পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে গেছে। আজ প্রথম রোজা। গরমের কারণে রোজার প্রথম দিকে অনেকের গলা শুকিয়ে যায়। তবে কয়েকটি স্বাস্থ্যকর টিপস ও কৌশল অবলম্বন করলেই গ্রীষ্মের রোজায় গলা–মুখ শুকিয়ে যাওয়া রোধ করা সম্ভব।
- ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে সর্বনিম্ন ৮-১০ বা প্রয়োজনভেদে ১০-১২ গ্লাস পানি পান করতে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অতিরিক্ত তৃষ্ণার্ত হওয়ার ফলে ইফতারে বিভিন্ন ধরনের কার্বনেটেড ড্রিংকস বা বাইরের বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর পানীয় পান করা হয়ে যায়। এগুলো তৎক্ষণাৎ প্রশান্তি দিলেও দীর্ঘ সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে কার্যকর নয়। সে জন্য এসব পানীয় গ্রহণ না করে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
ইফতারিতে কী খাচ্ছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ।
- খাদ্যতালিকায় প্রচুর পানিজাতীয় তাজা মৌসুমি ফলমূল ও শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
- রাস্তায় অযথা বের হওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে বাইরে বের হলেও অবশ্যই ছায়াযুক্ত স্থানে দিয়ে চলাফেরা করতে হবে। ছাতা সঙ্গে রাখতে হবে।
- রোজা রেখে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা ভারী কোনো শরীরচর্চা না করাই ভালো।
- রমজান মাসে ক্যাফেইনজাতীয় খাবার সম্ভব হলে বাদ দিতে হবে বা একেবারেই সীমিত পরিসরে পান করতে হবে।
- শুকনো খাবার যেমন বাইরের বিভিন্ন ক্র্যাকার্স, টোস্ট, চিপস ইত্যাদির পরিবর্তে আর্দ্র, থকথকে ও নরম খাবার গ্রহণ করতে হবে।
- গরমে ঘাম দিয়ে বের হয়ে যাওয়া পুষ্টি উপাদানের ভারসাম্য রাখতে কচি ডাবের পানি, লেবুপানি বা ডিটক্স ওয়াটার খুব ভালো।
শরীর থেকে সব দূষিত উপাদান বের করতে ডিটক্স পানির বিকল্প নেই।
- অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার ও লাল মাংস সাধারণত শরীরকে সহজে ডিহাইড্রেটেড করে। সে জন্য রোজার মাসে এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
- অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবারে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। তাই রোজার মাসে অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার বারবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
লেখক: নাহিদা আহমেদ, পুষ্টিবিদ