What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

অভিশপ্ত আনন্দ বাড়ি (1 Viewer)

puppyboy

Exclusive Writer
Story Writer
Joined
Mar 10, 2021
Threads
9
Messages
232
Credits
10,161
গল্পটা ককোল্ড গল্প , তাই যারা পছন্দ করেন না এই টাইপ গল্প তারা পড়বেন না ।

আমারা সবাই সবার বাড়ি গিয়েছি , কিন্তু তুই কোনদিন তোর বাড়ি নিয়ে গেলি না অপু , মুন্না রাগ করে বলল ।



হ্যাঁ এবার আমরা গরম এর ছুটি কাটাবো অপুর বাড়ি , আকিব সিধান্ত নেয়ার সুরে বলল । বাকি সবাই ও আকিব এর সাথে তাল মিলালো । অপুর আর কোন কথাই থাকলো না । অপু জানে কোন অজুহাত ই ধোপে টিকবে না । আর দুই বছর আগে হলেও অপু নির্দ্বিধায় ওদের নিয়ে যেত কিন্তু এখন কোন ভাবেই বন্ধুদের ও গ্রামের বাড়ি নিয়ে যেতে পারবে না , কিছুতেই না।



দেখতে দেখতে চলে আসছে গরম এর ছুটি , সময় যেন তড় তড় করে কেটে যাচ্ছে । যত সময় যাচ্ছে অপুর রাতের ঘুম হারাম হচ্ছে ততো । ওর সব বন্ধুরা সবাই সব প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে । সবার বাড়িতে ও বলা হয়ে গেছে । এখন সুধু যাবার পালা এমন কি ট্রেনের টিকিট ও কাটা হয়ে গেছে ।



কিরে এমন প্যাঁচার মতন মুখ করে আছিস কেন রে বোকাচোদা ? তোর বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছি নাকি তোকে ক্রসফায়ার এ নিয়ে যাচ্ছি । অপুর পিঠে একটা থাবা মেরে বলল রিয়ান ।



ক্রসফায়ার এর চেয়ে বেশি কিছু করতে নিয়ে যাচ্ছিস , বিড়বিড় করে বলল অপু ।



ধুর ওর কথা ছাড়তো শালা এক নাম্বার এর হাড় কিপটা নইলে বন্ধুদের বাড়ি নিয়ে যেতে এতো মন খারাপ । থাক তোর কিছু খরচ করতে হবে না যা করার তোর বাপ ই করবে , মুন্না ট্রেনে উঠতে উঠতে বলল ।



আর মায়ের দিব্যি করছি তোর বোন যদি বিশ্ব সুন্দরি ও হয় আমারা তার দিকে নজর ও দিবো না । কথাটা বলেই আকিব ঝুকে পড়লো কারন ততোক্ষণে অপু ওর দিকে খালি পানির বোতল ছুরে মেরেছে । বাকি দুজন দাড়িয়ে দাড়িয়ে হাসতে লাগলো ।





ট্রেন ছেরেছে প্রায় ঘণ্টা তিনেক হলো । আর মাত্র তিন ঘণ্টা ট্রেন রাস্তা তারপর আধ ঘণ্টা ভ্যানে । উফ অপুর মাথা কাজ করছে না । এসি কামরায় বসে ও ঘামছে অপু । ভেবে পাচ্ছে না ওর বাড়ি পৌঁছানোর পর কি করে বন্ধুদের কাছে মুখ দেখাবে। এতদিনের বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যাবে । এর জন্য ই বাড়ি ছেড়ে ছোট বয়সে ঢাকা চলে এসেছিলো অপু । ওইসব কুসংস্কার অন্ধকার আচ্ছন্ন জীবন কে দূরে ফেলে এসেছিলো অপু । সুধু মাত্র বড় কোন ছুটি হলে বাড়ি আসতো অপু এসে নিজের ঘরে খিল এঁটে থাকতো দিন রাত । ওই অভিসপ্ত বাড়িতে ঘটে যাওয়া কোন কিছুই যেন দেখতে না হয় সে জন্য । কিন্তু এবার কি করবে অপু , নিজ বন্ধুদের নিয়ে যাচ্ছে ও ওকে তো সামনে দাড়াতেই হবে সেই বিচ্ছিরি নোংরা কাজটির সময় । ও না চাইলেও ওকে দাড়াতে হবে ।



জড়সড় বসে থাকা অপু নিজের আনন্দ উল্লাস রত তিন বন্ধুর দিকে তাকালো , কি ফুর্তিতেই আছে ওরা , ওদের কি দোষ ওরা তো আর জানে না ওই অভিসপ্ত বাড়ি অপুর জন্য কতটা ভয়ঙ্কর । এদের সবার বাড়ি ই গিয়েছে অপু । সবার বাড়িতেই আন্তরিক স্নেহ আর ভালবাসা পেয়েছে । ওরা সবাই নিজ নিজ বাড়িতে কতইনা সাছন্দ এবং স্বাভাবিক । ওরা হয়তো ভেবেছে অপু ও নিজের বাড়িতে ওদের মতই স্বাভাবিক থাকতে পারে ।



অপু আর থাকতে পারলো না উঠে এসি বগির বাইরে এসে একটা সিগারেট ধরালো । নিজ বন্ধুদের কাছে অপদস্ত হওয়ার দিকে ঝম ঝম শব্দে এগিয়ে যাচ্ছে ও । একবার ইচ্ছা হলো লাফিয়ে পড়ে ট্রেন থেকে । কেন ওর জন্ম আর দশটা স্বাভাবিক পরিবারে হলো না কি দোষ করেছিলো ও ।



কিরে ব্যাটা একা একা সিগারেট খাস , দে আমাকে , মুন্না এসে দাঁড়ালো পাশে । এই মুন্না ই অপু কে সিগারেট খাওয়া শিখিয়েছে । ওদের চারজনের মাঝে মুন্না একটু অন্যরকম , বয়সে ও বড় । সবার চেয়ে সাহসী আর দুষ্ট । কি হয়েছে তোর? যেদিন থেকে তোর বাড়ি যাবার কথা বলেছি সেদিন থেকেই দেখছি তুই কেমন যেন হয়ে গেছিস ? মুন্না সিগারেতে একটা লম্বা টান দিয়ে বলল ।



অপু চুপ করে রইলো কিছু বলল না পায়ের নখের দিকে তাকিয়ে আছে ও । কি বলবে , বলার কি কোন ভাষা আছে এসব কি বলা যায় ।



দেখ অপু তুই আমাদের কেমন বন্ধু ভাবিস আমি জানি না । কিন্তু আমরা তোকে ভাই এর চেয়ে কম দেখি না । আমাদের চারজন এর কেউ কারো কাছে কিছু লুকানো উচিৎ না । তোর বাড়িতে কি কোন সমস্যা হবে ? মুন্না অপুর কাধে হাত রেখে বলল ।



এবার ও অপু কিছু বলল না সুধু নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো ।



দেখ তোর কোন কিছু নিয়ে লজ্জা পাওয়ার দরকার নেই , সবার বাড়ির অবস্থা এক থাকে না । আর আমারা কি তোকে তোর বাড়ির অবস্থা দিয়ে বিচার করবো । তুই আমাদের বন্ধু সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু । যা কিছুই হোক আমাদের বন্ধুত্ব আগের মতই থাকবে । তুই কিচ্ছু ভাবিস না । আর তুই যদি চাস আমারা স্টেশনে নেমে আবার ফিরতি ট্রেনে উঠে যাবো ।



না না সেকি এতদুর এসে চলে যাবি কেনো ? ওসব কিচ্ছু না , শরীর টা ভালো যাচ্ছে না তাই এমন মনে হচ্ছে তোদের কাছে। অপু একটি কাঠ হাসি টেনে বলল । তবে মনে মনে বলল লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই বলছিস যদি তুই আমার জায়গায় থাকতিস তবে লজ্জায় মড়েই যেতিস ।



তাহলে চল দুই ভাই মিলে আর একটা বিড়ি টেনে ভেতরে গিয়ে বসি ।





ওদিকে কামরায় বসে আকিব আর রিয়ান ও অপুর ব্যাপারে কথা বলছে ।



অপুটার কি হলো বলতো ? শালা অমন করছে কেন ? আকিব জিজ্ঞাস করলো



কি জানি কোন সমস্যার কথা ও তো বলে না , ব্যাটা মনের ভেতর রাখে সব কিছু আমরা ওকে যতই আপন ভাবি ও আমাদের তেমন আপন ভাবে না । রিয়ান মন খারাপ করে বলল

আহ ছাড় তো ও একটু এমনি , মনে হয় ওদের ফ্যামেলি গত কোন সমস্যা আছে । তাই আমাদের নিয়ে যেতে লজ্জা পাচ্ছে। আচ্ছা এমন জোড় করে এসে কি আমারা ভুল করলাম ।



না ভুল করিনি , দেখতে হবে সালার এমন কি সমস্যা যেটা আমাদের ও বলতে পারছে না । রিয়ান রাগের সাথে বলল । এমন সময় দরজা খুলে অপু আর মুন্না ঢুকল ।







ট্রেন থামলে ওরা একে একে নেমে পড়লো নিজ নিজ ব্যাগ নিয়ে । স্টেশন থেকে বের হতেই সাড়ি সাড়ি ভ্যান দার করানো ছিলো । ওরা ভ্যান এর দিকে এগিয়ে যেতেই এক ভ্যান ওয়ালা এগিয়ে এলো



ছোট সাহেব না ? আসেন আসেন আমার ভ্যানে আসেন , বন্ধু বান্ধব নিয়া বেড়াইতে আইসেন বুঝি ।



ভ্যান অয়ালার মুখের হাসি দেখে গা জ্বলে গেলো অপুর । বন্ধু বান্ধব নিয়া বেড়াইতে আইসেন এই কথার পরে যে হাঁসিটি দিলো ভ্যান ওয়ালা সেটার মানে সুধু অপু ই জানে আর জানে ভ্যান ওয়ালা ।



ওরা সবাই উঠে বসার পর ভ্যান চলতে লাগলো । ভ্যান ওয়ালা খুব বিরক্ত কর লোক । এই গান গায় আবার অপুর বন্ধুদের সাথে আলাপ করে । অপুর খুব বিরক্ত লাগছিলো তবে অপুর বন্ধুরা খুব এঞ্জয় করছিলো ।



আপনেরা কি এই পরথম আইলেন আনন্দ বাড়ি ? ভ্যান ওয়ালা প্রশ্ন করলো অপুর বন্ধুদের উদ্দেশে



এই তুমি ভ্যান চালাও ভাই এতো কথা বলো কেন অপু প্রায় ধমকে উঠলো । অপুর ধমক খেয়ে থেমে গেলো ভ্যান ওয়ালা ।



এই ধমকাচ্ছিস কেন ? হ্যাঁ আমরা এই প্রথম এসেছি । বলল আকিব



খুব ভালা করসেন আনন্দ বাড়ি বেড়ানির মজাই আলাদা টের পাইবেন ।



আনন্দ বাড়ি মানে? মুন্না জিজ্ঞাস করলো



ছোট সাহেব গো বাড়ির নাম আনন্দ বাড়ি । ক্যান সাহেব কিছু বলে নাই ।



আরে রাখ তো অপু এবার ওর বন্ধুদের বলল । আর তুমি ভ্যান চালাও কথা কম



রিয়ান এর কেমন জানি অন্যরকম লাগছে ভ্যান ওয়ালা অপুর বাড়ির সুনাম করছে এতো অথচ অপু ওদের নিয়েই আসতে চায় নি , ব্যাপারটা কি মনে মনে ভাবল রিয়ান । আকিব এর দিকে আড় চোখে তাকালো । আকিব ও কিছু না বুঝতে পারার ইঙ্গিত করলো ।



তবে অপুর ধমক খেয়ে দমল না মুন্না , ও ভ্যান ওয়ালা কে জিজ্ঞাস করলো কি কি আছে এখানে দেখার মতো । কিন্তু ভ্যান ওয়ালা কোন উত্তর দিলো না অপুর দিকে তাকালো সুধু । এটা দেখে মুন্না বলল আরে তুমি ওকে ভয় পেয়ো না । ওকে আমি সাইজ করছি তুমি বলো ।



কি দেখবেন আনন্দ বাড়ি দেইখাই তো কুল পাইবেন না সাহেব , সারাদিন আনন্দ বাড়ি পইড়া থাকতে মন চাইব । আমাগো গেরাম এর সবাই একবার হইলেও আনন্দ বাড়ির অথিত হইসি । গেলে আর বাইর হইতে মন চায় না । আমিও একবার গেসিলাম কি খাতির না করলো বড় সাহেব আড় বেগম সাহেব । অবশ্য একবার এর বেশি যাওয়ার সাহস হয় নাই ।



ভ্যান ওয়ালা যেভাবে বলতে শুরু করেছে তাতে অপুর গলা শুকিয়ে গেলো । ও বুঝতে পারলো কি ভুলটাই না করেছে ও মুন্না যখন স্টেশন থেকে ফেরত যাবার প্রস্তাব দিয়েছিলো তখন রাজি হয়ে যাওয়া উচিৎ ছিলো ওর । ভ্যান ওয়ালা বেফাঁস কিছু বলে দিবে এই চিন্তায় অস্থির হয়ে যাচ্ছে অথচ আড় কিছুক্ষন পর যখন সব কিছু চোখের সামনে ঘটবে তখন কি করবে অপু । নাহ কিছুই চিন্তা করতে পারছে না ও মাথা ঝিম ঝিম করছে ।





মুন্না ভ্যান অয়লার কথা আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারছে না । তবে এটুকু বুঝতে পারছে যে অপুর পরিবার এই এলাকায় বেশ জনপ্রিয় । ওদের অথিতি পরায়ন হিসেবে বেশ খ্যাতি আছে , এমনকি এই গরীব ভ্যান ওয়ালা ও বাদ যায়নি ওর বাবা মায়ের অথিতি পরায়নতা থেকে । তবে ঘটনা কি ? অপু এমন করছে কেন ? মুন্না ভেবে পাচ্ছে না । ভ্যান অয়ালার কোথায় যা বোঝা গেলো ওরা গরীব নয় ।







এই শুনছো , এই মিতা এই । প্রায় দৌড়ে দৌড়ে স্ত্রী কে খুজে ফিরছেন আলম চৌধুরী । হাতে রাখা মোবাইল এ একটা কল করেই যে স্ত্রীর খোঁজ নেয়া যায় সেটা মনেই পড়ছে না তার । রেশমি পাঞ্জাবি পাজামা পড়া আলম সাহেব একটু জোরে হেঁটেই বেশ ঘেমে গেছেন তার ফলে পাঞ্জাবি ভিজে লেপটে আছে শরীর এর সাথে , অভ্যাস না থাকলে যা হয় । ওনাকে দেখেই বোঝা যায় এই লোক আরামে অভস্থ নাদুস নুদুস শরীর থেকে চেকনাই ঝরছে । চোখে সোনালী ফ্রেম এর চশমা বেশ অভিজাত চেহারা । এমন লোক কে এমন হন্তদন্ত হয়ে ছুটতে দেখা কেমন জানি বেখাপ্পা লাগছে । এই ধরেনের লোক সচরাচর নিজেরা দৌড়া দউরি করেনা বরং এদের আদেশে লোকজন টতস্থ থাকে ।



একজন অবশ্য পেছন পেছন দৌড়াচ্ছে তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে চাকর শ্রেণীর লোক । পড়নে লুঙ্গী আর হাঁটা কাটা একটি শার্ট মাথায় গামছা বাধা । তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে জানে না সে কেন দৌড়াচ্ছে , মালিক এমন করে হন্তদন্ত করে যাচ্ছে তাই সে ও যাচ্ছে ।

বাবা মা তো ছাদে গিয়েছে আচার এর বয়াম গুলু নিয়ে আসতে । একটা মেয়ে বেড়িয়ে এসে বলল । ওহ মামনি তোকে পেয়ে গেলাম যা শীগগির তৈরি হয়ে নে আর নিলু কেও তৈরি হয়ে নিতে বল । তোর মা আর সময় পেলো না ছাদে যাওয়ার উফ ওর গুনধর ছেলে কি কাজ করেছে সে কি জানে ?



কি করেছে বাবা ? মেয়েটি প্রশ্ন করলো আবার



কথা বলিস না তো মা যা তৈরি হয়ে নে । সময় হাতে নেই একদম , কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে নাহয় ।



কিন্তু বাবা আজ আমি পারবো না । মেয়েটি মাথা নিচু করে বলল



ছিঃ মা এখনো এমন করে কতদিন হয়ে গেলো তুই করছিস , বংশের কথা ভাব একটু । কোথায় মিনু কে তুই সাহস দিবি উল্টো তুই নিজেই অবুঝ এর মতো কাজ করছিস । এই তো আসছে বছর ই তোর বিয়ে দেবো তখন তুই মুক্ত । চৌধুরী সাহেব এর গলায় আকুতি



না না বাবা আমি তা বলছি ন আমার তো ভালই লাগে , কিন্তু এখন তো পারবো না ।



আলম সাহেব একটু ভাবলেন তারপর বললেন ওহ বুঝেছি তবুও তৈরি থাক সাহায্য তো করতে পারবি । আজ তো রফিকের বউ ও বাড়ি নেই । তোর মা আর মিনু কি একা সামাল দিতে পারবে?



ঠিক আছে বাবা আমি যাচ্ছি



এই তো আমার লক্ষি মা । এই বলে আলম সাহেব আবার ছুটলেন । কিন্তু এবার পেছনে পেছনে আসা চাকরটি নেই মালকিন এর অবস্থান জানতে পেরে সময় নষ্ট না করে তাকে ডাকতে চলে গেছে ।





এই যে তুমি , কোথায় ছিলে এতক্ষন তোমার গুনধর কি কাণ্ড করেছে জানো ? স্ত্রী কে পেয়েই রাগত স্বরে বললেন আলম সাহেব ।



আহা কি হয়েছে বলবে তো । কি করেছে আমার ছেলে অমন করছ কেন ? অসম্ভব রূপবতী একজন মধ্যবয়স্কা সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলল । লাল পারের সাদা সাড়ি পড়নে । বেশ নাদুস নুদুস স্বামীর মতো এনার চেহারায় ও বেশ আভিজাত্য। আভিজাত্য ছারাও মহিলার চখমুখ থেকে যেন মায়া ঝরে পড়ছে ।



মেহমান নিয়ে আসছে এমন ভাবে বললেন আলম সাহেব যেন মেহমান নয় ডাকাত আসছে বাড়িতে ।

ওমা তুমি কি করে জানলে ? কবে আসছে ?



কবে নয় বলো কখন আসছে , স্টেশন থেকে রফিক কল করলো অপুর সাথে তিনটে ছেলে দেখেছে ও ।



সুন্দরি মহিলার মুখ ফ্যাঁকাসে হয়ে গেলো । ওমা সেকি গো কতক্ষন লাগবে আর ।



আধ ঘণ্টার বেশি তো লাগার কথা না । এখন কি করি অথিতি সৎকার ঠিক মতো না হলে না জানি কি অলক্ষন হয় । তোমার এই ছেলে বংশের নাম মুছেই খান্ত হবে দেখো ।



আচ্ছা আচ্ছা তুমি কিছু চিন্তা করো না আমি করছি কিছু একটা , অতিথি কয়জন ?



তিনজন তিনটেই ছেলে অপুর বয়সী । স্ত্রীর আশ্বাসে তেমন একটা ভরসা পেলেন বলে মনে হলো না । এই বয়সী অথিতি দের খুশি করা খুব কঠিন । এতো বছর অথিতি সৎকার করে এটুকু অভিজ্ঞতা অন্তত হয়েছে আলম সাহেব এর । তার উপর যদি আবার গ্রাম বাসী কেউ অথিতি হিসেবে এসে হাজির হয় তাহলে তো হয়েছে । দাসী বাদী দিয়ে তো আর অথিতি আপ্যায়ন করা যায় না ।



স্বামী কে যদিও আশ্বাস দিলেন কিন্তু মনে মনে নিজেই কুল কিনারা পাচ্ছেন না কি করবেন মিতা । মাত্র আধ ঘণ্টা সময় আধ ঘণ্টা ও বুঝি পুরো নেই । প্রথমে কোমরে গুজে রাখা মোবাইল ফোন বের করে কল করলেন ছেলেকে । রিসিভ করলো না ছেলে । মিতা আসাও করেন নি । বড় অভিমানি ছেলে , যাক অভিমান কিছুটা হলেও ভেঙ্গেছে , এতদিন তো নিজেই আসতো না এবার অথিতি নিয়ে আসছে । এই দুসচিন্তার মাঝেও একটু হাসলেন মিতা , নরম নরম গাল দুটোয় টোল পড়ে অসম্ভব সুন্দর লাগে মিতা কে হাসলে ।
 
These are the rules that are to be followed throughout the entire site. Please ensure you follow them when you post. Those who violate the rules may be punished including possibly having their account suspended.

যারা কমেন্ট করবেন, দয়া করে বানান ঠিক রাখুন। উত্তেজিত অবস্থায় দ্রুত কমেন্ট করতে গিয়ে বানান ভুল করবেন না। আমরা যারা কমেন্ট পড়তে আসি, আমাদের কমেন্ট পড়তে অনেক অসুবিধা হয়।

Users who are viewing this thread

Back
Top