What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

একজন সিংগেল মায়ের সন্তানের কথা। (1 Viewer)

oni78

Banned
Joined
Apr 22, 2024
Threads
52
Messages
54
Credits
2,274
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন💙

👉আজ কিছু ব্যতক্রমি কথা শেয়ার করবো সবার সাথে। একজন সিংগেল মায়ের সন্তানের কথা।

💥💥সব সময় সব পরিবার প্রচলিত নিয়মে সাজানো গোছানো হয় না। অনেক পরিবারই থাকে যেখানে বাবা অথবা মা কেউ একজন থাকেন না। তারপরও জীবন কেটে যায় স্বাভাবিক ভাবেই।



🌷🌷পরিবার বলতে সবার মনে একটা নিখুঁত ছবি সাজানো থাকে। সেখানে বাবা থাকে মা থাকে সন্তান থাকে। বাবা মায়ের আলাদা আলাদা দায়িত্ব কর্তব্য থাকে। এই সুন্দর নিয়মের ছন্দ পতন হয় যখন পরিবার থেকে বাবা অথবা মা কেউ একজন চলে যান।



💥💥এরকম পরিবারগুলোকে সমাজবিজ্ঞানে 'সিঙ্গেল প্যারেন্টিং ফ্যামিলি' বলা হয়। দুজন মিলে সন্তান মানুষ করাই বেশ কঠিন কাজ। এই কাজ যখন একজনের উপরে এসে পড়ে তখন দায়িত্ব একজনের উপর বেড়েও যায়।

🌷🌷৬ বছর বিবাহ বিচ্ছেদের জীবনে। ১৪ বছরের একটি সন্তান কে নিয়ে একা বাস করা সত্যি অনেকটা কস্টকর।

💥💥পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজ ব্যবস্থায় বিচ্ছেদের পরে পুরুষেরা খুব কমই একা থাকেন। তাই বিচ্ছেদের পরে বাবা সানন্দে বিয়ে করে ফেললেও মাকে একা থেকে সন্তানের দায়িত্ব নিতে হয়।



🌷🌷একা মা হিসেবে দায়িত্বের চাপ অবশ্যই অনেক বেশি। একসঙ্গে 'বাবা-মা' দুই দায়িত্ব পালন করতে হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় বাচ্চা যাতে বাবার অভাব অনুভব না করে, অথবা বাবার শাসন ছাড়া বিগড়ে না যায় তা নিশ্চিত করতে। সন্তান যখন অন্য বাচ্চাদেরকে বাবা-মার সঙ্গে দেখে তখন তার মন খারাপ হয়। সন্তানকে অন্যদের কথা থেকে বাঁচানো এবং তাকে মনোবলহীন হতে না দেওয়া সবচেয়ে বড় দায়িত্ব মনে হয় আমার কাছে।

💥💥আমাদের সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদকে এখনও খুব ভালো চোখে দেখা হয় না। স্বাভাবিক নিয়মে যে কিছু সম্পর্ক টেকে না এই কথাটা মানার মতো মানসিকতা এখনও সাধারণের মধ্যে তৈরি হয়নি। যার ফলে আলাদা হয়ে যাওয়া পরিবার নিয়ে সকলের অসীম আগ্রহ এবং কোনো এক পক্ষকে দোষারোপ করার বা কার দোষ খুঁজে বের করার একটা প্রবণতা সকলের মধ্যেই থাকে যা সন্তান এবং বাবা-মা উভয়কেই মানসিকভাবে চাপ দেয়।"

🌷🌷এরকম একটি পরিস্থিতিতে সন্তানের লালন পালন করা অনেক কঠিন।



💥💥ভেঙে যাওয়া একটি পরিবারের সন্তানকে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দিতে হবে সেটা হচ্ছে সময়। হতে পারে সময় পরিমাণে কম তবে সেই সময়ের উৎকর্ষতা বেশি থাকতে হবে। যেন সন্তান সেই সময়টি উপভোগ করতে পারে। এই সময়ে অবশ্যই পারস্পরিক ভাবের আদান প্রদান থাকতে হবে। সব মিলিয়ে এমন কিছু করতে হবে যেন সে স্বনির্ভর হওয়ার শিক্ষা পায় এবং নিজের গুরুত্ব অনুধাবন করতে শেখে।

🌷🌷সেই স্বনির্ভর হওয়ার শিক্ষাটা হয়তো আমার মেয়ে পাচ্ছে আর তাই তো পড়লেখার পাশাপাশি সে আমাকে সাহায্য করে যাচ্ছে আমার কাজে।

💥💥আর নিজের পড়ালেখা গুরুত্বটাও হয়তো সে বুঝতে পাচ্ছে বলেই আজ সে ঈদে অনেক কিছু কিনতে চায়না। সে বলে যা কিনেছে তাতেই হবে তার চেয়ে তাকে যেন গাইড কিনে দেই সেই টাকা দিয়ে। কথাটা শুনে যতোটা ভালো লেগেছে তার চেয়ে খারাপ লেগেছে দ্বিগুন কারন আজ ও শুধু ওর সিংগেল মায়ের সন্তান বলেই সবাই যখন ঈদের কেনাকাটা নিয়ে ব্যাস্ত তখন সে বই কেনার কথা চিন্তা করে😥।আসলে এটা একটা মায়ের জন্য কতোটা কস্টের তা শুধু ঐ মা যানে।



🌷🌷যদি বাবা মায়ের মধ্যকার বিরোধ অনেক বেশি থাকে তবে সেই সম্পর্কে সন্তান বড় করার চেয়ে একা বড় করাটা সবসময় অধিক মঙ্গলজনক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছিল বা এখনো হচ্ছে। কিন্তু কিন্তু কিছু কিছু পরিস্থিতি এমন হয় যখন মনে হয় আজ সিংগেল মায়ের সন্তান বলেই এমন হচ্ছে । আবার আবার কখনো মনে হয় এ ধরনের পরিবারের সন্তানকে যদি সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায় তবে তাদের মধ্যে অনেক বেশি দায়িত্বশীলতা এবং ইতিবাচক চরিত্রের সমন্বয় ঘটে। তাইতো চেষ্টা করে যাচ্ছি সন্তানকে সঠিকভাবে লালন পালনের।

💥💥সিংগেল হয়ে যাওয়া মানুষদের আত্মীয় স্বজন বা তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের উচিত তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া তাদের যেকোন কাজের ক্ষেএে । এতে তারা একটু সামাজিক বা মানসিক সহায়তা পেলে তাদের জীবন যেমন সহজ হয় তেমনি সন্তান পালনও নির্বিঘ্ন ভাবে করা সম্ভব হয়।

🌷🌷আমাদের প্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের শিক্ষা ও তার দিকনির্দেশনা গুলো নিয়ে আমার এই সংগ্রামী জীবনের পথচলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আর আমার সন্তানকেও লেখাপড়ার পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সবার সহযোগীতা পেলে ইনশাআল্লাহ এগিয়ে যেতে পারবো এই মনোবল নিয়েই আমার উদ্দোক্তা জীবন শুরু করেছি। রত্নদ্বীপ পিরোজপুর জেলার প্রতিটা ভাইবোন আমাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে আর তাদের সহযোগিতা পাচ্ছি বলেই এখন মনে হচ্ছে আমি পারবো আমাকে আমার সন্তানের জন্য পারতেই হবে।
 
গোছানো লিখা।ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য
 
মা বাবা কথা সবাই মুখ ফুটে বলতে পারে না
 
অনেক সুন্দর ভাবে বিষয়টা explain করেছেন
thanks bro
 
single mother der ei socity te onek kosto korte hoy.
তা আপনি ঠিক বলেছেন, আনাচে কানাচে অনেক মা' রাই নিরভে কষ্ট পাচ্ছে, কেউ হয়ত অর্থের অভাবে, আর কেউ হয়ত শারীরিক চাহিদা মিটানোর অভাবে।
 
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন💙

👉আজ কিছু ব্যতক্রমি কথা শেয়ার করবো সবার সাথে। একজন সিংগেল মায়ের সন্তানের কথা।

💥💥সব সময় সব পরিবার প্রচলিত নিয়মে সাজানো গোছানো হয় না। অনেক পরিবারই থাকে যেখানে বাবা অথবা মা কেউ একজন থাকেন না। তারপরও জীবন কেটে যায় স্বাভাবিক ভাবেই।



🌷🌷পরিবার বলতে সবার মনে একটা নিখুঁত ছবি সাজানো থাকে। সেখানে বাবা থাকে মা থাকে সন্তান থাকে। বাবা মায়ের আলাদা আলাদা দায়িত্ব কর্তব্য থাকে। এই সুন্দর নিয়মের ছন্দ পতন হয় যখন পরিবার থেকে বাবা অথবা মা কেউ একজন চলে যান।



💥💥এরকম পরিবারগুলোকে সমাজবিজ্ঞানে 'সিঙ্গেল প্যারেন্টিং ফ্যামিলি' বলা হয়। দুজন মিলে সন্তান মানুষ করাই বেশ কঠিন কাজ। এই কাজ যখন একজনের উপরে এসে পড়ে তখন দায়িত্ব একজনের উপর বেড়েও যায়।

🌷🌷৬ বছর বিবাহ বিচ্ছেদের জীবনে। ১৪ বছরের একটি সন্তান কে নিয়ে একা বাস করা সত্যি অনেকটা কস্টকর।

💥💥পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজ ব্যবস্থায় বিচ্ছেদের পরে পুরুষেরা খুব কমই একা থাকেন। তাই বিচ্ছেদের পরে বাবা সানন্দে বিয়ে করে ফেললেও মাকে একা থেকে সন্তানের দায়িত্ব নিতে হয়।



🌷🌷একা মা হিসেবে দায়িত্বের চাপ অবশ্যই অনেক বেশি। একসঙ্গে 'বাবা-মা' দুই দায়িত্ব পালন করতে হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় বাচ্চা যাতে বাবার অভাব অনুভব না করে, অথবা বাবার শাসন ছাড়া বিগড়ে না যায় তা নিশ্চিত করতে। সন্তান যখন অন্য বাচ্চাদেরকে বাবা-মার সঙ্গে দেখে তখন তার মন খারাপ হয়। সন্তানকে অন্যদের কথা থেকে বাঁচানো এবং তাকে মনোবলহীন হতে না দেওয়া সবচেয়ে বড় দায়িত্ব মনে হয় আমার কাছে।

💥💥আমাদের সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদকে এখনও খুব ভালো চোখে দেখা হয় না। স্বাভাবিক নিয়মে যে কিছু সম্পর্ক টেকে না এই কথাটা মানার মতো মানসিকতা এখনও সাধারণের মধ্যে তৈরি হয়নি। যার ফলে আলাদা হয়ে যাওয়া পরিবার নিয়ে সকলের অসীম আগ্রহ এবং কোনো এক পক্ষকে দোষারোপ করার বা কার দোষ খুঁজে বের করার একটা প্রবণতা সকলের মধ্যেই থাকে যা সন্তান এবং বাবা-মা উভয়কেই মানসিকভাবে চাপ দেয়।"

🌷🌷এরকম একটি পরিস্থিতিতে সন্তানের লালন পালন করা অনেক কঠিন।



💥💥ভেঙে যাওয়া একটি পরিবারের সন্তানকে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দিতে হবে সেটা হচ্ছে সময়। হতে পারে সময় পরিমাণে কম তবে সেই সময়ের উৎকর্ষতা বেশি থাকতে হবে। যেন সন্তান সেই সময়টি উপভোগ করতে পারে। এই সময়ে অবশ্যই পারস্পরিক ভাবের আদান প্রদান থাকতে হবে। সব মিলিয়ে এমন কিছু করতে হবে যেন সে স্বনির্ভর হওয়ার শিক্ষা পায় এবং নিজের গুরুত্ব অনুধাবন করতে শেখে।

🌷🌷সেই স্বনির্ভর হওয়ার শিক্ষাটা হয়তো আমার মেয়ে পাচ্ছে আর তাই তো পড়লেখার পাশাপাশি সে আমাকে সাহায্য করে যাচ্ছে আমার কাজে।

💥💥আর নিজের পড়ালেখা গুরুত্বটাও হয়তো সে বুঝতে পাচ্ছে বলেই আজ সে ঈদে অনেক কিছু কিনতে চায়না। সে বলে যা কিনেছে তাতেই হবে তার চেয়ে তাকে যেন গাইড কিনে দেই সেই টাকা দিয়ে। কথাটা শুনে যতোটা ভালো লেগেছে তার চেয়ে খারাপ লেগেছে দ্বিগুন কারন আজ ও শুধু ওর সিংগেল মায়ের সন্তান বলেই সবাই যখন ঈদের কেনাকাটা নিয়ে ব্যাস্ত তখন সে বই কেনার কথা চিন্তা করে😥।আসলে এটা একটা মায়ের জন্য কতোটা কস্টের তা শুধু ঐ মা যানে।



🌷🌷যদি বাবা মায়ের মধ্যকার বিরোধ অনেক বেশি থাকে তবে সেই সম্পর্কে সন্তান বড় করার চেয়ে একা বড় করাটা সবসময় অধিক মঙ্গলজনক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছিল বা এখনো হচ্ছে। কিন্তু কিন্তু কিছু কিছু পরিস্থিতি এমন হয় যখন মনে হয় আজ সিংগেল মায়ের সন্তান বলেই এমন হচ্ছে । আবার আবার কখনো মনে হয় এ ধরনের পরিবারের সন্তানকে যদি সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায় তবে তাদের মধ্যে অনেক বেশি দায়িত্বশীলতা এবং ইতিবাচক চরিত্রের সমন্বয় ঘটে। তাইতো চেষ্টা করে যাচ্ছি সন্তানকে সঠিকভাবে লালন পালনের।

💥💥সিংগেল হয়ে যাওয়া মানুষদের আত্মীয় স্বজন বা তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের উচিত তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া তাদের যেকোন কাজের ক্ষেএে । এতে তারা একটু সামাজিক বা মানসিক সহায়তা পেলে তাদের জীবন যেমন সহজ হয় তেমনি সন্তান পালনও নির্বিঘ্ন ভাবে করা সম্ভব হয়।

🌷🌷আমাদের প্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের শিক্ষা ও তার দিকনির্দেশনা গুলো নিয়ে আমার এই সংগ্রামী জীবনের পথচলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আর আমার সন্তানকেও লেখাপড়ার পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সবার সহযোগীতা পেলে ইনশাআল্লাহ এগিয়ে যেতে পারবো এই মনোবল নিয়েই আমার উদ্দোক্তা জীবন শুরু করেছি। রত্নদ্বীপ পিরোজপুর জেলার প্রতিটা ভাইবোন আমাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে আর তাদের সহযোগিতা পাচ্ছি বলেই এখন মনে হচ্ছে আমি পারবো আমাকে আমার সন্তানের জন্য পারতেই হবে।
Good story keep writing please
 
একজন প্যারেন্টের কাছে যে মানুষ হয় তাকে অনেক কিছু শিখে নিতে হয়।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top