তওবা (৩য় কিস্তি)
তওবার পদ্ধতি :
কোন গুনাহগার ব্যক্তি তওবা করতে চাইলে, প্রথমে যে পাপে লিপ্ত ছিল সেটা ছাড়তে হবে এবং আল্লাহর আযাবের ভয়ে ও পরকালে জান্নাত পাওয়ার আশায় তওবার নিয়ত করতে হবে। আর মনে মনে ঐ পাপের জন্য লজ্জিত হয়ে তাতে আর ফিরে না আসার দৃঢ় সংকল্প করতে হবে। সেই সাথে যে যন্ত্রের মাধ্যমে পাপ সংঘটিত হয়েছিল সেটাও ধ্বংস বা সরিয়ে ফেলতে হবে। তারপর সুন্দরভাবে ওযূ করবে। ওছমান বিন আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوْءَ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ جَسَدِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِهِ-
'যে ব্যক্তি ভালভাবে ও সুন্দর করে ওযূ করে তার শরীর থেকে সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার নখের নীচ থেকেও বের হয়ে যায়'। (মুসলিম, রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১০২৬; মিশকাত হা/২৮৪। )
আবু হুরাইরা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, 'যখন কোন মুসলমান বা মুমিন বান্দা ওযূ করে এবং তার মুখমন্ডল ধুয়ে ফেলে তখন পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুটির সাথে তার চেহারা থেকে ঐ সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায় যেগুলোর দিকে তার চোখ দু'টির সাহায্যে দৃষ্টিপাত করেছিল। অতঃপর যখন সে তার হাত দু'টি ধুয়ে ফেলে, তখন পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুটির সাথে তার হাত দু'টি থেকে ঐ সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, যা তার হাত দু'টির মাধ্যমে হয়েছিল। এরপর যখন সে তার পা দু'টি ধুয়ে ফেলে, তখন সে পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুটির সাথে ঐ সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, যার দিকে তার পা দু'টি এগিয়ে গিয়েছিল, এমনকি সে গুনাহ থেকে সস্পূর্ণ পূত-পবিত্র হয়ে যায়'। (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৫; রিযাযুছ ছালেহীন হা/১০২৮। )