সুজির টোস্ট
বাড়ির সব সদস্যকে তো আর একসাথে পাওয়া যায় না সব সময়, তাই যখনি এই সুযোগটা আসে আমাদের সবারই কম-বেশি রান্নার হাত খুলে যায় ! চুটিয়ে রান্না করে খাওয়াতে এক দলের যেমন দারুণ ভালো লাগে, তেমনি যাঁদের রোজ রান্না করার অভ্যাস নেই, তাঁরাও সুযোগ পেলে বুঝে যান যে খাবার বানানোর মধ্যে অন্যরকম একটা ক্রিয়েটিভিটি আছে। আর এরকম পরিস্থিতিতে আমরা নতুন অনেক কিছুই শিখে যাই নিজের অজান্তেই। পরিচিত উপাদান কাজে লাগিয়ে কাছের মানুষদের জন্য দারুণ সুস্বাদু কিছু একটা বানিয়ে ফেলার তৃপ্তিটাই যে আলাদা, সেটা কিন্তু এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়ে কিছু শেখার পরেই অনুভব করা যায়। চলুন, আজ এই ধরনেরই কিছু একটা আমরা শিখে নেই...
এটি অতি পরিচিত বৈকালিক নাস্তা, চায়ের সাথে দারুণ জমে। যারা স্বাস্থ্যসচেতন, তারা মাখন বাদ দিন, বাড়ান সবজির পরিমাণ -- পালং, বিনস, ভুট্টা দেওয়া যায়। যাঁরা ঝাল ভালোবাসেন, তাঁরা কাঁচামরিচ কুচি করে কেটে দিন। যদি ময়দার পাউরুটি ব্যবহার করতে ইচ্ছে না হয়, তাহলে পছন্দমতো যে কোনো পাউরুটি নিন – আটার রুটি বা মাল্টিগ্রেন পাউরুটিও চলবে।
উপকরণঃ
আধা কাপ সুজি
৩ টেবিলচামচ দই
চার ভাগের এক কাপ বাঁধাকপিকুচি
চার ভাগের এক কাপ গাজরকুচি
৫ আঁটি ধনেপাতা
আধা চা চামচ গোলমরিচ
৪ স্লাইস পাউরুটি
২ টেবিলচামচ মাখন
২ টেবিলচামচ ঘি
স্বাদ অনুযায়ী লবন
পদ্ধতিঃ
ধনেপাতা, বাঁধাকপি, গাজর কাটার আগেই খুব ভালো করে ধুয়ে নিন।
একটা বড়ো বাটিতে সুজি নিয়ে তাতে দই মিশিয়ে দিন।
এইভাবে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। সুজি যেন দইয়ে ভালো করে ভিজে যায়।
এর মধ্যে লবন, গোলমরিচ আর সব সবজি মিশিয়ে দিন, তারপর ফেটে নিতে হবে।
পাউরুটিতে মাখন মাখিয়ে নিন হালকা করে।
ফ্রাই প্যানে ঘি দিয়ে গরম করুন।
পাউরুটি সুজির ব্যাটারে ডুবিয়ে কোট করে নিন ভালো করে।
কম আঁচে এপিঠ ওপিঠ করে মুচমুচে, সোনালি করে ভেজে নিন।
এবার লম্বা লম্বা করে কেটে টোম্যাটো সস আর সবুজ চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন।