What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ফুটবল ইতিহাসের ১০ কাকতালীয় ঘটনা (1 Viewer)

SoundTrack

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
530
Messages
13,426
Credits
283,450
Recipe pizza
Loudspeaker
দীর্ঘ সময়ের ফুটবল ইতিহাসে নানান সময়েই বিভিন্ন ফুটবলারদের সঙ্গে ঘটেছে নানান কাকতালীয় ঘটনা । একই দিনে জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ খেলে আবার ক্লাবের হয়ে ম্যাচ খেলা , একই খেলোয়াড়ের ৩টি দেশের জাতীয় দলের হয়ে খেলা ,এক ম্যাচে ভিন্ন ৩জন গোলকিপারের বিরুদ্ধে গোল করে হ্যাট্রিকের ঘটনাসহ আরো কিছু কাকতালীয় ঘটনা এই লেখাটিতে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো ।

১. একই দিনে নিজের দেশ এবং ক্লাবের হয়ে ম্যাচে অংশগ্রহন করা

SxS6r66.jpg


ওয়েলসের জার্সিতে মার্ক হিউজ

ওয়েলস জাতীয় দলের ফুটবলার মার্ক হিউজ সদ্যই যোগদান করেছিলেন জার্মান ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিকে । তিনি সেদিন প্রস্তুত হচ্ছিলেন ইউরো '৮৮ কোয়ালিফায়ার পর্বে যুগোশ্লোভিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার জন্যে। হিউজ এই ব্যাপারে বলেন "খেলার আগেরদিন আমি বায়ার্নের চেয়ারম্যান উলির সঙ্গে রাতের খাবার খাচ্ছিলাম এবং তিনি আমাকে ওয়েলসের খেলার সময় জিজ্ঞাসা করায় আমি তাকে জানালাম আমাদের খেলা দুপুরের দিকে , তিনি আমাকে বললেন তাহলে তো ঠিকই আছে তুমি তো তাইলে সন্ধ্যার দিকেও আবারো খেলতে নামতে পারো " এরপরে বায়ার্নের চেয়ারম্যান মাঠে বসে ওয়েলসের হয়ে হিউজের খেলা দেখলেন । খেলা শেষে হিউজকে নিয়ে উড়ে গেলেন বরুশিয়া মনচেনক্ল্যাডবাখের বিরুদ্ধে বায়ার্নের হয়ে ম্যাচ খেলার জন্যে যে ম্যাচের ভেন্যু ছিলো চেক সীমান্তের ওপারে । মার্ক হিউজ এ ব্যাপারে আরো বলেন যে "বায়ার্নের খেলা চলাকালীন অবস্থায় আমি বিমানেই ছিলাম এবং খেলা চলাকালীন সময়েই ঐ স্টেডিয়ামের উপর দিয়ে আমাকে বহনকারী বিমানটি উড়ে যায় যদিও দেরী হওয়ার কারণে প্রথম অর্ধে আমি মাঠে নামতে পারিনি কিন্তু দ্বিতীয়অর্ধের শুরুতেই আমি মাঠে উপস্থিত হই, আমি বদলি হিসেবে মাঠে নামি" । ঐ ম্যাচটিতে বরুশিয়া মনচেনক্ল্যাডবাখ দলের বিপক্ষে বায়ার্ন জয়ী হয়েছিলো ।

২. একই ম্যাচে ভিন্ন ৩ জন গোলকিপারের বিপক্ষে গোল করে হ্যাট্রিক

pYPHXXP.jpg


এলভিন মার্টিন

১৯৮৬ সালে ইংলিশ ক্ল্যাব ওয়েস্টহ্যামের হয়ে খেলা ডিফেন্ডার এলভিন মার্টিন এ কান্ডটি ঘটান নিউক্যাসলের বিপক্ষের এক খেলায় । তিনি প্রথম গোলটি করেছিলেন নিউ ক্যাসল দলের মুল গোলকিপার মার্টিন থমাস কে যাকে ঐ ম্যাচে ইনজুরির কারণে মাঠ ছেড়ে যেতে হয়। তার স্থলে নিউ ক্যাসলের গোলপোস্ট রক্ষার দায়িত্ব বর্তায় ডিফেন্ডার ক্রিস হেডওয়ার্থের কাঁধে, তার বিরুদ্ধে একটি গোল করেন এলভিন। খেলা চলাকালীন অবস্থায় ক্রিসকেও আহত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় । পরবর্তীতে ঐ ম্যাচে নিউ ক্যাসলের গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন পিটার বেয়ার্ডসলি যার বিরুদ্ধে গোল করে নিজের হ্যাট্রিক পূর্ণ করেন এলভিন মার্টিন ।ঐ ম্যাচটি ওয়েস্টহ্যাম ৮-১ গোলের ব্যাবধানে জয়লাভ করেছিলো ।

৩. ১.২৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে আর্সেনালে যোগদানের পরে একটি ম্যাচও খেলেননি তিনি আর্সেনালের হয়ে

GIAC9Vl.jpg


ক্লাইভ এলেন

১৯৭৯/৮০ মৌসুমের ২য় বিভাগের ক্লাব কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের হয়ে অসাধারন এক মৌসুম কাটানো ক্লাইভ এলেন [ঐ মৌসুমে তিনি ২৮টি গোল করেছিলেন কুইন্সদের হয়ে] আর্সেনাল তাকে কিনে ১.২৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে এবং তিনি ছিলেন সে সময়কার অন্যতম দামী ফুটবলার । আর্সেনালের হয়ে ৩টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সত্ত্বেও তাদের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে আর মাঠে নামা হয়ে উঠেনি এই ফুটবলারের । এলেন কে ক্রিস্ট্যাল প্যালেসে ট্রান্সফার করিয়ে তার জায়গায় ক্রিস্ট্যাল প্যালেসের ক্যানি সেন্সম কে দলে ভেড়ায় আর্সেনাল । পরবর্তীতে এলেন টটেনহামে যোগদান করেন এবং ১৯৮৪ প্রিমিয়ার লিগে ৪৯টি গোল করে অসাধারন একটি মৌসুম কাটান ।

৪. ১৯৮২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া প্রত্যেকটি বিশ্বকাপের ফাইনালে বায়ার্নের অন্তত একজন খেলোয়াড় তাদের জাতীয় দলের একাদশে ছিলেন

N8kJ6z3.jpg


আরিয়েন রবেন

জার্মানি ১৯৮২, '৮৬ '৯০ '০২ এবং ২০১৪ সালের ফাইনাল খেলেছে এছাড়াও জার্মানি এর মধ্যকার যে বিশ্বকাপগুলোর ফাইনালে উঠতে পারেনি সে বিশ্বকাপগুলোর ফাইনালে জার্মান ক্লাব বায়ার্নের হয়ে খেলা অন্য দেশের এ ফুটবলাররা জাতীয় দলের একাদশে খেলেছিলেন জরগিনহো। (ব্রাজিলের হয়ে '৯৪ সালে ফাইনাল খেলেছেন, লিজারজো (ফ্রান্সের হয়ে '৯৮ এর ফাইনাল খেলেছেন ), স্যাগনল (ফ্রান্সের হয়ে '০৬ সালের ফাইনাল খেলেছেন) এবং আরিয়েন রবেন ('১০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ খেলেছেন)

৫.স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজারের দায়িত্ব গ্রহনের আগে ইংলিশ ফুটবল ক্ল্যাব এস্টনভিলা শিরোপা জয়ের বিচারে রেড ডেভিলসদের চাইতে এগিয়ে ছিলো

RqGNkx0.jpg


ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডাউআউটে ফার্গুসন(ডান থেকে ২য়)

স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ১৯৮৬ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্বগ্রহন করেন। সে সময়ে ইংলিশ ফুটবল ক্ল্যাব এস্টনভিলা শিরোপা জয়ের বিচারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে এগিয়ে ছিলো । সে সময় এস্টন ভিলা ৭ বার লিগ শিরোপা , তিনবার লিগ কাপ এবং একবার ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছিলো যার বিপরীতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৬ বার লিগ শিরোপা, একবার ইউরোপিয়ান কাপ এবং একবার কাপ উইনার্সের শিরোপা জয়ী হয় । সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করলে ১৮-১৫, ৩টি শিরোপার ব্যাবধানে এস্টনভিলা এগিয়ে ছিলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ।

৬.স্কটিশ ফুটবল ক্ল্যাব অ্যাবারডিন এফসির হোমগ্রাউন্ড পিট্রওড্রি ফুটবল স্টেডিয়াম, গ্যেলিক ভাষায় পিট্রওডি'র অর্থ হচ্ছে মল জমা করার স্থান

Wgiv6aw.jpg


পিট্রওড্রি ফুটবল স্টেডিয়াম

স্কটিশ ফুটব্যাল ক্ল্যাব অ্যাবারডিন এফসির হোমগ্রাউন্ড পিট্রওড্রি ফুটবল স্টেডিয়ামের নামের অর্থ গ্যেলিক ভাষায় [গ্যেলিক ভাষা কেল্টিক / স্কটল্যান্ডের আদিবাসীদের ভাষা ] মল জমা করার স্থান , এ বিষয়টি নিয়ে এ দলের সমর্থকরা নানানভাবে মজা করে থাকেন ।

৭. ল্যাজলো কুবালা হচ্ছেন একমাত্র ফুটবলার যিনি তিনটি দেশের হয়ে ফুটবল খেলেছেন (ফিফাদ্বারা স্বীকৃত )

33o2OGw.jpg


ল্যাজলো কুবালা

চেক বংশদ্ভুত পিতা-মাতার ঘরে, হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে জন্ম গ্রহন করেন এই ফুটবলার । বার্সেলোনা হয়ে ক্লাব ফুটবল খেলা এই ফুটবলার যুগোশ্লোভিয়া, হাঙ্গেরি, স্পেন এই ৩টি দেশের হয়ে ফুটবল খেলেছেন । প্রাক্তন রিয়েল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার অ্যালফ্রেডো ডি স্টেফানোও এমন একজন ফুটবলার যিনি আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া এই ৩টি দেশের জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলেছিলেন যদিও তিনি কলম্বিয়ায় যে সময়টিতে খেলেছিলেন সে সময় কলম্বিয়ান ফুটবল ফেডারেশন ফিফাদ্বারা স্বীকৃত ফুটবল ফেডারেশন না হওয়াই স্টিফানোর ৩টি দেশের হয়ে খেলার বিষয়টি ফিফা স্বীকৃত নয় ।

৮. ফুটবল ইতিহাসের একমাত্র প্লেয়ার হিসাবে দুটি আলাদা ইংলিশ ক্লাবের হয়ে ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছিলেন যে ফুটবলার

rHzYdSj.jpg


জিমি রিমার

জিমি রিমার একমাত্র ফুটবলার যিনি ১৯৬৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বেঞ্চে এবং ১৯৮২ সালে এস্টনভিলার মুল একাদশে থেকে ইউরোপিয়ান কাপ টুর্নামেন্ট জিতেন । যদিও এস্টনভিলার সঙ্গে বায়ার্ন মিউনিকের হওয়া ১৯৮২ সালের ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালের ম্যাচের পুরোটা সময় তিনি মাঠে ছিলেন না, ইঞ্জুরড হওয়াই তার বদলী হিসেবে নাইজেল স্পিঙ্ক পরবর্তীতে মাঠে নামেন ।

৯. ইব্রাহিমোভিচ ৬টি ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমেছেন যারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে কিন্তু নিজে একবারো তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতে পারেননি

vwivMFx.jpg


ম্যানইউর জার্সিতে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ

জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ এজ্যাক্স, বার্সেলোনা, ইন্টারমিলান, জুভেন্টাস, এসি মিলান এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে মাঠে খেলেছেন কিন্তু একবারও চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জেতার সৌভাগ্য হয়নি তার।

১০. ফুটবল ইতিহাসের এখনো পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া সর্ববৃহৎ ফুটবল টুর্নামেন্ট

mSKJYPh.jpg


থাই ফুটবলের লিগ

১৯৮২ সালে ২য় ব্যাংকক লিগ সেভেন টুর্নামেন্টে লীগ সেভেনে এক দলে ৭ জন করে ফুটবলার অংশগ্রহন করে থাকেন] ৫,০৯৮টি দল অংশগ্রহন করে , প্রায় ৩৫,০০০ ফুটবলার এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করেন ।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top