What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

শাফীক বালখী কর্তৃক বাদশাহ হারূনুর রশীদকে উপদেশ (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,574
Messages
119,143
Credits
374,357
Computer
Glasses sunglasses
Compass
Compass
Camera photo
Logitech Mouse
শাফীক বালখী কর্তৃক বাদশাহ হারূনুর রশীদকে উপদেশ
বর্ণিত আছে, একদা শাফীক বালখী বাদশাহ হারূনুর রশীদের দরবারে প্রবেশ করলে বাদশাহ তাকে বললেন, আপনি কী শাফীক যাহেদ (দুনিয়াবিরাগী শাফীক)? তখন তিনি বললেন, আমি শাফীক, তবে যাহেদ নই। বাদশাহ তাকে বললেন, আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তা'আলা আপনাকে আবুবকর ছিদ্দীকের আসনে আসীন করেছেন। অতএব তিনি আপনার থেকে অনুরূপ সত্যবাদিতা কামনা করেন। তিনি আপনাকে সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী ওমর ইবনুল খাত্ত্বাবের মসনদ দান করেছেন। তাই তিনি আপনাকে তাঁর মত সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী হিসাবে দেখতে চান। তিনি আপনাকে ওছমান ইবনু আফফান (রাঃ)-এর আসনে সমাসীন করেছেন। অতএব তিনি আপনার থেকে তাঁর মত লজ্জাশীলতা ও দানশীলতা প্রত্যাশা করেন। তিনি আপনাকে বিজ্ঞ আলী ইবনু আবী ত্বালিবের সিংহাসনে আরোহণ করিয়েছেন। অতএব তিনি আপনার থেকে তাঁর মত জ্ঞান ও লোকদের প্রতি ন্যায়বিচার কামনা করেন, যেমন তার থেকেও কামনা করেছিলেন। বাদশাহ বললেন, আপনি আরো কিছু উপদেশ দিন। তখন শাফীক বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই উপদেশ দিব। জেনে রাখুন, আল্লাহ তা'আলা জাহান্নাম নামক একটি ঘর নির্মাণ করেছেন এবং আপনাকে সে ঘরের দারোয়ান (রক্ষক) নিযুক্ত করে তিনটি জিনিস দান করেছেন। সেগুলো হ'ল- বায়তুল মাল, চাবুক ও তরবারী। অতঃপর নির্দেশ দিয়েছেন যাতে আপনি এ তিনটি দ্বারা আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জীবকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করতে পারেন। অতএব যে কোন অভাবী আপনার নিকট আসলে তাকে বায়তুল মাল হ'তে বঞ্চিত করবেন না। কোন ব্যক্তি তার প্রতিপালক আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করলে তাকে চাবুক দ্বারা আদব শিক্ষা দিবেন তথা শায়েস্তা করবেন। কোন ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করলে তাকে নিহতের অভিভাবকের অনুমতিক্রমে তরবারী দ্বারা হত্যা করবেন। আপনি যদি এই নির্দেশাবলী বাস্তবায়ন না করেন তাহ'লে আপনি হবেন জাহান্নামীদের সর্দার এবং অধঃপতিতদের সর্বাগ্রে অবস্থানকারী। খলীফা হারূনুর রশীদ বললেন, আরো উপদেশ দিন। তখন তিনি বললেন, আপনার দৃষ্টান্ত পানির ঝরণার মত, আর পৃথিবীতে আলেমগণ হ'লেন ছোট ছোট নদী তুল্য। যদি ঝর্ণার পানি স্বচ্ছ ও পরিষ্কার থাকে, তাহ'লে নদীর ঘোলাটে অস্বচ্ছ পানি তার কোন ক্ষতি করতে পারে না। পক্ষান্তরে ঝরণার পানি যদি অস্বচ্ছ ও অপরিষ্কার থাকে, তাহ'লে নদীর স্রোত ও পরিষ্কার পানি দ্বারা কোন ফায়দা হবে না।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top