What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

এক কেজি আমের দাম তিন লক্ষ টাকা! (1 Viewer)

এক কেজি আমের দাম তিন লাখ টাকা! অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনা সত্যি। লাল রঙের সেই আম নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে হইচই। এমনকি বিশেষ শ্রেণির সেই আম গাছের মালিক গাছের পাহারায় নিরাপত্তা কর্মীও নিয়োগ দিয়েছেন। জানা যায়, আম বাগানে পাহারা দেওয়ার জন্য ছয়টি কুকুর এবং চারটি নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন।
d7ap9BYF4sIDCQhMKPsfu-transformed.jpeg

জানা যায়, ভারতের মধ্যপ্রদেশের দম্পতি রানী এবং সংকল্প পরিহার কয়েক বছর আগে দুটি আমের চারা লাগিয়েছিলেন ভেবেছিলেন মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে তাদের বাগানে অন্যান্য আর পাঁচটি গাছের মতোই তাদের গাছটিও বাড়বে ফল হবে কিন্তু আশ্চর্য রকম ভাবেই সেগুলি 'মিয়াজাকি'আম হয়ে উঠল।
[
'মিয়াজাকি' আম হল লাল রঙের। জানা যায় এটি জাপানি আম। 'সূর্য ডিম'-ও বলা হয় এটিকে। এই দম্পতি শুধু নয়, বেশিরভাগ মানুষই এ রকম লাল রঙের আম জীবনে কোনো দিন দেখেননি। তবে এই আম কি অন্য কিছু? বিষাক্ত কিছু নয় তো? খোঁজ নিতে শুরু করেন পরিহার দম্পতি। আর খোঁজ নিতেই চক্ষু চড়কগাছ। এই বিরল আমের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য অনেক। প্রতি কিলোগ্রাম আম বাংলাদেশি টাকায় তিন লক্ষ টাকা। গত বছর এই দামেই বিক্রি হয়েছে এই আম।
[
এই খবর প্রকাশ হতেই আম চুরি করতে নেমে পড়ে ডাকাতের দল। এই মূল্যবান আমগুলিকে রক্ষা করতে কঠোর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেন তারা। মোতায়েন করা হয়েছে ৬ শিকারি কুকুর ও ৪ জন নিরাপত্তারক্ষীকে। দম্পতি নিজেরাও আগলে রাখেন এই আমগাছগুলিকে। সন্তানের মত লালন-পালন করে যত্ন নিয়েছেন দুই দম্পতি। ভালোবেসে মায়ের নামে নামকরণ করেছিলেন দামিনী। সংকল্প পরিহার বলেন, এর আসল নাম আমরা জানতে পারলেও এখনো আমাদের কাছে এটি দামিনী। রানী পরিহার বলেন, এক ব্যবসায়ী আমাদেরকে একটি আমের জন্য ২১ হাজার টাকা অফার করেছেন। এক জহরত যত খুশি ইচ্ছে দাম দিতে প্রস্তুত।
oMacgXF2JLpeGhLgUrkWv-transformed.jpeg

এ বিষয়ে মধ্যপ্রদেশের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের ডিরেক্টর জিএস কৌশল জানান, 'এই জাপানি আমের আলোচিত হওয়ার কারণ শুধুমাত্র এর দাম। তবে এই ফলের মধ্যে কি গুণাগুণ রয়েছে তা আমরা যাচাই করবার জন্য বৈজ্ঞানিকদের বলেছি এবং এটি প্রাকৃতিক উপায়ে হয় নাকি এটা হাইব্রিড এবং কেন এত দামি তা জানা দরকার। সাধারণ মানুষের এই গাছ রোপণ করা উচিত বৈজ্ঞানিকদের অনুমতির পরেই।' তবে এটি স্বাদে অতুলনীয় বলে জানা গিয়েছে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top