনে যাবে এই সকল তথ্য।

তাই এই সকল সমস্যার সমাধানে তৈরি করা হয় এই সকল টুল, যাতে করে কেউ তার পরিচিতি গোপন রেখে,
হ্যাক না হয়ে নির্দ্বিধায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।

১. Tor Browser বা টর ব্রাওসার
এটি টর বা অনিওন রাউটার নামেও পরিচিত, টর ব্রাউসার আসলে চির পরিচিত Firefox ব্রাউসারে এক সংশোধিত ভার্সন,
তাই এটি দেখতে ও ব্যবহার করতে অনেকাংশে Firefox এর মত, তাই এর মাধ্যমে আপনি সকল সাইট ই খুলতে পারবেন
সাধারন ভাবে। তাই টর ইন্সটল করলেই যে আপনি ডিপ নেট ব্যবহার করতে পারবেন এরকম নয়। টর কেন? টর Firefox
এর থেকে তৈরি হলেও এর ভেতরের কাজ করার পদ্ধতি অনেক আলাদা। Tor Browser Onion Network এর মাধ্যমে
ইন্টারনেট এর সাথে যুক্ত হয়। আসল কাজ এই অনিওন রাউটারের। অনিওন অর্থাৎ পেয়াজ, এই নেটওয়ার্ক ঠিক তাই,
এখানে আপনি যখন কোন সাইট খুলতে চান তখন আপনি যখন কোন সাইট এতে রিকুয়েস্ট করেন তখন আপনার এই
রিকুয়েস্ট টর ব্রাউসার সেই রিকুয়েস্ট অনেক গুলি লেয়ার বা পরতে মুরে সেটি বিভিন্ন anonymous টর নোড হয়ে
আপনার প্রয়োজনীয় সাইটে যায়, এতে আপনার ডাটা মাঝ পথে হ্যাক হবার, বা আপনার পরিচিতি প্রকাশ হয় না।
এতো সাধারন কাজ, আসলে টর ব্রাউসার দিয়ে আপনি টর নেটওয়ার্ক এ অবস্থিত ওয়েবসাইট খুলতে বা দেখতে পারেন
যা সাধারন ব্রাউসার ব্যবহার করে খোলা সম্ভব নায়। এই টর নেটওয়ার্ক এর সাইট গুলি কিন্তু .com .net ইত্যাদি নয়।
এর সাইট গুলি হয় .onion দিয়ে, তাই সাধারন ব্রাউসার এই সাইট খুলতে পারে না। এই যেমন আমাদের চির পরিচিত
ফেসবুক এর অনিওন বা টর সাইট হল " http://facebookcorewwwi.onion/ " চাইলে টর ব্যবহার করে খুলে দেখতে পারেন।

fb-onion.jpg


খেয়াল করে দেখুন, সাইটের নাম কিন্তু "facebook" নয়, কারন অনিওন সাইট এর অ্যাড্রেস কম করে ১৬ অক্ষরের
হতে হবে, আর দেখুন এর শেষে কিন্তু .com বা .net নেই, আছে .onion। তাই আপনি যতক্ষণ না আপনার দরকারের
সাইটের এই বিশেষ ঠিকানা না জানবেন আপনি ততক্ষন সেটি এক্সেস করতে পাবেন না। আর সবচে বড় সমস্যা হল
সাধারন নেটের মত এখানে কোন সার্চ বা গুগল নেই যেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় বিষয় সার্চ করে সেটি পাবেন।


২. Free net বা ফ্রীনেট, এটি কোন ব্রাউসার নয়, এটি একটি টুল, জাভা ব্যবহার করে এটি একটি বিশেষ Peer to Peer
নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত হয়। এখানে কোন সাইট বা তথ্য পেতে আপনাকে কোন বিশেষ কোন ব্রাউসার ব্যবহার
করতে হয় না, গুগল ক্রম বা Firefox ব্যবহার করতে পারেন, তবে সেটি হয় Private browsing বা Incognito Mode এ,
আর এখানে কোন সাইটের ঠিকানা নেই আছে "কি" সুবিসাল উনিক কি, সেই কি থাকলেই আপনি সেই কি এর
পরিপ্রেক্ষিতে থাকা তথ্য পাবেন, অন্যথা নয়।
722px-Freenet_darknet.png


৩. I2P বা আই ২ পি, এটিও ফ্রী নেট এর মত পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে, কিন্তু দুইটি সার্ভিস এর কি আলাদা,
আসলে এইটি ফ্রীনেট এর থেকেই উৎপত্তি, পরে এটি আলাদা হয়ে নতুন শাখা পরিনত হয়।


800px-I2P_router_console_0.9.31-0.png




আশাকরি ইন্টারনেট এর বিভিন্ন দিক সম্বন্ধে কিছু আলোকপাত করতে পেরেছি।


যদি কিছু ভুল করি, বা এই লেখাটি ভাল লাগে, তবে আপনাদের মতবাদ জানাবেন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top